Wednesday, April 27, 2011

চেহারা নিয়ে বিভ্রম কাটানোর জন্য কেশ কর্তন

মীনাক্ষি ও সোনাক্ষি যমজ বোন। তাদের দু'জনকেই দেখতে একরকম লাগে। দুজনেরই লম্বা এবং ঝলমলে চুল ছিল। তারা তাদের চুল খুব ভাল রক্ষণাবেক্ষণ করত। তাদের বাবা-মা ব্যতীত অন্যরা তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারত না। অনেক সময় তাদের বাবা-মাও বিভ্রান্ত হতেন যে কে মীনাক্ষি এবং কে সোনাক্ষি। উভয়েই তাদের অনার্স কোর্স শেষ করেছে এবং তাদের বাবা-মা উভয়ের জন্য পাত্র সন্ধান করছেন। শেষ পর্যন্ত তারা পাত্র খুঁজে পেলেন, দুই বোনের জন্য দুই ভাই, তবে যমজ নয়। এবং অবশেষে দুই মাস পর একই দিনে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

তাদের দু'জনের স্বামীই তাদের চেহারা গুলিয়ে ফেলল। সুতরাং তারা শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা যে কোনো একজনের চেহারা পরিবর্তন করতে চায়। বড় ভাই কুমার মীনাক্ষির সম্মতি ছাড়াই তার চেহারায় বদল আনতে চান। এই সিদ্ধান্তের পরে কুমার মীনাক্ষিকে ববকাট বা বয়কাটের মতো চুল ছোট করার জন্য বলেন। সে আশ্চর্য হয়ে গেল, এবং বলল কোনোক্রমেই না; কারণ সে তার চুল অনেক যত্নে বাড়িয়েছে এবং তাকে এমনটা বলবার কারণ জিজ্ঞাসা করে। কুমার বলেছিলেন যে তার ভাই এবং সে নিজে মীনাক্ষির এবং সোনাক্ষির চেহারাকে গুলিয়ে ফেলছে, তাই কারো চেহারা বদলাতে হবে, তাই আমরা শেষ পর্যন্ত তোমার চুল কাটাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সে বলল- না আমি আমার চুল কাটতে চাই না, প্লিজ সোনাক্ষিকে কাটতে বলো।

পরের দিন তার ভাই শ্যাম সোনাক্ষিকে চুল ছোট করার জন্য বলে। সেও এই সিদ্ধান্ত শুনে স্তম্ভিত হয়। সে এতে সম্মত হয় না। তাই সকলেই সন্ধ্যায় মিলিত হন। শেষ পর্যন্ত কুমার বলল, আমরা এ জন্য ব্যালট রাখব, ব্যালটে যার নাম আসবে তাকে চুল ছোট করে ফেলতে হবে। দুই বোনই এর বিরোধিতা করে। তবে কুমার এবং শ্যাম এটার জন্য আদেশ দিয়েছিল এবং তারা ৪টি আলাদা চিরকুটে তাদের নিজ নিজ স্ত্রীর নাম দু'বার উল্লেখ করে একটি ছোট বাক্সে রেখেছিল এবং তারা প্রতিবেশীর ছেলেকে একটি চিরকুট উঠাতে বলে। সে কথামত চিরকুট উঠালো।

চিরকুটে মীনাক্ষির নাম এসেছে। মীনাক্ষি কাঁদতে শুরু করল, তার বোন সোনাক্ষি তার বোনকে সান্ত্বনা দিলো এবং কুমারকে বলল যে মীনাক্ষির চুল কাটতে হবে না; অন্য কোনো উপায় ভাবতে হবে, কিন্তু তাদের স্বামীরা মানল না, এবং বলল আগামীকালই চুল কাটতে যেতে হবে, যদি সে চুল না কাটায়; আমরা কারও অনুমতি ছাড়াই যেকোনো একজনের মাথা মুড়িয়ে দিবো। তাদের সিদ্ধান্ত শুনে দু বোনই ধাক্কা খায়। তাই অবশেষে মীনাক্ষি তার চুল কাটার জন্য সম্মতি দেয়। কুমার আরও বলেন, মীনাক্ষিকে ভবিষ্যতেও একই রকম চুলের ছাঁট বজায় রাখতে হবে।

পরের দিন সকালে মীনাক্ষি এবং কুমার মীনাক্ষির চুল কাটার জন্য পার্লারে গিয়েছিলেন। কুমার মীনাক্ষিকে বয়কাট দেওয়ার জন্য বিউটিশিয়ানকে বলেন। মীনাক্ষি বলে সে বয়কাট করতে চায় না; তার ববকাটেই হবে। কিন্তু তিনি সায় দিলেন না। এরই মধ্যে বিউটিশিয়ান মীনাক্ষিকে চেয়ারে বসতে বলেন। সে চেয়ারে বসল, বিউটিশিয়ান তার লম্বা চুল আঁচড়ালো এবং কাঁচি নিয়ে তিনি তার ঘাড়ের কাছের চুলের গোছার মাঝে ঢুকিয়ে খুব শীঘ্রই চুল কাটতে আরম্ভ করল। সে তার দু'হাতে মুখ ঢেকে কাঁদতে লাগল। তার দীঘল চুল গেছে, তার চুল এখন চিবুক দৈর্ঘ্যের মধ্যে রয়েছে। তারপরে বিউটিশিয়ান তার সামনের দিক এবং মাথার উভয় পাশে সঠিকভাবে কাটতে শুরু করলেন এবং পিছন দিকটা মেশিন দিয়ে খুব ছোট করে দিলেন। কুমার তার শর্ট হেয়ারস্টাইলে সন্তুষ্ট হলো। এবং অবশেষে তার চুল কাটা শেষ। বিউটিশিয়ান বললেন ‘‘ইটস কম্প্লিটেড’’, সে চোখ খুলল এবং আয়নায় তার মুখের দিকে তাকালো, সে চিনতে পারছিল না। একটা ছেলে চেয়ারে বসে আছে। সে তার মাথা স্পর্শ করে, তার দীর্ঘ চুল সব শেষ। তারপরে সে চেয়ার ছেড়ে কুমারের কাছে যায়। কুমার বলে তোমায় দুর্দান্ত লাগছে, আর প্লিজ চুলের দৈর্ঘ্য একইরকম রেখো।

তারপরে দুজনেই ঘরে ফিরে গেল। সোনাক্ষি তার বোনের চুল কাটাতে হতবাক হয়ে গেল এবং সে মীনাক্ষির কাছে দুঃখ প্রকাশ করল। মীনাক্ষি বলল এতে তোমার কোনো দোষ নেই; আমরা এর জন্য কী করতে পারি। আমার কোনো দুঃখ নেই আমার বোনের চুলের জন্য আমি আমার চুলের মায়া ত্যাগ করেছি। তাই তুমি নিজেকে দোষ দিয়ো না, হঠাৎ সোনাক্ষি তার বোনকে জড়িয়ে ধরল এবং দুজনেই কেঁদে উঠল। তার চুল কাটার পরে উভয় পরিবার সুখে জীবন চালাচ্ছে, তাদের চেহারা সম্পর্কে কোনো বিভ্রান্তি নেই। মীনাক্ষি এখন তার চুল বয়কাট করে রাখে। কিন্তু সোনাক্ষি মীনাক্ষির জন্য তার হাঁটু অব্দি চুল পিঠের মাঝখানটা পর্যন্ত কেটে ফেলল। তার স্বামী তার চুল কাটানোর জন্য কিছু বলেনি।

No comments:

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...