Tuesday, April 14, 2020

চাচার জেদে চাচীর হেয়ারস্টাইল চেঞ্জ (শেষ পর্ব)

চাচা এবার বারান্দার মুখে দাঁড়িয়ে নাপিতকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন -- ‘‘এমন করে কাটবেন যাতে পিছনের চুল দিয়ে একটা ঝুঁটিও বাঁধতে না পারে। খালি মাথার তালুতে যেন বাচ্চা মেয়েদের মত একটা ছোট ঝুঁটি বা মাথার দুই কোণে ছোট দুইটা ঝুঁটি করার মত চুল থাকে। আর চুলের সিঁথি মাথার মাঝখান থেকে যেকোন একপাশে নিয়ে যাবেন। আর গাল আর ঘাড় কামিয়ে দেবেন। 

- তারমানে একদম বেটাগো মত চুল কাটমু?
চাচা মাথা নেড়ে সায় দেন।
- শর্ট না মিডিয়াম?
চাচা শ উচ্চারণ করে পরে মিডিয়াম বলে লিভিং রুমে যান।

এদিকে চাচীর মুখের ওপর চুল ঝুলছে। ফোঁস করে নাক টানার শব্দ শুনে তিনি কাঁদছেন বোঝা যাচ্ছে। তিনি হয়ত ভাবছেন- চাচা কেন তার সঙ্গে এমনটা করছেন। এদিকে নাপিত তার এলোমেলো চুলগুলো সব পিছনে আনেন। চুলে বেশ কয়েকবার আঙ্গুল চালান তারপর পাটের ব্যাগ থেকে একটা চিরুনি বের করে চুল আঁচড়ান বেশ কয়েকবার। তারপর মাথার কাছাকাছি চুল মুঠো করে ধরে বারান্দার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা আমার কাছে একটা রাবার ব্যান্ড চান। আমি একদৌড়ে চাচীর বেডরুম থেকে কয়েকটা রাবার ব্যান্ড এনে নাপিতকে দিই। নাপিত এবার চাচীর চুল আরো কয়েকবার আঁচড়ে চারভাগ করে চারটি ঝুঁটি করলেন। মাথার তালুর সামনে থেকে কপালের ওপর ঝোলানো চুল একভাগে, মাথার দুপাশে ২ কানের সামনে ২ ভাগ, ২ কানের পিছনে পিঠ বেয়ে চলা সব চুল ১ ভাগ। এবার কাঁচি তুলে সবচাইতে লম্বা পনিটেল মানে পিছনের চুলে কাঁচি লাগিয়ে আস্তে আস্তে চেপে বসাতে লাগলেন। ১ মিনিট পরেই একটা ক্ষীণ ছিক শব্দে পনিটেল চাচীর মাথা থেকে আলগা হয়ে নাপিতের হাতে চলে আসে। এবারে ইলেক্ট্রিক ক্লিপারের চার্জার খুলে গার্ড লাগিয়ে ঘাড়ের যেখান থেকে পনিটেল কাটা হয়েছিল সেখানে ধরে উপরের দিকে কাটতে শুরু করেন। চাচীর মেছকির ওপর কাটা চুল ঝরঝর করে ঝরতে থাকে। মাথার পিছনটায় ভোঁ ভোঁ শব্দ করে ক্লিপারের ঘর্ষণে চাচী চমকে উঠেন। এবার কানের দুপাশে বাঁধা পনিটেল কাঁচিতে কেটে তারপর শুরু করেন কানের সামনে থেকে মাথার দুপাশের চুল ক্লিপিং করা। দুপাশের চুল ছোট করা হয়ে গেলে তিনি ট্রিমারের গার্ড খুলে চিপের আর ঘাড়ের যেখানে চুল গজানো শেষ সেখানটা একটু সরলরেখায় কেটে নিলেন। এখন চাচীর মাথার সব পাশের চুল ছোট খালি মাথার তালুতে একটা পনি বাদে। এবার উনি সেই মাথার তালুর পনির গোড়ায় কাঁচি ধরলেন কিন্তু চাচার নির্দেশ মনে করে রাবার ব্যান্ডটা ৩/৪ ইঞ্চি উপরে তুলে অতঃপর ব্যান্ডের নিচে কাঁচি দিয়ে কাটলেন। এরপর আমাকে ডেকে একটা বোতল বাড়িয়ে দিলেন পানি আনতে। এনে দিলে বোতলের মুখে স্প্রেয়ার লাগিয়ে তা দিয়ে সারা মাথায় পানি স্প্রে করে প্রথমেই মাথার তালুর চুল কিছু ছোট করলেন তারপর মাথার ডানপাশে নতুন সিঁথি কেটে মাঝখানের সিঁথি মিলিয়ে দিলেন। তারপর কপালের সামনের চুলের বামপাশ ডানপাশ অপেক্ষা খানিকটা ছোট করে দিলেন। তারপর ক্ষুর আর নতুন ব্লেড বের করে অর্ধেক ভেঙে ক্ষুরে লাগিয়ে কানের পিছনে, কানের লতির সমান্তরালে আর ঘাড় কামিয়ে দিলেন। সব শেষে মাথার চারপাশে ও ওপরে আরেকবার কাঁচি চালিয়ে লুক মানানসই করে নিলেন। অতঃপর চাচীকে সুন্দর করে মাথা আঁচড়ে, পাউডার কেস বের করে স্পঞ্জ দিয়ে পাউডার লাগালেন ও সেটা দিয়ে চাচীর মুখ ও কাঁধের ওপরকার চুল ঝেড়ে ফেললেন। তারপর চাচী উঠে নিজের মাথার চারপাশে হাত দেয় এবং পিছনে ফিরে দেখে তার সব চুল ফ্লোরে পড়ে আছে। চাচী কোনো কথা না বলে বাথরুমে গোসল করতে ঢুকলেন।

