Thursday, April 28, 2011

চুল লম্বায় বাড়াবেন না

প্রিয়াঙ্কা একজন অবিবাহিত অনাথ মেয়ে। তার চেহারা শ্যামলা রঙের ও তার বেশ লম্বা চুল রয়েছে। সব মিলিয়ে তার মুখশ্রী বেশ নজরকাড়া। সে বি.এ. ডিগ্রী নিয়েছে এবং বর্তমানে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে রিসেপশনিস্ট পদে কর্মরত। সংস্থাটিতে যোগদানের পর থেকে সে একটি লেডিস হোস্টেলে থাকত। 

একদিন সে রাত ৮টার পর তার কর্মস্থল থেকে বেরিয়েছিল হঠাৎ কেউ তাকে গাড়িতে টেনে নিয়েছিল এবং তার মুখে কিছু স্প্রে করে। সে তৎক্ষণাৎ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। এই ঘটনার পর আর তার কিছুই মনে নেই। কিছুক্ষণ পরে তার চৈতন্য ফিরলে সে চোখ খুলে এবং কোন জায়গায় আছে তা বোঝার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। সে ঘাবড়ে যায় এবং লক্ষ্য করে একটি কাঠের চেয়ারের হাতলের সঙ্গে তার হাত এবং পায়ার সঙ্গে তার পা বাঁধা আছে। তার মুখও রুমাল দিয়ে বাঁধা ছিল। 

সে ভয় পেয়ে কেঁদে ফেলে। তাকে যে ঘরে বেঁধে রাখা হয়েছে ঘরটির ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার এবং একটা ফুটোও নেই যে বাইরের আলো ঢুকবে। তাই সে ভীষণ ভয় পেয়েছিল। কিছুক্ষণ পর একজন লোক দরজা খুলে ভিতরে ঢুকল কিন্তু অন্ধকারে প্রিয়াঙ্কা তার চেহারা ও কণ্ঠ শনাক্ত করতে পারল না। সে লোকটি প্রিয়াঙ্কাকে বলে, কেমন আছো? এই বলে প্রিয়াঙ্কার মুখের বাঁধন খুলে দেয় আর বলে চিৎকার না করে উত্তর দিবে। প্রিয়াঙ্কা বলল- কি চান আপনি? আমাকে কেন উঠিয়ে এনেছেন? লোকটি জবাব দিল- আমার যা চাই তা পাওয়া হয়ে গেলেই তোমাকে আমি ছেড়ে দেব। এই সময় লোকটি তার কাঁধ স্পর্শ করে এবং বলে যায় তুমি সুন্দরী এবং আমি চাই তুমি আরও সুন্দর হয়ে উঠো। প্রিয়াঙ্কা কিছুই বুঝতে পারে না। সেই যুবক তার লম্বা চুল স্পর্শ করে বলল, তোমার এই চুলগুলি তোমার চেয়েও সুন্দর; আমি তোমার চুল আর এর গন্ধ পছন্দ করি, এর জন্যই তো ঘুমাতে পারি না। প্রিয়াঙ্কা চিৎকার করে বলল- দয়া করে আমাকে মুক্তি দিন, আমি যেতে চাই, আপনি আমার থেকে কি চান? আমার বিনিময়ে আপনি কোনো মুক্তিপণ পাবেন না। আমার তেমন টাকা নেই। আপনি হয়ত আমাকে অন্য কেউ ভেবে অপহরণ করেছেন। লোকটি হো হো করে হেসে বলল- না প্রিয়াঙ্কা, আমি জেনেশুনেই তোমাকে কিডন্যাপ করেছি এবং আমার কোনও টাকা চাই না। প্রিয়াঙ্কা লোকটির মুখে নিজের নাম শুনে আশ্চর্য হয়। আবার সে বিভ্রান্ত হয়ে লোকটিকে জিজ্ঞাসা করল, তাহলে আপনি কী চান? আপনি নিশ্চয়ই আমার শরীর চান! প্লিজ একদম আমায় ছোঁবেন না, আমি এখনও অবিবাহিতা, দয়া করে আমার এমন সর্বনাশ করবেন না। 

যুবকটি অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে বলল, তোমার কাছে কিছু সম্পদ আছে তা আমি চাই, প্রিয়াঙ্কা উত্তরে বলে- আমার নামে আমার কোনো সম্পত্তি নেই। যুবকটি উল্লেখ করে- তোমার চুল। এটিই তোমার সম্পদ, আমি তোমার এই লম্বা ও সুন্দর চুলগুলো চাই। সে হতভম্ব হয়ে বলে প্লিজ আমার চুলের সাথে কিছু করবেন না। 


ততক্ষণে সেই যুবক কাঁচি নিয়েছিল এবং তার লম্বা চুল কাটা শুরু করেছিল; ততক্ষণে সে সশব্দে কেঁদে উঠলো কিন্তু লোকটি তা বিবেচনা করল না। সে প্রিয়াঙ্কার চুলের একাংশ কেটে বলল: ‘বেশ দেখাচ্ছে' ও সেই গোছা তার কোলে রাখে। প্রিয়াঙ্কা তার কোলে তার লম্বা চুলের কেটে ফেলা গোছা দেখে তবে সে কিছুই করতে পারে না। এরপর সেই যুবক আবার তার পিছনে দাঁড়িয়ে আরো কয় গাছি লম্বা চুল কেটে আবার তার কোলের উপর ফেলল। এখন এই চেহারাতে প্রিয়াঙ্কাকে দেখতে বাজে লাগছে কারণ ডান পাশের চুল খুব লম্বা এবং বাম পাশের চুল খুব ছোট। তারপরে লোকটি তার হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। তখনই প্রিয়াঙ্কা তার শার্টের কলার ধরে ধরে যাওয়া গলায় জিজ্ঞেস করে ‘কেন আপনি আমার চুল কাটছেন?’ প্রত্যুত্তরে সে বলে, আমি তোমার চুল কেটে আনন্দ পেয়েছি। আমি তোমাকে এক্ষুনি মুক্তি দেব তবে তোমার চেহারা এখন খুব বিশ্রী দেখাচ্ছে, তাই আমি তোমার হাতে কাঁচি ও ৫ মিনিট সময় দিচ্ছি যদি তুমি চাও তাহলে তুমি তোমার চুল সমান করে কেটে ফেলতে পারো অন্যথায় এই অবস্থাতেই আমি তোমায় তোমার হোস্টেলে ছেড়ে আসব। প্রিয়াঙ্কার কাছে বিকল্প কোন উপায় ছিল না। সে তার লম্বা চুলগুলো স্পর্শ করে এবং অতঃপর তার মাথার অন্য দিক স্পর্শ করে অনুভব করে বুঝে এদিকটা ধরতে বয়কাটের মতো লাগে। অবশেষে সে অন্য পাশের মতো ডানপাশের চুলও কেটে ফেলে। তার চারদিকে তার লম্বা চুল পড়ে আছে। যুবকটি হাততালি দিয়ে বলে: "নাইস হেয়ারস্টাইল" এবং সে আরও বলে যে প্লিজ নিজের চুলের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করবে নচেৎ আমার মতো কেউ এসে কেটে নিয়ে যাবে। তারপরে সে পুনরায় প্রিয়াঙ্কার মুখে সেই চেতনানাশক স্প্রে করে আর পাঁজাকোলা করে গাড়িতে শুইয়ে দিয়ে প্রিয়াঙ্কার বাসস্থান লেডিস হোস্টেলের উদ্দেশ্যে গাড়ি চালাতে থাকে। ১ ঘণ্টা পর যুবকটি তার মুখে পানি ছিটিয়ে বলে চলো নেমে পড়ো, তোমার হোস্টেল এসে গেছে। 

তারপর সে গাড়ি থেকে নেমে দোপাট্টা দিয়ে মাথা ঢেকে হোস্টেলে প্রবেশ করল। এরপর সে নিজের রুমের তালা খুলল এবং রুমের ভিতরে ঢুকে বাল্বের সুইচ অন করে সিঁধকাঠি আটকে দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাথার উপর থেকে দোপাট্টা সরিয়ে নিজের মুখ দেখে কাঁদতে লাগল। তার চুল সমানভাবে কাটা হয়নি। তাকে দেখতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো উদভ্রান্ত পাগলীর মত লাগছে। অতএব সে তার অসমান করে কাটা চুল ঠিক করার জন্য নিকটস্থ পার্লারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগে সে পরিচিত পার্লার কর্মচারীকে ফোন করে জেনে নেয় যে পার্লার এখনো খোলা আছে কিনা। অতঃপর সে আবার মাথা দোপাট্টা দিয়ে ঢেকে রুমে তালা দিয়ে পার্লারের দিকে হাঁটতে আরম্ভ করে। হাঁটতে হাঁটতে সে ভাবে লোকটি কে ছিল? আর কেনই বা সে তার চুল কাটল? সে কিছু সময়ের মধ্যে পার্লারে পৌঁছে; পার্লারে তার পরিচিত কর্মচারী আগেই তার অপেক্ষায় ছিল। সে প্রিয়াঙ্কার চুলের বেহাল অবস্থা দেখে কি করে এমন হল তা জানতে চায়। প্রিয়াঙ্কা অন্য কখনো বলবো বলে এড়িয়ে যায়। অতঃপর তার চুল শর্ট করে বয়কাটের মত কাটা হয় এবং সে তার হোস্টেলে ফিরে আসে। তার হোস্টেলের ওয়ার্ডেন তার চেহারা দেখে বিস্মিত হন। সে শুধু বলে চুলের স্টাইল পরিবর্তন করার ইচ্ছে হয়েছিল তাই। সে তার রুমের তালা খুলে বাথরুমে ঢুকে একবার আয়নায় নিজের মুখ দেখল তারপর পর চোখ মুছে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে সে লোকটির মুখ স্মরণ করার চেষ্টা করল। অবশেষে সে যুবকটিকে চিনতে পারল। বহুকাল পূর্বে সে তাকে প্রেমপ্রস্তাব দিয়েছিল তবে প্রিয়াঙ্কা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাই সে আজ তার প্রতিশোধ নিয়েছে। তবে সে এই লোকটির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হবে না কারণ এই লোকটি জনৈক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছায়াসঙ্গী। গোসল সেরে মাথা মুছে আয়নার সামনে বসে মাথার চুলে আঙুল চালিয়ে সে ঠিক করে নেয় যে সে আর দীঘল চুল চায় না। সে এখন থেকে ছোট চুল রাখতে চায়। তার কর্মস্থলেও সকলেই তার চেহারা দেখে অবাক হলো। সে সবার কাছে একই কথা বলে যে সে তার চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে চেয়েছিল।

