আমার নাম অদিতি এবং বিয়ের পাঁচ বছর হয়ে গেছে আর যৌথ পরিবারে শাশুড়ি, শ্বশুর, দেবর, ননদ ও পতির সাথে থাকি। গতবছর আমার ননদিনীর বিয়ে হয়েছে ও অনেক ভাল ছিল। সবসময় আমার খেয়াল রাখত; আমার চুলে তেল মালিশ করে দিত যাতে আমার চুল আগের থেকে বেশি সুন্দর হয়ে গিয়েছিল। ঘরের সব কাজে হাত লাগাত এবং সময়ে সময়ে বিউটি পার্লারে নিয়ে গিয়ে আমার ওয়াক্সিং, থ্রেডিং, ম্যানিকিউর, পেডিকিউর ও চুল ট্রিম করিয়ে দিত। কিন্তু ওর যাবার পরে আমার উপর কাজের দায়িত্ব এত বেড়ে গিয়েছিল যে নিজের দেখভাল করতে ভুলে গিয়েছি। এদিকে দুটো ছোট ছোট বাচ্চাকে সামলানো, সারা ঘরের নাস্তা বানানো, চা বানানো, শাশুড়ি-শ্বশুরের নিমিত্ত আলাদা খাবার পাকানো অতঃপর ঘরের সাফাই এরপর দুপুরের রান্না অনন্তর কাপড় ধোয়া ফের রাতের খাবার তৈরি এসবে আমি এত ব্যস্ত হয়ে গেলাম যে সকলের খেয়াল রাখতে রাখতে নিজের খেয়াল রাখাই ভুলে গিয়েছিলাম। শরীরের সঙ্গে আমার চুলও বেকার হয়ে গেল সন্ধ্যা পর্যন্ত এত ক্লান্ত হয়ে যেতাম যে রাতে সেক্সও করতে পারতাম না। দু তিনবার না চাইতেও পতিকে খুশি করতে সেক্স করলেও সেক্স করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ি এতে আমার স্বামীও নারাজ হতে থাকেন।
আমার চুল ঝরতে থাকে এবং মরামাসও বহুত বেড়ে যায়। আগে যে চুল খোলা রাখতাম এখন বাঁধতে থাকি; আমার চুল যা মাঝ পিঠ দৈর্ঘ্যের ছিল তা সমানে ঝরে গিয়ে আধা রয়ে গেল কিন্তু আজ আমায় অনেক প্রস্তুতি নিতে হবে। বিয়ের পর ননদ প্রথম বার বাড়ি আসতেছে তার জন্য ওর পছন্দের পদ বানানোর ছিল, ঘর পরিষ্কার করার ছিল। বিয়ের পর সে ইংল্যান্ড চলে গিয়েছিল আর ফিরে আসলো তো বেড়াতে আসতেছিল। ও প্রায় এগারোটা বাজে এসে পড়ল। সবাই অনেক খুশি ছিল। ও সবার জন্য উপহার এনেছিল; আমার জন্যও এনেছিল। যখন সে আসল সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করল; খাবার খাওয়ার পর সে আমাকে বলে বৌদি চুল কেন বেঁধে রেখেছ? খোলা রাখ না।
আমি বলি এই দেখ প্রথমেই ঝাড়ুর মতো হয়ে গেছে। এটি দেখে ও রাগ হয়ে বলল কী বৌদি আপনিও যত্ন করতে পারেন না! ফের আমি ওকে সারা গল্প বলি কেন আমি যত্ন করতে পারি না আর ওর থেকে বাজে চুল ঠিক করার জন্য পরামর্শ চাই। ও চুল দেখে বলে বৌদি এ তো এক্কেবারে প্রাণহীন, কত মরামাসও হয়েছে। এক কাজ করো আপনি টাক হয়ে যাও পরে নিত্য মালিশ করবেন পরে যখন নতুন চুল গজাবে তো চমৎকার গজাবে। আমি তো চমকে উঠে বলি কী দিদি ন্যাড়া হয়ে যাও!? নাহ সব লোকে কী বলবে! আর মা, বাবু আর তোমার দাদা কী বলবেন! ননদ বলল কিচ্ছু বলবে না আমি সামলে নেব। দিদি মাম্মিকে ডাকে আর বলে মাম্মি বৌদিকে আমি বেল করাতে নিয়ে যাচ্ছি। মাম্মি বলে কেন তো উনি শোনালেন দেখো বৌদির চুল কতটা বেকার ও নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে যদি এখন বৌদি নাড়ু না হয় তো এর চুল আপনে আপ পড়ে যাবে। ফের চিরতরে টাকলি হয়ে যাবে। এই দেখো কত চুল পড়ছে উনি আমার চুলে চিরুনি চালিয়ে মাকে দেখায়। মা আমার চুলের হালত দেখে নেড়ামুণ্ডি হবার অনুমতি দিয়ে দেন