Saturday, June 30, 2012

শান্তির কেশকর্তন ও মস্তকমুণ্ডন

শান্তি চেন্নাইয়ের স্থানীয় বস্তিতে থাকে তার প্রেমের বিয়ে হয়েছিল তাই তার স্বামীর পরিবার এবং তার পরিবার তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে না। তার বয়স মাত্র ২৬। সে সুন্দর নয়, কুৎসিত নয়, সে গড়পড়তা। তার লম্বা চুল ছিল। তার স্বামী কাছাকাছি এলাকায় স্থানীয় ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা করছেন। সে অন্যকে টাকা দিচ্ছে এবং তার জন্য সুদ পাচ্ছে। তবে তিনি কাউকে ঠকাচ্ছেন না। তাদের কোনো সন্তান নেই। শান্তি জীবনে, সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। ৩ বছর পর তার স্বামীর সাথে অন্য মেয়ের সম্পর্ক হয়। তিনিও তাই শান্তির থেকে আলাদা হতে চান এ কথা জানান। শান্তির কোন কথা নেই।

সে বলে, সে তার বাড়িতেও যেতে পারবে না। কিন্তু তিনি কিছুতেই মানছেন না। তিনি শান্তিকে কিছু টাকা দিলেন এবং তার অনুমতি ছাড়াই চলে গেলেন। এক বছর অনেক কষ্ট করে সে একটা ছোট ইডলির দোকান করছে। এবং সে কিছু অর্থ উপার্জন করে। তার প্রতিবেশী বলল আপনার কাছে টাকা থাকলে আপনি স্থানীয় ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা করতে পারেন যা আপনার স্বামী অতীতে করেছে, কিন্তু আপনার ইডলি দোকানটি ছেড়ে যাবেন না। সেও এ নিয়ে ভাবছে। তাই সেও স্বল্প সুদে স্থানীয় কয়েকজনকে টাকা দিতে শুরু করে। প্রথম ২ মাস সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। ৩য় মাস শুরু হলেই তাদের বেশিরভাগই শান্তিকে টাকা বা সুদ দেয়নি। সে তাদের সাথে বকাবাদ‍্য করে এবং মারামারি করে কিন্তু তারা তাকে পাত্তা দেয় না।

তার সঞ্চয় একেবারে চলে গেছে। সে তার বাড়িতে ফিরে এসেছিল এবং সারা রাত সে অনেক কেঁদেছে। কারণ তারাও তাকে গালি দেয়। পরের দিন সে তার প্রতিবেশীদের সাথে এই বিষয়ে কথা বললে তারা বলল শান্তি তোমার স্বামী এই ব্যবসা করছে কারণ সে একজন পুরুষ ও তার চেহারা খুব রুক্ষ এবং শক্ত ও দুর্বিনীত। কিন্তু আপনি একজন মহিলা ও আপনি স্বভাবগতভাবে খুব নরম চরিত্রের মতো দেখতে তাই আপনি টাকা ফেরত চাইলে তারা ফেরত দেবে না। তাই এই ব্যবসা চালিয়ে যাবেন না এটা ছেড়ে দিন। কিন্তু সে এটা মেনে নিচ্ছে না। সে ভাবছে কিভাবে সে টাকা জোগাড় করবে। অবশেষে রাতে সে সিদ্ধান্ত নিলো। 