Wednesday, April 27, 2011

চেহারা নিয়ে বিভ্রম কাটানোর জন্য কেশ কর্তন

মীনাক্ষি ও সোনাক্ষি যমজ বোন। তাদের দু'জনকেই দেখতে একরকম লাগে। দুজনেরই লম্বা এবং ঝলমলে চুল ছিল। তারা তাদের চুল খুব ভাল রক্ষণাবেক্ষণ করত। তাদের বাবা-মা ব্যতীত অন্যরা তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারত না। অনেক সময় তাদের বাবা-মাও বিভ্রান্ত হতেন যে কে মীনাক্ষি এবং কে সোনাক্ষি। উভয়েই তাদের অনার্স কোর্স শেষ করেছে এবং তাদের বাবা-মা উভয়ের জন্য পাত্র সন্ধান করছেন। শেষ পর্যন্ত তারা পাত্র খুঁজে পেলেন, দুই বোনের জন্য দুই ভাই, তবে যমজ নয়। এবং অবশেষে দুই মাস পর একই দিনে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

তাদের দু'জনের স্বামীই তাদের চেহারা গুলিয়ে ফেলল। সুতরাং তারা শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা যে কোনো একজনের চেহারা পরিবর্তন করতে চায়। বড় ভাই কুমার মীনাক্ষির সম্মতি ছাড়াই তার চেহারায় বদল আনতে চান। এই সিদ্ধান্তের পরে কুমার মীনাক্ষিকে ববকাট বা বয়কাটের মতো চুল ছোট করার জন্য বলেন। সে আশ্চর্য হয়ে গেল, এবং বলল কোনোক্রমেই না; কারণ সে তার চুল অনেক যত্নে বাড়িয়েছে এবং তাকে এমনটা বলবার কারণ জিজ্ঞাসা করে। কুমার বলেছিলেন যে তার ভাই এবং সে নিজে মীনাক্ষির এবং সোনাক্ষির চেহারাকে গুলিয়ে ফেলছে, তাই কারো চেহারা বদলাতে হবে, তাই আমরা শেষ পর্যন্ত তোমার চুল কাটাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সে বলল- না আমি আমার চুল কাটতে চাই না, প্লিজ সোনাক্ষিকে কাটতে বলো।

পরের দিন তার ভাই শ্যাম সোনাক্ষিকে চুল ছোট করার জন্য বলে। সেও এই সিদ্ধান্ত শুনে স্তম্ভিত হয়। সে এতে সম্মত হয় না। তাই সকলেই সন্ধ্যায় মিলিত হন। শেষ পর্যন্ত কুমার বলল, আমরা এ জন্য ব্যালট রাখব, ব্যালটে যার নাম আসবে তাকে চুল ছোট করে ফেলতে হবে। দুই বোনই এর বিরোধিতা করে। তবে কুমার এবং শ্যাম এটার জন্য আদেশ দিয়েছিল এবং তারা ৪টি আলাদা চিরকুটে তাদের নিজ নিজ স্ত্রীর নাম দু'বার উল্লেখ করে একটি ছোট বাক্সে রেখেছিল এবং তারা প্রতিবেশীর ছেলেকে একটি চিরকুট উঠাতে বলে। সে কথামত চিরকুট উঠালো।

চিরকুটে মীনাক্ষির নাম এসেছে। মীনাক্ষি কাঁদতে শুরু করল, তার বোন সোনাক্ষি তার বোনকে সান্ত্বনা দিলো এবং কুমারকে বলল যে মীনাক্ষির চুল কাটতে হবে না; অন্য কোনো উপায় ভাবতে হবে, কিন্তু তাদের স্বামীরা মানল না, এবং বলল আগামীকালই চুল কাটতে যেতে হবে, যদি সে চুল না কাটায়; আমরা কারও অনুমতি ছাড়াই যেকোনো একজনের মাথা মুড়িয়ে দিবো। তাদের সিদ্ধান্ত শুনে দু বোনই ধাক্কা খায়। তাই অবশেষে মীনাক্ষি তার চুল কাটার জন্য সম্মতি দেয়। কুমার আরও বলেন, মীনাক্ষিকে ভবিষ্যতেও একই রকম চুলের ছাঁট বজায় রাখতে হবে।

পরের দিন সকালে মীনাক্ষি এবং কুমার মীনাক্ষির চুল কাটার জন্য পার্লারে গিয়েছিলেন। কুমার মীনাক্ষিকে বয়কাট দেওয়ার জন্য বিউটিশিয়ানকে বলেন। মীনাক্ষি বলে সে বয়কাট করতে চায় না; তার ববকাটেই হবে। কিন্তু তিনি সায় দিলেন না। এরই মধ্যে বিউটিশিয়ান মীনাক্ষিকে চেয়ারে বসতে বলেন। সে চেয়ারে বসল, বিউটিশিয়ান তার লম্বা চুল আঁচড়ালো এবং কাঁচি নিয়ে তিনি তার ঘাড়ের কাছের চুলের গোছার মাঝে ঢুকিয়ে খুব শীঘ্রই চুল কাটতে আরম্ভ করল। সে তার দু'হাতে মুখ ঢেকে কাঁদতে লাগল। তার দীঘল চুল গেছে, তার চুল এখন চিবুক দৈর্ঘ্যের মধ্যে রয়েছে। তারপরে বিউটিশিয়ান তার সামনের দিক এবং মাথার উভয় পাশে সঠিকভাবে কাটতে শুরু করলেন এবং পিছন দিকটা মেশিন দিয়ে খুব ছোট করে দিলেন। কুমার তার শর্ট হেয়ারস্টাইলে সন্তুষ্ট হলো। এবং অবশেষে তার চুল কাটা শেষ। বিউটিশিয়ান বললেন ‘‘ইটস কম্প্লিটেড’’, সে চোখ খুলল এবং আয়নায় তার মুখের দিকে তাকালো, সে চিনতে পারছিল না। একটা ছেলে চেয়ারে বসে আছে। সে তার মাথা স্পর্শ করে, তার দীর্ঘ চুল সব শেষ। তারপরে সে চেয়ার ছেড়ে কুমারের কাছে যায়। কুমার বলে তোমায় দুর্দান্ত লাগছে, আর প্লিজ চুলের দৈর্ঘ্য একইরকম রেখো।

তারপরে দুজনেই ঘরে ফিরে গেল। সোনাক্ষি তার বোনের চুল কাটাতে হতবাক হয়ে গেল এবং সে মীনাক্ষির কাছে দুঃখ প্রকাশ করল। মীনাক্ষি বলল এতে তোমার কোনো দোষ নেই; আমরা এর জন্য কী করতে পারি। আমার কোনো দুঃখ নেই আমার বোনের চুলের জন্য আমি আমার চুলের মায়া ত্যাগ করেছি। তাই তুমি নিজেকে দোষ দিয়ো না, হঠাৎ সোনাক্ষি তার বোনকে জড়িয়ে ধরল এবং দুজনেই কেঁদে উঠল। তার চুল কাটার পরে উভয় পরিবার সুখে জীবন চালাচ্ছে, তাদের চেহারা সম্পর্কে কোনো বিভ্রান্তি নেই। মীনাক্ষি এখন তার চুল বয়কাট করে রাখে। কিন্তু সোনাক্ষি মীনাক্ষির জন্য তার হাঁটু অব্দি চুল পিঠের মাঝখানটা পর্যন্ত কেটে ফেলল। তার স্বামী তার চুল কাটানোর জন্য কিছু বলেনি।

Sunday, April 24, 2011

প্রণীতার মধুর স্মৃতি

প্রণীতা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে, গত বছর বিয়ে করে, বিয়ের পরও কাজ চালিয়ে যায়। তার সুন্দর লম্বা এবং ঘন চুল ছিল, কারণ সে ভালো যত্ন করে। তার অফিসে সবাই তার চুলের প্রশংসা করেন। সে তার লম্বা চুল নিয়ে গর্বিত ছিল। তার একজন সহকর্মী ২ দিন আগে তার লম্বা চুল ছোট করায়, সে অবাক হয়ে বলল তুমি কেন এত লম্বা চুল কাটলে, ও বলল কর্মজীবী নারীদের লম্বা চুল ধরে রাখা কঠিন, কিন্তু প্রণীতা বলল আমিও তোমার সাথে কাজ করছি কিন্তু এখনো লম্বা চুল বজায় রাখছি, এটি আমার আবেগ এবং আগ্রহ। তিনি বলেন, এটা ঠিক, কিন্তু এটা আমার জন্য কঠিন এছাড়াও আমি আমার চেহারা পরিবর্তন করতে চাই।

এই আলোচনার ২ সপ্তাহ পরে প্রণীতা চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়েছে, তাই সে ৩ সপ্তাহের জন্য ছুটিতে রয়েছে। তার সহকর্মীরা এসে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা দেখেন। তার ম্যানেজারও তার ছুটি আবার ২ সপ্তাহের জন্য বাড়িয়েছেন, কারণ সে গত ৩ বছর ধরে কোনও অবাঞ্ছিত ছুটি নেয়নি। কিন্তু প্রণীতা তার ম্যানেজারকে বলল আমি আর ২ সপ্তাহের ছুটি চাই না আমি এখন ঠিক আছি। তাই আগামী শুক্রবার ফিরে আসব। তাই তার ম্যানেজারও বলল ঠিক আছে। সে শুক্রবারও এসেছিল, সামান্য ক্লান্তি নিয়ে, তাই তার ম্যানেজার তাকে তাড়াতাড়ি ছুটি নিতে এবং সোমবারে ফিরে আসতে বলেন। তাই সে অর্ধদিবস ডিউটি শেষে চলে গেল। সোমবার সকালে প্রণীতা এসেছে, একটু চমক নিয়ে। সেটা কি????