কিন্তু আমি বললাম মাম্মি আমি নেড়ি হতে চাই না তখনই ননদ বলে দেখে নাও বৌদি জীবন ভর ন্যাড়া রইতে চাও না এক মাস? আমি বলি কিন্তু দিদি… দিদি বলেন কিন্তু ফিন্তু কিছু না আপনাকে টাকলি হতে হবে। আমি বললাম একবার আমার স্বামী তথা রাহুলকে জিজ্ঞেস করে নাও। ও বলে আপনি ভাববেন না দাদাকে আমি সামলে নিব। মাও বললেন এত চিন্তা কেন করছিস চলে যা এর সাথে আর নিজের মুণ্ডন করিয়ে আয়। আমি বলি ঠিক আছে তৈয়ার হয়ে আসি। আমি হাতাকাটা কুর্তা সালোয়ার পরি আর বেরিয়ে পড়ি। বিনা কোনো ঘটনাক্রমে ঐ দিন সারা মার্কেট বন্ধ ছিল। আমি বললাম দিদি আজ থাকুক আমি কাল করিয়ে নেব নিজের মুণ্ডন। ও বলল বিলকুল না টাক-মাথা তো আপনাকে আজই হতে হবে। কিছুটা সামনে চলে আমাদের এক বৃক্ষ তথা গাছের নিচে এক নাপিত বসা চোখে পড়ে। দিদি আমাকে ওর কাছে নিয়ে গেল; আমরা গাড়ি থেকে নামলাম ও নাপিতকে বলল ভাইয়া মুণ্ডন করাতে চাই। নাপিতের বয়স ৩৮-৪০ বছর ছিল সে সংবাদপত্র পড়ছিল। গাছে পেরেক গেঁথে আয়না টাঙিয়ে রেখেছিল আর ছোট্ট মূল টেবিল রাখা ছিল আর তাতে সরঞ্জাম রাখা ছিল শেভিং ক্রীম, কাঁচি, ব্রাশ, ক্ষুর, চিরুনি এবং এক পানি ছিটাবার স্প্রে আর এক পেপসির বোতলে পানি রাখা ছিল আর একটি কাঠের চেয়ার। দিদি আমায় বসতে বলে; আমি চেয়ারে বসে পড়ি আর নাপিত আমাকে বলল এই দুপাট্টা আপনি দিদিকে দিয়ে দিন। আমি নিজের দুপাট্টা দিদিকে দিয়ে দিলাম। টু-পিসে আমার মাইয়ের খাঁজ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। নাপিত এক ময়লা সফেদ কাপড়ে আমাকে মুড়ে দিয়ে গর্দানে বেঁধে দিলো। আমি আজ অবধি কখনও এভাবে এরকমে চুল কাটিনি। নাপিত পানি ঢেলে আমার মাথার মালিশ করল আর তদনন্তর ক্ষুর বের করে ওতে ব্লেড লাগায় আর আমার পিছনে দাঁড়ায় এবং আমার মাথা সামনের তরফে ঝুঁকিয়ে দেয় আর আমার চুল দুই পাট করে। এবার ক্ষুর চালানো চালু করে। যখন সে পয়লা আঁচড় লাগায় আমার না জানি কী হলো সারা দেহে সুড়সুড়ির মতন হতে লাগল। নাপিত পিছে দাঁড়ানো ছিল আর প্রথম ঘাই পেছন থেকে চালু করে। আমার এইটা অনুভব হয়েছিল কোথায় কোথায় ক্ষুর চলছে, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হাওয়া আমার টাকলা ভাগে লাগতেছিল আর বহুত আজব অনুভূতি হচ্ছিল। দিদি বললেন ভাইয়া কোনো তাড়া নেই আরামসে করুন তাতে জলদির চক্করে আপনি না কোনো কাট না মেরে দেন একে সুন্দর করে টাকলি করবেন। ও বলে ঠিক আছে বোন। ততক্ষণে ও আমায় এক-চতুর্থাংশ টাকলি করে ফেলেছিল। পেছন থেকে আধা টাক করার পরে ও চূড়ায় পিছন থেকে সামনের দিকে ক্ষুর চালানো আরম্ভ করে দেয়। এতক্ষণ পর্যন্ত যা চুল পড়ছিল ওগুলি পেছনে মাটিতে পড়ছিল তবে এখন আমি নিজে নিজেকে ন্যাড়া হতে হওয়া দেখতে পাচ্ছিলাম। যেথায় যেথায় ক্ষুর চলতেছিল সেথায় সেথায় টাক্কু হচ্ছিলাম। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে আমি কখনও নাড়ু হব তাও এই বয়সে আর মাসভর টাকলি থাকতে হবে। যখন সে শিখরে ক্ষুর চালাচ্ছিল তখন আমার শির সোজা ছিল এবং আমার চেহারা আমি আয়নায় দেখছিলাম যে কেমনে আমার মাথায় ক্ষুর চলতেছিল আর সাদা কেশহীন ভাগ দেখা যাচ্ছিল আর দেখতে দেখতে আমি সামনে পর্যন্ত বিকচ হয়ে গেলাম এইবার নাপিত আমার ডান পাশে এসে পড়ল কেননা ডান পাশ পেছন থেকে চুলহীন করা হয়েছিল আর শীর্ষে গলি বানিয়ে দিয়েছিল এখন আমার ডান পাশে এসে বাঁ তরফে আমার ঘাড় নুইয়ে দিয়ে ক্ষুর বাম থেকে চালাতে থাকে। সে ওপর থেকে নিয়ে কান পর্যন্ত যে গলি বানিয়েছিল সেটা চাঁছতেছিল। এক্ষণে আমার চুল এক তো বাম পাশে ছিল আর ডান পাশে কান আর কানের উপরওয়ালা হিস্যায় সাইডের চুল। কিছুক্ষণ বাদে আমি পুরো আধা টাকলি হয়ে গেলাম এক তরফে তো লম্বা চুল ছিল আর দ্বিতীয় তরফে সম্পূর্ণ নির্লোম। আমি বড় ঘোরের সঙ্গে দেখছিলাম তখনই দিদি বললেন ভাইয়া আপনি এতটাই রেখে দেন এখন বেল করিয়েন না। বৌদি চলো এবার ঘরে ফিরি আমি বলি নাহ ভাইয়া আপনি প্রথমে পুরো মুড়ান।
দিদি: ঘরে তো বলতেছিলে ন্যাড়া হব না এখন বড় বেচাইন হচ্ছ ন্যাড়া হবার জন্য। আমি বললাম আপনিও না দিদি আর দিদি হেসে দিলেন। নাপিতও হেসে দিলো পরপরই নাপিত আবার পানি দিয়ে চুলে মালিশ করে আর বাম পাশ দিয়েও বেল করে দিলো ফের দ্বিতীয় বার হালকা করে পানি লাগায় পুরো চাঁদিতে আর পুনর্বার ক্ষুর চালায় এবং কাপড় সরিয়ে দেয়। দিদি আমার মাথার 'পর হাত বোলায় আর বলল ঠিক আছে আমিও আমার মাথাতে হাত বুলাই তো দিদি বগলের চুল দেখে ফেলল। ও নাপিতকে বলল এর বগলের পশমও সাফ করে দাও। নাপিত আমায় বলে নিজের হাত উপরে উঠাও; আমি উঠিয়ে দিই আর উনি এক এক করে ২ মিনিটে বগলের পশম সাফ করে দেয়। এবার দিদির নজর গেল আমার মুখমণ্ডলে গোঁফের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত লোমে আর ও বলে ভাইয়া একে শেভিংও করে দাও। আমি বলি পরন্তু দিদি। দিদি বলে কিন্তু ফিন্তু কিছু না চুপচাপ শেভ করাও। নাপিত ছোট দেখে তোয়ালে আমার কাঁধে রাখে আর গালে শেভিং ক্রীম লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে রগড়াতে লাগল আর আমার গাল এবং মোচের জায়গায় ফেনা ফেনা হয়ে গেল ফের উনি নয়া ব্লেড বের করে ক্ষুরে ফিট করে আমার দাড়িমোচও শেভ করে দিলেন। এবার আমি দিদিকে বলি এবার দাঁড়িয়ে যাই? দিদি হ্যাঁ বলে নাপিতকে টাকাপয়সা দেয় আর আমি দুপাট্টায় মাথা ঢেকে নিই।
যখন ঘরে পৌঁছি তখন আমার বর রাহুলও এসে পড়েছিল। ও দেখে তাজ্জব হয়ে যায়। আমার টেকো মাথা দেখে জিজ্ঞেস করে কেন পরন্তু আমি দিদির পানে তাকিয়ে থাকি আর দিদি রাহুলকে আচ্ছা করে বকলেন আর সব বোঝায়। আমার পেরেশানির ব্যাপারে বলেন তো ও বলে এ তো কখনও কিছু বলেই নাই তো দিদি বলে যদিও এ কিছু না বলে তো তোমার কিছু চোখে পড়ে না?! এখন সামনে থেকে খেয়াল রাখবে আর কালই দুই চাকরানী যোগাড় করো যাতে বৌদির নিজের জন্য সময় মিলে যাতে ওনাকে দ্বিতীয় বার টাক্কু না হতে হয়। রাহুল মেনে গেল। তখন আমার কাছে মনে হচ্ছিল আমাকে বড় অদ্ভুত দেখতে লাগছে তবে সবাই তারিফ করছিল। পরের দিন থেকেই দুই ঝি ঘরের কাজের জন্য এসে গেল। আমি অনেক খুশি আর রিল্যাক্স হলাম এবং দিদিকে ধন্যবাদ জানাই। এখন এক বছর বাদে আমার চুল আগের থেকেও দারুণ হয়ে গেল।