পরের দিন খুব সকালে সে নাপিতের দোকানে গেল নাপিত অবাক হয়ে গেল শান্তি বিগত ৪ বছরে প্রথমবার তার দোকানে এসেছে। তাই সে জিজ্ঞেস করছে তুমি কি চাও। সে সে বলল চুল কাটাব। তিনি অবাক হয়ে গেলেন এবং ঠিক আছে দয়া করে চেয়ারে বসুন। ততক্ষণে রাস্তায় কেউ নেই, বাইরেও অন্ধকার। সে শান্তভাবে চেয়ারে বসল এবং তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন সে তার চুল ট্রিম করতে চাইছে? সে বললো এটা না আমার সব চুল ছেলের মত কাট। তিনি জিজ্ঞাসা করছেন কেন সে বলেছে দয়া করে এটি করুন কোন প্রশ্ন করবেন না।  তারপর তিনি তার লম্বা চুল ভালো করে আঁচড়ালেন এবং কাঁচি নিয়ে তার লম্বা চুল তার ঘাড় পর্যন্ত কাটলেন। তার লম্বা চুল এক মিনিটের মধ্যে চলে গেছে। তারপর তিনি তার সব দিক সমানভাবে কেটে ফেললেন অবশেষে তিনি তার সামনের দিকেও চুল কেটে দিলেন। এই চুল কাটাতে তাকে দেখতে ছেলের মতো লাগছে। তারপর সে তাকে টাকা দিয়ে তার বাড়িতে ফিরে যায়। তার প্রতিবেশীরা তার নতুন চেহারা দেখে অবাক এবং হতবুদ্ধি হয়ে গেল। তারপর ২ ঘন্টা পরে সে তার টাকা সংগ্রহ করতে শুরু করে। এছাড়াও সে তার মুখে কিছু জর্দা পাতা দিয়েছে এবং সে রাস্তার মাঝখানে কিছু গালিগালাজ করে চিৎকার করছে যে লোকটি গতকাল তার সাথে মারামারি করেছে সে বিষয়টি নিয়ে বেশ লজ্জা পেয়েছে তাই সে ওকে তার টাকা দিয়েছে। এছাড়াও তিনি তার চেহারা দেখে চমকে গিয়েছিলেন। সব দেনাদারদের বাড়িতে একই ঘটনা ঘটছে।

এরপর সে তার বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের কাছে এই টাকা দেখায়। এবং সে বলেছিল যে আমি আমার চুল হারাই তবে আমার টাকা নয়। তার প্রতিবেশীরাও তার ধী এবং তার চেহারার প্রশংসা করে। তাই সে এখন থেকে একই চেহারা বজায় রাখতে চায়। এরই কয়েকদিন পর সে নাপিতের দোকানে গিয়ে চুল কাটে। কিন্তু তার প্রতিবেশী প্রশ্ন করেছিল কেন আপনি মন্দিরের পরিবর্তে নাপিতের দোকানে কাটা পছন্দ করেছেন? তাই এবার সে পাশের মন্দিরে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করল। এই পর থেকে শান্তি, প্রতি বছর সে তার মাথা ন্যাড়া করে এবং এর মধ্যে সে তার চুল কাটার জন্য নাপিতের দোকানে যায়।

নিত্যার চুল কাটা: বিভ্রান্তির সমাপ্তি

বিদ্যা এবং নিত্যা দুজনেই যমজ বোন, উভয়েই দেখতে একই রকম। কখনো কখনো তাদের বাবা-মাও তাদের চেহারা চিনতে ভুল করেন। তাদের দুজনেরই জমকালো লম্বা চুল। দুজনই একই কলেজে ১ম বর্ষে পড়ে। সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হলে তাদের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ আরম্ভ হয়। নিত্যা তার বড় বোন বিদ্যার থেকে তার চেহারা বিসদৃশ দেখাতে চায়। তাই সে ভাবছে সে পৃথক হতে কি করতে পারে? সে নিজের বোন এবং তার বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে, তারা সকলে চুল কাটানোর বুদ্ধি দেয়, অন্যথায় স্থায়ীভাবে চেহারা নিয়ে কিছুই করা যেতে পারে না। কিন্তু নিত্যা তার লম্বা চুল কাটতে চায় না, তবু সে তার বোনের থেকে অসদৃশ দেখাতে চায়, কারণ স্কুল এবং কলেজে তার গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তার প্রভাষক-প্রভাষিকারা নিত্যাকে সময় অসময়ে বকাঝকা করেছে, তারা ভেবেছিল সে বিদ্যা। কারণ নিত্যা পড়াশোনায় খুব ভালো, বিদ্যা গড়পড়তা। 


