Sunday, November 25, 2012

বিবাহদোষ কাটাতে অন্বিতার চুল কামানো

{এই গল্পটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত।  আমি চরিত্রগুলোর নাম পরিবর্তন করেছি।  সংযুক্ত ছবি কেবল আন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত। এই গল্প এবং ছবির মধ্যে কোন যোগসূত্র নেই।}

অন্বিতা ২৫ বছর বয়স্কা যুবতী। অন্বিতার ১ জন করে বড় ও ছোট ভাই ছিল। তার বড় দাদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন এবং তাই তার বাবা-মা গত সপ্তাহে ১ বছরের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। অন্বিতা ও তার ভাই অবিনাশ চেন্নাইতে একসাথে থাকে।  অন্বিতা ও অবিনাশ প্রাইভেট কনসার্নে কাজ করছে। তার বাবা-মা গত ৪ বছর যাবৎ অন্বিতার জন্য সম্বন্ধ খুঁজছেন। কিন্তু তারা তার জন্য ভালো ম্যাচ পাচ্ছেন না।

তাদের পরিবারের একজন গণক বহু কুণ্ডলী ​​মেলাতে চেষ্টা করছেন কিন্তু তিনি কিছুতেই মেলাতে পারেননি। মেয়ের বিয়ে নিয়ে তার বাবা-মা দুশ্চিন্তায় ছিল। শেষে ২ বছর আগে তিনি অন্বিতার জন্মপত্রিকায় কিছু ত্রুটি (দোষম) খুঁজে পেয়েছিলেন এবং এটি তার বাবা-মাকেও জানিয়েছিলেন।  তারা এই দোষের জন্য ক্ষতিপূরণ (পরিহারম) দিতে হবে এমন কিছু জিজ্ঞাসা করলে, জ্যোতিষী জানান হ্যাঁ, অন্বিতার তিরুমালায় মাথা মুড়ানো উচিত। তার বাবা-মা হতবুদ্ধি হয়ে গেলেন এবং তারা মেনে নিলেন না, তারা সমাধানের অন্য উপায় জিজ্ঞাসা করলেন, কিন্তু গণক বলল এটিই একমাত্র উপায় অন্যথায় কোন সুযোগ নেই। তবুও তারা তা মানবেন না।  অন্বিতাও এই কথা শুনে; সেও মাথা কামাতে অস্বীকার করে।

গত মাসে সে একটি ভাল জুড়ি পেয়েছিল সবকিছু ঠিকঠাক, কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে এই সম্বন্ধ বাতিল হয়। এ নিয়ে তার পরিবারের সবাই ব্যথিত, কারণ এটি ৩য় সম্বন্ধ যা কিছু কারণে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছে। অতএব অন্বিতা বলল আমি কাউকে বিয়ে করতে চাই না তাই প্লিজ আমাকে আর জোর করো না, অবিনাশকে বিয়ে করিয়ে দাও। পরন্তু ওর বাবা মা বললেন না অনি তুই বড় তাই তোর বিয়েটা শেষ করতে হবে এরপরই ওর বিয়ের কথা ভাবব। অবিনাশ তার কলেজমেটের সাথে প্রেম করছে। এ বিষয়ে অন্বিতা জানে। কিন্তু ওদের বাবা-মা জানেন না। অবিনাশ অন্বিতার থেকে মাত্র ১ বছরের ছোট। তাই সেও অধীর আগ্রহে অন্বিতার বিয়ের অপেক্ষা করছে, তারপরই বাসায় তার ভালোবাসার কথা জানাবে।

এই সময়ের মধ্যে অবিনাশের প্রেমিকা কিছু সমস্যা নিয়ে এসেছিল, কারণ তার বাবা-মা তার সম্বন্ধ খুঁজছিলেন, তাই সে তার বাবা-মাকে তার প্রেমের কথা জানায়।  প্রথমে তারা এর বিপক্ষে থাকলেও দীর্ঘ আলাপচারিতার পর তারা তা মেনে নেন।  তারা অবিনাশের সাথে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলেন। কিন্তু তারা একটি শর্ত জুড়েন যে বিয়েটি এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে অন্যথায় কিছু পারিবারিক সমস্যার কারণে তারা তাদের মেয়ের জন্য অপর পরিবার নির্বাচন করবে। অবিনাশ তার বোনের বিয়ের পরেই তাদের মেয়েকে বিয়ে করবে বলে জানায়। হ্যাঁ, ওটা তোমার সিদ্ধান্ত। যদিও আমরা এটা মেনে নিচ্ছি, কিন্তু এক বছরের মধ্যে তোমার বিয়ে করা উচিত, অন্যথায় আমাদের দোষ দিয়ো না।  অবিনাশ নিরুত্তর; সে বলল ঠিক আছে।