চাচা এদিকে নাপিতের পাওনা মিটিয়ে দিলেন। ইতিমধ্যে চাচী যে গোসল সেরে বেরিয়ে নিজের স্পেশাল রুমে গিয়ে দরজা আটকালেন আর খুললেন না। চাচা কিছুটা ভয় পেলেন তবে তিনি জানতেন চাচী ওভাররিএ্যাক্ট করবে না। এদিকে সন্ধ্যায় বুয়া এসে তো বেডরুম আর ব্যালকনি ঝাড়ু দিতে গিয়ে চুলের ঢিবি দেখে অবাক। অবশ্য চাচী এর মধ্যে একবার রুম থেকে বেরোলে চাচীকে দেখেও সে তাজ্জব হলো। রাতের খাবার খাওয়ার সময়ও চাচী কোনো কথা বললেন না। তবে রাতে চাচার সঙ্গে এক বিছানাতেই ঘুমালেন। টানা ৩ দিন চাচী আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। সবশেষে ৪ দিন পর সকালে চাচী আমাকে বলল- জানিস নাফি তোর চাচ্চু আসলে আমার চুল কাটিয়ে ভালো করেছে; আগে তো গোসলের পর চুল ভালো ভাবে মোছা আর শুকানোর জন্য সময় লাগত এখন আর লাগছে না, তার পর কিভাবে চুল বাঁধলে লুক ঠিক থাকবে সে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে তৈরি হতে হত। এখন তো এক আঁচড়েই রেডি, সময় কম লাগছে, চুলের মধ্যে আর জট পড়ে না। সেদিন তোর এক আন্টি বলল : আমাকে নাকি আগের থেকে অনেকটা ইয়ং লাগে। আসলে আমিও অনেক দিন যাবৎ ভাবছিলাম চুল ছোট করে ফেলি কিন্তু ভালো দেখাবে কি না সেটা ভেবে আর করা হয়নি। তোর চাচ্চুর জেদে যাক সেটা ট্রাই করা হলো। আমি বললাম : তাহলে তুমি কি চুল এবার থেকে ছোট রাখবে? চাচী বলেন : তোর চাচ্চু তো প্রথম রাতেই বলেছিল এখন থেকে এভাবেই রাখতে। তোর কয়েকজন আন্টিও বলেছে এমনই রাখতে। আমিও তাই ভাবছি; তোর চাচ্চু বললে বড় হতে দেব নাহলে ৩ মাস বাদে কেটে ফেলব। 


চাচার জেদে চাচীর হেয়ারস্টাইল চেঞ্জ (১ম পর্ব)

