Thursday, April 28, 2011

চুল লম্বায় বাড়াবেন না

প্রিয়াঙ্কা একজন অবিবাহিত অনাথ মেয়ে। তার চেহারা শ্যামলা রঙের ও তার বেশ লম্বা চুল রয়েছে। সব মিলিয়ে তার মুখশ্রী বেশ নজরকাড়া। সে বি.এ. ডিগ্রী নিয়েছে এবং বর্তমানে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে রিসেপশনিস্ট পদে কর্মরত। সংস্থাটিতে যোগদানের পর থেকে সে একটি লেডিস হোস্টেলে থাকত। 

একদিন সে রাত ৮টার পর তার কর্মস্থল থেকে বেরিয়েছিল হঠাৎ কেউ তাকে গাড়িতে টেনে নিয়েছিল এবং তার মুখে কিছু স্প্রে করে। সে তৎক্ষণাৎ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। এই ঘটনার পর আর তার কিছুই মনে নেই। কিছুক্ষণ পরে তার চৈতন্য ফিরলে সে চোখ খুলে এবং কোন জায়গায় আছে তা বোঝার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। সে ঘাবড়ে যায় এবং লক্ষ্য করে একটি কাঠের চেয়ারের হাতলের সঙ্গে তার হাত এবং পায়ার সঙ্গে তার পা বাঁধা আছে। তার মুখও রুমাল দিয়ে বাঁধা ছিল। 

সে ভয় পেয়ে কেঁদে ফেলে। তাকে যে ঘরে বেঁধে রাখা হয়েছে ঘরটির ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার এবং একটা ফুটোও নেই যে বাইরের আলো ঢুকবে। তাই সে ভীষণ ভয় পেয়েছিল। কিছুক্ষণ পর একজন লোক দরজা খুলে ভিতরে ঢুকল কিন্তু অন্ধকারে প্রিয়াঙ্কা তার চেহারা ও কণ্ঠ শনাক্ত করতে পারল না। সে লোকটি প্রিয়াঙ্কাকে বলে, কেমন আছো? এই বলে প্রিয়াঙ্কার মুখের বাঁধন খুলে দেয় আর বলে চিৎকার না করে উত্তর দিবে। প্রিয়াঙ্কা বলল- কি চান আপনি? আমাকে কেন উঠিয়ে এনেছেন? লোকটি জবাব দিল- আমার যা চাই তা পাওয়া হয়ে গেলেই তোমাকে আমি ছেড়ে দেব। এই সময় লোকটি তার কাঁধ স্পর্শ করে এবং বলে যায় তুমি সুন্দরী এবং আমি চাই তুমি আরও সুন্দর হয়ে উঠো। প্রিয়াঙ্কা কিছুই বুঝতে পারে না। সেই যুবক তার লম্বা চুল স্পর্শ করে বলল, তোমার এই চুলগুলি তোমার চেয়েও সুন্দর; আমি তোমার চুল আর এর গন্ধ পছন্দ করি, এর জন্যই তো ঘুমাতে পারি না। প্রিয়াঙ্কা চিৎকার করে বলল- দয়া করে আমাকে মুক্তি দিন, আমি যেতে চাই, আপনি আমার থেকে কি চান? আমার বিনিময়ে আপনি কোনো মুক্তিপণ পাবেন না। আমার তেমন টাকা নেই। আপনি হয়ত আমাকে অন্য কেউ ভেবে অপহরণ করেছেন। লোকটি হো হো করে হেসে বলল- না প্রিয়াঙ্কা, আমি জেনেশুনেই তোমাকে কিডন্যাপ করেছি এবং আমার কোনও টাকা চাই না। প্রিয়াঙ্কা লোকটির মুখে নিজের নাম শুনে আশ্চর্য হয়। আবার সে বিভ্রান্ত হয়ে লোকটিকে জিজ্ঞাসা করল, তাহলে আপনি কী চান? আপনি নিশ্চয়ই আমার শরীর চান! প্লিজ একদম আমায় ছোঁবেন না, আমি এখনও অবিবাহিতা, দয়া করে আমার এমন সর্বনাশ করবেন না। 

যুবকটি অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে বলল, তোমার কাছে কিছু সম্পদ আছে তা আমি চাই, প্রিয়াঙ্কা উত্তরে বলে- আমার নামে আমার কোনো সম্পত্তি নেই। যুবকটি উল্লেখ করে- তোমার চুল। এটিই তোমার সম্পদ, আমি তোমার এই লম্বা ও সুন্দর চুলগুলো চাই। সে হতভম্ব হয়ে বলে প্লিজ আমার চুলের সাথে কিছু করবেন না। 


