Monday, July 27, 2020

একটি মেয়ের গল্প

ছোটবেলায় কে জানি আমায় বলেছিল ..তোর দেখিস বিয়ে হবে না। নাকে এতো সর্দি আর চুল ছোট থাকলে বিয়ে হয় না। কোনো বৌয়ের নাকে সর্দি দেখেছিস? বৌয়েরা খোঁপা বাঁধে…তোর চুল কই ? এদিকে আমার নাক দিনরাত টইটম্বুর। সারা বছর নাক ঝড়ছে। স্নানের সময় শুধু একবার ফ্যেএএএৎ করতাম …ব্যাস, বাকী সময় নাকের জিনিস নাকেই রেখে দিতাম। ঠোঁট অব্দি গড়িয়ে আসতো আর নোনতা স্বাদ পেলেই হাত দিয়ে মুছে নিতাম। মায়েদের কেন যে এদিকে নজর ছিল না জানিনা। আর চুল তো জন্ম থেকেই চাইনিজ কাট। কানের লতি অব্দি চুল কাটা আর কপালের দিকটা যেন স্কেল বসিয়ে সমান করে কাটা। এটা বুঝি চাইনিজ কাট। মা চুল লম্বা করতেই দিতেন না। গ্রীষ্মের ছুটিতে ন্যাড়া আর শীত আসতে আসতে চাইনিজ।
বিয়ে হবে না শুনে দুঃখে মরে যেতে ইচ্ছে করছিল । বরাবরই মা হওয়ার বাসনা আমার। মায়েদের স্কুলে যেতে হয় না , সকাল সন্ধ্যে পড়তে বসতে হয়না, পরীক্ষা দিতে হয়না । একটু রাঁধো বাড়ো, ঘরদোর পরিষ্কার করো আর ঠাকুর দাও…এই তো মায়েদের কাজ। কি আরাম। স্কুল থেকে ফিরে দেখতাম মায়ের সব কাজ শেষ…সামনের বারান্দায় আরাম করে বসে চালটাল বাছছেন আর কাকিমাদের সাথে গল্প করছেন। আমাকে দেখেই মা উঠে পড়তেন আর আমার সবচেয়ে খারাপ লাগা কাজটা করতেন…ভাত বেড়ে দিতেন। খাওয়া দাওয়া আমার অসহ্য লাগতো। কিন্তু নিস্তার নেই …খেতে তোমাকে হবেই তিনবেলা। নিজে কিন্তু প্রায়ই রাতে খাচ্ছেন না..কিন্তু আমার বেলায় ওটি হবার জো নেই। ভাবতাম আমি যখন মা হবো তখন খাবই না…কোনদিনও খাবো না। কেউ বকার থাকবে না বা জোর করে খাইয়ে দেওয়ারও থাকবে না..কি মজা। কিন্তু মা টা হবো কি করে ? বিয়েই তো হবে না শুনলাম ।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখতাম…বিশেষ করে নাক আর চুলটা। নাক ভর্তি দেখে খুব কষ্ট হতো…হে ভগবান, তুমি একি করলে ? এতো সর্দি দিলে কেন ? দেখো এখন আমার বিয়ে হবে না। কাঁধ উঁচু করে চুল টেনে সামনে আনার চেষ্টা করতাম। সে তো মগডালে উঠে বসে আছে। দুদিন বাদে বাদেই মেপে দেখতাম কতটা লম্বা হলো। যেই কে সেই। মনে দুঃখ নিয়ে পড়তে বসতাম। পড়ায় মনে নেই… খাতায় , টেবিলে , বইয়ে , দেওয়ালে শুধু একটা মেয়ের ছবি আঁকতাম ..শাড়ী পরা , মস্ত একটা খোঁপা আর কপালে টিপ। নিজেকে ওরকম দেখতে চাই কিন্তু মায়ের জ্বালায় সেটি হবার নয়।