তার অফিসের সবাই তার চেহারায় হতভম্ব, সে গোলাপি রঙের চুড়িদার পরেছে, এবং সে তার মাথা দোপাট্টা দিয়ে ঢেকে রেখেছে। সে অফিসে ঢুকলে সবাই এসে তার দোপাট্টা খুলে ফেলতে বলে, সেও খুলে ফেলে, সে ক্লিন শেভ করা মাথা নিয়ে এসেছে। তখন তার বন্ধুরা জিজ্ঞেস করছে, “কি হয়েছে তোমার, তুমি তোমার লম্বা চুল কামিয়ে ফেললে কেন? কোন মানত আছে কি? সে শান্তভাবে বলল, "না" এবং বলল আমার স্বাস্থ্যের কারণে আমি আমার মাথা কামিয়েছি। তার বন্ধুরা সামান্য বিভ্রান্ত ছিল, এবং তারা স্পষ্টভাবে কারণ জিজ্ঞাসা করল। 

প্রণীতা বলে, গরমের কারণে যখন চিকেনপক্সে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম, তখন গত সপ্তাহে পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছিলাম, শুক্রবার ভোরে গেলে তিনি আমাকে মাথা ন্যাড়া করার পরামর্শ দেন, এত লম্বা চুলের কারণে তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে না বলেন। তিনি আরও বলেন, কয়েক বছর আমার চুল খুব ছোট রাখা চাই। প্রাথমিকভাবে আমি এর জন্য মেনে নিইনি, কিন্তু আমাদের ডাক্তার আমার স্বামী এবং আমার পিতামাতার বাধ্য হয়ে আমি আমার চুল কাটা বা মাথা ন্যাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার স্বামী হেড শেভের জন্য পছন্দ করেছেন, তাই আমি আমার মাথার মুণ্ডনের জন্য তিরুপতি বা পালানি ভ্রমণের পরিকল্পনা করছি, কিন্তু আমি এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভ্রমণ করতে অক্ষম, তাই আমার স্বামী বললেন, দয়া করে স্থানীয় সেলুনে তোমার মাথা মুণ্ডন করো, এবং তিনি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি আমার চুল বহন করবেন তিরুপতি বা পালানিতে।

আমার স্বামী আমার বাড়িতে আমার মাথার চুল কামানোর জন্য যেকোন নাপিত আনতে গিয়েছিলেন, কিন্তু কেউই মুণ্ডনের জন্য আসতে রাজি হননি, তাই অবশেষে গতকাল খুব সকালে আমার স্বামী আমাকে অদূরেই স্থানীয় সেলুনে নিয়ে যান। এবং আমি স্থানীয় সেলুনেই আমার মাথার চুল মুড়ানো শেষ করি। এবং মাথা ন্যাড়া করার পর আমার স্বামী আমার চুল রাখার জন্য তিরুপথিতে গিয়েছিলেন। এছাড়াও আমার স্বামী আমাকে ২ মাস পর মাথা ন্যাড়া করার পরামর্শ দিয়েছেন। সবাই তার সিদ্ধান্তে বাকরহিত, এবং তার বন্ধুরা বলছে তুমি চুলের যত্নের আদর্শ, কিন্তু এখন তুমি আমাদের পুরো অফিসে টাক মহিলা। আমরা এই আকস্মিক পরিবর্তন বিশ্বাস করতে পারি না। প্রণীতা বলল হ্যাঁ, আপনারা যা বলেছেন তা সঠিক, আমার মাথার চুলে ক্ষুর লাগানোতে আমি অনেক কেঁদেছি, কারণ আমি আমার লম্বা চুল হারিয়ে ফেলেছি, এছাড়াও আমি ২ বছর ধরে আমার চুল গজাব না। আমার সৌন্দর্য চলে গেছে। কিন্তু সবাই প্রণীতাকে বোঝান, যাই ঘটুক কখনো কেঁদো না; তুমি আমাদের অফিসের বিউটি কুইন, কারণ তোমার মাথার চুলে খেউরির পরও তুমি তোমার টাক মাথায় সুন্দর। তারপর শুধু তার কান্না থামিয়ে সে হাসল। তারপর কেউ তার টাক মাথা নিয়ে রঙ্গরসিকতা করে না। ২ মাস পর সে আবারও তার মাথা কামালো। সে ২ বছর ধরে তার চুলের বয়কাট দৈর্ঘ্যেও বাড়াতে চায় না, অতঃপর তার পারিবারিক ডাক্তার বলেছিলেন কোন সমস্যা নেই আপনি আপনার চুল বাড়াতে পারবেন। তারপর শুধুমাত্র সে তার চুল বাড়ায়, কিন্তু সে তার চুল বয়কাট স্টাইল দিয়ে বহাল রাখে। কিন্তু তার লম্বা চুল নিয়ে তার প্রতিদিনের মধুর স্মৃতি ছিল।

Saturday, April 23, 2011

কবিতার মিডিয়াম বয়কাট - গল্প পোস্ট করেছেন Amazing2085

কয়দিন আগেই কবিতার কলেজের ১ম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। কবিতার চুল বেশ লম্বা হবার দরুণ কলেজের দিনগুলিতে তার বাড়ির লোকদের দৈনিক তার চুল পাট করে দিতে হতো। সুতরাং তার পরিবারের সমস্ত সদস্যেরা বসে পরিকল্পনা করেছিল যে কবিতার চুল কেটে ছোট করে দেওয়া উচিত।
কেউ কেউ প্রস্তাব করল যে তার চুল ছেঁটে কাঁধ পর্যন্ত করে দেওয়া যেতে পারে। তার কাকী আপত্তি করলেন এবং প্রস্তাব দিলেন যে তাকে বয়কাট হেয়ারস্টাইল দেওয়া যেতে পারে এজন্য যাতে আমাদের তার লম্বা চুল আর আঁচড়ে দেয়ার প্র‍য়োজনই না হয়। তারা এ কথাটি কবিতাকে উদ্দেশ্য করে বলছিল যে তার লম্বা চুল ভীষণ পছন্দ করে। কবিতা তর্ক করে বলেছিল সে তার চুল কাটবে না। চুল কাটানো নিয়ে পরিবারের সকলের সাথে তর্ক করায় তারা তাকে ভর্ৎসনা করে। অনেক বাদানুবাদের পর, তার কাকী তাকে বলেছিলেন ঠিক সকাল ১০টায়, আমরা তোমার চুল ছেলেদের ধাঁচে কাটানোর জন্য পার্লারে যাব। কবিতা নিজেকে শেষ বারের মত আয়নায় তার লম্বা চুল দেখে নেয়।

কবিতা তার কাকীর সাথে সকাল ১০টা নাগাদ একটি লেডিস বিউটি পার্লারে যায়। সেদিন সে তার কাকীর সাথে কথা বলেনি যেহেতু সে তার লম্বা চুল কেটে ফেলতে হবে বলে হয়রান ছিল। তারা যখন ভিতরে ঢুকল, কবিতার হাতগুলো চুল কাটার কথা ভেবে এবং তারপর তাকে ঠিক কেমন সে দেখাবে ভেবে কাঁপছিল। সেখানে দুটি সীট ছিল। একটি মেয়েকে আই ব্রো থ্রেডিং দেওয়া হচ্ছিল। অন্য একটি মেয়ের চুল ট্রিম করা হচ্ছিল। কবিতা মনে মনে ভাবল সেও ট্রিম করেই পার্লার ছেড়ে চলে যাবে। ততক্ষণে আই ব্রো থ্রেডিং করতে আসা মেয়েটি পার্লার ছেড়ে চলে গেল। এবং হেয়ারড্রেসার কবিতাকে তার জন্য কী করা দরকার তা জিজ্ঞাসা করলে তার আন্টি বললেন, ছেলেদের মতো চুল ছোট করে দিন। নিরুপায় কবিতা কাঁদতে শুরু করে। হেয়ারড্র্রেসার জিজ্ঞেস করলেন একদম শর্ট করে দিবো নাকি মিডিয়াম শর্ট রাখব? তার কাকী বললেন মিডিয়াম শর্ট করে কেটে দাও। 


কবিতা লাল চুড়িদার ও দোপাট্টা পরেছিল এবং মাথার দুই পাশে পনিটেইল করে চুল বেঁধেছিল। সে গিয়ে চেয়ারে বসল। হেয়ারড্র্রেসার তার শরীরের ওপর একটি সাদা কাপড় বিছিয়ে সেটির এক প্রান্ত তার ঘাড়ে বেঁধেছিল। কবিতার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। সে তার ঘন এবং লম্বা চুলে জল স্প্রে করছিল। তার কাকী বললেন, চুল কাটানো শেষে তাকে যেন একদম ছেলের মতো দেখতে লাগে। হেয়ারড্রেসার বললেন- ভাববেন না যতটা সম্ভব ছোট করা হবে। হেয়ারড্রেসার কবিতার ঘাড় ঝুঁকিয়ে দেয়। 

কবিতা কান্নাকাটি করেই যাচ্ছিল। তারপরে তিনি কাঁচি নিলেন ..চিক..চিক..চিক..কবিতা কাঁচির আওয়াজ শুনে কেঁপে উঠল। হেয়ারড্রেসার তার পনিটেল অর্ধেক দৈর্ঘ্য করে ফেললেন। ২ মিনিটের মধ্যে, তিনি তার লম্বা চুল থেকে কাটানো দুটি পনিটেলগুলি তার কাকীকে দেন। তার কাকী হাসতে হাসতে তা নিজের ব্যাগে পুরে নিলেন। কবিতার চুল এখন কাঁধ পর্যন্ত যেখানে আগে তার পনিটেল বাঁধা ছিল। এখন তার চুল ববকাট হেয়ারস্টাইলে আছে। কবিতা মাথা তুলে হেয়ারড্রেসারকে বলল, প্লিজ আর কাটবেন না ছেড়ে যান, আমি ববকাটেই ঠিক আছি, আর ছোট করার দরকার নেই।
তার কাকী এবং হেয়ারড্রেসার তার মাথা ধরে নিচু করে দিলেন এবং তার লুজ বব চুল কাটা পড়ল। যেহেতু তার চুড়িদারে ডিপ নেক কাট ছিল, এখন তা দৃশ্যমান হয়েছে এবং তার ঘাড় এখন উন্মুক্ত। এরপর হেয়ারড্রেসার তার সামনে এল এবং তার সামনের ঢিলে চুল কাটতে শুরু করল। তারপরে কবিতাকে বাম দিকে কাত করে দেওয়া হয় এবং হেয়ারড্রেসার ক্লিপার দিয়ে তার বাম পাশের ঝুলপি ক্লিপিং করে দেন এবং তার কান দৃশ্যমান হয়। অতঃপর তাকে ডানে ঘুরিয়ে ডান কানের চারপাশের চুল ক্লিপিং করা হয়। তার কাকী চেয়ারের কাছাকাছি এসে এবং বলেন যে এতটুকু চওড়া রেখে নিচের দিকটা ট্রিম করুন।

কবিতা ততক্ষণ পর্যন্ত আয়নায় মুখ দেখেনি। এখন যখন সে দেখল তখন সে তার চুলগুলির পিছনে স্পর্শ করা শুরু করে এবং তার দৈর্ঘ্য পরীক্ষা করে এবং তার ঘাড়ে কোনও চুল না দেখে চমকে উঠে। ইতিমধ্যে হেয়ারড্রেসার তার পিছনের চুল ছাঁটাই করে ছেলেদের পিছনের চুলের মত সোজা করে দেন। পরে তিনি সামনে এসে তার চুলে ঝুঁটি বাঁধলেন এবং ঝুঁটিটা যেখানে বেঁধেছেন তার একটু উপরে ঝুঁটি কেটে ফেললেন এবং কিছু চুল সামনে দেখানোর জন্য রাখলেন। এরপরে তিনি তার দুই কানের কাছের চুল ভি-শেপে কাটলেন। তার কাকী চেয়ারের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি তার মুখের উপরকার লোম সরাতে পারবেন? হেয়ারড্রেসার বললেন, আমি কি থ্রেডিং করে দিবো? না, আপনি তার চিপ ও গালের উপরটা চেঁছে দেন? কবিতা বলল প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও, আমি আমার মুখ শেভ করাতে চাই না। তার কাকী বললেন, তুমি যদি মুখ শেভ করতে না চাও তবে ওকে তোমার মাথা শেভ করতে বলব। কবিতা চুপ হয়ে গেল। তারপরে হেয়ারড্রেসার একটি ক্ষুর নিয়ে তার কানের চারপাশের ক্লিপিং করা জায়গাটা আর চিপ চেঁছে পরিষ্কার করে দিলেন। তিনি চেয়ারের হাতলে কবিতার প্রায় শুইয়ে দিয়ে তার মুখ কামানো শুরু করলেন। কবিতা তার শুকনো ত্বকে ক্ষুরের ধার অনুভব করল। প্রক্রিয়াটিতে তাকে সম্পূর্ণ অপমান করা হয়েছিল। 

