Tuesday, April 30, 2013

বাবার শ্রাদ্ধে মেয়ের মুণ্ডন

সুন্দরী লম্বা চুলের মেয়ে। তার কোমর অবধি লম্বা চুল ছিল। সে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করছে, যেখানে সে কেবল গত মাসে যোগদান করেছে। সে আজই তার ১ম মাসের মাইনে পেয়েছে। এই মুহূর্তে সে একটি বড় বিপণী বিতানের সামনে দাঁড়িয়ে তার বাবার জন্য কি কিনবে তা ভাবছে। সুন্দরী তার বাবাকে ভালবাসে, তার মা নেই। তার মা তার বোঝবার বয়স হবার আগেই মারা যান। এর পরে তার বাবা বহু লড়াই করে তাকে এতদূর এনেছে। সুন্দরী এটা কখনোই ভুলে যাবে না। তাই সে তার ১ম মাইনের টাকায় বাবাকে কিছু উপহার দিতে চায়। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। তার বাবার স্বপ্ন তার মেয়ের বিয়ে। তবে সুন্দরী তার বাবার কারণেই তার বিয়ের জন্য প্রস্তুত না। সে তার বাবার যত্ন নিতে চায়। তবে তার বাবা তার বিয়ের জন্য বেশ পীড়াপীড়ি করায় সে বলেছিল দুই বছর পর সে বিয়ে করবে। তার বাবাও এটি মেনে নিয়েছিল। 


সুন্দরী তার বাবার জন্য রেশমের ধুতি এবং নতুন ফতুয়া কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতএব সে মিষ্টির দোকানে গিয়ে মিষ্টি কিনে বেরিয়েই কাপড়ের দোকানে ঢুকে একটি সুন্দর ধুতি ফতুয়ার সেট কিনে ফেলে। তারপর পথে বেরোতেই হঠাৎ তার চোখে বাবার সঙ্গে কাটানো নিজের শৈশবের দৃশ্য কল্পনায় ভেসে উঠল। ২ বছর বয়সেই তার মা আচমকা মারা যান। এরপর থেকে তার ছোট্ট জগৎ জুড়ে কেবল তার বাবারই অস্তিত্ব আছে, তার মায়ের মুখ কেমন সে তো তা ভুলেই গেছে অবশ্য তার বাবাই এমনটা করেছেন যাতে সে কষ্ট না পায়। তার মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবার বন্ধু শুভানুধ্যায়ীদের অশেষ পীড়াপীড়িতেও তার বাবা তাকে রেখে দ্বিতীয় সংসার পাততে রাজি হননি এমনকি কয়েক বছর আগে যখন সে সবে স্কুল শেষ করেছে তখনো তারা হাল ছাড়েননি। যা হোক সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। ৩ বছর বয়সে গ্রামের মন্দিরে তার মুণ্ডনের আয়োজন করা হয়। সে চকচকে ক্ষুরের ফলা দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিল কিন্তু তার বাবা তাকে মুণ্ডন করাতে রাজি করেছিল। এবং তার ৬ বছর বয়সে সে একটি স্কুলে ভর্তি হয়ে গেল। তার বাবা তাকে তার স্কুলে ছেড়ে আসতেই প্রথম দিনে সে অনেক কাঁদল। এর কিছুদিন পরেই তার বাবা আবার তার মাথা মুড়াতে চায় তবে সে আর সায় দেয়নি। কারণ তার চুল বেশ লম্বা হয়েছিল এবং তার চুলের ওপর মায়া পড়ে গেছিল। সে নিজের যত্ন নিবে এবং চুলের জন্য অসুখ বাঁধাবে না বলেছিল তাই তার বাবাও তাকে আর জোর করে না। এর পর থেকে সে তার চুল লম্বা করতে থাকে। কলেজ অবধি সে চুলে বলতে গেলে কাঁচিই ছোঁয়ায়নি। কেবল মাঝেমধ্যে চুলের সামান্য ডগা ছাঁটিয়েছে। ভাবতে ভাবতে সে তার লম্বা চুলে হাত বোলায় ও সামনে তাকিয়ে দেখে বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। 