তারপর থেকে রাস্তাঘাটে, স্কুলে, আত্মীয়দের বাড়ীতে গেলে আমি শুধু খেয়াল করি মহিলাদের নাক আর চুল। হ্যাঁ, ঠিকই তো…কারো তো নাকে ইয়ে নেই আর চুল কি সুন্দর লম্বা। হয় খোঁপা করে রেখেছে নয়তো বিনুনি। হা ইশ্বর !!! এ তুমি কি করলে ? বিয়েবাড়ীতে গিয়েও আমার ঐ একই কাজ। নতুন বৌ সেজেগুজে খাটে বসে আছে। বৌ সুন্দর না বান্দর সেদিকে আমার নজর নেই। খাটের সামনে গিয়ে নীচে বসে পড়তাম। নাকের ফুটোর দিকে নজর। নতুন বৌ কি ভাবতো কে জানে..আমাকে কাছে ডেকে নিত আর সেই ফাঁকে ওড়নার নীচে চুলটা কেমন দেখে নিতাম আর হতাশ হতাম।
পরের গ্রীষ্মের ছুটি আসতেই আমার বুক ধুকপুকু করতে লাগলো..কি জানি কোন রবিবারে নাপিত আসে আর আমার লম্বা চুলের স্বপ্নে ক্ষুর চালায়। এক একটা রবিবার আসে আর আমার টেনশন বাড়ে। রবিবারে তো সকাল হলেই পেট ব্যাথা করছে বলে আমি বিছানায় শুয়ে থাকতাম। তারপর একদিন সেই দুঃস্বপ্নের রাত এলো…মা বাবাকে বললেন..কাল নিতাই নাপিতকে খবর দিও তো। পড়ার টেবিলে বসে আমি শুনতে পেলাম। মনে হলো বেঁচে থেকে আর কি করবো..যার বিয়ে হবে না তার আর কি জীবন ? সারাজীবন পড়াশোনা করার চেয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া অনেক ভালো। তবে নিরুদ্দেশ হওয়ার আগে একটা শেষ চেষ্টা করবো। বাবার সাথে আলোচনা করবো। রাতে খাওয়ার পর মা যখন রান্নাঘর গোছাচ্ছেন তখন বাবাকে একা পেয়ে বললাম…বাবা , চুল আমি কাটবো না। বাবা বই পড়তে পড়তে বললেন ..কেটো না। আমি তো অবাক। এত সহজে আমার জিৎ হয়ে গেল !!!! লাফিয়ে বাবার কোলে উঠে বললাম…সত্যি ? হ্যাঁ সত্যি । আমার যে কি আনন্দ হলো কি বলবো। বাবার কানে কানে চুল না কাটার কারণটা বললাম। বাবা হো হো করে হেসে উঠলেন। ওওওওও এই কারণে তুমি চুল কাটবে না ? আর সর্দি র ব্যাপারে কি ভেবেছ ? বললাম ..একটা আইডিয়া বের করেছি..রুমাল দিয়ে নাকটা ঢেকে রাখবো…কেউ টের পাবে না।
সেদিন ঘুমিয়ে পড়লাম নিশ্চিন্তে । স্বপ্নও দেখলাম বোধহয় … বেনারসী পরে, বড় একটা খোঁপা বেঁধে নাকটা রুমাল দিয়ে ঢেকে আমি খাটে বসে আছি আর সবাই এসে আমাকে দেখছে আর উপহার দিচ্ছে । সকাল হলো । মা ঘুম থেকে ডেকে তুললেন । ওঠো, নিতাইদাদা এসেছে..চুল নখ কেটে সোজা স্নানে চলে যাও। আমি তো চমকে উঠলাম ..সেকি , বাবা তো বললেন কেটো না। তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে দৌড়ে বাবার পড়ার ঘরে গেলাম। বাবা নেই । বাবা তো এসময় বাজারে যান। এখন কি হবে ? নিতাইদা তো ছোট জলচৌকিতে বসে ক্ষুর শানানো শুরু করে দিয়েছে। আমি মরিয়া হয়ে রান্নাঘরে গিয়ে মাকে বললাম আমার পেট ব্যাথা করছে..পারছি না.. বলেই পেটে হাত দিয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়লাম । মা রুটি বেলা বন্ধ করে হাত ধুয়ে চ্যাংদোলা করে আমায় নিয়ে নিতাইদার সামনে বসিয়ে দিলেন। আগে অ আ ক খ শেখো তারপর বিয়ের কথা ভাববে..বলে রান্নাঘরে চলে গেলেন। আমি পিঁড়িতে মাথা নিচু করে বসে আছি; আমার চুল আর আমার চোখের জল একসাথে মাটিতে পড়ে একাকার হয়ে গেল।
সেই আমার বিয়েও হলো..নাকের সর্দি যে কবে গায়েব হলো জানিনা..চুলও লম্বা হলো..মা ও হলাম কিন্তু টের পেলাম মা হওয়া কি যে জ্বালা। মায়ের কাজগুলো কি যে বাজে কাজ । রান্না থেকে রেহাই নেই, ঘরদোরের খেয়াল রাখা, ঘরে বাইরে কাজ করা, উফফ। সীমানার সেনাদের মতো মায়েরা পরিবারের অতন্দ্র প্রহরী …ওরে বাবা কি কঠিন কাজ । আর ভাবতাম মা হয়ে গেলে খাওয়া দাওয়াটা পুরো ছেড়ে দেবো। ওওও হরি …এখন ডাক্তার হাতে পায়ে ধরেও আমার খাওয়া কমাতে পারছে না।