তারপরে হেয়ারড্রেসার তার দৃশ্যমান ঘাড়ে এবং চাঁছা মুখে পাউডার লাগিয়ে দিলেন। কবিতা অবশেষে চেয়ার থেকে নেমে নিজের হাত দিয়েতার ছোট চুল অনুভব করল। তার কাকী হেয়ার ড্রেসারকে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন। এবং কবিতার উন্মুক্ত ঘাড় ও বয়কাট চুলের চেহারা বাড়ি ফেরার পথে সকলেই দেখেছিল। সে অবশেষে কিছু দিন পরে তার শর্ট হেয়ারকাট উপভোগ করা শুরু করে।

Tuesday, April 19, 2011

গ্রামের মেয়ে ময়নার অতি আধুনিক মেয়েতে রূপান্তর - গল্প পোস্ট করেছেন সন্দীপ

ময়না ছিল গ্রামের মেয়ে যে সম্প্রতি রমেশের সাথে বিয়ে করেছিল, রমেশ শহরে বড় এমএনসি কোম্পানিতে ম্যানেজার ছিল এবং বিয়ের পরে তারা দুজনেই শহরের ফ্ল্যাটে চলে গিয়েছিল। ময়না একটি সাধারণ গ্রামের মেয়ে যে গ্রামবাসীর মতো পোশাক পরতেছিল তার শাড়ির ধরন ছিল গ্রাম্য, তার চুল সবসময় খোঁপা দেওয়া ছিল এবং তাকে সবসময় চিরাচরিত গ্রামীণ ভিটার মেয়েদের মতো দেখাত। রমেশ তার বাবা-মায়ের পছন্দে সম্মত হয়েছিল কিন্তু সে সবসময় চেয়েছিল যে তিনি তার স্ত্রীকে আধুনিক করতে চান যেহেতু তারা শহরে থাকেন এবং সে এমএনসিতে কাজ করতেন কিন্তু ময়না কখনোই এতে রাজি হয়নি এবং সে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরতে থাকে। 

একদিন রমেশের অফিসে পার্টি ছিল এবং অফিসের সমস্ত লোককে পরিবার সহ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ময়নাও রমেশের সাথে সেখানে গিয়েছিল, সেখানে পার্টিতে সবাই ইংরেজিতে কথা বলেছিল এবং ময়না ইংরেজিতে ততটা সাবলীল ছিল না এবং সর্বদা আলগা বোধ করতেছিল। তদানীং পার্টিতে মহিলারা এক কোণে জড়ো হয়েছিল এবং পোশাক, ফ্যাশন ইত্যাদির মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল কিন্তু ময়না পুরোটা সময় বেশ চুপসে ছিল। এরপর রাতের খাবারের সময় এলো তখন ময়না বুঝতে পারল না কোন ডিশ প্রথমে খাবে এবং কীভাবে চামচে কাঁটাচামচ করে খেতে হবে এবং সে হঠাৎ তার শরীরে খাবার ছিটকে ফেলল এবং সবাই চারপাশে তাকিয়ে দেখল ময়না তালগোলে ফেঁসে আছে, রমেশও খুব রেগে যায় এবং তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় এবং তারা বাড়িতে পৌঁছে অন্যদের সামনে ঠিকভাবে আচরণ না করার জন্য তাকে বকাঝকা করে, ময়না খুব খারাপ অনুভব করে এবং পরে কাঁদতে থাকে। পরবর্তীতে রমেশ বলল চিন্তা করো না কাল থেকে তুমি শহরের ভদ্রমহিলার মতো আচরণ করা শিখতে আরম্ভ করবে। 


পরের দিন রমেশ তার প্রতিবেশী প্রেমার কাছে গেল, প্রেমা একজন মধ্যবয়সী ভদ্রমহিলা ছিল যে আগে থেকেই শহরে থাকত কিন্তু তিনি প্রথমে রমেশের একই গ্রামের ছিলেন তাই তারা বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন, সে তাকে সমস্যা ব্যাখ্যা করল এবং প্রেমা বলল যে এক মাসের মধ্যে সে ময়নাকে মডার্ন বানাবে তারপর প্রেমা ময়নার সাথে দেখা করতে এলো, ময়না তখনও মন খারাপ করে বলল এখন থেকে শেখার জন্য যা কিছু দরকার করবে। প্রেমা প্রতিদিন ময়নার বাড়িতে আসতেন এবং তাকে বিভিন্ন জিনিস শেখাতেন যেমন পার্টিতে কীভাবে আচরণ করতে হয় কীভাবে পার্টিতে খাবার খেতে হয় কীভাবে অতিথিদের খাবার পরিবেশন করতে হয় ইত্যাদি তখন প্রেমা ময়নাকে বলেছিল পরের দিন তাদের শপিং করতে যেতে হবে এবং ময়নার জন্য নতুন জামাকাপড় কিনতে হবে। কুর্তি, টপস ট্রাউজার এবং জিন্সের মতো জামাকাপড় পরার অভ্যাস করতে হবে, ময়না রাজি হয়ে গেল এবং তারা গিয়ে নতুন জামাকাপড় কিনল এবং আস্তে আস্তে সেগুলি পরতে শুরু করল এবং এখন মানিয়ে নিল এমনকি রমেশও খুশি কিন্তু প্রেমা বলল আর একটা কথা বাকি আছে, ময়না জিজ্ঞেস করল কি আর প্রেমা বলেছিলেন যে তার চুলের স্টাইলটিও পরিবর্তন করা দরকার এবং তাকে বয় কাটের মধ্যে থাকা দরকার প্রথমে ময়না হতবাক হয়েছিল তবে সে মনে করেছিল যে পার্টিতে রমেশ কতটা রাগান্বিত ছিল এবং তাই এটিতেও সম্মত হয়েছিল। 

পরের দিন প্রেমা ও ময়না পার্লারে গিয়েছিল এই প্রথম ময়না পার্লারে এসেছিল প্রথমে প্রেমা ভিতরে গিয়ে বিউটিশিয়ানের সাথে কথা বলে এবং পাছু ময়নাকে ভিতরে ডাকে, ময়নাকে চেয়ারে বসিয়ে তার কবরী খুলে ফেলা হয় এবং তার চুল ভিজিয়ে দেওয়া হয়। তার গলায় কাপড় পরানো হয়েছিল অতঃপর বিউটিশিয়ান ময়নাকে বলেছিল যে সে আয়না ঢেকে দেবে এবং চুল কাটার পরেই সে নিজেকে দেখতে পাবে, তখন ময়না কাঁচির সংবেদন অনুভব করেছিল এবং তার পিছনের দিকের চুল কাঁধের দৈর্ঘ্য পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছিল এবং তার চুল মাটিতে ছিল সে এখন বব কাটে প্রেমা যে তার কাছে বসে ছিল সে ময়নার দিকে চেয়ে হেসেছিল এবং তাকে বলেছিল সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। অনন্তর বিউটিশিয়ান পাশ হতে কাটতে শুরু করলেন এবং তার চুল তার কাঁধে পড়ল। অবিলম্বে বিউটিশিয়ান তার পিছনের চুল আরও ছোট করে কেটে মেশিন নিয়ে তার ঘাড় কামালেন, শুধু সামনের দিকটা বাকি ছিল তাই বিউটিশিয়ান ময়নাকে সামনে বাঁকতে বললেন এবং পুনরায় চুল বয়িশ কাটে না আসা পর্যন্ত কাটতে শুরু করলেন। তৎকালে বিউটিশিয়ান পরে বয়কাটের মত চুল আঁচড়াল আর এখন সে নিজেকে আয়নায় দেখে হতভম্ব হয়ে গেল কিন্তু খুশি ছিল। তৎপরে সে এবং প্রেমা এলো তাদের ফ্ল্যাটে ফিরে এসে ময়নাকে নতুন লুকে দেখে রমেশও খুশি হয়েছিল পরে ফ্ল্যাটের অন্য লোকেরাও ময়নাকে দেখে এবং তার চেহারা দেখে তাজ্জব হয়েছিল। 

কয়েক সপ্তাহ পর রমেশের ফ্ল্যাটে ময়না আর রমেশ রমেশের অফিসের বন্ধুদের জন্য পার্টির আয়োজন করে। এইবার ময়না সম্পূর্ণ আধুনিক হয়ে উঠেছে এবং রমেশ বন্ধুরা এবং ওদের স্ত্রীরা ময়নাকে পুরো শহরের মেয়েতে রূপান্তরিত দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল এখন সে শহরের পোশাক এবং বয়কাটে পুরোপুরি মানিয়ে নিয়েছে।

Monday, April 18, 2011

কীর্তনার সামনের চুল কাটানো

কীর্তনা ছিল ঘরকুনো মেয়ে। সে কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ে। কিন্তু সে সবসময় তার মাঝামাঝি দৈর্ঘ্যের চুল স্কুলের মেয়েদের মতো দুটি বিনুনিতে পরত। সে প্রায়শই পাভাদাই-শার্ট পরত এবং তার সুন্দর চেহারা তার প্রতিবেশীদেরকে ঈর্ষান্বিত করত। তার একটা ইচ্ছা ছিল যে সে তার সামনের চুল কাটতে চায় যেমন ব্যাং বা ফিদার কাট যা আরও স্টাইলিশ। কিন্তু সে তার মেসো ও মাসির বাড়িতে থাকত, যাদের বাড়ির কাজের জন্য একজন গৃহপরিচারিকা ছিল। দুজনেই সমবয়সী হওয়ায় গৃহপরিচারিকা কীর্তনার সাথে নির্দ্বিধায় কথা বলত এবং সে গৃহপরিচারিকার কাছ থেকে তার বাড়িতে ঘটতে থাকা কিছু গোপনীয় তথ্য পেত। সে তাদের কাছে পার্লারে গিয়ে তার সামনের চুল স্টাইলিশভাবে কাটার অনুমতি চাইছিল। কিন্তু তারা উভয়েই তাকে তা করতে দেয়নি কারণ তারা অনুভব করেছিল যে মেয়েরা পার্লারে যেতে পারে না। কীর্তনা সবসময় অনুভব করত যে তারা দুজনেই তার সৌন্দর্য বর্ধন দেখতে চায় না। 