অবশেষে অবিনাশের বাবা-মাও বিষয়টি জানলেন, তারাও এই নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত। পুনরায় ওনারা ওনাদের পারিবারিক জ্যোতিষীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আবারও তিনি বললেন, অনুগ্রহপূর্বক তিরুমালায় তার মাথা মুণ্ডন সম্পন্ন করুন, ৬ মাসের মধ্যে আপনাদের ভালো সম্বন্ধ আসবে, অন্যথায় কোন সুযোগ নেই। তারা অন্বিতার সাথে কথা বলেন, এবং এই বিষয়ে জানায়, কিন্তু সে মেনে নেয়নি। সুতরাং দীর্ঘ কঠিন সিদ্ধান্তের পর সে তার মাথা মুণ্ডন করতে সম্মত হয়, অথচ এবার অবিনাশ রাজি হয় না। তবে সে অবিনাশকে রাজি করায়। তারা এই সপ্তাহান্তে তিরুমালা যাওয়ার পরিকল্পনা করল। সে তার বাবা-মাকে কলে জানিয়েছিল, তারা খুশি নয় তবু তারা বললেন ঠিক আছে অন্বিতা নিজের খেয়াল রেখো।

অন্বিতা, অবিনাশ এবং তার বাগদত্তা ঊষা তিনজনই তিরুমালার উদ্দেশ্যে যাত্রারম্ভ করে। পথে অবিনাশ বলল, অনি, মাথা মুণ্ডন করা কি সত্যিই প্রয়োজন? কেননা তোমার মাথা মুণ্ডনের পরও যদি এক বছরের মধ্যে তোমার পাকা কথা না হয়, তাহলে আমরা কী করব! সে বলল, ঠিক বলছিস, কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি; কারণ ভাবনাচিন্তা পরে করে এখনই চেষ্টা করা যেতে পারে। যদি এটা কাজ করে তাহলে আমরা সুখী হব, নাহলে ছেড়ে দাও। তারা সকাল ৯ ঘটিকায় তিরুমালায় পৌঁছে ও সন্ধ্যায় দর্শন করবে ঠিক করে। ওরা নিজেদের রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ রিফ্রেশ হয়ে নিল। ২ ঘণ্টা পর ওরা অন্বিতার চুল কামানোর জন্য কল্যাণকাট্টায় রওনা হলো। অন্বিতার মাথা মুণ্ডন করার ব্যাপারে ঊষাও অসম্মত ছিল। তারা টনসার হলে পৌঁছলে অবিনাশ অন্বিতার জন্য ১টি টিকেট কিনল। সে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। আনমনে সে তার লম্বা চুল ছোঁয়। সেখানে প্রচুর মহিলা নাপিত বসে মহিলাদের মাথা ন্যাড়া করছেন। সে টেনশনে ভুগছিল; তার পেটে প্রজাপতি উড়ছে, কারণ ২০ বছর পর এই প্রথম সে মাথা মুণ্ডন করতে যাচ্ছে। তার বিগত চূড়াকরণও মনে নেই। সে কিছু মেয়ে এবং মহিলাকে তাদের চুল একটু ছোট করে কাটতে দেখেছে, তার লাইনের মধ্যে সে একমাত্র হেডশেভের জন্য অপেক্ষারত লম্বা চুলের তরুণী। এটিও তার উত্তেজনা বাড়ায়। সে মুণ্ডন প্রক্রিয়াটি দেখছে। ১৫ মিনিট পর তার পালা। সে তার চুল ছেড়ে দিয়ে ঊষাকে হেয়ারব্যান্ডটি দিয়ে বলল, আগামী এক বছরের জন্য এটি কোন কাজে আসবে না। 