[২২ জানুয়ারি, ২০১৮ সনে খেলাঘরওয়েবে বিজয়া পুরকায়স্থের লেখা]

বয়ফ্রেন্ডের আব্দার রক্ষায় ভাইকে দিয়ে ন‍্যাড়া করালো বোন

আমার নাম তৌফিক। আমি আমার আব্বু ও আপুর সঙ্গে একটা মফস্বল শহরে ফ্ল্যাটে থাকি। আমার বয়স যখন ৫ বছর তখন আমার আম্মু আমার আব্বুর থেকে তালাক নিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে যান। এরপর অনেকের অনুরোধ সত্ত্বেও আব্বু আবার বিয়ে করেননি। আসলে আব্বু আমাদের দুই ভাইবোনকে ভীষণ ভালোবাসেন তো তাই। আমার আব্বু একটা গার্মেন্টসের মালিকের অংশীদার। তাই আব্বু ম‍্যাক্সিমাম নিজের বিজনেস নিয়ে ব‍্যস্ত থাকে। এবার আসি আমার আপুর ব‍্যাপারে। আপু আমার থেকে প্রায় ৬ বছরের বড়। আপু বেশ স্বাস্থ্য সচেতন। মিডিয়াম হাইট আর খুব চিকন বা মোটাও না। আপুর পিঠ ছাপানো এক মাথা চুল আছে। আর আমি মনে মনে সেই চুলের পাগল। আমি আপুকে চুল ছাড়া কল্পনাই করতে পারি না। তবুও আমার মনে সুপ্ত ইচ্ছা আপুর চুল নিয়ে খেলব, গন্ধ নিব। কিন্তু কখনো করার সাহস হয়নি। তো যা বলছিলাম আপু একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে এমবিএ পড়ছে। আপু খুব ফ‍্যাশন সচেতন। সবসময় ট্রেন্ডিভাবে চলাফেরা করে। আপুর এক বয়ফ্রেন্ড আছে নাম রামিন। রামিন ভাই খুব সোজা সরল আর মিশুক লোক। আমাকে খুবই ভালোবাসে। যাই হোক কোভিড-১৯ এর কারণে আপুর ভার্সিটি বন্ধ সাথে আমার কলেজও বন্ধ। তো আমরা পুরো ফ‍্যামিলি এখন বাসাতেই থাকি বেশিরভাগ সময় যদিও আব্বুর ব‍্যবসা চাঙ্গা রাখতে অফিসে দৌড়াতে হয়। তো এবার মূল ঘটনায় আসি– আপু বাসায় থাকলে ম‍্যাক্সিমাম মোবাইল, ল‍্যাপটপ সামনে নিয়ে বসে থাকে কেবল রান্না, খাওয়া, গোসলের সময় বাদে। তো একদিন আপু দুপুরে গোসল সেরে আমাকে খেতে ডেকে নিজেও খেতে বসলো। বসার পর আপু খেতে খেতে হঠাৎ বলল আচ্ছা তৌফিক আমাকে আমার চুল ছাড়া কেমন দেখাবে? আমি শুনে থতমত খেয়ে আপুর দিকে তাকিয়ে বললাম কেন আপু তুমি তোমার চুল কি করবে?
আপু : আহঃ বল না।
আমি : (একটু ভেবে নিয়ে) খারাপ দেখাবে না। কিন্তু তুমি কি করতে চাচ্ছ বলো তো?
আপু : সত‍্যি বলছিস আমাকে খারাপ দেখাবে না?