অবশেষে এক বছর পর, যখন সে ১ম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা শেষে ছুটিতে ছিল। তার মাসি বললেন আমি তোমাকে কাছের পার্লারে নিয়ে যাব এবং তুমি তোমার ইচ্ছামত চুল কাটতে পারো। কীর্তনা সত্যিই অনুভব করেছিল যে তার ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে। তার মাসি যেমনটি বলেছিল পরের রবিবার আমরা তোমার চুল কাটতে পারি, কীর্তনা খুশি হয়েছিল এবং তার চুল ছুঁয়ে খেলছিল এবং ভাবছিল যে সে আসছে সপ্তাহে স্টাইলিশ সামনের চুল রাখতে পারবে। তাকে পার্লারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং অপেক্ষা করছিল। পার্লারের বিশেষত্ব ছিল তাদের একজন আচারী আছে যারা পার্লারের বাইরে বসে থাকে ওদের নিমিত্ত যারা কান, নাক ফুঁড়াতে চায়। কোন মেয়ে চুল কাটা ও বিদ্ধ করতে এলে বিউটিশিয়ান তার চুল কাটবে এবং আচারী তার নাক বিঁধাবে। কীর্তনা তা জানত না। তার মাসি বললেন, কীর্তনা প্লিজ পার্লারের ভেতরে দাঁড়াও, আমি ৫ মিনিটের মধ্যে আসছি। তিনি বাইরে গিয়ে ভিতরে বসা কীর্তনাকে ডাকলেন। এখানে বসো এবং তিনি যা বলেন তাই করো। সে জিজ্ঞেস করল আমি আমার চুল পার্লারে কাটতে চাই, এখানে নয়। তার মাসি বলল, সে তোমার চুল কাটবে না। সে তোমার জন্য মুকুথি লাগাবে। তোমার নাক ছিদ্র করতে হবে। সে উত্তেজিত হয়ে উঠতে যাচ্ছিল কিন্তু তার মাসি চড় মেরে তাকে বসিয়ে দিলো। এদিকে আচারী নাকে একটা লাল গরম সুঁই ঢুকিয়ে দিলো। কীর্তনা চিৎকার করে উঠল এবং রাস্তার সবাই তাকে দেখতে লাগল। কীর্তনা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে উঠল, ব্যথায় তীক্ষ্ণ আর্তনাদ করে উঠল। রক্ত আর অশ্রু ঝরছিল। তাকে তার নাকের উপর চকচকে একটি গোলাকার সোনার মুকুথি দেওয়া হয়েছিল। কীর্তনা জিজ্ঞেস করলো আমাকে ঠকালেন কেন? তার মাসি বললেন, কলেজের মেয়ে হিসেবে চুল কাটতে না নাকে বিঁধতে হবে। কীর্তনা তার বাড়িতে গিয়েছিল এবং এক সপ্তাহের জন্য বাইরে আসেনি কারণ অসহ্য ব্যথা ছিল এবং অন্যদের দেখে সে লজ্জা বোধ করেছিল। তার মেসো তাকে নিয়ে মুকুথিতে মজা করেছিল এবং সে বিশেষ করে ছেলেদের সাথে কথা বলতে লজ্জা অনুভব করেছিল। একদিন, সে তার গৃহপরিচারিকার সাথে কথা বলছিল, যখন সে বলেছিল গত সপ্তাহে আপনার মাসি এবং মেসো আপনাকে দমিয়ে দিতে এবং আপনার নাক ছিদ্র করার জন্য আলোচনা করছেন। তারা আপনাকে প্রবঞ্চণা করার পরিকল্পনা করেছে। তাই সে বলল যতক্ষণ না আপনি আবার চুল কাটার জন্য জিজ্ঞাসা করেন এবং তারা বলে ঠিক আছে, তারা আপনাকে পার্লারে নিয়ে গেলে কখনই গ্রাহ্য করবেন না। এক মাস চলে যাওয়ার পরে, কীর্তনা টিভিতে একজন অভিনেত্রীকে সামনের চুল কাটতে দেখে এবং তার ইচ্ছা আবার বেড়ে যায়। আস্তে ধীরে সে তার মাসিকে তার চুল কাটার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল। তার মাসি বলল মেসোর সাথে আলোচনা করে তাকে জানাবে। কীর্তনা বললো আমি যেমন মুকুথি রাখছি তোমাদের ইচ্ছে মতো, দয়া করে চুল কাটার অনুমতি দিও। 

কিছু দিন পরে, তাকে একটি সুখবর দেওয়া হয়েছিল যে অবশেষে তাকে চুল কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবার সে বলল, আমি নিজে নিজেই পার্লারে যাব, তাই প্রবঞ্চিত হতে পারি না। ওর মাসি বলল ঠিক আছে। কীর্তনা পরের দিন ঘুম থেকে উঠে দীর্ঘ দিনের ইচ্ছাপূরণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে শুরু করে। সে এখন তার মুকুথির সাথে অতীব সুন্দরী ছিল। সে যদি তার সামনের চুল কাটে তাহলে তাকে আরও সুন্দর দেখাবে বলে সে ভেবেছিল। তার এলাকায় মাত্র দুটি পার্লার আছে, অন্য পার্লারের সামনে আচারি থাকায় তাকে দ্বিতীয় পার্লারে যেতে হয়েছিল। সে তাকে দেখতে পারে এবং তাকে কানের লতি বা নাকের অন্য পাশে ছিদ্র করতে বাধ্য করতে পারে যা সে ভেবেছিল৷ সে তার মোবাইল ফোন নিয়ে সকাল ১১টার দিকে চলে গেল৷ তার মাসি তাকে ভালো চুল কাটার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সে পার্লারে চলে গেল যা বাড়ি থেকে ২০ মিনিট দূরে। সে খুব খুশি ছিল এবং সে হাঁটা দূরত্বের পরোয়া করেনি। সে পার্লারে গেল। আরেকটা মেয়ে ছিল তার ভ্রু চিকন করছিল। তাই তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। মেয়েটির হয়ে গেলে, সে তার আসনে বসল এবং বিউটিশিয়ান তাকে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলো। সে গৃহপরিচারিকার ফোন পেয়েছে, কীর্তনা বলল আমি ব্যস্ত আছি, পরে ফোন করব। এদিকে কীর্তনা কল এটেন্ড করছিল, বিউটিশিয়ান তার কাঁচি নিয়ে তার চুলে পানি দিলো। গৃহপরিচারিকা বলল ম্যাডাম আপনি আবার প্রতারিত হয়েছেন। কীর্তনা বলল তুমি কি বলছ। গৃহপরিচারিকা বলল, এ মাত্র আপনার মাসি ওই পার্লারের ভদ্রমহিলাকে কলে বললেন যে আপনি ওখানে আসবেন এবং যখন সে চেয়ারে বসে থাকবে, তখন তার সামনের চুল কাটবেন না বরং তার ঘাড়ের মুক্ত প্রবাহিত চুল ছোট ছোট করে দিয়ে কাঁধ পর্যন্ত চুল কাটবেন। কথাটা শুনে হতবাক হয়ে গেলেন কীর্তনা। কিন্তু সে তার ঘাড়ের চারপাশে কিছু অনুভব করেছিল, যেটি ছিল কাঁচি তার মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুলকে অর্ধেক করতে শুরু করেছিল। সে সিট থেকে উঠে চিৎকার করে উঠল। বিউটিশিয়ান বলল, আমি আপনার মাসির কথা অস্বীকার করতে পারি না কারণ তিনি আপনার কাঁধের দৈর্ঘ্যের চুল কাটার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিউটিশিয়ান বলেছেন আপনি যদি এভাবে যান তবে আপনাকে কুৎসিত দেখাবে। বসে বসে চুল কাটানোই ভালো। 

কীর্তনা পালানোর আর কোন উপায় না পেয়ে, আবার প্রবঞ্চিত বোধ করে, চেয়ারে বসে চুল কাটার জন্য মাথা নিচু করে। বিউটিশিয়ান তার চুলের দৈর্ঘ্য কমাতে শুরু করেন। সে প্রায় কাঁদছিল। বিউটিশিয়ান তার চুলের দৈর্ঘ্য তার নেকলাইনে কমিয়ে দিয়েছে এবং তার পুরো নিম্ন পিঠ এখন দৃশ্যমান। বিউটিশিয়ান আরেক জোড়া ছোট কাঁচি নিয়ে তার নেকলাইনের চুল ছেঁটে দিল। কীর্তনা জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি এখন তার সামনের চুল কাটাতে পারবেন কিনা, বিউটিশিয়ান বলেছিলেন যে সামনের চুল কাটানো শুধুমাত্র লম্বা চুল বা মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুলের মেয়েদের জন্য। কাঁধের দৈর্ঘ্যের জন্য, এটি তাকে খারাপ দেখাবে। কীর্তনা অনুভব করল তার চোখ বেয়ে অশ্রু বয়ে যাচ্ছে যখন সে তার পিছনের চুল স্পর্শ করেছে। তার বেশিরভাগ চুল বিউটি পার্লারের মেঝেতে ছিল। সে আয়নায় তার নতুন চেহারা দেখে কাঁদতে লাগল। যখন সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো, তখন তার কেশশূণ্য ঘাড়ে শীতল বাতাস বইতে লাগল। তাকে দেখতে প্রায় বব কাটা মেয়ের মতো লাগছে যার নাকে মুকুথি রয়েছে। 



Sunday, April 17, 2011

তনুকা বাজি ও চুল হেরেছে

তনুকা গিরিশকে বিয়ে করেছিল, সে একজন কর্মজীবী ​​মহিলা। সে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। তার কোমর পর্যন্ত লম্বা এবং ঘন চুল ছিল। সে তার চুল অনেক ভালোবাসে। গিরিশও এই কথা জানে। কিন্তু তিনি তার লম্বা চুল পছন্দ করেন না। তনুকার বয়কাট বা ববকাটের মতো ছোট চুল চান তিনি। কিন্তু সে এটা মেনে নেয়নি। তাই গিরিশ তাকে ছোট চুলের জন্য তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন। এক শুক্রবার রাতে তারা ডিনারে গিয়েছিল এবং তারা আড্ডা দেয় এবং কিছুর জন্য হাসছিল। সেই সময় গিরিশ তনুকার সাথে কিছু বাজি খেলেন। বাজি হলো তনুকাকে ২ মাসের মধ্যে ড্রাইভিং শিখতে হবে এবং তাদের গাড়ি চালাতে হবে, যদি তনুকা জিতে যায় গিরিশ তাকে একটি নতুন গাড়ি উপহার দেবে। সে হারলে তার চুল বলি দিতে হবে। একবার তনুকা এই বাজি শুনল সে এই শর্তের জন্য মেনে নিতে পারে না। তাই সে বলল প্লিজ কিছু তো বদলাও, কারণ আমি আমার লম্বা চুল হারাতে চাই না। কিন্তু গিরিশ বলল সুযোগ নেই তুমি জিতলে নতুন গাড়ি পাবে, নইলে আমি তোমাকে পার্লারে নিয়ে আসব এবং আমার ইচ্ছায় তোমার চুল কেটে দেবো। 


