২১ বছর বয়সী শ্বেতা তাদের বাড়ির ঠিক উল্টোদিকে নাপিতের দোকানে ঝড়ো গতিতে ঢুকল। তার মাঝপিঠ দৈর্ঘ্যের চুলগুলো সব আলুথালু, এবং সে এমনকি তার পোষাকও পরিবর্তন করেনি বরং সে তার বাড়িতে যে সালোয়ার স্যুট পরেছিল সেই একই সালোয়ার স্যুট পরে এসেছে।
ইতোমধ্যে তিন জন সেবাপ্রার্থীর সিরিয়াল পর্যবেক্ষণ করে যাদের মধ্যে তার ভাইও একজন; সে অপেক্ষার জায়গায় একটি আসনে বসল। সে আসা মাত্রই সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠল কেননা সে আরামে বসার জন্য সমস্ত চুল সামনে এনেছিল, কিন্তু সে কোনও পাত্তা দেয়নি। তার চুল কুচকুচে কালো, এবং ঘন ছিল।
সে একটু গা ছেড়ে বসে সামনে তাকিয়ে দেখল নাপিতরা কেমন চেয়ারে বসা লোকগুলোর চুল বাজ করছে। সে চোখ সরিয়ে তার ভাইয়ের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, তিন বছরের ছোট, একই ধরণের হেয়ারস্টাইলের জন্য অপেক্ষমান। সে তার চোখ বন্ধ করল।
যখন দিন শুরু হয়েছিল, সে কখনই ভাবেনি যে সে দুপুরে একটি নাপিতের দোকানে যাবে, আসলে সে ১৬ বছর বয়সে পার্লারে যাওয়া শুরু করার পরে আর কখনো এ মুখো হবার কথা ভাবেইনি। তবে দিনটা ছিল অন্যরকম। এটি সব শুরু হয়েছিল যখন সে নারী দিবস উদযাপন করার জন্য একটি গার্লস ডে আউট করার কথা বলেছিল। তার মা তাকে সমর্থন করেছিলেন এই শর্তে যে সে তার চুল কমপক্ষে ২ ইঞ্চি ট্রিম করাবে যাতে শ্বেতা রাজি হয়েছিল।
সবকিছু ঠিক ছিল, যতক্ষণ না তাদের মা তার ভাইকেও তার সঙ্গে গিয়ে চুল বাজ করানোর নির্দেশ দিলো। সে প্রথমে বাধ সাধলেও পরে মেনে নেয়, তবে সে শ্বেতার সঙ্গে বেরিয়ে কেবল একটি কথা বলেছিল যা শ্বেতাকে আঘাত করে, “ধন্যবাদ দি, তোমার জন্য কেবল ট্রিম, আর আমার জন্য বাজ” তার দুর্দশার জন্য তাকে অভিযুক্ত করে।
সে কিছু বলে না, তবে তার ভাই অবিরত বলে যায়, “বকোয়াস নারী দিবস, তোমরা সমস্ত মহিলারা সর্বত্র সমতার জন্য চিৎকার কর তবে তোমরা পার্লারে যাও যখন …তোমরা কেবল আগ্রহী…” শ্বেতা তাকে চুপ করানোর চেষ্টা করেছিল, “আরে…কি জ্বালা, আমি জানতাম না যে মা তোমাকে আজকের দিনেই চুল কাটাতে বলবে…এবং নাপিতের দোকানে মহিলাদের চুল কাটায় না তাই আমাকে তুমি নিরর্থক কথা শুনিয়ো না…” তার ভাই রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বলে উঠে, "তুমি আসলে কখনও নাপিতের দোকানে চুল কাটানোর চেষ্টা করোনি, যদি তারা তোমার চুল না কাটে তবে নাপিতের দোকানে কেন তুমি সমান অধিকার দাবি করবে না যদি না থাকে?"