তারপর সে মহিলা নাপিতের সামনে বসল। অবিনাশ ওনাকে টন্সার টোকেন দিল। উনি গুণ্ডু/কাট (মুণ্ডন না কাটা) চাইছে পুঁছলেন। অন্বিতা বলল গুণ্ডু (মুণ্ডন); অবিলম্বে অন্বিতা তার লম্বা চুল মহিলাটির হাতে দিলো, তিনি ওর মাথা ঝুঁকিয়ে চুলে জল ঢেলে দিলেন। অন্বিতা দুঃখ পেল। উনি ওর লম্বা চুল সুন্দরভাবে ম্যাসাজ করলেন। তার লম্বা চুল এখন সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। এরপর নাপিত দুটি গেরো বাঁধলেন, এবং নাপিত রেজারে একটি নতুন অর্ধেক ব্লেড ঢুকিয়ে আবার তার ঘাড় বাঁকিয়ে দিলেন। অন্বিতা গোবিন্দ গোবিন্দ বলে, নাপিত তার মাঝখানের অংশ কামিয়ে ফেলেন, অন্বিতা জীবনে প্রথমবারের মতো তার মাথায় ঠাণ্ডা হাওয়া অনুভব করছে। ওর কোলে ওর চুলগুলি ঝরে পড়ছে। তার চুলের দিকে তাকিয়ে তার চোখে জল এসে গেল। পরন্তু তার আর কোন উপায় নেই, ততক্ষণে নাপিত ওর বাম এবং ডান দিক কামিয়ে ফেলেন। সে এখন অর্ধেক ন্যাড়া, তার মাথার সামনের অংশ সম্পূর্ণ কেশমুক্ত এবং পেছনের দিকে লম্বা চুল। অনন্তর নাপিত পিছনের চুলের অংশও কামিয়ে দেয়। অন্বিতার কোল চুলে ভর্তি। পুনর্বার নাপিত তার টাক মাথা আগাপাশতলা কামিয়ে দেয়। 





পরিশেষে অন্বিতা উঠে দাঁড়াল আর ঊষার কাছে এসে তাকে উড়নি দিলো। উষা বললো, দারুণ লাগছে অনি। অন্বিতা তাকে ধন্যবাদ জানায়। অবিলম্বে সে তার টাক মাথা বালতি জলে ধুয়ে ফেলে। তার কাঁধে লেপ্টানো কিছু চুল সে জল দিয়ে পরিষ্কার করল। অবিনাশ পুরো প্রক্রিয়াটি দেখেছে। প্রথমবার সে টাক মাথাওয়ালা অন্বিতাকে দেখছে। সে নেড়ামুণ্ডি অন্বিতার কিছু ছবি তুলল।

পরের দিন অন্বিতার প্রতিবেশীরা তার চেহারা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেল, সে বলল একটা মানত করেছিলাম। সে ওর মুণ্ডিত চেহারার ছবি ওদের বাবা-মায়ের কাছে পাঠাল। ৬ মাস পর তার পাকা দেখা হয়ে গেল। এখন ও বয় কাট লুকে আছে। তজ্জন্য ওদের বাবা-মা আগামী বছর একই দিনে অন্বিতা এবং অবিনাশের বিয়ের দিন ঠিক করেন।

Saturday, September 1, 2012

পবিত্রা হয়ে ওঠে রচিতা - গল্প লিখেছেন সন্দীপ কুমার

পবিত্রা এক গ্রাম্য মেয়ে, যার লম্বা সুন্দর চুল ছিল এবং তার জন্য খুব গর্বিত ছিল। রঘু নামে তার এক বন্ধু ছিল যে প্রথমে তার সাথে স্কুলে এবং পরে কলেজে পড়াশোনা করেছিল। প্রতিদিন কলেজের পর পবিত্রা আর রঘু গ্রামের নদীর ধারে বসে গল্প করত, ধীরে ধীরে তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। রঘুও পবিত্রার লম্বা চুল পছন্দ করত। 

একদিন পবিত্রার বাবা এই রোমান্সের কথা জানতে পেরে পবিত্রাকে ঘরে আটকে রাখেন এবং তাকে কলেজে যেতে দেন না। রঘু অনেক দিন পবিত্রাকে কলেজে দেখতে পায়নি এবং পরে বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারে যে তার বাবা তাকে কলেজে আসতে দেয়নি। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল যে সে তার বাড়িতে যাবে এবং একদিন তার বাড়িতে গেল। পবিত্রার বাবা সেখানে উঠানে বসা ছিলেন ও জিজ্ঞেস করলেন কেন এসেছ? রঘু সৎভাবে উত্তর দিলো যে সে পবিত্রাকে অনেক ভালবাসে তাই সে তার জন্য এসেছে। 