অবশেষে সে এই বাজি মেনে নেয়, এবং পরবর্তীতে সে ড্রাইভিং স্কুলে যোগ দেয় এবং ড্রাইভিং শিখে, সে তার চুল কাটতে চায় না। তাই প্রতিদিন সে সকাল-সন্ধ্যা ৪ ঘণ্টা গাড়ি চালায়। ২ মাস পর ঐ দিন এসেছে, গিরিশ তার গাড়ির চাবি দিয়ে বলল, প্লিজ গাড়ি চালাও। সে আত্মবিশ্বাসের সাথে গাড়ি চালাচ্ছিল তখনই একটি কুকুর হঠাৎ রাস্তা পার হয়, সে হতবাক হয়ে যায় এবং সে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তাই কিছু ছোট দুর্ঘটনা ঘটে। তবে রাস্তায় উভয়ের বা অন্যদের জন্য কোনও বড় আঘাত নেই। কুকুরসহ সবাই নিরাপদ। কিন্তু সে অনেক কেঁদেছে। গিরিশ তনুকাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সে রাজি নয়। তারপর গিরিশ গাড়ি চালাতে শুরু করে এবং তারা তাদের বাড়িতে চলে যায়। গিরিশ বলল তাই তুমি বাজি হারলে, প্লিজ তোমার চুল কাটার জন্য রেডি হও, সে এর উত্তর দেয়নি। সে শান্তভাবে বিছানা অনুভব করে এবং কাঁদতে শুরু করে।


পরের দিন রবিবার ছিল, গিরিশ তনুকাকে ডাকছিল, সে নার্ভাস মুখে এসেছিল, সে বলল প্লিজ আমার সাথে পার্লারে এসো, সে বলল এটা আমার ভুল নয় যে কুকুরটা হঠাৎ রাস্তা পার হতে গেল আর আমি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি তাই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, নইলে আমি ঠিকমতো চালাতাম, সে বলল গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে না মানে ঠিকমতো চালাওনি। সুতরাং স্পষ্টতই আপনি বাজি হেরে গেছেন। সে কাঁদতে শুরু করেছে। অতঃপর দুজনেই পার্লারে গেল। গিরিশ বিউটিশিয়ানকে তনুকার চুল কাটা নিয়ে কিছু কথা বললেন। ও ঠিক আছে বলে তনুকাকে ঘরে ডেকে চেয়ারে বসতে বলেন। সেও চেয়ারে বসেছিল, এবং তিনি বিউটিশিয়ানকে জিজ্ঞাসা করছেন তার স্বামী তাকে কী বলেছেন। সে বলল চুল বয়কাটের মত ছোট করে কাট। সে আবার কাঁদতে লাগল। বিউটিশিয়ান তনুকাকে বোঝালেন, চিন্তা করবেন না ম্যাডাম, চুল কাটলে আপনাকে অসাধারণ দেখাবে তাই অনুগ্রহ করে আপনার নতুন চেহারার জন্য চেষ্টা করুন। কিন্তু মেয়েটি তার কথা বিবেচনা করেনি। 

তারপর বিউটিশিয়ান তার লম্বা চুল আঁচড়াতে শুরু করল, এবং সে তার শরীর কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলো, এবং তার চুলে কিছু জল স্প্রে করে আবার সে ঠিকভাবে চিরুনি করছে, তনুকা তার চুল কাটা দেখতে চায় না বলে তার চোখ বন্ধ করে দিলো। তারপর বিউটিশিয়ান কাঁচি নিয়ে তার চুল কাটা শুরু করে। প্রথমে সে তার থুতনি পর্যন্ত চুল খুব ছোট করে কেটেছিল। তনুকার লম্বা চুল ১০ সেকেন্ডের মধ্যে চলে গেছে, তার অনুমতি ছাড়াই। তারপরে সে তার চুলের পিছনের দিকে কিছু মেশিন রাখল, এবং ঘনিষ্ঠভাবে রাখল, যাতে পিছনের দিকে ছেলেসুলভ দেখায়, তারপর সে তার চুলের সামনের দিকটি কেটে দেয়। এবং এটিকে ক্রপ কাট চুলের মতো করে, এবং উভয় দিকেই সে তার চুল শীঘ্রই কাটে, আরও ৫ মিনিটে সে ওর চুল কাটা শেষ করে। তারপর সে তার চুল সঠিকভাবে আঁচড়াচ্ছিল। অবশেষে বিউটিশিয়ান তনুকাকে বলল, ম্যাডাম আপনার চুল কাটা শেষ, সে ধীরে ধীরে চোখ খুলে আয়নায় তার মুখ দেখল সে তার মুখ চিনতে পারছে না, একজন ব‍্যাটা ছেলে চেয়ারে বসে আছে। সে তার চেহারা দেখে হতবাক, কিন্তু তার কোনো নালিশে কিছুই হবে না। তারপর সে দরজা খুলে তার স্বামীর সামনে এলো, গিরিশ তার নতুন চেহারা উপভোগ করল এবং বলল ওহ!! তুমি অনন‍্য, তোমার চুল কাটার প্রশংসা করার জন্য আমার কাছে শব্দ নেই। যাইহোক, আমি তোমাকে একটি নতুন গাড়ি উপহার দিতে যাচ্ছি, কারণ তুমি তোমার চুল বলি দিয়েছ, অতএব তারা উভয়ই হেরেছেন এবং উভয়ই বাজি জিতেছেন। কিন্তু তনুকা আর কোন কথা না বললে দুজনে নিজেদের বাসায় চলে গেল। তত্রাচ তনুকা গত ৩ দিন ধরে গিরিশের সঙ্গে কথা বলেনি। গিরিশ বিরক্ত হয়ে গেল, অবশেষে সে সাথে কথা বলল তোমার কি হয়েছে, তুমি অফিসে যাচ্ছ না আর আমার সাথে তিনদিন কথাও বলো না। এই জন্য সে তাকে উত্তর দেয়নি। বারবার সে প্রশ্ন করল, তারপর সে বলল, গিরিশ তুমি তোমার ইচ্ছা শেষ করেছ, তুমি আমার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করনি, তাহলে আমি কেন কথা বলতে চাইব, আমিও এহেন চুল কেটে অফিসে যেতে পারি না, দয়া করে আমাকে কিছু পরচুলা, কিনে দিও। কিন্তু তিনি বললেন দয়া করে তুমি এই চুল কাটার সাথে দুর্দান্ত দেখাচ্ছ, তাই কিছুর পরোয়া করবে না। অনেক বোঝানোর পর অবশেষে সে গিরিশের সঙ্গে কথা বলে। পরের দিন সে তার নতুন চেহারা নিয়ে অফিসে গেল। তার চুল কাটা দেখে সবাই আশ্চর্য এবং অবাক হয়ে গেল, তার নতুন চেহারার প্রশংসাও করল। এবং তারা তার চুল কাটার কারণ জিজ্ঞাসা করছেন। তিনি বলেছিলেন যে আমি আমার চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম কারণ এত লম্বা চুল বজায় রাখা কঠিন। সেজন্য আমি এটি ছোট করেছিলাম। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে কাঁদছিল।

Wednesday, April 13, 2011

বিনীতা সঞ্জনার পথে যায়

কেরালার সঞ্জনা, স্পষ্টতই মাল্লু মেয়েরা তাদের লম্বা চুলের জন্য বিখ্যাত, কিন্তু সঞ্জনা বব বা বয়কাট স্টাইলের কুন্তল পছন্দ করে। গ্রীষ্মের ঋতুতে সে তার চুলকে তার কাঁধের দৈর্ঘ্য পর্যন্ত বজায় রাখবে যদি সে বয়কাটের মতো তার চুল ছোট করবে। কেরালার অন্যান্য মেয়েদের থেকে সে তার হেয়ারস্টাইলে আলাদা। সে কলেজ হোস্টেলে থাকে। তার রুমমেটের নাম বিনীতা, তার মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুল ছিল। সে গত সপ্তাহে তার চুল সোজা করেছ যাতে এটি তার পোঁদ পর্যন্ত প্রসারিত হয়৷ এটি দেখতে খুব সুন্দর৷ সঞ্জনা বিনীতার চুল দেখে এবং সেও বিনীতার মতো তার চুল বাড়াতে চায়। তাই সে বলল আমি এখন নিজেই আমার চুল কাটতে চাই না, আমি আমার চুল লম্বা করতে চাই কারণ তোমার লম্বা চুল আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। সে বলল তুমি এই ধরনের লম্বা চুল বজায় রাখতে পারবে না, তোমার চুল ধোয়ার ধৈর্যও নেই। তাই এটা কঠিন। এই আলোচনার পর সানজানা আর চুল কাটছে না ২ বছর। 

তার চুল আজ বিনীতার চুলের মতন নিতম্ব পর্যন্ত, এবং এটি সিল্কি, কিন্তু হঠাৎ করেই, বিনীতা একদিন সুন্দরভাবে বয়কাট দিয়ে এসেছিল, সঞ্জনা তার নতুন চুল কাটার জন্য হতবাক হয়েছিল, সে জিজ্ঞাসা করল, কেন তুমি তোমার চুল ছোট করেছ? তোমার একটি সুন্দর চুল ছিল, সে বলে, আমি আমার চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে চাই, কারণ, খুশকি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অন্যান্য কারণেও আমি আমার লম্বা চুল নিয়ে বিরক্ত হয়েছি। আমি আমার লম্বা চুলে আরাম পাচ্ছি না। চুল কাটার কথা ভাবছি, তাই আজ চুল কাটলাম। কিন্তু সানজানা বলল এটা সত্যিই আমাকে হতবাক করেছে যে তোমার কারণে আমি আমার চুল বড় করেছি, এবং আমি একবার আমার চুল কাটার কথা ভাবছি না, কিন্তু তুমি ছেলের মতো চুল কাটিয়েছ। কিন্তু তুমি কিউট তুমি অসাধারণ। বিনীতা হেসে বলল, ধন্যবাদ তোমার প্রশংসামূলক মন্তব্যের জন্য। কিন্তু তুমি তোমার চুল কাটবে না তোমার চুল সিল্কি এবং সোজা তাই প্লিজ কাটবে না, সঞ্জনা বলল কোন সুযোগ নেই আমি আমার উরু পর্যন্ত চুল বাড়াতে চাই। আমি আমার লম্বা চুল ভালোবাসি। তাই অবশেষে বিনীতা সঞ্জনার পথে যায়।

Monday, April 4, 2011

অবশেষে আমার মাথা ন্যাড়া হয়ে গেল (গায়ত্রীর গৃহ মুণ্ডন শেষ পর্ব)

সে আমার মাথায় জল ঢালতে লাগল। সে সমস্ত জল ঢেলে দিলো এবং আমার মাথায় আলতো করে এবং দ্রুত লেপন করল। সে আমাকে সামনের দিকে ঝুঁকতে বলল। আমার হৃদস্পন্দন বেড়েছে কারণ আমি ভেবেছিলাম সে এখন শেভ করবে, কিন্তু সে পিঠে এবং গ্রীবার পশ্চাদ্ভাগে জল ঢেলে দিলো। সে জলের সাথে একটি পুনরাবৃত্তিমূলক গতিতে হালকাভাবে চাপলেন। আমি আমার মাথা থেকে আমার চুলের মধ্যে দিয়ে মাটিতে জলের ফোঁটাগুলি চলাচল করতে দেখেছি। আমি খোলা মাটিতে বসার দরুন আমার চুলের প্রান্তগুলি ময়লা এবং কাদা সংগ্রহ করেছিল কারণ অতিরিক্ত জল চুলের ডগাগুলিকে ভিজিয়ে দিয়েছিল। সে আমার চিপ ভিজিয়ে জল দেয়া শেষ করল। 

