Wednesday, January 1, 2020

বাবুর জন্য

এ এক অদ্ভুত দৃশ্য ছিল, রবি একটা স্টুলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক হাতে এক জোড়া কাঁচি, আরেক হাতে চিরুনি। তার ২৭ বছর বয়সী স্ত্রী তাদের সন্তানের গুনগুন করে এবং আলতোভাবে দুলিয়ে শান্ত করেছিল। শিশুটিকে শান্ত করার কোনো উপায় নেই, যদিও স্নেহা চেষ্টা করতে থাকে। তার লম্বা চুল ঢিলেঢালা, কোমর পর্যন্ত খোলা। 

তার চুল, ২ বছর আগে তার বিয়ের পর সে এটিতে একটিও ভালমতো কাট দেয়নি। সে কাঁচির ব্লেডের শব্দ শুনতে পায়, কারণ তার স্বামী এটি দিয়ে খেলছিল। সে তার ১০ মাস বয়সী শিশুকে একবার খাটের উপর রেখেছিল এবং তার চুল ঝুঁটি দিয়ে বেঁধে আবার গুনগুন করতে থাকেন। অবশেষে শিশুটি ঘুমিয়ে ছিল, সেহেতু সে দ্রুত বসার ঘরে চলে গেল এবং চেয়ারে বসল। রবি চিরুনি আর কাঁচি রাখল, আর কাছে রাখা তোয়ালে তুলে নিল। স্নেহা স্থির এবং সোজা হয়ে দাঁড়াল যখন সে ওটা তার চারপাশে মোড়ায়। 

স্নেহা ধীরে ধীরে তার খোঁপা খুলল, রবি চিরুনিটা তুলে নিলো। সে এটিকে চিরুনি দিয়ে জিজ্ঞাসা করতে লাগলে, "তুমি এটা সম্পর্কে নিশ্চিত? তুমি যদি সত্যিই এটি করতে চাও তবে আমাদের কি কোনো পার্লারে যাওয়া উচিত নয়?” স্নেহা পাল্টা জবাব দিলো, তার চোখ বন্ধ, তার মুখের অভিব্যক্তি মানসিক চাপ এবং স্বাভাবিকের মধ্যে দোদুল্যমান হওয়ায় তার চুলগুলি ক্রমশ অগোছালো হয়ে উঠছিল, “দেখো, সবচেয়ে কাছের পার্লারটি আধা ঘণ্টার ড্রাইভ, তারপরে কমপক্ষে ১ ঘণ্টার লাগবে, আবার ত্রিশ মিনিটের ড্রাইভ, মানে দুই ঘণ্টা। ততক্ষণ বাবুর দেখাশোনা কে করবে?” 

রবি চিরুনি দিতে থাকল, বাম হাতে তার চুল ঘাড়ের কাছে ধরে রেখে তার চুলের নীচের অংশে জট খুলে দিয়ে বলল, “আমি দুঃখিত, কিন্তু তুমি বুঝতে পেরেছ এখানে কোন আয়া খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু এটা তোমার চুল, আমি নষ্ট করে দেবো” স্নেহা খলখলিয়ে হাসতে হাসতে কোন জবাব দিলো না। রবি কাঁচি বাছাই করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। সে তার লকলকে ঘন চুলে আরেকবার স্পর্শ করল। চিরুনিটা তার ছিন্ন চুলে ভরে গিয়েছিল। স্নেহা বলল, "আমরা আলোচনা করেছি, আমি যেভাবে বলেছি তাই করো" 

রবি শুরু করার সাথে সাথে কিছু বলল না, তার মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে বাম মুষ্টি দিয়ে তার সমস্ত চুল পনিতে জড়ো করে। তার মোটা পনি তার পিছনের মধ্য দিয়ে চলে গেছে এবং প্রান্তগুলি তার সামনে চলে গেছে। সে তার ঘাড়ের কাছে কাঁচি ঢুকিয়ে কাচ্‌চ্‌চ্‌...চ্‌চ্‌চ্‌…..চ্‌চ্‌. ব্লেডগুলো অ্যাকশনে আসতেই স্নেহা কম্পন অনুভব করল। সে তার চুল কাটার শব্দ শুনতে পেল, তার অলকদাম কেটে যাওয়ার মতো ঘর্ষণের শব্দ। 

