অতঃপর তিনি স্বাতীর ক্লাস এইটে পড়ুয়া ছোট ভাইকে ডেকে বললেন যাও গিয়ে পাড়ার মোড়ে রাস্তার ধারে যে নাপিত বসে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে এসো। স্বাতী মনে মনে ভাবলো কেন ভাইকে তিনি নাপিত ডেকে আনতে বলছেন? অল্প কিছুক্ষণ পর স্বাতীর ভাই নাপিত ডেকে নিয়ে এলে জ্যেঠা স্বাতীকে বললেন যাও গিয়ে পিছনের উঠানে বসো, নাপিত তোমার মাথা মুড়িয়ে দিবে। এ কথা শুনে স্বাতী থ হয়ে গেল। স্বাতীর জ্যেঠা আবার একই কথা বললে স্বাতী ছলছল চোখে তার জ্যেঠাকে অনুরোধ করলো তার মাথা ন্যাড়া না করতে। স্বাতীর ভাইও তার বোনের এই দশা দেখে তার জ্যেঠাকে অনুরোধ করল কিন্তু স্বাতীর জ্যেঠা অনড়। তিনি দুইজনকে এক ধমকে চুপ করিয়ে দিলেন। স্বাতীর কিছু করার ছিল না। স্বাতীর জ্যেঠা তাকে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন এই বলে যে, “সে যদি তার কথা না শুনে তবে তিনি তার বাবা-মাকে বলবে স্বাতী তার কথা মেনে চলে না। এছাড়া তিনি স্বাতীর পড়াশোনার জন্য আর কোনো খরচ দেবেন না।” স্বাতীর কোনো বিকল্প জানা ছিল না তাই সে কথা না বাড়িয়ে রাজি হয়ে গেল।
তিনি নাপিতকে নির্দেশ দিলেন স্বাতীর মাথার চুল কামিয়ে দিতে; নাপিত কিছুটা ইতস্তত করছিল কিন্তু স্বাতীর জ্যেঠার চোখ রাঙানিতে উনিও বাধ্য ছেলের মতো তার সাজসরঞ্জাম নিয়ে বাড়ির পিছনে এলেন। নাপিত তার সঙ্গে আনা চৌকির উপর বসলেন এবং জ্যেঠা একটা নিচু পিঁড়ি এনে নাপিতের সামনে পেতে দিয়ে তাতে স্বাতীকে বসতে বললেন। স্বাতী কাঁদতে কাঁদতে নাপিতের সামনে গিয়ে বসল এবং তার বেণী করা চুল খুলল। নাপিত জলভরা মগ থেকে তার মাথায় পানি ছেটাতে আরম্ভ করলেন এবং মাথা ঘষতে লাগলেন যাতে তার চুল সম্পূর্ণরূপে ভিজে যায়। তারপর সে ক্ষুরে ব্লেড লাগালেন এবং স্বাতীর মাথা ধরে নোয়ালেন। স্বাতীর বুক ছ্যাঁৎ করে উঠল আর সে মনে মনে বলল এই গেল আমার চুল। সে চুল কামানো শুরু করলেন। স্বাতীর মাথায় ব্লেডের স্ক্র্যাপ স্ক্র্যাপ শব্দ হচ্ছিল। স্বাতীর চোখ থেকে এক নাগাড়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু উনি থামলেন না। স্বাতী লক্ষ্য করল তার মাথা থেকে একটা ভিজা চুলের দলা গড়িয়ে পড়ল। স্বাতীর মাথার পেছনটা কামানো হয়ে গেল। তারপর নোয়ানো অবস্থা থেকে মাথা তুলে সোজা করে সামনের দিকটা কামানো শুরু করলেন। সামনের দিকটা শেষ করে পাশটা শুরু করলেন। এভাবে তিনি কামানোর নিমিত্তে মাথা সামনে পিছনে নোয়াতে ও কাত করতে লাগলেন। তিনি ধীরে ধীরে একটা পাশ কামানো শেষ করলেন এবং একটা ভিজা চুলের দলা গড়িয়ে পড়ল। উনি স্বাতীর মাথা উল্টো দিকে কাত করলেন। তিনি অন্য পাশও কামানো শেষ করলেন এবং স্বাতী তার চুলের দলা গড়িয়ে পড়তে দেখল। স্বাতী জানত তার সব চুল চলে গেছে কিন্তু তার কিছু করার ছিল না। জ্যেঠা নাপিতকে টাকা দিলো এবং স্বাতীকে বললেন স্নান করে আসতে। পরের দিন সকালে স্বাতী কলেজ যেতে চাইছিল না কিন্তু ভাবল সে কলেজে না গেলে তার সহপাঠীরা তাকে অসুস্থ ভেবে তার বাসায় চলে আসবে। তাই সে ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে কলেজে গেল। কলেজে তার এক আমুদে বান্ধবী যখন তার মাথা থেকে ওড়না টেনে সরিয়ে নিলো তখন সে খুব লজ্জা পেল এবং সব সহপাঠীরা তার দিকে তাকিয়ে হাসছিল। তারা জিজ্ঞেস করল তুমি মাথা কামিয়েছ কেন? স্বাতী বলে আমার মন্দিরে একটা মানসী ছিল। তাই আমি স্থানীয় মন্দিরে আমার মাথা ন্যাড়া করাই।
No comments:
Post a Comment