আমি : হ‍্যাঁ সত‍্যি
আপু : বলছি শোন তবে, তোর রামিন ভাইয়া বলছে- সে আমার টাক মাথার ছবি দেখতে চায়।
আমি : রামিন ভাইয়ের হঠাৎ এই খেয়াল হইলো কেন? এখন তুমি কি নাড়ু হইতে চাও? নাড়ু মাথার ছবি দিতে তো নাড়ু হওয়ার দরকার নাই। অনেক এ‍্যাপসে তোমার ছবি ইনপুট করলে নাড়ু মাথার ছবি দেখাবে।
আপু : না ও সিরিয়াসলি বলছে ভিডিও কলে আমার নাড়ু মাথার ছবি দেখবে।
আমি : ও এখন এই আব্দার পূরণ করতেই হবে?
আপু : হ‍্যাঁ, ও তো কখনো আমার কাছে কিছুই চায় নাই। এই বার কিছু বলছে। আহ্লাদ পূর্ণ করে দেই।
(কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে খাওয়া শেষ করে দুজনেই দুজনের থালা গ্লাস ধুয়ে উঠিয়ে রাখলাম।)
আমি : কিন্তু আপু তুমি নাড়ু হবে কেমনে? আব্বু মাইন্ড করবে না?
আপু : ঐসব আমি দেখে নিবো।
আমি : নাড়ু কোথায় হবা? কবে হবা? পার্লার তো এখন বেশিরভাগ সময় বন্ধ পড়ে থাকে। বিয়ে, গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গিয়ে বসে থাকে ওরা। এছাড়া তো বাইরে দেখাই যায় না।
আপু : কেন তুই করে দিবি। কালকেই হবো বলছি রামিনরে।
আমি : আমি কেমনে করব! আমি পারব না।
আপু : এহঃ বদমাইশ। তুমি যে ফোনে কিসব নাপিতের কাজকারবার দেখো আমার জানা আছে। তুই মানা করলে আমি আব্বুকে তোর সব দুষ্কর্মের কথা বলে দিব‌।
আমি : (একটু ভেবে নিয়ে) আচ্ছা ঠিক আছে। তো কখন নাড়ু হবা বলছিলা?
আপু : আজকে রাতে ফাইনাল করে বলব তোকে। বিকালে দোকানে যেয়ে নতুন ব্লেড কিনে আনিস। কেমন?
আমি : ওকে।
(যার যার রুমে গিয়ে দরজা চাপিয়ে দিয়ে নিজের নিজের মত ব‍্যস্ত হয়ে গেলাম)
রাতে আব্বু বাসায় আসলে সবাই একসঙ্গে খেতে বসলাম। আব্বু খেতে খেতে বললেন শোনো আমি আগামী তিনদিন কাজের জন্য তোমাদের আঙ্কেলের বাড়িতে থাকব বাসায় আসব না। তোমরা সাবধানে মিলেমিশে থাইকো। আমি আপুর দিকে তাকালে আপুকে অনেক নিশ্চিন্ত মনে হলো। এরপর খেয়ে উঠে যখন আব্বু টিভি দেখছিল তখন আব্বুর বিছানা করে দেওয়ার নাম করে আপু আমাকে ডেকে বলল কাল সকাল ১০টার সময় ন‍্যাড়া করব। তুই মাথায় রাখিস। আমি মাথা নেড়ে সায় দিলাম। 


