Sunday, August 9, 2020

মা এলো নাপিতের দোকানে

৩২ বছর বয়সী বাসনা তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী নাপিতের দোকানে হুড়মুড়িয়ে ঢুকল। তার মধ‍্যপিঠ পর্যন্ত দীর্ঘ চুল সব আলুথালু, এবং সে আসার পূর্বে কাপড় বদলায়নি বরং তার বাসায় পরে থাকা ঘর্মাক্ত শাড়ি পরেই চলে এসেছে। 

ইতোমধ্যে তিন জন সেবাপ্রার্থীর সিরিয়াল দেখে যাদের মধ্যে তার ছেলেও একজন; সে অপেক্ষার জায়গায় একটি আসনে বসল। সে আসা মাত্রই সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠল কেননা সে আরামে বসার জন্য সমস্ত চুল সামনে এনেছিল, কিন্তু সে কোনও পাত্তা দেয়নি। তার চুল কুচকুচে কালো এবং ঘন ছিল কিন্তু চুলগুলো ছিল ড‍্যামেজ এবং ডগাটা কেমন গিটবাঁধা সুতার মত। 

সে একটু গা ছেড়ে বসে সামনে তাকিয়ে দেখল নাপিতরা কেমন গানের সুর গুণগুণিয়ে চেয়ারে বসা লোকগুলোর চুল বাজ করছে। সে চোখ সরিয়ে তার ছেলের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, সামনের সারিতে বসা, একই ধরণের হেয়ারস্টাইলের জন্য অপেক্ষমান। সে চোখ বন্ধ করল। 

যখন দিন শুরু হয়েছিল, সে কখনই ভাবেনি যে সে দুপুরে কোনও নাপিতের দোকানে যাবে, আসলে সে ২০ বছর বয়সে পার্লারে যাওয়া শুরু করার পরে আর কখনো এ মুখো হবার কথা ভাবেইনি। তবে আজকের দিনটা কিছুটা আলাদা। সকালে বাসনা চুলায় ভাত বসাতে যাচ্ছিল অন‍্যদিকে তার স্বামী বাজারে গিয়েছিল আনাজপাতি খরিদ করতে। ঠিক তখনই ঘটল এক দূর্ঘটনা। বাসনাদের বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাসের চুলায় রান্না হয়। বাসনা যখন চুলা জ্বালাচ্ছিল তখনই হঠাৎ আগুনের হলকা উঠে বাসনা চোখের পলকে উল্টো দিকে ঘুরে যাওয়ায় আগুনের হলকা তার তেমন ক্ষতি করতে পারেনি কিন্তু এরপরই সে চামড়া পোড়ার মত একটা গন্ধ পায় আর নিচে তাকিয়ে দেখে বিণুনির থেকে কয়েকগাছি চুল পায়ের কাছে পড়ে রয়েছে তৎক্ষণাৎ বাসনা নিজের চুল সামনে এনে দেখে তার পিঠের চুলের বেশিরভাগেরই ডগা পুড়ে গেছে। তার স্বামী বাড়ি এসে তার হাল দেখে তাকে বলেছিল তার চুলের বেশ খানিকটা পুড়ে গেছে ডগাচেরা দেখা যাচ্ছে তাই সে যেন পোড়া ডগার উপরে কমপক্ষে ২ ইঞ্চি চুল ট্রিম করে নেয়, এতে বাসনা রাজি হয়েছিল। 

সবকিছু ঠিক ছিল, যতক্ষণ না তার স্বামী তাদের ছেলেকেও তার সঙ্গে গিয়ে চুল বাজ করানোর নির্দেশ দিলো। সে প্রথমে বাঁধ সাধলেও পরে মেনে নেয়। কয়েক মিনিট পরে, সে তার ছেলের পাশে বসে চুল কাটাবার জন্য অপেক্ষা করছে। 

দোকানে কাজ খুব দ্রুত হচ্ছিল। সে খেয়ালই করল না কখন তার ছেলে তার পাশ থেকে উঠে গিয়ে নাপিতের চেয়ারে বসল এবং তার চুল কাটা প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে গেল। অন্য নাপিত তার কাজ শেষ করতেই তার ডাক পড়ল। সে মন্থর গতিতে উঠে গিয়ে নাপিতের চেয়ারে বসল, এটি তার শরীরের মাপের তুলনায় বেশ বড়। 

নাপিত একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ, আলতো করে তার সমস্ত চুল একত্রে মুঠো করে উঁচুতে ধরলেন যখন তিনি একটি সাদা কাপড়ের গ্রীবাবন্ধনী তার গায়ে জড়িয়ে দেন। অনন্তর নিজের মুষ্টি আলগা করে চুলের মুঠি ছেড়ে দিলেন। এরপর একটি চিরুনি হাতে জিজ্ঞাসা করলেন, "কী করব ম‍্যাডাম?" 

