Sunday, November 25, 2012

বিবাহদোষ কাটাতে অন্বিতার চুল কামানো

{এই গল্পটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত।  আমি চরিত্রগুলোর নাম পরিবর্তন করেছি।  সংযুক্ত ছবি কেবল আন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত। এই গল্প এবং ছবির মধ্যে কোন যোগসূত্র নেই।}

অন্বিতা ২৫ বছর বয়স্কা যুবতী। অন্বিতার ১ জন করে বড় ও ছোট ভাই ছিল। তার বড় দাদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন এবং তাই তার বাবা-মা গত সপ্তাহে ১ বছরের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। অন্বিতা ও তার ভাই অবিনাশ চেন্নাইতে একসাথে থাকে।  অন্বিতা ও অবিনাশ প্রাইভেট কনসার্নে কাজ করছে। তার বাবা-মা গত ৪ বছর যাবৎ অন্বিতার জন্য সম্বন্ধ খুঁজছেন। কিন্তু তারা তার জন্য ভালো ম্যাচ পাচ্ছেন না।

তাদের পরিবারের একজন গণক বহু কুণ্ডলী ​​মেলাতে চেষ্টা করছেন কিন্তু তিনি কিছুতেই মেলাতে পারেননি। মেয়ের বিয়ে নিয়ে তার বাবা-মা দুশ্চিন্তায় ছিল। শেষে ২ বছর আগে তিনি অন্বিতার জন্মপত্রিকায় কিছু ত্রুটি (দোষম) খুঁজে পেয়েছিলেন এবং এটি তার বাবা-মাকেও জানিয়েছিলেন।  তারা এই দোষের জন্য ক্ষতিপূরণ (পরিহারম) দিতে হবে এমন কিছু জিজ্ঞাসা করলে, জ্যোতিষী জানান হ্যাঁ, অন্বিতার তিরুমালায় মাথা মুড়ানো উচিত। তার বাবা-মা হতবুদ্ধি হয়ে গেলেন এবং তারা মেনে নিলেন না, তারা সমাধানের অন্য উপায় জিজ্ঞাসা করলেন, কিন্তু গণক বলল এটিই একমাত্র উপায় অন্যথায় কোন সুযোগ নেই। তবুও তারা তা মানবেন না।  অন্বিতাও এই কথা শুনে; সেও মাথা কামাতে অস্বীকার করে।

গত মাসে সে একটি ভাল জুড়ি পেয়েছিল সবকিছু ঠিকঠাক, কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে এই সম্বন্ধ বাতিল হয়। এ নিয়ে তার পরিবারের সবাই ব্যথিত, কারণ এটি ৩য় সম্বন্ধ যা কিছু কারণে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছে। অতএব অন্বিতা বলল আমি কাউকে বিয়ে করতে চাই না তাই প্লিজ আমাকে আর জোর করো না, অবিনাশকে বিয়ে করিয়ে দাও। পরন্তু ওর বাবা মা বললেন না অনি তুই বড় তাই তোর বিয়েটা শেষ করতে হবে এরপরই ওর বিয়ের কথা ভাবব। অবিনাশ তার কলেজমেটের সাথে প্রেম করছে। এ বিষয়ে অন্বিতা জানে। কিন্তু ওদের বাবা-মা জানেন না। অবিনাশ অন্বিতার থেকে মাত্র ১ বছরের ছোট। তাই সেও অধীর আগ্রহে অন্বিতার বিয়ের অপেক্ষা করছে, তারপরই বাসায় তার ভালোবাসার কথা জানাবে।