পবিত্রার বাবা এতে ভীষণ রেগে যান এবং রঘুকে বলেছিলেন যে তার পরিবার নিম্নবর্ণের এবং তিনি পবিত্রাকে নিম্নবর্ণের লোককে বিয়ে করতে দিতে পারবেন না। কিন্তু রঘু বলেন, জাতপাত মুখ্য নয়, ভালোবাসা এবং আন্ডারস্ট্যান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তখন পবিত্রার বাবা রঘুকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার কাছে কত টাকা আছে? যার উত্তর রঘুর কাছে ছিল না সে দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং তার বাবা-মা ছোট মাটির ঘরে থাকতেন। তখন পবিত্রার বাবা বললেন, তুমি শুধু অন্য জাতের নও, টাকাও নেই; তুমি আমার মেয়েকে কিভাবে সামলাবে? তাই রঘু হতাশ হয়ে চলে গেল। পবিত্রারও মন খারাপ হয়। 

কিছু দিন পর পবিত্রার বাবা তাকে পাশের গ্রামের জমিদারের সাথে বিয়ে দেন। তারা ধনী লোক ছিল কিন্তু বিয়ের পর তার স্বামী তাকে প্রতিদিন মারধর করতে থাকে এবং অবশেষে সে তার বাড়িতে ফিরে আসে। তার বাবারও খুব অনুশোচনা হলো। রঘু অনন্তর রাজধানীতে গিয়ে শহরের বড় ম্যানেজার হয়ে ভালোই থিতু হয়েছিল। 

অতঃপর বহু বছর কেটে গেল এবং একদিন বাসস্টপে রঘু পবিত্রাকে দেখতে পেল যে এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং দেখতে খুব একটা সুন্দরী ছিল না। সে তার দিকে হাসলেও কিন্তু ও খুব দুঃখী ছিল। এরপর অন্য বন্ধুদের কাছ থেকে রঘু জানতে পারে পবিত্রার কী হয়েছে। তদ্পর পবিত্রার বাড়িতে গেল। এবার পবিত্রা তাকে দেখে চমকে উঠল এবং তাকে ভেতরে স্বাগত জানাল। রঘু বলেছিলেন যে সে কী ঘটেছে তা জানতে পেরেছিল এবং সে আজও পবিত্রাকে একইভাবে ভালোবাসে, পবিত্রার বাবা এটা শুনে ঢের আহ্লাদিত হয়েছিলেন এবং তার আগের আচরণের জন্য দুঃখিত হয়েছিলেন। রঘু বলে ও ঠিক আছে আমি ঐসব মনে নিইনি। 

পবিত্রাকে বিয়ে করতে রঘু একটা শর্ত রাখল, পবিত্রার বাবা জিজ্ঞেস করলেন এটা কি যৌতুক? কিন্তু রঘু বলল না। সে বলে, "পবিত্রার জন্য এটি দ্বিতীয় বিবাহ তাই তাকে অতীত ভুলে যেতে হবে; তাই ওর নিজেকে পরিবর্তন করলেই ভালো।" পবিত্রা ও তার বাবা বুঝতে না পেরে তাকে ব্যাখ্যা করতে বলল। রঘু বলেছিলেন যে তার অতীত ভুলে যাওয়া উচিত এবং নতুন ভবিষ্যতের সন্ধান করা উচিত এবং অতীতের স্মৃতিগুলিও ভুলে যাওয়া উচিত। এই নিমিত্তে তার নাম পরিবর্তন করা উচিত এবং তদনন্তর তার চুলের স্টাইল পরিবর্তন করা উচিত, পবিত্রা জিজ্ঞেস করল পরন্তু তুমি সবসময় আমার চুল পছন্দ করতে? রঘু বলল হ্যাঁ তবে এখন অতীতকে ছাড়া নতুন জীবন শুরু করা উচিত। পবিত্রার বাবাও তাতে রাজি হয়ে গেলেন কিন্তু তাকে বললেন আগে গ্রামে বিয়ে করো তদানীং তাকে শহরে নিয়ে যাও এবং সেখানে সে তোমার কথামত বদলে যেতে পারে। রঘু এতে রাজি হয় এবং কিছু দিন পর তারা বিয়ে করে শহরে চলে যায়। 


