Wednesday, August 26, 2015

খুড়াতো ভাই তার মা এবং মাসির মাথা মুণ্ডানোর জন্য দায়ী {পর্ব ১}

এটা কেবল একটি গল্প নয় এটি আমার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা। আমি যখন ৭ম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার খুড়ো একজন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। তার নাম হচ্ছে চন্দনা। উনি খুব ফর্সা এবং তার চুল অনেক লম্বা। প্রতি রাতে আমি তাকে নেড়া মাথায় দেখার স্বপ্ন দেখতাম। আমি যখন ১৬ বছর বয়সী ছিলাম তখন উনি একটি ছেলেশিশুর জন্ম দেয়। তারা ওর নাম রাখেন রাকেশ। 

খুড়ী তার সন্তান প্রসবের আগে আমার খুড়ো শপথ করেছিল যে সে যদি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় তবে আমি আমার মাথা ন্যাড়া করব। আর তখন চন্দনার মা বলেছিল যে সে যদি ছেলের জন্ম দেয় তাহলে সে (চন্দনা) তার মাথা ন্যাড়া করবে। তিনিও ঠিক আছে বলেন। তারপর আমি জেনে খুব খুশি বোধ করলাম যে তিনি তার মাথা মুণ্ডন করাবেন। দেবতার কাছে প্রার্থনা করলাম। তারপর তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। রাকেশের চূড়াকরণ অনুষ্ঠানে আমিও সেখানে গিয়েছিলাম আমিও সেখানে গিয়েছিলাম কারণ আমি ভেবেছিলাম আমার আন্টি চন্দনাও তার মাথা ন্যাড়া করাবেন। 


কিন্তু এটি সম্পূর্ণ হতাশাজনক দৃশ্য ছিল। সেদিন রাকেশ আর আমার খুড়ো মাথা মুণ্ডন করিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আমার তার মাথা মুড়ানো দেখার স্বপ্ন বাস্তবে ঘটেনি। আমি যখন সাম্প্রতিক গ্রীষ্মের ছুটিতে কাকার বাসায় গিয়েছিলাম তখন তিনি তার চুল বিশাল লম্বা করে কিন্তু আমি কিছুই করতে পারি না। রাকেশের বয়সও ৬ বছর হয়েছে। সে সবসময় ওর মায়ের চুল নিয়ে খেলত। 

একদিন চন্দনা বিছানায় বসে চুল আঁচড়াচ্ছিল। তারপর রাকেশ এসে তার খোলা চুল দিয়ে খেলতে লাগল। উনি বিরক্ত হয়ে ওকে বকাঝকা করে। তিনি ওকে বললেন তুমি আমার চুল নিয়ে খেলছ না তুমি জোর করে টেনে ধরছ। এ কারণে আমার চুল পড়া শুরু হয়েছে। ভাবছি মাথা কামিয়ে ফেললে আর জ্বালা-যন্ত্রণা থাকবে না। এর জন্য সে মন খারাপ করে। তারপর আমি ওকে আমার সাথে খেলতে নিচতলায় নিয়ে যাই। খেলার সময় দূর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল এক নাপিত। 

রাস্তার শেষ মাথায় তার নাপিতের দোকান ছিল। ইনিই সেই নাপিত যিনি রাকেশের চুল কাটেন। তো রাকেশ নাপিতকে ডেকে জিজ্ঞেস করল সে মাথা কামিয়ে দিতে পারবে কিনা। তখন নাপিত উত্তর দিলেন হ্যাঁ। এরপর নাপিত রাকেশকে নাপিতের দোকানে আসতে বলেন। তখন রাকেশ বলল মাথা কামানো আমার নিমিত্ত নয়। আমার মায়ের জন্য। তারপর নাপিত অবাক দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করলেন কেন উনি তার মাথার চুল ফেলতে চায়! জবাবে রাকেশ নাপিতকে বুঝিয়ে বলল যে সে তার চুল নিয়ে বিরক্ত হয়েছে তাই সে তার মাথা কামিয়ে ফেলতে চায়। আমি তার কথায় একদম চুপ করে রইলাম। 