এই সময়ের মধ্যে অবিনাশের প্রেমিকা কিছু সমস্যা নিয়ে এসেছিল, কারণ তার বাবা-মা তার সম্বন্ধ খুঁজছিলেন, তাই সে তার বাবা-মাকে তার প্রেমের কথা জানায়।  প্রথমে তারা এর বিপক্ষে থাকলেও দীর্ঘ আলাপচারিতার পর তারা তা মেনে নেন।  তারা অবিনাশের সাথে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলেন। কিন্তু তারা একটি শর্ত জুড়েন যে বিয়েটি এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে অন্যথায় কিছু পারিবারিক সমস্যার কারণে তারা তাদের মেয়ের জন্য অপর পরিবার নির্বাচন করবে। অবিনাশ তার বোনের বিয়ের পরেই তাদের মেয়েকে বিয়ে করবে বলে জানায়। হ্যাঁ, ওটা তোমার সিদ্ধান্ত। যদিও আমরা এটা মেনে নিচ্ছি, কিন্তু এক বছরের মধ্যে তোমার বিয়ে করা উচিত, অন্যথায় আমাদের দোষ দিয়ো না।  অবিনাশ নিরুত্তর; সে বলল ঠিক আছে।

অবশেষে অবিনাশের বাবা-মাও বিষয়টি জানলেন, তারাও এই নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত। পুনরায় ওনারা ওনাদের পারিবারিক জ্যোতিষীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আবারও তিনি বললেন, অনুগ্রহপূর্বক তিরুমালায় তার মাথা মুণ্ডন সম্পন্ন করুন, ৬ মাসের মধ্যে আপনাদের ভালো সম্বন্ধ আসবে, অন্যথায় কোন সুযোগ নেই। তারা অন্বিতার সাথে কথা বলেন, এবং এই বিষয়ে জানায়, কিন্তু সে মেনে নেয়নি। সুতরাং দীর্ঘ কঠিন সিদ্ধান্তের পর সে তার মাথা মুণ্ডন করতে সম্মত হয়, অথচ এবার অবিনাশ রাজি হয় না। তবে সে অবিনাশকে রাজি করায়। তারা এই সপ্তাহান্তে তিরুমালা যাওয়ার পরিকল্পনা করল। সে তার বাবা-মাকে কলে জানিয়েছিল, তারা খুশি নয় তবু তারা বললেন ঠিক আছে অন্বিতা নিজের খেয়াল রেখো।

অন্বিতা, অবিনাশ এবং তার বাগদত্তা ঊষা তিনজনই তিরুমালার উদ্দেশ্যে যাত্রারম্ভ করে। পথে অবিনাশ বলল, অনি, মাথা মুণ্ডন করা কি সত্যিই প্রয়োজন? কেননা তোমার মাথা মুণ্ডনের পরও যদি এক বছরের মধ্যে তোমার পাকা কথা না হয়, তাহলে আমরা কী করব! সে বলল, ঠিক বলছিস, কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি; কারণ ভাবনাচিন্তা পরে করে এখনই চেষ্টা করা যেতে পারে। যদি এটা কাজ করে তাহলে আমরা সুখী হব, নাহলে ছেড়ে দাও। তারা সকাল ৯ ঘটিকায় তিরুমালায় পৌঁছে ও সন্ধ্যায় দর্শন করবে ঠিক করে। ওরা নিজেদের রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ রিফ্রেশ হয়ে নিল। ২ ঘণ্টা পর ওরা অন্বিতার চুল কামানোর জন্য কল্যাণকাট্টায় রওনা হলো। অন্বিতার মাথা মুণ্ডন করার ব্যাপারে ঊষাও অসম্মত ছিল। তারা টনসার হলে পৌঁছলে অবিনাশ অন্বিতার জন্য ১টি টিকেট কিনল। সে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। আনমনে সে তার লম্বা চুল ছোঁয়। সেখানে প্রচুর মহিলা নাপিত বসে মহিলাদের মাথা ন্যাড়া করছেন। সে টেনশনে ভুগছিল; তার পেটে প্রজাপতি উড়ছে, কারণ ২০ বছর পর এই প্রথম সে মাথা মুণ্ডন করতে যাচ্ছে। তার বিগত চূড়াকরণও মনে নেই। সে কিছু মেয়ে এবং মহিলাকে তাদের চুল একটু ছোট করে কাটতে দেখেছে, তার লাইনের মধ্যে সে একমাত্র হেডশেভের জন্য অপেক্ষারত লম্বা চুলের তরুণী। এটিও তার উত্তেজনা বাড়ায়। সে মুণ্ডন প্রক্রিয়াটি দেখছে। ১৫ মিনিট পর তার পালা। সে তার চুল ছেড়ে দিয়ে ঊষাকে হেয়ারব্যান্ডটি দিয়ে বলল, আগামী এক বছরের জন্য এটি কোন কাজে আসবে না। 



