আমি অর্ঘ্য, হাওড়ায় থাকি। আমার মায়ের ঘন কালো প্রায় কোমর পর্যন্ত চুল ছিল। বছরে ২/৩ বার ডগা কাটাতো কাকিমা বা মাসিকে দিয়ে। যখন বছর ৪৫ বয়স, তখন থেকে চুল উঠতে শুরু করে, অনেক কিছু করেও সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। চুল ক্রমশ পাতলা হয়ে যাচ্ছিল আর মাথার সামনের দিকে টাক পরে গেছিল।
তারপর আমি মাকে একজন স্কিন স্পেশালিস্ট এর কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তারবাবু ভালো করে পরীক্ষা করে বলেন চুলের গোড়ায় ফাঙ্গাস জন্মে যাচ্ছে, ইমিডিয়েট ব্যবস্থা না নিলে পুরো মাথা টাক হয়ে যাবে বছর খানেকের মধ্যে, আর চুল গজাবে না। আমি বললাম কি করতে হবে, কোনো তো উপায় আছে! উনি বললেন, হ্যাঁ, ডেফিনিটলি আছে, আমি দুটো লোশন দেবো আর কিছু ট্যাবলেট, মাস চারেকের ভেতর সব ক্লিয়ার হয়ে নতুন চুল গজাবে, চিন্তার কিচ্ছু নেই। আমাদের দুজনের দেহে যেন প্রাণ এলো। কিন্তু তার আগে একটা কাজ করতে হবে, উনি বললেন। আমি বললাম, আপনি যা বলবেন আমরা তাই করবো, শুধু এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিন। উনি বললেন, ওই লোশন তো আর চুলের মধ্যে দিয়ে লাগানো যাবে না, ওনাকে সব চুল কামিয়ে ফেলতে হবে, মানে নেড়া হতে হবে!
একি বলছেন! মায়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল, না না, আমি ওসব হবো না, আপনি অন্য ওষুধ দিন। এছাড়া অন্য কোনো রাস্তা নেই ম্যাডাম, আপনাকে করতেই হবে, মাস ছয়েকের ভেতর নতুন চুল গজিয়ে যাবে আগের মতো ঘন,কোনো টাক থাকবে না, আর এখন নেড়া না হলে এই যে টাক পড়ছে, পুরো মাথা হয়ে যাবে, আর চুল গজাবে না, এবার আপনি সিদ্ধান্ত নিন! সত্যিই তো, আমি বললাম কি করবে, মা শুধু মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল! ডাক্তারবাবুও খুশি হলেন, বললেন খুব স্মুথ করে নেড়া করতে হবে যাতে ফাঙ্গাস গুলো ঘষা খায়, আর প্রথম মাস টা প্রতি সপ্তাহে একবার করে নেড়া করে দিতে হবে, আর ল্যাসিক দুটো মিক্স করে ৩বার করে লাগাতে হবে। আমি বললাম ঠিক আছে, প্রেসক্রিপশন নিয়ে, দোকান থেকে ওষুধ আর লোশন দুটি কিনে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