আমি নিজের ঘরে ঘুমাতে চলে এলাম। কিন্তু কেন যেন ঘুম এলো না। আমি আধো ঘুমে স্বপ্ন দেখলাম ব্লেডের টানে আপুর চুল মাথার ত্বক থেকে খসে খসে পড়ছে। আর আপুর চুলভরা কালো মাথা সাদা হয়ে যাচ্ছে। তারপর দেখলাম আপুর চুলের মুঠি আমার হাতের মুঠোয় আর আপু নিজেকে আয়নায় ন‍্যাড়া অবস্থায় দেখছে। দেখে আমার বেশ ভালো লাগল। ইচ্ছা করল আপুর ন‍্যাড়া মাথায় একটা চুমু খাই।
এভাবে বিছানায় গড়াগড়ি করতে করতে কখন ঘুমিয়ে গেছি মনে নাই। ঘুম থেকে উঠে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি ৮:২৩ বেজে গেছে। আর এদিকে রুটিন অনুযায়ী আমার সেদিন সকালে চা বানানোর কথা। আমি তড়িঘড়ি উঠে ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখি ওখানে টি-টেবিলে এক কাপ চা আর নাস্তা রাখা আর আপু বসে ফোন টিপছে। আমাকে দেখে বলল গতরাতে ঘুমিয়েছিলি কয়টায়? আমি উত্তর না দিয়ে ব্রাশ হাতে নিয়ে বেসিনে গিয়ে ব্রাশ করলাম। তারপর আপুকে বললাম স‍্যরি দেরি হয়ে গেছে। আপু বলল সমস্যা নাই। খালি আমার দেরি হইলেই কথা শুনাতি। আমি চুপ করে আপুর ডান পাশের সোফায় বসে নাস্তা খেয়ে ফেললাম। আপু আমাকে বলল মনে আছে আর সোয়া এক ঘণ্টা পর। আমি ফোনের দিকে তাকিয়ে বললাম হ‍্যাঁ। নাশতা খেয়ে কিছু হোমটাস্ক করে এক ঘণ্টা পর আমি আপুর রুমে নক করে ডাক দিলাম। আপু বলল আমার অনলাইন ক্লাস চলছে আধাঘণ্টা ওয়েট কর। আমি গিয়ে ব্লেড, ডাবল এজড সেফটি রেজর, সাবান, শ‍্যাম্পু এগুলো জড়ো করতে লাগলাম। আধা ঘণ্টা পর আপু রুম থেকে বেরিয়ে আমাকে ডাকল। আমি আওয়াজ দিয়ে বললাম বাথরুমে এসো। আপু বলল বাথরুমে কেন? আমি বলি প্রথমে চুলে শ্যাম্পু লাগিয়ে পরিষ্কার করে নিই। আপু সম্মতি দিয়ে নিচে রাখা টুলে বসে পড়ল। আপু আপুর মাথা নিচু করে পানি ঢেলে চুল ভিজিয়ে প্রথমে ভালো মত কয়েকবার ম‍্যাসাজ করলাম তারপর শ‍্যাম্পুর বোতল থেকে শ‍্যাম্পু আপুর মাথার তালুতে ঢেলে আবার ম‍্যাসাজ করলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আবার আপুর মাথায় পানি ঢেলে ধুয়ে দিলাম। এরপর চুল শুকিয়ে গেলে দেখলাম মাথার ত্বকে কোনও ধুলো নেই। অতঃপর আপুকে বললাম এবার আব্বুর রুমে চলো। সেখানে আয়নার সামনে আব্বুর বিছানার র‍্যাক্সিন শীট বিছিয়ে তার উপর চেয়ার রেখে তাতে আপুকে বসালাম। অতঃপর আপুর চুল আবার স্প্রেয়ার দিয়ে ভিজিয়ে আঁচড়ালাম যাতে চুল মসৃণ হয়। চুল আগাগোড়া আঁচড়ানো হলে তার চুলে একটা হালকা ঢিল দেয়া পনি বাঁধলাম। তারপরে রেজরটিতে ব্লেড ভরে আপুর কপালের সামনে ধরলাম তারপর আলতো করে পিছন দিকে ব্লেড এগিয়ে আনলাম। সবকিছু ভালোই চলছিল কিন্তু আমি ভুলে আপুর চুল আঁচড়ানোর বিপরীতে (পেছন‌ থেকে সামনে) রেজর টান দিলাম আর আপুর মাথার একদিকে সামান্য কেটে যায়। আপু উঃ করে হালকা আওয়াজ করে বলল এই তুই কি করতেছিস? তোকে আমার মাথা ন‍্যাড়া করতে বলছি মাথার চামড়া তুলে ফেলতে বলি নাই। আমি স‍্যরি বলে আস্তে আস্তে চুল আঁচড়ানোর দিক অনুসারে চুলের গোড়ায় রেজর চালাই। চুলগুলো গোল গোল দলা পাকিয়ে আপুর ঘাড় আর কাঁধ বেয়ে নিচে পড়তে থাকে। এভাবে পুরোটা কামানো হলে আপুকে বললাম মাথা ছুঁয়ে দেখতে। আপু মাথা উঠিয়ে আয়নায় তাকিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল খসখসে যেন না থাকে এমন কর। আমি আপুর মনের ভাব বুঝতে পেরে আপুর মাথায় আমার শেভিং ক্রিম লাগালাম তারপর আরেকবার সামনে থেকে পিছনে রেজর চালিয়ে পরিষ্কার চকচকে টাক করে ফেললাম। আবার আপুকে বললাম এবার ছুঁয়ে দেখো কেমন হয়েছে? আপু আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের মাথায় আবার হাত দিয়ে হাসিমুখে বলল এবার একদম মনমাফিক হয়েছে। আমি বললাম একটু বসো আমি এন্টিসেপটিক নিয়ে আসি। আপু বললো থাক গোসল করে এলে তারপর লাগিয়ে দিস। আমি বললাম তাহলে গোসল করে এসো। আমি এগুলো গুছিয়ে নিতে পারব। আপু থ‍্যাঙ্কস বলে দৌড়ে তোয়ালে হাতে নিয়ে গোসল করতে ঢুকল। আমি এই ফাঁকে আপুর কামানো চুল ধরে দেখলাম তা শুকিয়ে গেছে। আমি দৌড়ে কিচেন থেকে একটা পলিথিন ব্যাগ খুঁজে এনে চুলগুলো সেই ব‍্যাগে পুরে আমার ঘরে এনে রেখে দিলাম।