কয়েক মিনিট পরে, সে চুল কাটার জন্য নাপিতের দোকানে তার ভাইয়ের পাশে বসে অপেক্ষা করছে। দোকানে কাজ খুব দ্রুত হচ্ছিল। কখন তার ভাই তার পাশ থেকে উঠে গিয়ে নাপিতের চেয়ারে বসল এবং তার চুল কাটা প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে গেল সে খেয়ালই করল না। অন্য নাপিত তার কাজ শেষ করতেই তার ডাক পড়ল। সে মন্থর গতিতে উঠে গিয়ে নাপিতের চেয়ারে বসল, এটি তার শরীরের মাপের তুলনায় বেশ বড়।
নাপিত একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ, আলতো করে তার সমস্ত চুল একত্রে মুঠো করে উঁচুতে ধরলেন যখন তিনি একটি সাদা জর্জেটের কাপড় তার গায়ে জড়িয়ে দেন। অনন্তর নিজের মুষ্টি আলগা করে চুলের মুঠি ছেড়ে দিলেন। এরপর একটি চিরুনি হাতে জিজ্ঞাসা করলেন, "ম্যাডাম কী করাবেন?"
শ্বেতা জবাব দিল, "উম্ম… আমাকে ঠিক ওর মতো করে চুল কেটে দিন" নিজের ভাইয়ের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে সে বলল। নাপিত তাজ্জব হয়ে বলল, "আপনি নিশ্চিত ম্যাডাম? সে গ্রীষ্মকালের জন্য চুলে তেল কম ছাঁট দিচ্ছে... এটা খুব ছোট চুলের স্টাইল আপনি জানেন। মহিলাদের সাথে এটা একদম যায় না ” শ্বেতা জবাব দিয়েছিল, "হ্যাঁ আমি পুরোপুরি নিশ্চিত ... আপনি কি বিশ্বাস করেন যে আমি কেবল আমার চুলের কারণে একজন মহিলা?" নাপিত তোতলিয়ে বলে, "না… তবে, মহিলারা লম্বা চুল রাখে সাধারণত…" শ্বেতা বলেছিল, "পুরুষরা যদি তেল কম ছাঁট দিতে পারে তবে আমিও পারি"
নাপিত আর কথা বাড়ায়নি। তিনি একটি কাঁচি নিয়েছিলেন এবং তার চুলে শেষবারের মত চিরুনি দিয়েছিলেন। তার হাতের কাঁচিটি তার ঘাড়ে রেখে তিনি আলতো করে তার মাথাটি সামনের দিকে নুইয়ে দিলেন। কাচ্চাছ ... ছচ্চছ ... ছ্যাচ তার গুচ্ছবদ্ধ চুল তার কাঁধ ঢাকা কাপড়ের ওপর দিয়ে গড়িয়ে মেঝেতে পড়তে শুরু করল। তিনি তার পিছনে ঝুলন্ত কেশর সম্পূর্ণ মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাটতে থাকে। শ্বেতা সমস্তটা অনুভব করল, কাঁচির ধাতব ব্লেড ও তার মাথার নির্ভারতা। শ্বেতা মাথা উপরে তুলল, তার চুল এখন কেবল ঘাড়ের দৈর্ঘ্যে। সে এটি স্পর্শ করার চেষ্টা করেছিলেন, তবে পারল না কারণ তার হাত কেপের ভিতরে ছিল।
নাপিত তখন একটি ক্লিপার নিয়ে তার চার্জার প্লাগ ইন করেন। তিনি গার্ড সরিয়ে এবার আরেকটি চিরুনি নেন। তিনি তার মাথার চারপাশে তার চুল ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাকে একটি বব চুলের চেহারা দেয়। এরপরে কাঁচি দিয়ে তার লম্বা অলকদাম কেটে ফেলা শুরু করেন। তিনি তার চুল মুঠি দিয়ে ও আঙ্গুল দিয়ে চিমটার মত করে ধরে কাটা চালিয়ে যেতে থাকেন।