এক গাল হাসি নিয়ে বাড়ির উঠানে পা দিয়ে দেখল, সবকিছু শেষ হয়ে গেছে! হ্যাঁ, তার বাবা মারা গেছেন। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। সে তার বাবাকে ডেকে জাগানোর চেষ্টা করে কিন্তু মৃত কি তাতে সাড়া দিতে পারে? সে কি করবে বুঝতে পারে না, তার চোখ বেয়ে পানি গড়াতে থাকে আর সেই ঘোলা চোখ নিয়েই সে তার বাবার মৃতদেহের উপর ঢলে পড়ে। কিছু সময় পরে প্রতিবেশীরা তার কান্নার আওয়াজ শুনে জড়ো হয় এবং সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে তার আত্মীয়-স্বজনদের বাবার মৃত্যু সংবাদ পাঠাতে থাকে। তার বেশিরভাগ আত্মীয়ই দূরে দূরে থাকে। তাই তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন এসেছিল। এছাড়াও তার জ্ঞাতিগোষ্ঠীতে পুরুষের সংখ্যা কম, তাদের অধিকাংশই মহিলা। তাই তার প্রতিবেশীরা তার বাবার শেষকৃত্যের জন্য তাকে সাহায্য করছে এবং তারা স্বল্পসময়ের মধ্যে চূড়ান্ত অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করছে। 



পরের দিন সকলেই জিজ্ঞাসা করছিল কে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করছে? কারণ মৃত পুরুষের যদি কোনো পুত্র বা জামাতা থাকে সাধারণত তারা দাহাধিকারী হয় তবে সুন্দরীর বাবার সন্তান বলতে তার একমাত্র কন্যা সুন্দরীই আছে তবে সেও অবিবাহিতা এবং তার কোনো তুতো ভাই নেই বা কাকাও নেই। অবশেষে সুন্দরী বলল আমিই আমার বাবার অন্ত‍্যেষ্টিক্রিয়া করব। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকেই অমত করল পরে কিছুক্ষণ পর কোনো বিকল্প খুঁজে না পেয়ে সকলেই সম্মতি দিল। তারা তার বাবার শবের ওপর ফুলের মালা চড়িয়ে একফালি কাপড় দিয়ে ঢেকে দাহক্ষেত্রে নিয়ে যায়। সুন্দরীও পিছন পিছন যাচ্ছে। এই ভিড়ের মধ্যে অধিক সংখ্যক মহিলাই রয়েছেন। শ্মশানে পৌঁছেই তার বাবার মরদেহের মাথা দক্ষিণ দিকে রেখে কুশের ওপর শুইয়ে দেয়া হয়। 