রবির নিকট এটি কঠিন মনে হচ্ছিল, সে এখন সংগ্রাম করছিল, চারদিক থেকে কচ্ছ্‌ছ্‌...চ্‌চ্‌চ্‌...চ্‌চ্‌। শেষ পর্যন্ত সে অনুভব করতে পারল তার পনি আলগা হয়ে যাচ্ছে। পুনরুজ্জীবিত, সে গতি বাড়ায়। কাহ্‌চ্‌...ছ্‌চ্‌..চ। চূড়ান্ত পোঁচে স্নেহার চিবুক তার বুকে স্পর্শ করে। রবি পনিটিকে ওপরে টেনে উঠাল এদিকে স্নেহা তার মাথার চুল চেক করার জন্য হাত নিয়ে গেল। 

ঘাড়ের কাছে ছিন্নভিন্ন প্রান্ত স্নেহার জন্য অন্যরকম অনুভূতি ছিল। রবি তাড়াতাড়ি মোটা পনিটা টেবিলের কাছে রাখল। স্নেহা সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু রবি তার হাতের তালুর মধ্যে তার মাথা ধরে রেখেছিল। রবি আবার চিরুনি নিয়ে তার চুল আঁচড়াতে লাগল। সে ওর গ্রীবার পশ্চাদ্ভাগের চুল ছুলে ফেলার পরিকল্পনা করছে। সে বিরোধিতা করবে কি করবে না সে চিন্তা না করেই। 


রবি চিরুনি আর কাঁচি নিল, মাথাটা আবার সামনে বাঁকিয়ে কাটতে লাগল। চিরুনি দিয়ে চুল বাছাই করে তোলে, কাঁচি দিয়ে কাটে। সে সামনে থেকে তার চুল আঁচড়ালো, হঠাৎ পাশের ঘর থেকে দুজনেই কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল। স্নেহা দ্রুত উঠে তোয়ালে দিয়ে ঢেকে যাওয়ার চেষ্টা করল, তার চুল দেখে মনে হচ্ছে কেউ তার মাথার পিছনে বোমা মেরেছে, রবি দ্রুত তাকে থামিয়ে দিল। 

রবি বলল, তুমি এখন যেতে পারবে না। স্নেহা অনিচ্ছায় উত্তর দিলো, "কিন্তু সে কাঁদছে" 
রবি পাল্টা জবাব দিল, “তুমি চুলে ঢাকা, এখন ওকে ধরলে ওরও গোসল করতে হবে” 
স্নেহা জোর করে বলল, "তাহলে তুমি যাও" 
রবি তাকে চেয়ারে ঠেলে দিয়ে বলল, "পারব না, আমিও তোমার চুলে ঢাকা আছি" 
স্নেহা এবার তার মন মেজাজ হারাচ্ছিল, “তাহলে তাড়াতাড়ি কর, তাড়াতাড়ি কাট” 
রবি বললো, "দেখ আমি চুল কাটাতে পারদর্শী নই, আগে কখনো বব কাট কাটিনি, সময় লাগবে" 
সে আবার চিৎকার করে বলল, “তুমি যা করতে পারো তাড়াতাড়ি করো। সত্বর কিছু করো" 

রবি জবাব দিলো না, সে শুধু চিরুনি আর কাঁচিটা টেবিলে রাখল। সে বাবুর ঘরে গিয়ে আলতো করে তাকে তুলে রুমে নিয়ে এলো। সে তাকে স্বাভাবিকভাবে ধরে রাখতে নারাজ, কিন্তু তাকে দুই হাত ধরে যতটা সম্ভব দূরে রেখেছিল। সে তাকে তার মায়ের কাছে সেফটি চেয়ারে বসিয়ে দিল। বাবু কান্না থামাল, পরন্তু অবাক হয়ে মাকে দেখতে লাগল। রবি আবার অন্য ঘরে গিয়ে এক সেট ক্লিপার নিয়ে ফিরে এলো। 