তিনি সামনে থেকে চুলের বড় অংশ মুঠ করে ধরে টান দিলেন। তার মাথা পিছনে বেঁকে গেল। তারপরে কাচ্চাছ ... ছাছ… ছছ। কোলে চুল পড়তেই শ্বেতা চোখ বন্ধ করল। খানিকটা তার মুখে লেগে আছে।
তিনি তারপর কাঁচি রেখেছিলেন এবং ক্লিপারটি তুলেছিলেন। তিনি এটিকে সামনের দিকে স্পর্শ করলেন ধীরে ধীরে এটি তার মাথার কেন্দ্রের দিকে চালান। চুলগুলো ওর কোলে এসে বৃষ্টির মত ঝরে পড়ল। তিনি ক্লিপারটি স্থানান্তরিত করলেন এবং আবার একই কাজ করলেন। অনন্তর তিনি ডান দিকে সরে যান, এবং তার ডান দিকে বাজ করলেন। তিনি বামদিককার চুলের সঙ্গে একই কাজ করেছেন। শ্বেতা এখন মাথায় ঠান্ডা হাওয়া অনুভব করতে পারছে। তার মাথা এখন কালোর বদলে ধূসর দেখা যাচ্ছে। ক্লিপারটি যাওয়ার সাথে সাথে মেঝেটি আরও বেশি ঢেকে যাচ্ছিল।
শুধু তার পিছের চুল বাকি ছিল। তার মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে তিনি তার পিছনের চুলগুলোয় আঘাত হানলেন। শেষ অবশিষ্ট চুল কেটে ফেলা হয়েছিল। নাপিত অনন্তর কাঁচি নিয়ে তার পিঠে ও পাশে চুলের রেখা তৈরি করতে লাগলো।
পরে উনি তার ঘাড়ের গাঁইটে এবং পাশে জল ছিটিয়ে একটি ক্ষুর বের করলেন। তার পিছে রেজার রেখে তিনি তাকে নড়াচড়া না করার জন্য সতর্ক করেছিলেন। শচ্...চ্চ্চ্। শ্বেতার একটু বেদনাদায়ক অথচ উত্তেজনাপূর্ণ অনুভূতি হয়েছিল। সচচক…চ সে আবার অনুভব করল। তার পিছনে গ্রীবার কাজ শেষ হওয়ার পর। নাপিত তার কানের পাতার পাশগুলোও করেছিল।
নাপিতের ক্ষুরের কারসাজি শেষ হবার পরে, সে নিজেকে দেখবার জন্য মাথা তুলে। সে প্রথম ঝলকে নিজেকে চিনতে পারল না। তার ঝাঁকড়া চুল আর নেই। তার মাথার আয়তন আগের তুলনায় অনেক ছোট মনে হলো।
সে তার ভাইকে দেখতে তার পাশের চেয়ারটির দিকে তাকাল। পরন্তু বছর ৪০য়ের এক ব্যক্তি সেখানে বসা ছিলেন। নাপিত তার ঘাড়, গলা, মুখ ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে দেবার পরে আস্তে আস্তে জড়ানো কাপড় খুলল। তিনি তাকে বসে থাকতে ইঙ্গিত করলেন যেমনি তিনি আবার ক্ষুরটি তুলে নিলেন। তিনি আলতো করে তার পিছনে স্পর্শ করে তাকে সম্মুখপানে ঠেলে দিলেন অতঃপর তার পিঠের সামান্য চুলের বৃদ্ধি পরিষ্কার করলেন যা সালোয়ার থেকে উন্মুক্ত হয়েছিল। শ্বেতা খানিকটা লজ্জিত বোধ করলেও বাধা দেয়নি। সে এরপরে চেয়ার থেকে উঠে তার কামানো জায়গাটা ছুঁয়ে দেখতে থাকে।
তার ভাই তাদের উভয়ের চুল কাটার জন্য অর্থ প্রদান করে এবং তারা একসাথে দোকান ছেড়ে চলে যায়।
সে তার মাথা এবং এরপর তার ভাইয়ের মাথা স্পর্শ করেছিল এবং বলেছিল, "নারী ও পুরুষ সমান"।
No comments:
Post a Comment