সকলে চিতার জন্য কাঠ আর খড় যোগাড় করা আরম্ভ করে সুন্দরীর প্রিয় আমগাছটা যেখান থেকে সে খেলার সাথীদের সঙ্গে ছোট বেলা আম কুড়োতো তার গুঁড়িটা বাদে প্রায় সব ডাল কেটে ফেলা হয়। এর মাঝে পারিবারিক পুরোহিত তাকে স্নান করে আসতে বলেন। কিন্তু এদিকে আবার গোল বাঁধল দাহের আগে যে মৃতদেহের স্নান প্রয়োজন। এখন উপস্থিত সবার সিদ্ধান্তে সুন্দরী এরই মধ্যে দাহ করার তৈয়ারি করে ফেলেছে তাই আর ওকে বাঁধা দেয়া সাজে না। অগত্যা উপস্থিত শ্মশানযাত্রীরাই কয়েকজন স্নান সেরে সুন্দরীর বাবার গায়ে তেল ও কাঁচা হলুদ মেখে স্নান করান এবং মৃতদেহের কপালে চন্দন দিয়ে, মালা দিয়ে, নতুন কাপড়ে জড়িয়ে দেন এবং ৭ ছিদ্রে (চোখ, কান, নাসারন্ধ্র ও মুখ) কাঁসার দানা ঢুকিয়ে দেন। এবার সুন্দরীর কাজ পিণ্ডদান করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। ইতিমধ্যে চিতা তৈরি এবং চন্দনের টুকরোও দেয়া হয়েছে। কয়েকজন মিলে লাশটা চিতায় তুলে দিলেন আর একজন মুখাগ্নি করার জন্য এক আঁটি খড় জ্বালিয়ে সুন্দরীর হাতে তুলে দেয়। সে মন্ত্র পড়ে ৩ চক্কর কেটে চিতায় আগুন দিলো। দাউদাউ করে জ্বলে উঠল চিতা। কয়েক মিনিট পর দাহ শেষে ১২ আঙ্গুল সমান আমকাঠ নিয়ে ৭ বার চক্কর কেটে প্রতিবার ১টি ধনিচার কাঠি চিতায় দিলো ও পরক্ষণে পুরুতের হাত থেকে কুড়াল নিয়ে জ্বলন্ত চিতার ওপর ৭ কোপ দিলো। এরপর শ্মশানবন্ধুরা প্রত‍্যেকে একটি কলসি নিয়ে ৩ কলস জল দিয়ে চিতার আগুন নিভিয়ে চিতাস্থল সাফ করলেন। সকলের পানি দেওয়া শেষে কলসিটা জল ভরে চিতার উপর রেখে ৮টি কড়ি ও একটি বাঁশের টুকরো কলসের নিকট পুঁতে রাখে আর সুন্দরী পেছনে ফিরে ইটের ঢিল মেরে কলস ভেঙ্গে বামদিক ঘুরে বয়স্কদের সামনে রেখে নদীতে ডুব দিতে যায়। সকলে ১ ডুব দিয়ে সুন্দরীর বাড়িতে এসে নিমপাতা দাঁতে কেটে ঘি, আগুন, নুড়ি পাথর স্পর্শ করলেন। এরপর শুরু হল সুন্দরীর অশৌচ কুশশয‍্যায় শয়ন, হবিষ‍্যান্ন ভোজন; উঠোনে তুলসী চারা পুঁতে প্রতিদিন এর তলায় তার বাবার উদ্দেশ্যে দুধ ও জল দেয়া। চতুর্থীতে ও দশমীতে ১০ খানা পূরকপিণ্ড দিলো। তারপর এভাবে ১২ দিন অশৌচ করে ১৩ দিনের দিন আসে শ্রাদ্ধ। এবার আরেকটা গভীর দ্বন্দ্বে পড়ল সবাই। অশৌচের পর শ্রাদ্ধের আগে তো মস্তক মুণ্ডনের প্রয়োজন। সবাই বলল সে মেয়ে মানুষ তাই মাথা কামানোর দরকার নেই, তৎপরিবর্তে সে নিজের সব চুলের আগা ধরে দুই আঙ্গুল পরিমাণ ছাঁটলেই হবে। তবে সুন্দরী বলল তার কোনও সমস্যা নেই, আমাদের গোত্রের শ্রাদ্ধবিধি অনুযায়ী যা করতে হয় তা আমি করব। সকলেই হতবাক হয়ে গেল, কিন্তু সে বলল প্লিজ আপনারা মেনে নিন আমি আমার বাবার জন্য কাজ করছি, তাই আমি আমার মাথা ন‍্যাড়া করব। 


নাপিত ইতিমধ্যেই শ্মশানে উপস্থিত ছিল, সুন্দরী শীলের সামনে পিঠ ফিরিয়ে নতজানু হয়ে বসে পড়ে, সে তার শৈশবের দিনটির কথা ভাবছে, সে তার মুণ্ডন মনে মনে গ্রহণ করছে না, কিন্তু আজ তার বাবার জন্য সে মাথা কামাচ্ছে। সে কাঁদছে। এরই মাঝে শীল তার মাথায় পানি ঢালে। তার মাথাটি মোলায়েমভাবে ম্যাসাজ করে নেয়; এরপর নাপিত একটি নতুন ব্লেড ভেঙ্গে অর্ধেকটা রেজারে ঢুকিয়ে নিয়ে তার মাথার চাঁদি বরাবর কামাতে লাগলেন। তার লম্বা চুল তার কোলে ঝরে ঝরে পড়ছিল, সে তার মাথায় শীতলতা অনুভব করে। প্রায় কুড়ি মিনিট পর তার মাথা পুরোপুরি চাঁছা হয়ে গেছে, তার দীঘল চুল তার পায়ের কাছে মাটিতে পড়ে আছে। সে উঠে দাঁড়িয়ে তার মাথা স্পর্শ করে ও কাছের নদীতে স্নান করে আসে। অতঃপর তার প্রতিবেশীরা সুন্দরীকে একটি নতুন সাদা থান উপহার দিয়েছিল, শেষ অবধি সে একটি সাদা শাড়ি এবং নতুন টেকো চেহারা নিয়ে এলো এবং শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন করল। তার বাড়ির প্রত্যেকে তার নিয়মানিষ্ঠা দেখে বিস্মিত। শ্রাদ্ধের পরে তার মনে এক অদ্ভুত ভাবান্তর হলো। ৪ মাস পর যখন তার চুল কানের লতি ঢেকে ফেলে তখন সে গিয়ে তার চুল কাটিয়ে আসে‌। তারপর তাকে আর কখনোই লম্বা চুলে দেখা যায়নি। সবসময় ছেলেদের মত ছোট বয়কাট চুলেই দেখা যায়।