Saturday, July 25, 2020

ঘন, লম্বা চুল কেটে ন্যাড়া হল কিশোরী! অবাক সিদ্ধান্ত, তবু মুগ্ধ সবাই

গয়না, সাজসজ্জা, পোশাকের প্রতি মেয়েদের যদি দুর্বলতা থাকে, সেই তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে তাঁদের চুল। কারণ, ঘন, লম্বা চুলই মেয়েদের অন্যতম ‘অলঙ্কার’। আর টিনএজার বা যুবতী হলে তো কথাই নেই।
চুল চুরি হওয়ায় সম্প্রতি হয়রান হয়েছেন হরিয়ানার মহিলারা। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরী নিজেই নিজের চুল কেটে ফেলেছে। তাও একটু-আধটু নয়, একেবারে ২৮ ইঞ্চি লম্বা ঘন লম্বা চুল। যার ফলে, ওই কিশোরীর মাথা এখন পুরোপুরি ন্যাড়া।
কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ নিল ওই কিশোরী? না, কোনও ঘটনার প্রতিবাদে এমন পদক্ষেপ নেয়নি সে। আসলে নিজের মাথার চুল এক ক্যানসার আক্রান্ত মহিলাকে দান করতে চায় জিয়া মেহতা নামে ওই কিশোরী।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী জিয়া আইআইটি কোটায় সুযোগ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুম্বইয়ের বাসিন্দা এক ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার কথা জানতে পারে সে। কেমোথেরাপি নেওয়ার ফলে ওই মহিলার মাথার সব চুল পড়ে গিয়েছিল। জিয়া জানতে পারে, চুল হারিয়ে ওই মহিলা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। হীনমন্যতাতেও ভুগছেন তিনি।
জিয়ার কথায়, ক্যানসার আক্রান্ত ওই মহিলার দুর্দশা তাঁর মনে ছুঁয়ে যায়। সেই কারণেই মহিলার মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিল সে। 
যেমন ভাবা, তেমন কাজ। নেট ঘেঁটে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ওই মহিলাকে নিজের চুল দান করার বন্দোবস্ত করে জিয়া। ইতিমধ্যেই নিজের চুলও কেটে ফেলেছে সে। আমির খান অভিনীত ‘দঙ্গল’ ছবি থেকেও অনুপ্রেরণা পেয়েছে জিয়া। কারণ, সেই ছবিতে দেখানো হয়েছিল, কুস্তি লড়ার জন্য নিজেদের চুল কেটে ফেলেছে আমিরের দুই কুস্তিগীর মেয়ে।
কিন্তু, চুল কাটার পরে পরিচিতরা কী প্রতিক্রিয়া দেন, তা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিল জিয়া। যদিও, প্রথমে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেও চুল কাটার আসল কারণ জানার পরে জিয়াকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে তার সহপাঠীরা। জিয়ার কথায়, দেশের জন্য যে কোনওভাবে অবদান রাখতে চায় সে। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখা জিয়ার জাতীয় পতাকার তিনটি রংই প্রিয়। তাঁর ইচ্ছা, মৃত্যুর পরে তার দেহ তেরঙ্গায় ঢাকা থাকবে। 
ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নির্দেশিকা মেনে নিজের চুল ওই ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার ব্যবহারের জন্য ক্যুরিয়রের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন জিয়া। এখন তার একটাই অপেক্ষা জিয়ার। যাঁর জন্য নিজের প্রিয় চুল কেটে ফেললেন, সেই মানুষটির হাসিমুখ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেখতে চায় সে। 
(২০১৭ সালের ৮ই আগস্টে এবেলা.ইনে প্রকাশিত)