তারপর সে মহিলা নাপিতের সামনে বসল। অবিনাশ ওনাকে টন্সার টোকেন দিল। উনি গুণ্ডু/কাট (মুণ্ডন না কাটা) চাইছে পুঁছলেন। অন্বিতা বলল গুণ্ডু (মুণ্ডন); অবিলম্বে অন্বিতা তার লম্বা চুল মহিলাটির হাতে দিলো, তিনি ওর মাথা ঝুঁকিয়ে চুলে জল ঢেলে দিলেন। অন্বিতা দুঃখ পেল। উনি ওর লম্বা চুল সুন্দরভাবে ম্যাসাজ করলেন। তার লম্বা চুল এখন সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। এরপর নাপিত দুটি গেরো বাঁধলেন, এবং নাপিত রেজারে একটি নতুন অর্ধেক ব্লেড ঢুকিয়ে আবার তার ঘাড় বাঁকিয়ে দিলেন। অন্বিতা গোবিন্দ গোবিন্দ বলে, নাপিত তার মাঝখানের অংশ কামিয়ে ফেলেন, অন্বিতা জীবনে প্রথমবারের মতো তার মাথায় ঠাণ্ডা হাওয়া অনুভব করছে। ওর কোলে ওর চুলগুলি ঝরে পড়ছে। তার চুলের দিকে তাকিয়ে তার চোখে জল এসে গেল। পরন্তু তার আর কোন উপায় নেই, ততক্ষণে নাপিত ওর বাম এবং ডান দিক কামিয়ে ফেলেন। সে এখন অর্ধেক ন্যাড়া, তার মাথার সামনের অংশ সম্পূর্ণ কেশমুক্ত এবং পেছনের দিকে লম্বা চুল। অনন্তর নাপিত পিছনের চুলের অংশও কামিয়ে দেয়। অন্বিতার কোল চুলে ভর্তি। পুনর্বার নাপিত তার টাক মাথা আগাপাশতলা কামিয়ে দেয়। 





পরিশেষে অন্বিতা উঠে দাঁড়াল আর ঊষার কাছে এসে তাকে উড়নি দিলো। উষা বললো, দারুণ লাগছে অনি। অন্বিতা তাকে ধন্যবাদ জানায়। অবিলম্বে সে তার টাক মাথা বালতি জলে ধুয়ে ফেলে। তার কাঁধে লেপ্টানো কিছু চুল সে জল দিয়ে পরিষ্কার করল। অবিনাশ পুরো প্রক্রিয়াটি দেখেছে। প্রথমবার সে টাক মাথাওয়ালা অন্বিতাকে দেখছে। সে নেড়ামুণ্ডি অন্বিতার কিছু ছবি তুলল।

পরের দিন অন্বিতার প্রতিবেশীরা তার চেহারা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেল, সে বলল একটা মানত করেছিলাম। সে ওর মুণ্ডিত চেহারার ছবি ওদের বাবা-মায়ের কাছে পাঠাল। ৬ মাস পর তার পাকা দেখা হয়ে গেল। এখন ও বয় কাট লুকে আছে। তজ্জন্য ওদের বাবা-মা আগামী বছর একই দিনে অন্বিতা এবং অবিনাশের বিয়ের দিন ঠিক করেন।

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...