এরপর রাকেশ নাপিতকে তাদের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যায়। কলিং বেল বাজছিল। চন্দনা দরজা খুলল। রাকেশের সাথে নাপিতকে দেখে তিনি তাকে ভিতরে আসতে বলেন। ততক্ষণে নাপিত ঘরে প্রবেশ করেছে। তখন রাকেশ ওর মাকে বলল তুমি তোমার চুল নিয়ে খুব বিরক্ত হয়েছ তাই আমি নাপিতকে তোমার মাথা কামানোর জন্য নিয়ে এসেছি। তখন চন্দনা চমকে উঠল। তারপর তিনি বললেন আমি তো কেবল তামাশা করছিলাম। তুই এটা সত্য ভেবে নিলি! তারপর নাপিত চন্দনাকে জিজ্ঞেস করল উনি চুল কাটতে চান কি না!? তারপর তিনি বললেন আমি কোনো চুল কাটাতে চাই না আপনি যেতে পারেন। 

অবিলম্বে তিনি হঠাৎ ভাবতে শুরু করে যে আমি যদি মাথা মুড়িয়ে নিই তবে তাহলে গ্রীষ্মের তাপ থেকে মুক্তি পাব এবং মাথা ঠাণ্ডা রবে। তখন চন্দনা নাপিতকে থামিয়ে ভেতরে আসতে বললেন। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি তার চুল নিয়ে কিছু করতে চান কি না?! তিনি উত্তর দিলেন হ্যাঁ আমি আমার চুল শেভ করতে চাই। তখন আমি খুব খুশি বোধ করলাম। 
তিনি আমাকে মেঝেতে খবরের কাগজ ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমি তড়িঘড়ি সেটি করি। তিনি আমাকে একটি পাত্রে পানি আনতে বললেন। আমি একটা পাত্রে পানি নিয়ে আসি। তারপর নাপিত তাকে বসতে নির্দেশ দিলেন। তিনি এতটাই নার্ভাস বোধ করছিলেন যেন তিনি কখনও মাথা মুড়োননি। তিনি মেঝেতে বসলেন। তারপর নাপিত বাক্সটা খুলে বাক্স থেকে একটা ক্ষুর বের করে পাশেই রাখলেন। 

তারপর নাপিত আমার খুড়ীকে তার চুলের খোঁপা খুলতে বললেন। খুড়ী আস্তে ধীরে তার চুলের খোঁপা খুললেন। তার অলকগুলি ধীরে ধীরে মেঝেতে পড়ে। অবিলম্বে নাপিত কিছু পানি নিয়ে মালিশ করতে লাগলেন। তিনি ওনার মাথায় সমস্ত জল ঢেলে দেন এবং ২ মিনিটের জন্য ম্যাসাজ করেন। এভাবে তিনি তার চুল পুরোপুরি ভিজিয়ে দিলেন। এবার তিনি রেজারটি হাতে নিলেন এবং তার রেজারে একটি নতুন হাফ ব্লেড ঢোকালেন। তিনি তার চুল নিয়ে দুটি পনি টেইল বানিয়ে প্রতিটিতে একটি করে ক্লিপ এঁটে দিলেন। এরপরে উনি ক্ষুরখানি ধরে তার মাথা ঝুঁকিয়ে তার চুল কামিয়ে দিতে লাগলেন। তিনি বাম পনি টেইল শেভ করতে শুরু করেন। চন্দনা অনুভব করে যে তার মাথার চুল চাঁছা শুরু হয়েছে। তার বাম পাশের পনিটেইল ধীরে ধীরে আলগা হয়ে গেছে। তৎ পরে রাকেশ সেই পনিটেলটা নিয়ে সেটা দিয়ে খেলা শুরু করে। অনন্তর নাপিত তার ডান পাশে শেভ করা শুরু করলেন। ধীরে সুস্থে তার পনিটেলটি আলগা হয়ে নিচে পড়ে গেল। তারপর নাপিত উল্টো দিক হতে কামালেন। তারপর নাপিত চন্দনাকে বললেন তার মাথার চুলের মুণ্ডন শেষ। 

তিনি উঠে দাঁড়িয়ে তাকে ৩০ টাকা দিলেন। এর পর উনি চলে গেলেন। তারপর সে বাথরুমে গিয়ে মাথা ধুয়ে গোসল করল। রাতে আমার খুড়ো এসে জিজ্ঞাসা করলেন কেন তিনি তার মাথা ন্যাড়া করেছেন! তারপর তিনি তাকে পুরো ঘটনাটি বললেন। আমার খুড়ো তার কথা শুনে হাসলেন। এতে করে আমার তার মাথার চুল মুড়োতে দেখার স্বপ্ন পূরণ হলো।

No comments:

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...