স্নেহা নিজেই অবাক হয়ে গেল এবং কিছু বলার আগেই রবি বলল, "এটাই আমি সবচেয়ে দ্রুত করতে পারি, আমি কি করব?" স্নেহা মাথা নাড়ল, যদিও তার পছন্দসই নয়। সে চোখ বন্ধ করল, রবি উচ্ছসিত ছিল। রবি গার্ড বদলানোর চেষ্টা করলো, উপলব্ধ প্রতিটি গার্ড রাখল। কোনোটাই লাগানো যায় না, সবগুলোই জ্যাম। রবির চোখ চকচক করে উঠল। 

রবি সবেমাত্র জিরো নম্বর ক্লিপার হাতে নিয়ে ঢুকিয়ে দিলো। তার মাথাটি পিছনের দিকে টেনে নিয়ে, সে তার কপালের কাছে এটি স্পর্শ করে এবং এটিকে পিছনের দিকে ঠেলে দেয়। চুলের স্রোত তার কোলে পড়ল, তৎসঙ্গে তার চোখ থেকে জলও পড়ল। স্নেহা চোখ বন্ধ করে রেখেছিল, কারণ সে তার মাথার উপর দিয়ে ভাইব্রেশন এবং বাজ অনুভব করল। আরো চুলের বৃষ্টি হলো। স্নেহা এবার তার সামনের হালকাভাব অনুভব করতে পারল। সে তার চোখ খুলল না, কারণ ও তার মাথাকে পাশে ঠেলে দিল এবং তার বাম পাশের চিপ থেকে তার চুল সরিয়ে নিতে শুরু করল। 

স্নেহার কালো চুল ক্রমশ সাদা হয়ে যাচ্ছিল প্রতিটা টানে। সে প্রতি দৌড়ের সাথে আরও শক্তভাবে স্টুলের উপর তার হাত দিয়ে আঁকড়ে ধরেছিল। অর্ধেকটা বাজ করে দিয়ে, যখন তার সামনের কাজ শেষ, রবি চিরুনি নিয়ে তার সমস্ত চুল পিছনের অংশে জমা করে। চূড়ান্ত টানের জন্য ক্লিপার সেট করার সাথে সাথে, মেঝে ইতিমধ্যে কালো দিয়ে আচ্ছাদিত ছিল। বাবু ব‍্যগ্রভাবে তা পর্যবেক্ষণ করছিল, কারণ তার মায়ের দীর্ঘ কেশরের জীবনকাল প্রায় শেষের দিকে। তার মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে, ও এটি পরিষ্কার করল। 

শেষ কুন্তলটি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্লিপারটি বন্ধ হয়ে গেছে। রবি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো, আর আনন্দিত হলো না। সে এটা ভাবছিল... ততক্ষণে স্নেহা তোয়ালে গলায় নিয়েই উঠে গেল। বড় বড় চুল পড়ে গেল, যখন সে আয়নার কাছে তা দেখতে দৌড়ে গেল। রবি বাথরুমে গেল, তার শেভিং কিট খুঁজছিল, যখন সে উচ্চস্বরে চিৎকার শুনতে পেল, আমি মোটেও বেল করতে যাচ্ছি না, ভুলে যাও। 



হতাশ হয়ে সে ফিরে এলো, স্নেহা তখনো মাথা নিয়ে ব্যস্ত। তার মাথার বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করছিল। রবি আলতো করে ওর থেকে তোয়ালেটা সরিয়ে ওর মাথায় ও ঘাড়ে ঘষে দিল। বাবু তখনও টেবিলে থাকা তার মায়ের পোনির দিকে তাকিয়ে ছিল, যখন সে স্নান করতে গিয়েছিল। রবি জানত, নিশ্চিত, বাড়িতে এখন সে একা নয়!!! 

Translated from HC&S stories

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...