সে বলেছিল যে আমার চুল খুব ঘন ছিল এবং চুলের গোড়া সম্পূর্ণ ভিজতে বেশি জল লাগে। আমার জামা প্রায় ভিজে গিয়েছিল। তারপর তিনি কুয়োর দেয়ালে রাখা ক্ষুরটি নিতে উঠে দাঁড়ালেন। আমার মুখমণ্ডলে জলের ফোঁটা আসছিল তাই আমি আমার মুখ মুছে আবার কানের পিছনে আমার চুল সারিবদ্ধ করলাম। 

সে ক্ষুর নিল, আমার হার্টবিট বেড়ে গেল। তিনি আমাকে যতদূর সম্ভব সামনের দিকে ঝুঁকতে বললেন এবং এখন থেকে মাথা নাড়তে না করল। তিনি ৩টি আঙ্গুল দিয়ে আমার মাথা শক্ত করে ধরেছিলেন, সে ক্ষুরটা আমার মাথার কেন্দ্রস্থলে রেখে, চূড়ার দিকে টেনে নিয়েছিলেন। আমার চুল মাটিতে পড়ার আগেই আমার চোখ থেকে ফোঁটা জল আপনা-আপনি বেরিয়ে এলো। আমি কাঁদতে লাগলাম। সে কেন্দ্র থেকে বাম দিকে বারংবার বেশ কয়েকটি খাবল দিয়েছিল। একইভাবে কেন্দ্র থেকে ডানে দেওয়া হয়েছিল। সে তারপর চূড়ার উপর ক্ষুর রেখে গ্রীবার দিকে একটি খাবল দিলো এবং আমার মাথার পিছনে খেউরি করা শুরু করল। আমি অনুভব করলাম আমার মাথা থেকে প্রচুর চুল পড়ে যাচ্ছে। সে তখন আমার কানের নিচে ও ঘাড় কামালো। আমার চিপ কামালো। অতঃপর সে এক আঁজলা জল নিয়ে আমার মাথায় ঘষে দিল। তখনই আমি অনুভব করলাম আমার সকল চুল কামানো। এবার সে আমাকে তার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করল এবং উল্টোভাবে শেভ করতে লাগল। শেভিং এর শেষ পোঁচ দিতে আমার মাথা বাম এবং ডান দিকে ঘুরিয়ে দেখল। সে আবার আমার উভয় পাশের চিপ কামিয়ে দিলো এবং ক্ষুরটি নিচে রাখল, আমার মাথায় চুলের কোন ছোট লেশ আছে কিনা তা পরীক্ষা করল। সে বলল সব শেষ। 


আমি উঠে দেখলাম প্রচুর চুল মাটিতে পড়ে আছে। অশ্রু গড়িয়ে পড়ল এবং আমি আমার চোখ মুছলাম এবং আমার টি-শার্টে লেগে থাকা ফেঁসো চুলগুলি সরিয়ে ফেললাম। সাহস যুগিয়ে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে আমার বাসার ভিতর ঢুকলাম। ১০ মিনিটের মধ্যে, সে সবকিছু শেষ করে ফেলল। আমার দিদিমা, পিসি এবং মা আমার দিকে এসে আমার পরিষ্কার টাক মাথা ঘষে দিলেন। আমার দিদিমা তাকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন যে সে এটি খুব মসৃণ করেছে। 

পিসি আমাকে ড্রেস চেঞ্জ করতে বলল। আমি বাথরুমের ভিতরে গিয়েছিলাম এবং মস্তক মুন্ডন করার পর প্রথমবার আমার কামানো চাঁদিতে হাত রাখলাম। আমি অশ্রুপাত করলাম এবং নিজেকে বোঝালাম যে আমার এই চেহারা শীঘ্রই বদলে যাবে। তারপর বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে আমার দিদিমা, পিসি এবং আমার মা আমাকে দেখে হাসছেন এবং বলছেন যে আমি শীঘ্রই আরও ৬ বছরের মধ্যে আমার একই পাছা পার লম্বা চুল ফিরে পাব। আমার চুল ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমার জন্য সেই ৬ বছর ছয় দশকের মতো হবে। সব শেষ হয়ে গেছে, এখন ক্রমাগত কান্না করে লাভ নেই। তাই আমি হাসলাম এবং তারপর থেকে তারা আমাকে তামিল ভাষায় \"মোত্তাই গায়ু\" বলে ডাকতে শুরু করে। বাংলাতে Mottai Gayu মানে নেড়ামুন্ডি গায়ু। 


এই দিনটি আমি জীবনেও ভুলব না।

অবশেষে আমার মাথা ন্যাড়া হয়ে গেল (গায়ত্রীর গৃহ মুণ্ডন ৩য় পর্ব)

শনিবার - 02/04/2011 

আমি সকাল ৬.৩০ টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম এবং আমার মন তৈরি করেছিলাম যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে বলে টেনশন/চিন্তা না করার জন্য, আমাকে শুধু সহযোগিতা করতে হবে। তাই আমি আমার চুলের জন্য একটিবার তেল দেয়া ও ধোয়ার পরিকল্পনা করেছি এবং এটিতে তেল দিতে শুরু করেছি। এর মধ্যে আমার পিসি এলেন, মাথায় তেল মালিশ করলেন এবং গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত তেল লাগিয়ে দিলেন। সে আমার চুল থেকে একটি চুলের জটা তৈরি করেছে। প্রায় ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর, আমি শেষবারের মতো হেডবাথ নিয়েছিলাম। তারপর আমার পিসি আমাকে চুল শুকাতে সাহায্য করেছিলেন এবং তাদের জট বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন। সকাল ৯.৩০ নাগাদ এটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়েছিল এবং আমি মধ‍্যখানে সিঁথি নিয়েছি এবং আমার চুল আঁচড়ালাম এবং আমার প্রিয় জটা হেয়ারস্টাইল তৈরি করেছি। হ্যাঁ এটাই শেষবার আমি আমার চুল স্পর্শ করেছি। প্রাতঃরাশের সময়, আমার ঠাকুমা আমাকে বলেছিলেন যে নাপিত ১২ টার আগে যে কোনও সময় আসতে পারে। আমি তার দিকে তাকিয়ে হাসলাম। তিনি বলেছিলেন যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে এবং চিন্তা করবেন না। আমার মনোযোগ অন্যত্র করার জন্য আমি কিছু কমেডি টিভি চ্যানেল দেখছিলাম। খোলাখুলি বলতে গেলে, আমি সবকিছু ভুলে গিয়েছিলাম এবং প্রচারিত কমেডি ক্লিপগুলিতে হাসতে শুরু করেছি। 


১১.৪০ টায়, নাপিত এসেছিলেন এবং আমার মা তাকে আমার বাড়ির পিছনের উঠোনে নির্দেশ করেছিলেন। আমি জানি এই সময় আমার কান্না করা উচিত নয়। আমার ঠাকুমা আমাকে জড়িয়ে ধরেন, আমার পিসি আমাকে আমার কপালে চুম্বন করেছিলেন, এদিকে আমার মা বললেন যে তারা ঘরের ভিতরে বসে থাকবে এবং আমার মাথার চুল কামানো দেখবে না কারণ আমি তাদের দেখে কাঁদব। তাই তারা আমাকে একা যেতে বলে এবং মাথার মুণ্ডনের জন্য বাড়ির উঠোনে ইদারার পাশে বসতে বলে কারণ সেখানে নাপিত অপেক্ষা করছিল। 


কুয়া থেকে একটি বালতি ভর্তি জল প্রস্তুত ছিল এবং নাপিত আমাকে একটি ছোট কাপ/মগ আনতে বলেছিল। শীঘ্রই আমি ভিতরে গেলাম এবং সবাই (আমার ঠাকুমা, পিসি, মা) ভাবলাম আমি ভয়ে বেরিয়ে এসেছি। আমি মগ নিলাম, আমার মা আমাকে থামিয়ে দিলেন এবং বললেন যে তারা গায়ত্রীর নতুন চেহারা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। 

আমি যখন বাড়ির পিছনের দিকে হাজির হলাম তখন ঠিক ১১.৪৫টা। তারপর আমি নাপিতকে মগ দিলাম, তিনি আমাকে তার রেজারে নতুন ব্লেড পরিবর্তন করে মস্তক মুণ্ডনপ্রার্থীকে আনতে বললেন। আমি শুধু মুখচাপা স্বরে এটা আমার জন্য বলেছি। তিনি এক মুহুর্তের জন্য আমার দিকে তাকালেন কারণ আমি হাঁটু দৈর্ঘ্যের ক্রপড ট্র্যাক প্যান্টের সাথে একটি গোল গলার টি-শার্ট পরেছিলাম। আমার কবরী খোঁপা এখনও ঘাড়ের উপর রয়েছে তা ঠাহর করে আমি এটি সরিয়ে দিয়েছি এবং আমার কানের পিছনের চুলগুলি সারিবদ্ধ করেছি। আমার চুল আলগা করার পর, আমি উঠোনের দরজা থেকে সরে তার সামনে বসলাম। আমার আলগা চুলের প্রায় শেষ ৩ ইঞ্চি মাটি ছুঁয়েছে। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন পরচুলা তৈরির জন্য আমার চুলের প্রয়োজন আছে কিনা। আমি বললাম না কারণ আমি জানি আমার মা আমাকে স্কার্ফ ছাড়া অন্য কিছুতে আমার কামানো চাঁদি ঢাকতে দেবেন না। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম এত লম্বা চুল দেখে সে এমন প্রশ্ন করেছে কিনা। এর জন্য তিনি উত্তর দিলেন যে এটি যদি পরচুলা/বিক্রির জন্য হয় তবে তিনি মাথার দুপাশে চুলের দুটি গিঁট তৈরি করবেন। 

প্রিয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত

টন্সার হলে এটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। শুধু আমার নিজের কল্পিত নাম উল্লেখ করেছি, তবে সব কথোপকথন সত্য। এটি গত সপ্তাহে তিরুমালায় ঘটেছে। এটি একজন আন্টিকে তার বয়স ২৬ থেকে ২৮ এর কাছাকাছি, তার ববকাট চুলের স্টাইল দেখতে অপরূপা ছিল। তিনি তার বন্ধুর সাথে এসেছিলেন, তার পাছাপার লম্বা চুল ছিল। আমি ভেবেছিলাম দুজনেই চুল কাটার অভিপ্রায়ে যাচ্ছে, কারণ দুজনেই খুব আধুনিকা এবং ধনী, এছাড়াও খুব সুন্দরী। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। কি হলো?? অনুগ্রহ করে গল্পটি পড়ুন।