আমি নাফি। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় বর্ষের ছাত্র। জন্মের পরপরই মা মারা যাওয়ায়, বাবা বিবাগী হয়ে আমাকে চাচা-চাচীর হাতে তুলে দিয়ে নিরুদ্দেশ হন। নিঃসন্তান চাচা-চাচীই আমাকে পিতৃমাতৃস্নেহে এত বড় করেছে। এবার আসল কথায় আসি। আমার একটি লুকানো অভিলাষ বা ফেটিশ আছে। আমার ফেটিশ হচ্ছে মেয়েদের চুল নিয়ে। এ পর্যন্ত আমি কয়েকজন মেয়ে বন্ধুর চুল কাটা স্বচক্ষে দেখে নিজের ফেটিশ সন্তুষ্টি করেছি কিন্তু আমার মনোবাঞ্ছা হলো আমাকে মাতৃস্নেহ দেওয়া চাচীকে ছোট চুলে দেখা। চাচীর সোজা রেশমি চুল বর্তমানে প্রায় কোমর পর্যন্ত। এককালে প্রায় হাঁটু পর্যন্ত লম্বা ছিল কিন্তু বয়স বাড়তে বাড়তে চুলের দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়। তাছাড়া চাচীও এমনিতে সাজগোঁজ পছন্দ মহিলা। গত কয়েক বছর ধরে উনি ২ মাস অন্তর হাই ক্লাস দামী পার্লারে গিয়ে চুলের আগা ট্রিম করান ও স্টাইল করিয়ে আসেন। এর মাঝে অনেক বার ইনিয়ে বিনিয়ে চাচীকে চুল কাটবার প্রস্তাব দিলেও চাচী রাজি হননি বরাবর এড়িয়ে গেছেন। তবে ঘটনাচক্রে একদিন আমার মনোষ্কাম পূর্ণ হয়। আজ সে গল্পই বলব।

আমার চাচা ব্যবসায়ী মানুষ। ঠিকাদারি ব্যবসা করেছেন বহুদিন যাবৎ। তারপর নামলেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়। মূলত চাচার অক্ষমতার জন্যই তারা সন্তানবঞ্চিত। চাচা অবশ্য চেয়েছিলেন চাচী যেন অন্যত্র নতুন করে সংসার পাতেন কিন্তু চাচীই ওনার সঙ্গে থেকে যান। যাই হোক একদিন চাচা আমিসহ একটা জমি দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ তিনি মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে রাস্তার বামপাশে তাকিয়ে আমাকে বললেন: ‘দেখত ওটা তোর চাচী না?’ আমি তাকিয়ে দেখলাম, চাচী একটা লোকের সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলছে। আমি চাচাকে জিজ্ঞেস করি ‘বেরিয়ে দেখবে?' চাচা না বলে গাড়ি চালানো শুরু করেন। চাচা অবশ্য চাচীর কাছে কখনো তার দৈনন্দিন জীবন নিয়ে কিছু জানতে চান না। আরেকদিনও চাচা বাড়ি এসে আমাকে বললেন: আজকেও না তোর চাচীকে দেখেছি একটা হোটেলে সেই লোকের সঙ্গে বসে কফি খাচ্ছে। আমি শুনেও না শুনার ভান করে থাকলাম। আমার মনে হলো চাচা খুব হতাশার মধ্যে আছেন। অন্য আরেকদিন মাসের ১ম দিনে চাচা বাসায় বসে ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্টস চেক করছিলেন। তিনি স্টেটমেন্টে দেখেন চাচী পার্লারে প্রচুর টাকা ব্যয় করছেন। তিনি ডায়মন্ড উম্যান সেলুন নামের একটি সেলুনে ৳১৫০০০০ খরচ করেছেন। বলা বাহুল্য এর মধ্যে চাচা এক ঠগের পাল্লায় পড়ে বেশ কিছু টাকা গচ্চা দিয়েছেন। তার ব্যবসায়ের বেশ খানিকটা লোকসান হয়েছে এছাড়াও চাচীকে পরপর দুবার এক আগন্তুকের সাথে দেখে চাচার মন বিতৃষ্ণ ছিল। আর এখন চাচীর এই বিপুল পরিমাণ টাকা পার্লারে ওড়ানো দেখে চাচার মেজাজ বিগড়ে যায়।

