Sunday, August 5, 2012

পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করায় স্বাতীর শাস্তি- গল্প পোস্ট করেছেন প্রভাসূর্য

হাই এই গল্পটা স্বাতীর। একজন বিটেক অন্তিম বর্ষের ছাত্রী। তার নিতম্ব অব্দি লম্বা চুল ছিল। ও তার জ্যেঠার বাসায় থেকে পড়াশোনা করত কারণ ওর বাসা কলেজ থেকে দূরে ছিল। ওর বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলেন বলে তার পক্ষে আয় রোজগার করে সংসার চালানোটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাই ছোট থেকে জ্যেঠাই ওর ও ওর ছোটভাইয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতেন। ওদের জ্যেঠা তাদের দু ভাইবোনের পড়াশোনার ব্যাপারে বেশ মনোযোগী ছিলেন। স্বাতীর ভাই ভালো ছাত্র হলেও স্বাতী ছিল লেখাপড়ায় দূর্বল। ইতিমধ্যে স্বাতী তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হলো কিন্তু তার প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট বেশ খারাপ হয়। তার রেজাল্ট দেখে তার জ্যেঠা তাকে সতর্ক করে দেন যে পরের সেমিস্টার ফাইনালে যদি সে এবার পার্সেন্টেজে ৭০ এর নিচে পায় তবে তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। তার জ্যেঠা বেশ বদরাগী হওয়ায় স্বাতী তাকে বেশ ভয় পেত।


যাই হোক দেখতে দেখতে সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হয়ে রেজাল্টের দিন চলে আসলো। স্বাতী কলেজে গিয়ে রেজাল্ট জেনে আসলো এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সে এবারও A পেতে ব্যর্থ হয়েছে। যাই হোক তার জ্যেঠার রাগ থেকে বাঁচতে ও শাস্তি এড়ানোর জন্য জ্যেঠাকে মিথ্যা বলার সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সে বাসায় ফিরে জ্যেঠাকে পরিকল্পনামাফিক মিথ্যা রেজাল্ট জানিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে সকালের নাস্তা পাতে বেড়ে মুখে তুলতে না তুলতেই তার বান্ধবী সৌম্যা তার বাসায় এলো। সে বাসায় ঢুকতেই জ্যেঠা তাকে তার রেজাল্ট জিজ্ঞেস করলেন। সে তার নিজের রেজাল্ট বললে জ্যেঠা স্বাতীর রেজাল্টটাও তাকে জিজ্ঞেস করলেন নিশ্চিত হওয়ার অভিপ্রায়ে। আগে থেকে জানিয়ে করে না রাখায় সৌম্যা তার বান্ধবীর প্রকৃত ফলাফল জ্যেঠাকে জানিয়ে দিলো সে ৬৯% পেয়েছে এবং স্বাতী রেজাল্টে ৬০% পেয়েছিল । ফলে জ্যেঠা সত্য রেজাল্ট জেনে রাগে ফুঁসতে লাগলেন। তিনি আরো ক্ষিপ্ত হলেন এই ভেবে যে স্বাতী তাকে মিথ্যা কথা বলেছে। তিনি স্বাতী এখন বাইরে যেতে পারবেনা বলে আগে সৌম্যাকে বিদায় করলেন। তারপর স্বাতীকে ডেকে প্রচুর বকাঝকা করলেন। স্বাতী ভয়ে কাঁপতে লাগল। 


অতঃপর তিনি স্বাতীর ক্লাস এইটে পড়ুয়া ছোট ভাইকে ডেকে বললেন যাও গিয়ে পাড়ার মোড়ে রাস্তার ধারে যে নাপিত বসে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে এসো। স্বাতী মনে মনে ভাবলো কেন ভাইকে তিনি নাপিত ডেকে আনতে বলছেন? অল্প কিছুক্ষণ পর স্বাতীর ভাই নাপিত ডেকে নিয়ে এলে জ্যেঠা স্বাতীকে বললেন যাও গিয়ে পিছনের উঠানে বসো, নাপিত তোমার মাথা মুড়িয়ে দিবে। এ কথা শুনে স্বাতী থ হয়ে গেল। স্বাতীর জ্যেঠা আবার একই কথা বললে স্বাতী ছলছল চোখে তার জ্যেঠাকে অনুরোধ করলো তার মাথা ন্যাড়া না করতে। স্বাতীর ভাইও তার বোনের এই দশা দেখে তার জ্যেঠাকে অনুরোধ করল কিন্তু স্বাতীর জ্যেঠা অনড়। তিনি দুইজনকে এক ধমকে চুপ করিয়ে দিলেন। স্বাতীর কিছু করার ছিল না। স্বাতীর জ্যেঠা তাকে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন এই বলে যে, “সে যদি তার কথা না শুনে তবে তিনি তার বাবা-মাকে বলবে স্বাতী তার কথা মেনে চলে না। এছাড়া তিনি স্বাতীর পড়াশোনার জন্য আর কোনো খরচ দেবেন না।” স্বাতীর কোনো বিকল্প জানা ছিল না তাই সে কথা না বাড়িয়ে রাজি হয়ে গেল। 


