Thursday, September 17, 2015

কাজের লোককে দিয়ে ভাবী নিজের চুল কাটালো

সকাল থেকেই বড় ভাবীকে বেশ চঞ্চল লাগছিল। সবাই অফিস আর স্কুল-কলেজের পথে বেরিয়ে যেতেই ভাবী আর আমিই রইলাম বাড়িতে। কাজের লোক মনিকাদি আসতেই ভাবী ওকে নিয়ে ঘরের ভেতর চলে গেল। তারপর বেরিয়ে এসে ভাবী একটা কাঁচি, আমার ঘর থেকে একটা চিরুনি আর কিছু খবরের কাগজ নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো। কাঁচি হাতে চিরুনির খোঁজ করতে দেখেই তো আমি বুঝতে পারলাম কি হতে চলেছে। কারণ ভাবী কখনো চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ায় না ওনার আলাদা হেয়ারব্রাশ আছে। ভাবী আবার ঘরে গিয়ে দরজা দিতেই আমি চুপিচুপি দেয়াল ঘেঁষে দরজার কাছে এলাম তারপর চাবির ফুঁটো দিয়ে দেখতে থাকলাম তামাশা। ভাবী খবরের কাগজ পেতে মাটিতে বসলো। মনিকা তার পেছনে গিয়ে বসলো। মনিকা ভাবীর খোঁপাটা খুলে দিলো। কালো লম্বা চুল কোমরের নিচ অবধি নেমে এলো। মনিকা ভাবীর মাথার চুলগুলি দুহাতে ঘাটতে থাকল। ভাবী খুব আনন্দ পাচ্ছিল এতে মনে হলো। মনিকা এবার চিরুনি দিয়ে চুলটা আঁচড়ে নিলো। 


ভাবী বলছিল– বেশি কেটে দিস না, নিচটা সমান করে দিস। মনিকা এবার কাঁচি নিয়ে ভাবীর সামনে কাচচ্ কাচচ্ আওয়াজ করতে লাগল। ভাবী যেন লজ্জা পেয়ে মাথাটা নিচু করে ফেলল। পুরো বাসা নিস্তব্ধ তাই সারা ঘর কাঁচির কাচচ্ কাচচ্ শব্দে ভরে উঠল। মনিকা চিরুনিটা মাথার ওপর থেকে কোমরের একটু উপর অবধি নামিয়ে এনে চুলটা কাটতে লাগল। কালো চুল কেটে কাগজের ওপর পড়তে থাকল। ডাঁদিক থেকে চুল ছাঁটতে ছাঁটতে বাঁয়ে যেতে লাগল। ভাবী মাথাটা নিচু করেই বসেছিল যতক্ষণ চুল কাটা চলছিল। ১৫ মিনিট যাবৎ চলল চুল কাটা। অবশেষে কাগজের উপর পড়ে রইলো একরাশ কালো চুল। মনিকা অতঃপর উঠে দাঁড়ালো আর কাটাচুলসুদ্ধো‌ কাগজ ভাবীর সামনে রেখে দিলো। ভাবী হঠাৎ যেন ঘাবড়ে গেল এত চুলের পরিমাণ দেখে। তড়িঘড়ি বসা হতে উঠে আয়নার সামনে গিয়ে দেখলো কতটা কাটা হয়েছে। এরপর খুশি মনে মনিকার সঙ্গে চুল নিয়ে গল্প করতে লাগল। এদিকে আমার লম্বা চুল কাটতে দেখার খায়েশটাও মিটল।

No comments:

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...