Monday, April 29, 2013

কেরালার মেয়ে কণিকার চুল কামিয়েছে নাপিত


কণিকার মাথা ন্যাড়া করে দিচ্ছে নাপিত। সে কাঁদছে না আসলে সে তার মাথার চুল কামানোর দরুন খুশি। সে ছোট চুলের মেয়ে নয় তার লম্বা চুল ছিল এবং সে দক্ষিণ ভারতের কেরালার অধিবাসী। কণিকা হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে ওঠে। তার চুলে স্পর্শ করে দেখে মাথায় আছে কি নেই। ওগুলা সেখানেই আছে দেখে ও সন্তুষ্ট হয়, ততক্ষণে সে সময় দেখে এখন সকাল ৬টা বাজে। এরপর সে তার পড়াশোনা শুরু করে। এই স্বপ্ন এই নিয়ে সপ্তাহে ৩ বার দেখল। কিন্তু এর পিছনের কারণ সে জানে না। সে একটি বেসরকারি কলেজে বি.ই.-তে ২য় বর্ষে পড়ছে। তার সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়েছে, সেজন্য সে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু মাথা কামানোর স্বপ্নে তার নিদ্রা কিছুটা বিঘ্নিত হয়। 

অতএব সে তার মায়ের সাথে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যায়, উনি অবাক হয়ে গেলেন তবুও বললেন, কোনো সমস্যা নেই, এটা আরও ১ বা ২ দিন বাদে বন্ধ হয়ে যাবে। তাতে সেও আশ্বস্ত হয়েছিল, কিন্তু পরের দিন একই সময়ে স্বপ্নটা চোখে ভাসে, সে আবার ভোর ৬টায় ঘুম থেকে জেগে উঠে। সে এক ধন্দে পড়ে যায়। সে যে কোনো মনোবিদকে দিয়ে চেক করাতে চায়। ও আবার তার মায়ের সাথে কথা বলেছে, তার বাবাও সেখানে ছিলেন। সুতরাং উনি বললেন একবার পরীক্ষা শেষ হলে মনোচিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেক করাবেন, স্বপ্নটা যদি এসময়ের মধ্যে থেমে যায় তাহলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে না। কিন্তু স্বপ্ন আসতে থাকে প্রতিদিন ঠিক একই সময়ে। 

এই হেতু ও আর ওর বাবা সেমিস্টার ছুটিতে হাসপাতালে গিয়েছিল। সে তার স্বপ্নের কথা চিকিৎসকের কাছে জানায়। উনি সব শুনেছিলেন এবং তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আপনি শেষবার কখন মাথা কামিয়েছেন। কণিকা উত্তর দিলো এটা তার শৈশবে প্রায় ৮ বছর বয়সে। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন যে কোনো মন্দিরে কী আপনার কোন মূলতুবি ব্রত আছে? সে বলল না, কিন্তু তিনি আবার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন দয়া করে কিছুক্ষণ চিন্তা করুন এবং আমাকে বলুন। সে কিছুক্ষণ ভাবল এবং না বলল। চিকিৎসক বলেন, এসব বড় সমস্যা নয়, এই স্বপ্ন কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তাই এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। সে চিকিৎসকের উত্তরে সন্তুষ্ট হয়। 