চাচা চাচীকে ডাকতেই চাচী বেডরুমে ড্রেসিং টেবিলের সামনে থেকে মাথার ওপর মস্ত খোঁপা নিয়ে উঠে আসেন। চাচা তার বের হবার মতলব বুঝতে পেরে জিজ্ঞেস করল- কোথাও যাচ্ছ? চাচী উত্তর দেন- পার্লার যাচ্ছি চুলের আগা ট্রিম করাতে।
চাচা : কোথায়?
চাচী : ডায়মন্ড উম্যান সেলুন।
চাচা : কোথাও যাবে না তুমি। অনেক দিন ধরে দেখছি তুমি পার্লারে গিয়ে বেহিসাবি খরচা করছ। এটা অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি আর সহ্য করব না।
চাচী : কিন্তু আমার চুল ট্রিম করা দরকার।
চাচা : তাহলে অন্য কোনো পার্লারে গিয়ে সস্তায় করাও।
চাচী : (বিরক্ত হয়ে) আশ্চর্য! আমি কোথায় যাব সেটা কি এখন তুমি ঠিক করে দিবে?
চাচা : (ক্ষিপ্ত স্বরে) বেশ আমি তবে তোমার জন্য অন্য ব্যবস্থা করছি।
চাচা আমার রুমের দরজা একটু খুলে মাথা ঢুকিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন তোর কোনো কাজ না থাকলে আমার সঙ্গে বেরোবি? চাচার চড়া গলা শুনে আমি আর দেরি না করে একটা শার্ট পরে চাচার সঙ্গে গাড়ি করে বের হলাম। একই সময়ে চাচীও অন্য গাড়িতে ড্রাইভার নিয়ে পার্লারের দিকে গেলেন।

চাচার সঙ্গে একটা দালানের কন্সট্রাকশন তদারকি তারপর সেখান থেকে ঘুরে চাচার অফিসে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছু টুকটাক কাজ সেরে আবার চাচা আমিসহ গাড়িতে বের হলো। আমি অবাক হচ্ছিলাম চাচা কেন আজ আমাকে সঙ্গে নিয়ে এলো। গাড়ি চালাতে চালাতেই চাচা আসল কথাটা পাড়লেন। আমাকে চমকে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন: “এই শহরে সস্তা নাপিতের দোকান চেনা আছে?” আমি বলি ঠিক চেনা নেই তবে গলির ভেতর আছে জানি। চাচা আমাকে গাড়ি চালিয়ে সেখানে নিয়ে যেতে বলল। আমিও আর কিছু জানতে না চেয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে সেই গলির দিকে চললাম। তারপর গলির মুখে গাড়ি রেখে আমরা দুজন হেঁটে গলির ভেতর ঢুকে নাপিতের দোকান খুঁজতে লাগলাম। কিছু লোককে জিজ্ঞেসের পর পাশাপাশি কয়েকটা নাপিতের দোকান তালাবদ্ধ অবস্থায় খুঁজে পেলাম। তারপর আরেকটু সামনে এগিয়ে একটি দোকান খোলা পেলাম সেখানে চাচার বয়সী একজন লোক টিভি দেখছিলেন। দোকানে পা রাখতেই লোকটি রিমোট ছেড়ে দাঁড়িয়ে বলল: কি করাবেন? চাচা বলল- এখানে না, সাথে চলেন। তারপর লোকটা কাঁচি, চিরুনি সমস্ত কিছু একটা পাটের ব্যাগে সঙ্গে নিয়ে দোকানে তালা মেরে বেরিয়ে এলেন। তারপর তাকে নিয়ে আমরা গাড়ি করে বাসায় যখন এলাম তখন বিকাল ৪:৩০।

চাচা রুমে ঢুকেই ওনাকে ফ্ল্যাটের পিছনের বারান্দায় ১টি টুলে বসিয়ে সামনে নিচু আরেকটি টুল রেখে চাচীকে ডাকলেন। চাচী তখন বেডরুমে শুয়ে একটা ম্যাগাজিন পড়ছিলেন। চাচী সাড়া দিলে বেডরুমে গিয়ে চাচীকে বললেন বারান্দায় চলো।
চাচী : কেন? বারান্দায় কি হবে?
চাচা : তোমার যাতে আর চুল ট্রিম করাতে না হয় তার ব্যবস্থা করেছি।
চাচী : (রেগে গিয়ে) কি যা তা বলছ? মাথা ঠিক আছে?
চাচা এবার চাচীর হাত ধরে টানতে থাকেন। চাচীও প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় কিছু। আমি এদিকে সেই নাপিতকে ফ্লাস্ক থেকে গরম চা আর বিস্কুট খেতে দিই। নাপিত তার পাটের ব্যাগ থেকে চিরুনি, কাঁচি বের করে ও ইলেক্ট্রিক ক্লিপার চার্জে দেয়। আমার মনে বেশ খুশি লাগছিল ভেবে আমার মনের আশা আজ চাচার উছিলায় পূর্ণ হবে। শেষমেশ চাচী চাচার সঙ্গে পেরে উঠলেন না। চাচীর হাত ধরে চাচা বেডরুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় আসতে দেখলাম চাচীর চুল এক পাশে ১২/১৩ ইঞ্চি কাটা আর চাচার হাতে একখানা কাঁচি বিকালের রোদে চকচক করছে। তারপর চাচীকে ঐ নাপিত লোকটার সামনে বসিয়ে দিয়ে চাচা ন্যা... বলতে গেলেই আমি চাচাকে টেনে একপাশে এনে বলি; করছটা কি চাচ্চু? প্রায়ই তোমরা দুজনে একসঙ্গে পার্টিতে যাও, নিজেদের বাসাতেও পার্টি হয়। ওখানে চাচী ন্যাড়া মাথায় কি করে যাবে? এছাড়া বাসায় প্রায়ই তোমার বন্ধুরা আসে আবার চাচীর বান্ধবী, পাড়া পড়শি ঘনঘন বিকেলে এসে বসে আড্ডা দিয়ে যায়। এসব লোকদের সামনে চাচী কি ন্যাড়া মাথায় যেতে পারবে? আর ভুলে গেলে সামনে তোমাদের কুড়িতম বিবাহবার্ষিকীর পার্টি করবে বাসায়। এসব শুনে চাচার রাগ পড়ল। তিনি মাথা ঠাণ্ডা করে জিজ্ঞেস করলেন; তবে তুই-ই বল কি করা উচিৎ? আমি বলি: চাচীর চুল এক্কেবারে ছোট করে দিতে বল। চুল ছোট করলে চাচীর পার্লার যাওয়া বন্ধ হবে শিওর। চাচ্চুর মুখ দেখে বুঝলাম প্রস্তাব চাচার মনে ধরেছে। 