সারা রাস্তায় মা এর কোনো কথা নেই, কি যেন ভাবছে, আমি ফিল করছিলাম, বললাম টেনশন করো না, মাস ছয়েকের ব্যাপার, দেখতে দেখতে কেটে যাবে। বোঝাতে বোঝাতে বাড়ি এলাম।বিকেলে দেরি না করে পাড়ার বিউটি পার্লারে গেলাম, ওরা শুনে বললো নেড়া ওরা করে না, কোনো সেলুনে যেতে বললো। আমি পাড়ার নাপিত নিতাই দার কাছে গেলাম, সব বুঝিয়ে বললাম, সব শুনে বললো, ঠিক আছে, কাল ১১টা নাগাদ যাবো, মাকে রেডি হয়ে থাকতে বলিস। আমি মা কে এসে সব বললাম, বললো ঠিক আছে। রাতে খাবার পর মনে হলো আর এ চুলের বিনুনিটা যদি আগে থেকে কেটে রাখি, তাহলে ওই চুলওলাদের কাছে বেচে কিছু টাকা পাওয়া যাবে। নিতাই দার থেকে চুল গুলো চাইলে কি ভাববে!! মা কে বললাম, মা ও সম্মতি দিলো।
তোমার ওই কাপড় কাটার কাঁচি টা নিয়ে ঘরে এসো, মা কে বললাম। মা বেশ সুন্দর করে একটা শেষবারের মতো বিনুনি করেছিল, মাকে খাটে বসিয়ে বিনুনিটা একহাতে উঁচু করে ধরলাম আর অন্য হাতে কাঁচি টা নিলাম। একদম গোড়া থেকে ঘ্যাচ ঘ্যাচ করে বিনুনিটা কেটে দিলাম। মা এর চোখের কোণ দিয়ে ঝর ঝর করে অশ্রু ঝরতে লাগলো। ছোট চুলে মা কে বেশ লাগছিলো, আমি গাল টা টিপে দিয়ে বললাম, তুমি তো আমার বোন হয়ে গেলে গো, দাঁড়াও আয়নাটা আনি, আয়নায় নিজেকে দেখে সেকি মুচকি হাসি, আমি ভাবলাম যাক একটু তো হাসলো! তোমার চিরুনিটা কোথায় গো? কেন ,আবার ওটা দিয়ে কি করবি! আহঃ,এত কথা বলোনা, কোথায় রেখেছো! ওই তো টিভির পাশে। আমি চিরুনি, বাটিতে জল, আর টুল নিয়ে ঘরে এসে মা কে বললাম, এসে এই টুলে বসো, তোমাকে পুরো ছেলে বানিয়ে দেবো!
এসো এসো, মা কে ধরে এনে টুলে বসালাম, বললাম, চুপটি করে বসো, একদম নড়বে না। পাগল ছেলের কাণ্ড দেখো, তুই কি আমায় নিয়ে সারারাত এইসব করবি!!! নিতাই দার দোকানে যেটুকু চুল কাটা দেখেছি, তাতে 70% পারফেক্ট বয়কাট করতে পারবো! গামছা দিয়ে আগে ভালো করে ঢেকে দিলাম। তারপর জল দিয়ে পুরো মাথাটা ম্যাসাজ করলাম। তারপর বাঁ দিকে সিঁথি করে চুলগুলো ছেলেদের মতো ভালোকরে আঁচড়ে নিলাম। এরপর বাঁ কানের পাশ থেকে শুরু করে ঘাড় বরাবর কেটে ডান কানের কাছে শেষ করলাম। এবার কানের পাশ থেকে কপাল বরাবর চুল গুলো কাটলাম। মোটামুটি আউটলাইন কমপ্লিট। এবার ছাঁটার পালা! এটা করা অতটা সোজা ব্যাপার না, তবুও কানের পাশ, আর ঘাড় টা ভালো করে ছাঁটলাম। যেহেতু পরের দিন কামাবে, তাই আর ঘাড় টা কামাইনি। ওভারঅল চুল কাটা কমপ্লিট। ফাইনালি ঝেড়েঝুরে সুন্দর করে আঁচড়ে দিলাম। গামছাটা সরিয়ে আয়নাটা এগিয়ে দিয়ে বললাম, দেখো তো, চিনতে পারছো কিনা?
মা তো লজ্জায় লাল, হেসে বলল, বেশ মানিয়েছে বল! তোর বাবা ফিরলে বলব ছেলের আর পড়াশোনা করে লাভ নেই,ওকে একটা বিউটি পার্লার খুলে দাও, হা হা হা। নে, এবার ওসব রাখ, অনেকরাত হলো, ঘুমিয়ে পড়। আমি বললাম, হাঁ, কাল আবার নিতাই দা আসবে! মা বাথরুমে ঢুকে মাথা শ্যাম্পু করে এসে ঘুমিয়ে পড়লো।