তারা বাড়িতে ফিরে গেল, সে তার মাকে সব খুলে বলল, অতঃপর ওর মা বললেন, আমাদের পারিবারিক মন্দিরে তোমার একটি মূলতুবি ব্রত আছে, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি যদি তুমি টেন্থ স্ট‍্যান্ডার্ডে ভালো নম্বর পাও তাহলে তুমি আমাদের মন্দিরে মাথা ন্যাড়া করবে। তুমি ১০তে ভাল স্কোর পেয়েছিলে পরন্তু ততদিনে আমাদের পরিবারে তোমার কাকা মারা গিয়েছিল তাই আমি তোমার মাথা মুড়ানো স্থগিত করেছি এবং পরবর্তীতে আমি ভুলেও গেছি। কণিকা হতভম্ব হয়ে বলল তাহলে আমরা কি করতে পারি, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে দেখো উনি এ বিষয়ে কি মত দেন। পরের দিন ও এবং তার বাবা পুনর্বার হাসপাতালে যায় এবং এই বিষয় জানালে তিনি বলেন, আপনার যদি কোনও অপালিত ব্রত থাকে তবে আপনি করতে পারেন। কণিকা জিজ্ঞেস করল আমার ক্ষৌরির পরও যদি স্বপ্নটা দেখি তবে আমরা কি করতে পারি? চিকিৎসক বলেন, আগে মন্নত শেষ করে কিছুদিন পরীক্ষা করে দেখুন এমনটি চলতে থাকে কিনা তার পর না হয় সিদ্ধান্ত দেবো। 

এজন্য ওদের পরিবার ওদের পরিবারের দেবস্থানের উদ্দেশ্যে তাদের যাত্রা শুরু করে। তারা তাদের আত্মীয়দেরও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায়। কারণ প্রতি বছর তাদের পরিবারের সবাই মন্দিরে পুজো করতে যায় আর কেউ না কেউ মাথা কামিয়ে নেয়। এবার কণিকার পালা। পরের দিন সকালে তারা মন্দিরে পৌঁছায় তাদের পরিবারের সদস্যরাও অন্য শহর থেকে এসেছেন। প্রায় ২০ জন পুজোয় এসেছিলেন। তারপর সবাই তাদের স্বাস্থ্য এবং পরিবার সম্পর্কে আড্ডা দিলো। কিছুকাল পর কণিকার মা তার মেয়ের মাথা ন্যাড়া করার কথা বললেন। তারা সকলেই খুশি ছিল। ততক্ষণে নাপিত এসেছে, সুতরাং কণিকা গিয়ে নাপিতের সামনে বসে, তার পরিবারের সদস্যরা অধীর আগ্রহে তার কামানো দেখতে থাকে। এই নাপিত তার শৈশবে তার মাথা কামিয়েছে, তাই তিনি তার মুখের কথা মনে রেখেছিলেন, এবং উনি তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন এবং সে বলল সে ভালো আছে, তারপর উনি চুল কাটার জন্য জিজ্ঞাসা করলেন, সে বলল মাথা মুণ্ডাব, তারপর তিনি তার চুল থেকে রাবার ব্যান্ডটি সরিয়ে দিলেন, এবং উনি তার লম্বা চুল দেখেন এবং বললেন তোমার চুলগুলা খুব ঘন এবং লম্বা তা তুমি সত্যিই শেভ করতে চাও, সে বলল হ্যাঁ, তারপর তিনি হেসে বললেন তোমার মনে জোর আছে। কণিকা হাসল, তারপর ওর মাথায় জল ঢেলে ওর মাথাটা ঠিকমতো মালিশ করলেন। তার লম্বা চুল সম্পূর্ণ ভিজে গেছে, তারপর উনি রেজার নিয়ে একটি নতুন হাফ ব্লেড লাগিয়ে তার মাথার মাঝখানে কামানো শুরু করলেন সে খুব লজ্জা পাচ্ছে কারণ আশেপাশে তার পরিবারের সকল সদস্য তার ন‍্যাড়া করানো দেখছে। তার চুল তার কোলে পড়েছে, সে তার মাথার মুণ্ডন নিয়ে কিছুটা চিন্তিত, কিন্তু তার কোন উপায় নেই, সে চিন্তা করছে কিভাবে তার বন্ধুদের এবং প্রতিবেশীর সাথে টাক চেহারায় মুখোমুখি হবে, ততক্ষণে তার মাথার অর্ধেক টাক হয়ে গেছে। তারপর নাপিত তার মাথার উভয় পাশ কামালেন। পরের 5 মিনিটে সে সম্পূর্ণ টাক হয়ে গেছে, কিন্তু নাপিত আবার ক্ষুর টেনে তার মাথা মসৃণভাবে কামালো। তারপর বলল তোমার মাথা মুড়োনো নিষ্পন্ন হয়েছে। সে আয়নায় তার টাক চেহারা দেখে, কিন্তু সে নিজেকে চিনতে পারছে না। সে তার মাথা স্পর্শ করে এবং তার মুণ্ডিত মাথায় নখাঘাতে ঘ‍্যাঁষঘ‍্যাঁষ করে চুলকে দেখে। তারপর সে তার শুচিস্নানের জন্য চলে গেল। তার মা তাকে কুয়োর কাছে নিয়ে আসে এবং তার মাথায় জল ঢেলে সেই জল দিয়ে তার মাথা ধুয়ে দেয়। উনি বললেন তোমাকে সুন্দরী লাগছে কণিকা, সে হাসল। তার স্নানের পরে ওর মা ওর কেশশূন্য মাথায় চন্দন লাগানোর সময় সে একটি হলুদ শাড়ি পরেছে। তখন সে খালি পুজোর যজমানি করে। ২ থেকে ৩ ঘন্টা পরে সবাই জায়গা ছেড়ে চলে যায় এবং কণিকা ও তার পরিবার চেন্নাই পৌঁছে যায়। তার মাথা মুণ্ডানোর পরে তার স্বপ্ন বন্ধ হয়ে যায়, সে এতে খুব স্বস্তি পেয়েছিল।