তাই নিত্যা বিদ্যাকে তার চুল ছোট করানোর জন্য অনুরোধ করেছিল, কিন্তু বিদ্যা তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। এছাড়াও সে বলে তুই যদি নিজেকে আমার থেকে আলাদা দেখাতে চাস তাহলে তোর চুল কাটা, আমাকে আমার চুল কাটার জন্য বলবি না। শেষাবধি নিত্যা তার চুল কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এছাড়াও সে তার বাবা-মাকে প্রথমে জানিয়েছিল যদিওবা তারা এটা মেনে নেয়নি। কিন্তু নিত্যা তার বাবা ও মা দুজনকেই বোঝানোর পর তারা তার চুল কাটার ব্যাপারে আজ্ঞা দেয়। কিন্তু তারা বলেন চুল কাটাবার আগে তিরুপতি বালাজীর নিকট তোমার চুল নিবেদন করো। নিত্যা এতে হতবাক হয়ে গেল; সে বলল আমি মাথা মুড়িয়ে ফেলতে চাই না। তারা বলল শেভ করবে না; তিরুমালায় তোমার চুল কাটবে এবং এখানে ফিরে এসে তুমি যে কোনো চুলের স্টাইল করতে চাও করাও; অন্যথায় আমরা তোমার চুল কাটানোতে অনুমতি দেব না। নিত্যা বলল ঠিক আছে। 

তাই পরিবারের সবাই তিরুমালার উদ্দেশ্যে যাত্রারম্ভ করলেন। আর মাঝরাতে পৌঁছে ওনারা সরাসরি কল্যাণকাট্টায় গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলেন। সকালে ওনারা কল্যাণকাট্টায় টন্সার হলে রওনা দেন। তার বাবা দুটি মুণ্ডনের টোকেন নিয়েছিলেন। নিত্যা সে সম্পর্কে প্রশ্ন করলে, তিনি ওদের মা এবং স্বীয় টন্সারের বিষয়ে বলেছিলেন। বিদ্যা আর নিত্যা উভয়েই অবাক হয়ে গেল তাদের মায়ের মুণ্ডনের কথাতে। অনন্তর তারা সারিতে দাঁড়ায়, সেই ক্ষণে নাপিত হেঁকেছিল যদি কেউ চুল কাটার জন্য দাঁড়ান তবে দয়া করে মস্তক মুণ্ডন শুরু করার আগে আপনার চুল কাটুন; তাই প্রথমে বিদ্যা গিয়ে নাপিতের সামনে বসে সে তার চুল কিছুটা কাটাল। এটা একটা ছাঁটার মত, তারপর নিত্যার পালা; সে নাপিতকে তার কাঁধ পর্যন্ত চুল কাটতে বলল। তাই উনি তার লম্বা চুল তার কাঁধ পর্যন্ত কেটে দিলেন। তার অর্ধেক চুল চলে গেছে। ছোট চুলে সে এখন নতুন লুকে। অতঃপর ওদের মা-বাবা ওনাদের মুণ্ডন করালেন। নিত্যার ছোট চুলের নতুন লুক সকলেরই ভালো লাগে। 


এর পরদিন ওরা ওদের বাড়িতে আসে। এবং সে তার চুল কাটার জন্য পার্লারে গিয়েছিল। ১ ঘন্টা বাদে ও নতুন চিবুক‌ দৈর্ঘ্যের বব কাট করিয়ে আসে। বিদ্যাও তার নতুন লুকের তারিফ করে। তাদের মাও প্রশংসা করে। সেদিন হতে সে তার চুল একই স্তরে বজায় রাখে। তার চুল কাটার পর সবার বিভ্রান্তি কেটে গেছে। প্রত্যেকেই লম্বা কেশবিশিষ্ট বিদ্যা এবং ছোট কেশবিশিষ্ট নিত্যাকে চিনতে পারত।

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...