তিনি নাপিতকে নির্দেশ দিলেন স্বাতীর মাথার চুল কামিয়ে দিতে; নাপিত কিছুটা ইতস্তত করছিল কিন্তু স্বাতীর জ্যেঠার চোখ রাঙানিতে উনিও বাধ্য ছেলের মতো তার সাজসরঞ্জাম নিয়ে বাড়ির পিছনে এলেন। নাপিত তার সঙ্গে আনা চৌকির উপর বসলেন এবং জ্যেঠা একটা নিচু পিঁড়ি এনে নাপিতের সামনে পেতে দিয়ে তাতে স্বাতীকে বসতে বললেন। স্বাতী কাঁদতে কাঁদতে নাপিতের সামনে গিয়ে বসল এবং তার বেণী করা চুল খুলল। নাপিত জলভরা মগ থেকে তার মাথায় পানি ছেটাতে আরম্ভ করলেন এবং মাথা ঘষতে লাগলেন যাতে তার চুল সম্পূর্ণরূপে ভিজে যায়। তারপর সে ক্ষুরে ব্লেড লাগালেন এবং স্বাতীর মাথা ধরে নোয়ালেন। স্বাতীর বুক ছ্যাঁৎ করে উঠল আর সে মনে মনে বলল এই গেল আমার চুল। সে চুল কামানো শুরু করলেন। স্বাতীর মাথায় ব্লেডের স্ক্র্যাপ স্ক্র‍্যাপ শব্দ হচ্ছিল। স্বাতীর চোখ থেকে এক নাগাড়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু উনি থামলেন না। স্বাতী লক্ষ্য করল তার মাথা থেকে একটা ভিজা চুলের দলা গড়িয়ে পড়ল। স্বাতীর মাথার পেছনটা কামানো হয়ে গেল। তারপর নোয়ানো অবস্থা থেকে মাথা তুলে সোজা করে সামনের দিকটা কামানো শুরু করলেন। সামনের দিকটা শেষ করে পাশটা শুরু করলেন। এভাবে তিনি কামানোর নিমিত্তে মাথা সামনে পিছনে নোয়াতে ও কাত করতে লাগলেন। তিনি ধীরে ধীরে একটা পাশ কামানো শেষ করলেন এবং একটা ভিজা চুলের দলা গড়িয়ে পড়ল। উনি স্বাতীর মাথা উল্টো দিকে কাত করলেন। তিনি অন্য পাশও কামানো শেষ করলেন এবং স্বাতী তার চুলের দলা গড়িয়ে পড়তে দেখল। স্বাতী জানত তার সব চুল চলে গেছে কিন্তু তার কিছু করার ছিল না। জ্যেঠা নাপিতকে টাকা দিলো এবং স্বাতীকে বললেন স্নান করে আসতে। পরের দিন সকালে স্বাতী কলেজ যেতে চাইছিল না কিন্তু ভাবল সে কলেজে না গেলে তার সহপাঠীরা তাকে অসুস্থ ভেবে তার বাসায় চলে আসবে। তাই সে ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে কলেজে গেল। কলেজে তার এক আমুদে বান্ধবী যখন তার মাথা থেকে ওড়না টেনে সরিয়ে নিলো তখন সে খুব লজ্জা পেল এবং সব সহপাঠীরা তার দিকে তাকিয়ে হাসছিল। তারা জিজ্ঞেস করল তুমি মাথা কামিয়েছ কেন? স্বাতী বলে আমার মন্দিরে একটা মানসী ছিল। তাই আমি স্থানীয় মন্দিরে আমার মাথা ন্যাড়া করাই।

No comments:

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...