Saturday, April 13, 2013

মায়ের হঠাৎ ইচ্ছে হলো…

এই ঘটনাটা ঘটেছিল যখন আমি স্কুলে পড়ি। আমার মা একজন সাধারণ বাঙালি গৃহবধূ; মাঝারি উচ্চতা, গায়ের রং ফ্যাকাশে বাদামী আর বয়স তখন প্রায় ৩৫ বা কি এর থেকে কিছু বেশি ছিল আর ওঁর চুল পাছা অবধি লম্বা, খোঁপা করলে ওনার মাথার সমান সাইজ হয় আর বিণুনি বাঁধলেও তা পাছা অবধি নেমে আসে। খুব কম সময়ই আমি ওনাকে চুল কাটাতে দেখেছি। ছোটবেলা থেকেই আমার একান্ত ইচ্ছা মার চুল কাটানো দেখা। তো সেসময় গ্রীষ্মকালীন অবকাশে স্কুল বন্ধ ছিল আর মা আমাকে নিয়ে গেছে নাপিতের দোকানে চুল কাটাতে। দোকানে ভিড় কম ছিল তাই যাওয়া মাত্রই আমাকে চেয়ারে বসিয়ে নাপিত কাকু চুল কাটতে আরম্ভ করল। এই পর্যন্ত আমি কিছু আন্দাজও করতে পারিনি যে কিছুক্ষণ পর কি ঘটতে যাচ্ছে। আমার চুল কাটানো হয়ে যেতেই যখন আমি কাপড় ঝেড়ে মার পাশে এসে দাঁড়ালে মা নাপিত কাকুকে টাকাটা দিয়ে দোকান হতে বেরিয়েছেন কি বের হননি; এমন সময় মাথা ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করল– ‘'আচ্ছা দাদা আপনারা মেয়েদের চুল কাটেন?’' বললে হয়ত বিশ্বাস হবে না কিন্তু তখন আমার বুকের ভেতরের ঢিব ঢিব শব্দ বোধহয় পাশ দিয়ে যাতায়াত করা লোকেও শুনেছিল। নাপিত কাকু হাঁ বললে মা আমাকে বলল: একটু দাঁড়া আমি একটু চুলের ডগা থেকে কিছুটা কাটিয়ে নিই। এরপর মা নাপিতের দিকে পেছন ফিরে দাঁড়ালো আর নাপিত মার খোঁপাটা খুলে দিলো। আমার স্বপ্ন সার্থক হওয়া শুরু হলো। মার ঘন কালো চুল পিঠ বেয়ে কোমর ছাড়িয়ে পাছা অবধি নেমে এলো। নাপিত চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে চুলের জটটা ছাড়িয়ে নিলো তারপর মেঝেতে হাঁটু মুড়ে বসে পাছার কাছ থেকে চুল কাটা শুরু করল। ৪/৫ মিনিটের মধ্যে একরাশ চুল মেঝেতে পড়ে রইল আর মায়ের চুলের লেংথ তখন কোমর অবধি উঠে গেল। আমি মনের মধ্যে চাপা উল্লাস নিয়ে মায়ের হাত ধরে বাড়ি ফিরে এলাম।

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...