Wednesday, July 22, 2020

ক্যানসার-আক্রান্তদের চুল দান করে শিরোনামে আট বছরের তিতির, ওরফে ঋষিকা

ঠিক কী কী করলে পিঠ ছাপানো এক ঢাল রেশম কোমল চুলের মালকিন হওয়া যাবে, তা নিয়ে বহু টিপস নিশ্চয়ই আপনারা এতদিনে জেনে ফেলেছেন! এবার আপনাদের জন্য রইল একটা অন্য গল্প। যে গল্পের নায়িকা স্বেচ্ছায় নিজের একমাথা ঝলমলে কালো চুল কেটে সম্পূর্ণ নেড়া হয়ে যায়। তাতেই তার ভীষণ আনন্দ!
অবাক লাগছে শুনে? কিন্তু এটা কোনও রূপকথার গল্প নয়, একদম সত্যি ঘটনা! আর এই গল্পের নায়িকার নাম ঋষিকা, ওরফে তিতির। বয়স মাত্র আট বছর। রায়গঞ্জের সারদা বিদ্যাপীঠের ক্লাস টু-র ছাত্রী তিতির নিজের একমাথা কালো চুল কেটে নেড়া হয়ে গেছে কারণ সে জানে তার লম্বা লম্বা চুল হাসি ফোটাবে ক্যানসার-আক্রান্ত আরও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মুখে। তার কেটে ফেলা চুল দিয়ে তৈরি হবে পরচুলা যা ব্যবহার করতে পারবে সেই সব ছেলেমেয়েরা। আর সেজন্যই লম্বা চুলগুলো ভীষণ প্রিয় হওয়া সত্ত্বেও তা কেটে নেড়া হয়ে যেতে দ্বিতীয়বার ভাবেনি আট বছরের ছোট্ট মেয়েটা! 

তিতিরকে উৎসাহ জুগিয়েছেন তার বাবা কৌশিক চক্রবর্তী। রায়গঞ্জের বাসিন্দা কৌশিক নিজেও একাধিক সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কৌশিক জানালেন, মাস তিনেক আগে তিতিরকে ক্যানসার-আক্রান্ত ছেলেমেয়েদের চুল দান করার প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন তিনি। একবার বলাতেই রাজি হয়ে গিয়েছিল সে। ‘‘তিতিরকে বলেছিলাম, তোর চুল আবার বড়ো হয়ে যাবে, ওদের তো হবে না! তুই চুল দিবি ওদের? শুনেই ও এক কথায় রাজি হয়ে গেল!’’
চুল দান করার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। কৌশিক জানাচ্ছেন, অন্তত ১২ ইঞ্চি লম্বা হতে হবে চুল। চুলে রং করাও চলবে না, স্বাভাবিক রং থাকতে হবে। রাবারব্যান্ড দিয়ে চুলের দু’ প্রান্ত আটকে কাঁচি দিয়ে কাটার পর প্লাস্টিকের জ়িপলক ব্যাগে ভরে পাঠিয়ে দিতে হবে নির্দিষ্ট ঠিকানায়। তবেই সে চুল দিয়ে তৈরি হবে পরচুলা, মুখে হাসি ফিরে পাবেন বহু ক্যানসার-আক্রান্ত মানুষ। 
আর যার চুল দিয়ে তৈরি হতে চলেছে এমনই অনেক উইগ, সেই তিতির ওরফে ঋষিকা কী বলছে? সুন্দর, লম্বা চুল কেটে ফেলার পরে একটু একটু দুঃখ হলেও সে দুঃখকে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না ছোট্ট তিতির। বলছে, ‘‘আমার চুল তো আবার বড়ো হয়ে যাবে। চুল বড়ো হলে আবার চুল দেব! স্কুলের বন্ধুদেরও বলব চুল দিতে!’’ 