বাসনা জবাব দিল, "উম্ম… আমাকে ঠিক ওর মতো করে চুল কেটে দিন" নিজের ছেলের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে সে বলল। 

নাপিত তাজ্জব হয়ে বলল, "আপনি নিশ্চিত ম‍্যাডাম? সে গ্রীষ্মকালের জন্য চুলে তেল কম ছাঁট দিচ্ছে... এটা খুব ছোট চুলের স্টাইল আপনি জানেন। মহিলাদের সাথে এটা একদম যায় না ” বাসনা জবাব দিয়েছিল, "হ্যাঁ আমি পুরোপুরি নিশ্চিত ... আপনি কি বিশ্বাস করেন যে আমি কেবল আমার চুলের কারণে একজন মহিলা?" নাপিত তোতলিয়ে বলে, "না… তবে, মহিলারা লম্বা চুল রাখে সাধারণত…" বাসনা বলেছিল, "পুরুষরা যদি তেল কম ছাঁট দিতে পারে তবে আমিও পারি" 

নাপিত আর কথা বাড়ায়নি। তিনি একটি কাঁচি নিয়েছিলেন এবং তার চুলে শেষবারের মত চিরুনি দিয়েছিলেন। 

তার হাতের কাঁচিটি তার ঘাড়ে রেখে তিনি আলতো করে তার মাথাটি সামনের দিকে নুইয়ে দিলেন। কাচ্চাছ ... ছচ্চছ ... ছ্যাচ তার গুচ্ছবদ্ধ চুলে তার কাঁধ ঢাকা কাপড়ের ওপর দিয়ে গড়িয়ে মেঝেতে পড়তে শুরু করল। তিনি তার পিছনে ঝুলন্ত কেশর সম্পূর্ণ মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাটতে থাকে। বাসনা সমস্তটা অনুভব করল, কাঁচির ধাতব ফলক ও তার মাথার নির্ভারতা। 

বাসনা মাথা উপরে তুলল, তার চুল এখন কেবল ঘাড়ের দৈর্ঘ্যে। সে এটি স্পর্শ করার চেষ্টা করেছিলেন, তবে পারল না কারণ তার হাত কেপের ভিতরে ছিল। 

নাপিত তখন একটি ক্লিপার নিয়ে তার চার্জার প্লাগ ইন করেন। এবার তিনি আরেকটি চিরুনি নেন। তিনি তার মাথার চারপাশে তার চুল ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাকে একটি বব চুলের চেহারা দেয়। তারপরে কাঁচি দিয়ে তার লম্বা কেশগুচ্ছ কেটে ফেলা শুরু করেন। তিনি তার চুল মুঠি দিয়ে ও আঙ্গুল দিয়ে চিমটার মত করে ধরে কাটা চালিয়ে যেতে থাকেন। 


তিনি সামনে থেকে চুলের বড় অংশ মুঠ করে ধরে টান দিলেন। তার মাথা পিছনে বেঁকে গেল। তারপরে কাচ্চাছ ... ছাছ… ছছ। কোলে চুল পড়তেই বাসনা চোখ বন্ধ করল। খানিকটা তার মুখে লেগে আছে। 

তারপরে তিনি কাঁচিটি রেখে ক্লিপারটি তুললেন এবং ৩ নম্বর গার্ড লাগালেন যদিও তার ছেলের বেলায় কয়েকবার বলার পরও ১ নম্বর গার্ডে বাজ করা হয়েছে। সম্ভবত বাসনা একজন পূর্ণ যুবমহিলা হওয়ায় নাপিত তার চুল একেবারে ছোট করতে ইচ্ছা করলেন না। তিনি আস্তে আস্তে আলগোছে এটি তার মাথার সামনে স্পর্শ করে ব্রহ্মতালুর দিকে চালিয়ে দিলেন। তার কোলে চুল বৃষ্টির মত ঝরে পড়ল। তিনি ক্লিপার বাজ করা জায়গা থেকে পাশে সরিয়ে একইভাবে মাথার চাঁদির উপর চালালেন। 