ততক্ষণে সেই যুবক কাঁচি নিয়েছিল এবং তার লম্বা চুল কাটা শুরু করেছিল; ততক্ষণে সে সশব্দে কেঁদে উঠলো কিন্তু লোকটি তা বিবেচনা করল না। সে প্রিয়াঙ্কার চুলের একাংশ কেটে বলল: ‘বেশ দেখাচ্ছে' ও সেই গোছা তার কোলে রাখে। প্রিয়াঙ্কা তার কোলে তার লম্বা চুলের কেটে ফেলা গোছা দেখে তবে সে কিছুই করতে পারে না। এরপর সেই যুবক আবার তার পিছনে দাঁড়িয়ে আরো কয় গাছি লম্বা চুল কেটে আবার তার কোলের উপর ফেলল। এখন এই চেহারাতে প্রিয়াঙ্কাকে দেখতে বাজে লাগছে কারণ ডান পাশের চুল খুব লম্বা এবং বাম পাশের চুল খুব ছোট। তারপরে লোকটি তার হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। তখনই প্রিয়াঙ্কা তার শার্টের কলার ধরে ধরে যাওয়া গলায় জিজ্ঞেস করে ‘কেন আপনি আমার চুল কাটছেন?’ প্রত্যুত্তরে সে বলে, আমি তোমার চুল কেটে আনন্দ পেয়েছি। আমি তোমাকে এক্ষুনি মুক্তি দেব তবে তোমার চেহারা এখন খুব বিশ্রী দেখাচ্ছে, তাই আমি তোমার হাতে কাঁচি ও ৫ মিনিট সময় দিচ্ছি যদি তুমি চাও তাহলে তুমি তোমার চুল সমান করে কেটে ফেলতে পারো অন্যথায় এই অবস্থাতেই আমি তোমায় তোমার হোস্টেলে ছেড়ে আসব। প্রিয়াঙ্কার কাছে বিকল্প কোন উপায় ছিল না। সে তার লম্বা চুলগুলো স্পর্শ করে এবং অতঃপর তার মাথার অন্য দিক স্পর্শ করে অনুভব করে বুঝে এদিকটা ধরতে বয়কাটের মতো লাগে। অবশেষে সে অন্য পাশের মতো ডানপাশের চুলও কেটে ফেলে। তার চারদিকে তার লম্বা চুল পড়ে আছে। যুবকটি হাততালি দিয়ে বলে: "নাইস হেয়ারস্টাইল" এবং সে আরও বলে যে প্লিজ নিজের চুলের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করবে নচেৎ আমার মতো কেউ এসে কেটে নিয়ে যাবে। তারপরে সে পুনরায় প্রিয়াঙ্কার মুখে সেই চেতনানাশক স্প্রে করে আর পাঁজাকোলা করে গাড়িতে শুইয়ে দিয়ে প্রিয়াঙ্কার বাসস্থান লেডিস হোস্টেলের উদ্দেশ্যে গাড়ি চালাতে থাকে। ১ ঘণ্টা পর যুবকটি তার মুখে পানি ছিটিয়ে বলে চলো নেমে পড়ো, তোমার হোস্টেল এসে গেছে। 

তারপর সে গাড়ি থেকে নেমে দোপাট্টা দিয়ে মাথা ঢেকে হোস্টেলে প্রবেশ করল। এরপর সে নিজের রুমের তালা খুলল এবং রুমের ভিতরে ঢুকে বাল্বের সুইচ অন করে সিঁধকাঠি আটকে দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাথার উপর থেকে দোপাট্টা সরিয়ে নিজের মুখ দেখে কাঁদতে লাগল। তার চুল সমানভাবে কাটা হয়নি। তাকে দেখতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো উদভ্রান্ত পাগলীর মত লাগছে। অতএব সে তার অসমান করে কাটা চুল ঠিক করার জন্য নিকটস্থ পার্লারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগে সে পরিচিত পার্লার কর্মচারীকে ফোন করে জেনে নেয় যে পার্লার এখনো খোলা আছে কিনা। অতঃপর সে আবার মাথা দোপাট্টা দিয়ে ঢেকে রুমে তালা দিয়ে পার্লারের দিকে হাঁটতে আরম্ভ করে। হাঁটতে হাঁটতে সে ভাবে লোকটি কে ছিল? আর কেনই বা সে তার চুল কাটল? সে কিছু সময়ের মধ্যে পার্লারে পৌঁছে; পার্লারে তার পরিচিত কর্মচারী আগেই তার অপেক্ষায় ছিল। সে প্রিয়াঙ্কার চুলের বেহাল অবস্থা দেখে কি করে এমন হল তা জানতে চায়। প্রিয়াঙ্কা অন্য কখনো বলবো বলে এড়িয়ে যায়। অতঃপর তার চুল শর্ট করে বয়কাটের মত কাটা হয় এবং সে তার হোস্টেলে ফিরে আসে। তার হোস্টেলের ওয়ার্ডেন তার চেহারা দেখে বিস্মিত হন। সে শুধু বলে চুলের স্টাইল পরিবর্তন করার ইচ্ছে হয়েছিল তাই। সে তার রুমের তালা খুলে বাথরুমে ঢুকে একবার আয়নায় নিজের মুখ দেখল তারপর পর চোখ মুছে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে সে লোকটির মুখ স্মরণ করার চেষ্টা করল। অবশেষে সে যুবকটিকে চিনতে পারল। বহুকাল পূর্বে সে তাকে প্রেমপ্রস্তাব দিয়েছিল তবে প্রিয়াঙ্কা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাই সে আজ তার প্রতিশোধ নিয়েছে। তবে সে এই লোকটির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হবে না কারণ এই লোকটি জনৈক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছায়াসঙ্গী। গোসল সেরে মাথা মুছে আয়নার সামনে বসে মাথার চুলে আঙুল চালিয়ে সে ঠিক করে নেয় যে সে আর দীঘল চুল চায় না। সে এখন থেকে ছোট চুল রাখতে চায়। তার কর্মস্থলেও সকলেই তার চেহারা দেখে অবাক হলো। সে সবার কাছে একই কথা বলে যে সে তার চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে চেয়েছিল।

3 comments:

Unknown said...

Pls apni bibahito mohilar salon e giye chul katar golpo din pls
Ei golpo ta valo but salon e giye mohilar chul katanor golpo din pls

Admin: চোদন ঠাকুর said...

mom hair cut story likho plz

bnhairfetish said...

Plz kichu story template diye sahajjo korun.

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...