(ফেমিনায় ২০১৯ সালের ৫ই জুলাইয়ে লিখেছিলেন মনীষা দাশগুপ্ত)

Thursday, July 9, 2020

৬ ফুট লম্বা চুল, গিনেস বুকে নাম তুলল বাস্তবের ‘রাপুনজেল’ নীলাংশী

‘চুল তার কবেকার বিদিশার নিশা।’ বহুকাল আগে লিখেছিলেন জীবনানন্দ দাশ। কিন্তু আজও সেই সৌন্দর্য বঙ্গহৃদয়ে অমলিন। কেশবতী কন্যার সৌন্দর্য এই আধুনিক যুগেই হিল্লোল তোলে পুরুষ হৃদয়ে। শুধু বাংলা কেন? লম্বা কালো চুলের আকর্ষণ বাংলা ও ভারতের সীমান্ত ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। তাই তো রাপুনজেল এত হিট। তবে এই রাপুনজেল কিন্তু শুধু রূপকথার পাতায় নেই। বাস্তবেও রয়েছে। আর রয়েছে এই ভারতেই। গুজরাটে থাকে সে। নাম নীলাংশী প্যাটেল।

নীলাংশীর বয়স ১৭ বছর। তাঁর চুলের দৈর্ঘ্য ১৯০ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ ৬ ফুট ২.৮ ইঞ্চি। বাস্তবের রাপুনজেল বলতে যা বোঝায়, নীলাংশী ঠিক তাই। এই চুলের জন্যই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে সে। রেকর্ড অনুযায়ী, টিনএজারদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা চুলের অধিকারী নীলাংশী। কিন্তু হঠাৎ এভাবে চুল বাড়ানোর ইচ্ছা হল কেন তার? এর পিছনে রয়েছে এক চুল কাটার গল্প। সে জানিয়েছে, “আমার যখন ছ’বছর বয়স তখন একটি পার্লারে চুল কাটতে গিয়ে খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা হয়৷ পার্লারের কর্মীরা অত্যন্ত বাজে ভাবে আমার চুল কেটে দিয়েছিলেন৷ হেয়ারকাট নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম। এরপর থেকেই প্রতিজ্ঞা করি আর চুল কাটব না৷ গত দশ বছর ধরে সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করে চলেছি৷ চুল কাটিনি৷”


তবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এর আগেও নাম উঠেছিল নীলাংশীর। বছর দুই আগে লম্বা চুলের কারণেই সে রেকর্ড করেছিল। তখন তার চুলের দৈর্ঘ্য ছিল ১৭০.৫ সেন্টিমিটার। তখনই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়ছিল, এভাবে চুল বাড়াতে সমস্যা হয়নি? নীলাংশী বলেছিল, “আপনাদের মতোই অন্যান্যরাও ভাবে এত লম্বা চুলের জন্য আমার নিশ্চয়ই অনেক সমস্যা হবে৷ কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, আমার কোনও সমস্যাই হয় না। এই লম্বা চুল নিয়ে আমি খেলাধুলো করি এবং অন্যান্য কাজও করি। এই চুল আমার লাকি চার্ম বলতে পারেন।” লম্বা চুলে কী কী স্টাইল করেন? নীলাংশী জানান, “স্টাইল করতে আমার ভালই লাগে৷ এই চুলেই আমি লম্বা বিনুনি করি বা উঁচু করে খোঁপা বাঁধি। আমার পক্ষে আরামদায়ক হয়।”

[সংবাদ প্রতিদিন, ২০-০১-২০২০]

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...