প্রিয়া এবং তার বন্ধু টন্সার হলের মধ্যে, প্রিয়া আসলে চুল কাটার জন্য এসেছিল, কিন্তু হঠাৎ উনি রাধিকাকে বলল, আরে আমি কি আমার মাথা কামাতে পারি, রাধিকা হতবাক হয়ে উত্তর দিলো, আরে তুমি কি পাগল নাকি? তোমার কি হয়েছে? ওরা দুজনেই শুধু সামান্য একটা চুল কাটার জন্য এসেছিল, প্রিয়া উত্তর দিলো, হ্যাঁ, কিন্তু এখন আমি আমার সব চুল কামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ, পরের মাসে আমি পার্লারে চুল কাটব, তুমি জানো তো প্রতি গ্রীষ্মে আমি আমার চুল ছোট করি, ববকাট থেকে বয়কাট করি, কিন্তু আমি যদি আমার মাথা মুণ্ডন করি, তাহলে আর ৬ থেকে ৭ মাস পার্লারে যেতে হবে না, আমিও মনোবাসনা সিদ্ধির জন্য সংকল্প নিয়েছি, তাই এতে শুধুমাত্র লাভই আছে। রাধিকা হেসে বলল, এটা তোমার ব্যাপার, তোমার স্বামী যদি মেনে না নেয় তাহলে তুমি কি করতে পারবে, ও জবাব দিলো, আমি যদি মাথা কামিয়ে আমার বাড়িতে যাই, কেউ কিছু কইবে না, আমার স্বামীও পরের বছর আমাদের পারিবারিক খেউরির পরিকল্পনা করছেন, তাই ওটা কোন সমস্যা না, রাধিকা বলল তাহলে ঠিক আছে, প্রিয়া রাধিকাকে বলল, আরে তুমি কি আমাকে সঙ্গ দিতে পারো, রাধিকা হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করল কিসে? সে বলল, মুড়ানোতে, রাধিকা রেগে গেল এবং প্রিয়াকে তার লম্বা চুল দেখাল, আরে, আমি গত ৩ বছর ধরে আমার চুল বাড়াচ্ছি, আমি আমার মাথা ন‍্যাড়া করব না, এছাড়াও আমি এই প্রথম কাটতে যাচ্ছি। তাই এটা সম্ভব নয়, প্রিয়া হেসে বলল আরে, আমি মজা করছিলাম। তারপর রাধিকা হেসে বলল, ঠিক আছে, প্লিজ তোমার মাথা কামানোর জন্য টোকেন নিয়ে এসো, তৎপরে প্রিয়া কাউন্টারে গেল, সেখানে সে ন‍্যাড়ার টোকেন চাইছিল, তিনি প্রিয়াকে টোকেন এবং ব্লেড দিলেন, সে সিধা সারিতে এসে দাঁড়িয়েছিল, সে জানে না ন‍্যাড়ার প্রক্রিয়া। রাধিকা বলল, প্লিজ তোমার চুল ভিজিয়ে নাও, তাহলেই নাপিত শেভ করবে, অবিলম্বে প্রিয়া তার চুল জল দিয়ে ধুয়ে ফেলল, এতক্ষণে তার পালা, তাই একবার চুল ধুয়েই সে নাপিতের সামনে বসল, তার কাঁধের লম্বা চুল ছিল, তাই নাপিত গিঁট দিলেন না, সে টোকেন এবং ব্লেড দিলো, অনতিবিলম্বে নাপিত আবার তার চুল ভিজিয়ে দিলেন, এবং তিনি ছুরিতে ব্লেড রাখলেন এবং উনি সরাসরি শেভিং শুরু করলেন, সে তার মাথার মাঝখানে তার টাকের চাঁদি অনুভব করল, রাধিকা অবাক হয়ে দেখছে প্রিয়ার ন্যাড়া মাথা দেখছিল। নাপিত তার মাথা পুরোপুরি কামিয়ে দিলেন, এবং উনি বললেন শেষ, তৎক্ষণাৎ প্রিয়া তার টাক মাথায় স্পর্শ করে পরীক্ষা করে দেখল, 

 

তিনি কি কোন চুল মিস করেছেন, সে ওর মাথা কামিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছিল এবং ঐ জায়গা থেকে সরে গেল, এবং প্রিয়া রাধিকাকে জিজ্ঞেস করল, আমার টাক কেমন হয়েছে, ভাল? রাধিকা উত্তর দিলো, আরে তুমি গর্জিয়াস এবং কিউট, রাধিকা নাপিতকে বলেছিল তার ছোট চুল কাটার জন্য, সে সেটা করল, অননতর দুজনেই জায়গা থেকে সরে গেল। রাধিকা প্রিয়ার টাক মাথায় ছুঁয়ে বলল, এটা খুব মসৃণ, তুমি আমাকে টন্সারের জন্য অনুপ্রাণিত করেছ, তাই সম্ভবত পরের বার আমিও আমার মাথা শেভ করতে যাচ্ছি, প্রিয়া বলল, তুমি যদি চাও তাহলে শেভ করাও এবং আমার সাথে যোগ দাও, রাধিকা বলল, না আমি আজ টেনশন পেয়েছিলাম; এছাড়াও, আমি আমার স্বামীকে আমার মস্তক মুণ্ডনের কথা বলিনি, তিনি আমার লম্বা চুল পছন্দ করেন, তাই আমি একবার তাকে বোঝাব এরপর আমি মাথা কেশমুক্ত করতে আসব, কমপক্ষে ১ বছর লাগবে। প্রিয়া বলল ঠিক আছে, সমস্যা নেই, নিজের সময় নাও, তবে প্লিজ তোমার জীবনে একবার হলেও মাথা ন্যাড়া করিয়ো, এটি চমৎকার অনুভূতি। রাধিকা উত্তর দিলো, নিশ্চিত, আমি পরের বার আমার মাথা নেড়া করব।

আমি সত্যিই ওনার সাহসী সিদ্ধান্ত পছন্দ করেছি, এছাড়াও তাদের কথোপকথনটুকু। আপনাদের মতন আগ্রহী লোকেদের সাথে শেয়ার করার জন্য এটি চমৎকার।

Sunday, April 3, 2011

ন‍্যাড়া হবার পূর্ব দিবারাত্রির ঘটনা (গায়ত্রীর গৃহ মুণ্ডন ২য় পর্ব)

আমার পরিবারে অনুসরণ করা অর্থহীন প্রথা/ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক তর্ক করেছি। কিন্তু কোন উপায় নেই, তাদের কাছে সবকিছুর উত্তর আছে। সর্বোপরি আমি একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর বাইরে তর্ক করতে পারি না এবং তাদের হাসাতে হবে কারণ আমার ঠাকুমা এবং মাসি দুজনেই আমাকে এত ভালোবাসেন কারণ আমি পুরো পরিবারে একমাত্র নাতনি/কন্যা সন্তান (আমার পিসির কেবল ছেলে ছিল)।


আমি নিজেকে বোঝাচ্ছি, এমনকি যদি আমি উল্টো হয়ে দাঁড়াই, এটি এড়ানো যায় না। আমি যতই প্রতিরোধ করব, ততই আমার ঠাকুমা ও পিসি আমার উপর চাপ সৃষ্টি করবে। যা আমি চাই না।


সমস্ত চিন্তা বাদ দিয়ে আমি শান্ত হয়ে গেলাম এবং সকালে মাথার চুলের বিষয়টি ভুলে গেলাম। আমি আমার ঠাকুমা এবং পিসির সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে শুরু করলাম। একটি চূড়ান্ত চেষ্টা করার জন্য আমি আমার ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করলাম মাথা মুণ্ডানোর পরিবর্তে অন্য কোন কাজ করা যেতে পারে কিনা। তিনি বলেন, অন্য কোন বিকল্প থাকলে তিনি আগেই বলতেন। তাই আর কোনো উপায় নেই। আমার ঠাকুমা আমাকে শেষবারের মতো মাথা ধৌত করতে বললেন। এবং বলেন যে পুরোহিত/জ্যোতিষী (তারা পারিবারিক মন্দিরের পুরোহিতের সাথে পরামর্শ করে কারণ এটি আমার পরিবারে বংশানুক্রমিকভাবে অনুসৃত রীতি/আচারের সাথে সম্পর্কিত) এখন খেউরি করতে বলে, তাহলে মাথা মুণ্ডন করা সহজ এবং সুবিধাজনক হবে কারণ হেডবাথ সারাদিনের জন্য আমার চুলকে নরম ও কোমল করে তুলবে। 


পরের মুহূর্তে আমার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকভাবেই লাফিয়ে উঠল। আমার পিসি এসেছিলেন এবং তিনি স্বেচ্ছায় আমাকে একটি বিশেষ হেডবাথ দিয়েছিলেন, তারপর তিনি আমার চুল শুকিয়েছিলেন এবং চুলের ব্রাশ দিয়ে জট বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। এটি একটি খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা ছিল কারণ আমার চুল আমার পিসি দ্বারা এত যত্ন নেওয়া হচ্ছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সে আমার হেডবাথের সময় সবকিছু করেছে, এটি প্রমাণ করে যে আমার প্রতি তার কতটা ভালবাসা, যত্ন এবং স্নেহ রয়েছে। সে খোলাখুলি কথা বলে আমার মাথার চুল কামানোর জন্য আমাকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। এবং এছাড়াও সে আমাকে মাথা মুণ্ডন না করা পর্যন্ত আমার চুল আলগা ও বাঁধনমুক্ত রাখতে বলেছিল। 


শুভ তিথি পেয়ে আমার ঠাকুমা এবং মা এসেছিলেন। শুক্রবার (আজ)/শনিবার আমার চুলকে বিদায় জানানোর দিন। ফেরার সময় তারা স্থানীয় এক নাপিতকে আজ আমাদের বাড়িতে আসতে বলেছে। তাই সন্ধ্যার মধ্যে সবকিছু হয়ে যাবে এবং শেষ হবে। আমি ভেবেছিলাম তারা আমাকে মন্দিরে নিয়ে যাবে কারণ এটি একটি প্রথা/আচার ভিত্তিক জিনিস, কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে তারা বলল যে আমার মাথা আমার বাড়ির পিছনের উঠোনে ন্যাড়া করা হবে। তারা আমাকে এর জন্য প্রস্তুত হতে বলল, আমি মাথা মুন্ডানোর জন্য অনভিলাষী সায় দিয়েছিলাম। 



আমি শুক্রবার রাতে ঘুমাতে পারিনি এই ভেবে যে আমি তক্তকে ন‍্যাড়া করব এবং আমার সমস্ত চুল শনিবারে চলে যাবে। আমি প্রায় এক ঘন্টা ধরে কেঁদেছিলাম, তারপর আমি আয়নার সামনে চুল আঁচড়াতে, চুল নিয়ে খেলতে, চুলের কিছু স্টাইল করতে কিছু সময় কাটিয়েছি। কিন্তু অবশেষে আমার চুল ধরে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়লাম। 

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...