(চলবে...)

Wednesday, April 8, 2020

যে ৭টি কারণে চুল ছোট রাখাটাই সবদিক দিয়ে ‘ভালো’

আজকালকার আধুনিকারা অনেকেই চুল ছোট রাখতেই ভালোবাসেন। হ্যাঁ, লম্বা চুলের আবেদন অস্বীকারের কোন উপায় নেই। তবে ছোট চুলের স্টাইলিশ আকর্ষণটাও কিন্তু অনেক। হাজার রকমের হেয়ার কাট বেরিয়েছে, আজকাল, অনেক নারীই সেসব দিয়ে পাল্টে ফেলতে ভালোবাসেন নিজের লুক। ফলে বলাই বাহুল্য যে ছোট চুলটাকেই নিজের স্টাইল বানিয়ে ফেলেন। চলুন, আজ জেনে নিই কেন এই ছোট চুলের ফ্যাশন আসলে আপনার জন্য ভালো!

১) কর্মজীবী নারীদের জন্য ছোট চুল একটা আশীর্বাদ। চুলের যত্নে কিংবা চুল সজ্জায় সময় দিতে হয় না বলে বাড়তি সময়টা দিতে পারেন নিজের কাজে ও জীবনে। কতটা যে আরাম হয়, সেটা কেবল নারীরাই জানেন।

২) সকালে যাদের খুব তাড়াহুড়ায় অফিস, ক্লাস বা বাচ্চাদের স্কুলে যেতে হয় তাঁদের জন্যও ছোট চুল খুবই আরামের। সময় নিয়ে আঁচড়ানোর বা বাঁধার কোন প্রয়োজন নেই। একটু চিরুনি বুলিয়ে নিলেই আপনি তৈরি।


৩) চুল ছোট থাকলে চুল পড়ে কম। ছোট চুল চিরুনির সাথে ভাঙে না, জট পড়ে ছেঁড়ে না, ছোট চুলে পুষ্টির সরবরাহটাও বেশিই মেলে। সব মিলিয়ে চুল থাকে ঝলমলে ও সুন্দর।

৪) একটা জিনিস ভুলে যাবেন না, ছোট চুলে কিন্তু আপনাকে বেশ তরুণী দেখায়। কষ্ট করে বয়স লুকাবার আয়োজন করার চাইতে ছোট চুলের স্টাইল ধরে ফেলুন।, এমনিতেই তরুণী দেখাবে।

৫) ছোট চুলের পেছনে যে কোন হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টের খরচই অনেক কমে যায়।

৬) স্টাইলিশ করে চুল ছোট করে কাটলে না চাইতেও আপনাকে দেখায় সুপার স্মার্ট। লম্বা চুল ঠিক মত মেইনটেইন করতে না পারলে আপনার লুক নষ্ট হতে বিন্দুমাত্র সময় লাগে না।

৭) ছোট চুলের বলতে গেলে কোন পার্লার খরচ নেই। আপনি চুলে রঙ করান বা হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিন, ছোট চুলের কারণে কিন্তু খরচ কমে যায় অনেকটাই।

(বিউটি মান্ত্রা অবলম্বনে)

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...