আমার বিসদৃশ যমজ বোনের বিয়ে হয়েছিল মুম্বাইতে এক সরকারি কর্মচারীর সঙ্গে। বিয়ের পর তার স্বামী আমাকেও মুম্বাই নিয়ে গেলেন এই আশায় যে আমি চাকরি পাব। আমরা একটা পুরনো বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় তার এক রুমের ফ্ল্যাটে থাকতাম। ফ্লোরের সমস্ত বাসিন্দাদের কমন বাথরুম ব্যবহার করতে হতো। আমরা আসলে কেরালা থেকে এসেছিলাম, একটি খুব রক্ষণশীল জায়গা। সেখানে বাস, সিনেমা থিয়েটার এবং কলেজে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা আলাদা বিভাগ আছে। কেরালায় ছোট চুলের মেয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। একজন নাপিত তাদের চুল কাটবে এটি তাদের নিকট অভাবনীয়।
আমার বোন উনিশ বছর বয়সী এবং দেখতে সুন্দরী। আমরা দুজনেই লাজুক প্রকৃতির। এক শনিবার সকালে আমার বোনের স্বামীর অফিস ছিল না। তিনি আমাদের দুজনকে একটি নাপিতের দোকানে নিয়ে গেলেন যেখানে তিনি চুল কাটাতে চেয়েছিলেন। আমরা জায়গাটিতে প্রবেশ করার সাথে সাথে একজন হেয়ার স্টাইলিস্ট আমাদের স্বাগত জানালেন এবং আমার বোন এবং আমাকে অপেক্ষার জায়গায় বসতে অনুরোধ করলেন। আমরা প্রথমবার নাপিতের দোকানে গিয়েছিলাম এবং কিছুটা বিমূঢ় ছিলাম। স্টাইলিস্ট আমার জামাইবাবুর চুল কেটে ফেলার সময় আমরা দুজনেই ম্যাগাজিন পড়বার ভান করলাম।
মুম্বাইতে দুই বছর থাকবার পর, আমরা গ্রীষ্মের বন্ধের জন্য কেরালায় ফিরে আসি। এক শনিবার সকালে, আমাদের পাড়ার এক যুবতী মহিলা, যার স্বামী একজন ভ্রাম্যমান নাপিত, আমাদের বাড়িতে আসেন। তিনি মুদি মালামাল কেনার জন্য একটি ছোট কর্জ চেয়েছিলেন। সন্ধ্যায় তার স্বামী বাড়ি ফিরলে তিনি তা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আমার মা তার জামাতার কাছ থেকে ধার নিয়ে তাকে দিয়েছিলেন।
পরের দিন, সকালের নাস্তার পর, আমার জিজু আমার মাকে অনুরোধ করলেন ভদ্রমহিলার স্বামীকে আনতে যাতে আমার বোন চুল কাটাতে পারে। মা তার অনুভূতি লুকিয়ে রেখেছিলেন। উনি তাকে চটাতে চাননি। আমার মা কেনাকাটার জন্য বাইরে গেলে তিনি নাপিতের বাড়িতে থামেন। তিনি দুই ঘন্টা পর এলেন। আমার বোন নদীতে স্নান করে ঘরের সামনে এসে পোশাক পরছিল। আমার বোন আগে কখনও চুল কাটেনি।
আমার জিজু বাড়ির উঠোনে একটা চেয়ার রেখে আমার বোনকে বসিয়ে দিলেন। সে নার্ভাস ছিল। আমি এবং আমার মা দেখছিলাম। আমার বোনের পরনে শাড়ি আর ব্লাউজ ছিল। জামাইদাদা চেয়েছিলেন তরুণ নাপিত ওর চুল ছোট করুক। তার আগে, তিনি ওনাকে ওর মুখ শেভ করার অনুরোধ করেছিলেন। উনি কাছেই এক টুকরো সাবান ও পানি রেখেছিলেন। নাপিত প্রথমে আমার বোনের মুখ শুষ্ক অবস্থাতেই কামালেন। তারপর উনি সাবান দিয়ে ফেনা তৈরি করে ওর সারা মুখে লাগিয়ে দিলেন। ফের ভেজা শেভ করলেন। জিজু আদেশ দিয়েছিলেন যে নাপিত তার ব্লাউজ খুলে ফেলে এবং তার বগল কামান। নাপিত কোনো আবেগ না দেখিয়েই তা করল।
অতঃপর নাপিত আমার বোনের চুল কেটে দিলো। কাটার পরে, তার সামনের দিকে এক ইঞ্চি চুল এবং অন্য জায়গায় এক ইঞ্চির চতুর্থাংশ ছিল। প্রথমদিকে, আমার বোন তার নতুন চেহারা নিয়ে জনসমক্ষে যেতে অনীহা বোধ করেছিল। কিন্তু অবশেষে যুবকরা তার প্রতি যে মনোযোগ দিচ্ছিল তা সে পছন্দ করেছিল।
No comments:
Post a Comment