এরপরে তিনি ডান দিকে চলে গেলেন এবং তার ডানদিকে কানের লতির কাছে ক্লিপার ধরে তা উপরের দিকে ঠেলে বাজ করলেন। বাম দিকেও তিনি একইভাবে কানের লতির কাছে ক্লিপার ধরে তা উপরের দিকে ঠেলে বাজ করেছিলেন। বাসনা এখন মাথায় শীতল বাতাস অনুভব করতে পারল। তার মাথার চাঁদি ও দুপাশে এখন কালো রঙের পরিবর্তে ধূসর দেখা যাচ্ছে। ক্লিপারটি যতবার তার মাথার উপরে ও পাশ দিয়ে ভোঁ শব্দে অতিক্রম করছিল সাথে সাথে মেঝেটি আরও ঢাকা পড়ছিল। 

কেবল তার পিছনে চুল বাকি ছিল। তার মাথা ধরে সামনের দিকে নিচু করে তিনি ক্লিপারের গার্ড খুলে ফেললেন ও তার পিছনের চুলগুলিকে আগাছা নিড়ানোর মত করে নির্দয়ভাবে কাটলেন। হঠাৎ ক্লিপার তার মাথার ত্বক ছোঁয়ায় বাসনার শরীর ক্লিপারের ভাইব্রেশনের সঙ্গে যেন শিরশিরিয়ে উঠল। তার মাথার ত্বক প্রায় উন্মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত শেষ বাকী চুলগুলি ক্লিপিং চলেছিল। নাপিতটি পুনরায় কাঁচি নিল ও তার পিছনে এবং পাশে হেয়ারলাইন তৈরি করতে শুরু করেন। 

তদানিং তিনি তার গ্রীবাসন্ধি ও চিপের উপর, কানের পাতার পিছনে জল স্প্রে করলেন এবং একটি ক্ষুর বের করলেন। তার সদ্য ক্লিপিং করা চুলের শেষ প্রান্তে রেজার রেখে তিনি তাকে নড়াচড়া করতে মানা করলেন। শ্চচচ ... ছচ্চচছ্চ। বাসনার কিছুটা বেদনার্ত তথাপি উত্তেজনাপূর্ণ অনুভূতি হল। শ্চচচ ... ছচ্চচছ্চ সে আবার তা অনুভব করল যখন শেষবারের মত তার ঘাড়ের গাঁইটে রেজার থেমেছিল। পেছনের কাজ শেষ হবার পর নাপিত তার মাথার দুপাশে ও কানের পাতার পিছনে কামিয়েছিলেন। 


নাপিতের ক্ষুরের কারসাজি শেষ হবার পরে, সে নিজেকে দেখবার জন্য মাথা তুলে। সে প্রথম ঝলকে নিজেকে চিনতে পারল না। তার ঝাঁকড়া চুল আর নেই। তার মাথার আয়তন আগের তুলনায় অনেক ছোট মনে হলো। সে তার ছেলেকে দেখতে তার পাশের চেয়ারটির দিকে তাকাল। বছর ৪০য়ের এক ব্যক্তি সেখানে বসা ছিলেন। 

নাপিত তার ঘাড়, গলা, মুখ ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে দেবার পরে আস্তে আস্তে জড়ানো কাপড় খুলল। তিনি আবার ড্রয়ার হাতড়ে ক্ষুরটি বের করে নিতে নিতে তাকে ইশারায় উঠতে মানা করলেন। তিনি এবার এসে ধীরে তার পেছনের দিকে স্পর্শ করে আলতো করে ধাক্কা দিয়ে তাকে সামনে ঝুঁকিয়ে তার ঘাড়ের উপর চিকন বাদামি চুল চেঁছে সাফ করে দিল যা তার শাড়ির আঁচলে চাপা পড়েছিল। 

বাসনা কিছুটা লজ্জা পেয়েছিল কিন্তু না করেনি। তারপরে সে চেয়ার থেকে উঠে তার চাঁছা জায়গাটি ছুঁয়ে দেখে। 

সে তাদের উভয়ের চুল কাটার মূল্য পরিশোধ করে এবং তারা একসাথে দোকান ছেড়ে বেরিয়ে আসে।

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...