শহর কতটা বড় দেখে পবিত্রা খুব অবাক হলো। রঘু তাকে দুটি শর্তের ব‍্যাপারে মনে করিয়ে দিলো। পবিত্রা এতে হ্যাঁ বলল। তজ্জন‍্য তারা নোটারি অফিসে গিয়ে নাম পরিবর্তনের ফরম নেন। পবিত্রা জিজ্ঞেস করে আমার নতুন নাম কি হবে? যাতে রঘু বলল রচিতা হবে। আমাদের দুজনেরই তখন 'র' দিয়ে আরম্ভ নাম থাকবে। পবিত্রা রাজি হয়ে ফরম পূরণ ও দস্তখত করে। এখন দ্বিতীয় শর্তের কী হবে!? রঘু জিজ্ঞেস করল মনে আছে? পবিত্রা যে রচিতা হয়ে উঠেছিল বলল হ্যাঁ প্রিয়। এতে সে একজন অভিনেত্রীর ছবি দেখাল যার বয় কাট স্টাইল ছিল এবং বলল আমি চাই তোমার চুলের স্টাইল এরকম হোক। এরপর তাকে বিউটি পার্লারে নিয়ে যায়। সে ভিতরে গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিল। প্রথমবার বিউটি পার্লারে আসায় সে নার্ভাস বোধ করছিল। কিছুক্ষণ পর বিউটিশিয়ান তাকে এসে বসতে বলল। আর জিজ্ঞেস করল আপনি কি চান? রচিতা অভিনেত্রীর সেই ছবি দেখিয়ে বলল আমি এরকম হেয়ারস্টাইল চাই। বিউটিশিয়ান ছবি দেখে তাকে জিজ্ঞেস করল আপনি কি সত্যিই নিশ্চিত? যেহেতু আপনার সুন্দর লম্বা চুল আছে কেন আপনি এটি কেটে ফেলতে চান? তিনি বলেন, এটা আমার বিয়ের জন্য এবং লম্বা চুলের চেয়ে ভালোবাসা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিউটিশিয়ান তাকে চেয়ারে বসতে বলল এবং তাকে তোয়ালে দিয়ে ঢেকে তার চুল ভিজিয়ে দিলো এবং চুল কাটা শুরু করল প্রথমবার যখন তার চুল পড়ে যাচ্ছিল এবং সে নার্ভাস বোধ করছিল এবং তারপরে স্টাইলিং শুরু হয়েছিল। এবং এটি সমাপ্ত করা হয়েছিল এবং এখন ওর ছবির অভিনেত্রীর মতো একই চুলের স্টাইল ছিল। এবং অবিলম্বে ঐ স্থান থেকে বেরিয়ে সে বাড়িতে পৌঁছেছিল এবং রঘু তার স্ত্রীকে আধুনিকা হিসাবে দেখে খুব খুশি হয়েছিল। আস্তে আস্তে রচিতাও ছোট চুলের কাটে নিজেকে পছন্দ করল। এর পরে রঘু তার স্ত্রীকে তার অফিসের বন্ধুদের সাথে এবং সকলকে রচিতা বলে পরিচয় করিয়ে দেয়।

Sunday, August 26, 2012

আমার টেকো অভিজ্ঞতা

বন্ধুরা আমি অন্ধ্র থেকে ১৮ বছর বয়সী কাব্য বলছি। আগে আমার পাছার দৈর্ঘ্যের চুল ছিল কিন্তু আমি তা মাঝারি দৈর্ঘ্যের থেকে কিছুটা কম কেটে ফেলেছি। আমার চুলগুলি লিকি এবং উকুনগুলির জন্য বনের মতো তাই আমি এটি কেটেছি যাতে আমি এরপরে সহজে সামলাতে পারি। কিন্তু কোন কাজ হয় না। আমি যদি কোনো অ্যান্টিলাইস শ্যাম্পু প্রয়োগ করি তাহলে আমার চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং পড়তে শুরু করে। তাই আমি খুব বিরক্ত হয়েছি এবং হেডশেভ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে আমি কিছু সময়ের জন্য পরিত্রাণ পেতে পারি। আমার মা এটাতে সম্মত হননি এই বলে চুল ফের বাড়তে আরও সময় লাগে। আমি তাকে আশ্বস্ত করি যে এটির জন্য খুব বেশি হলে ৩-৪ বছর সময় লাগবে। আমি ছোট চুলের স্টাইলগুলির অভিজ্ঞতা নিতে চাই। আমার মা আমার বাবার সাথে আমার মাথা মুড়ানোর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। এই রবিবার সকালে আমার বাবা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি মাথা মুণ্ডন করতে চাও? আমি হ্যাঁ বললাম। তারপরে আমার বাবা আমাকে তার সাথে নাপিতের দোকানে আসতে বলেছিলেন যেখানে তিনি প্রায়শই যান। আমি তার সাথে গিয়েছিলাম। পথে আমি প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে চিন্তা করে খুব উত্তেজিত এবং উৎসাহী বোধ করি। আমরা পৌঁছেছিলাম। এটি বৃহৎ একটি ছিল যার প্রতিটি পাশে ৪টি করে ৮টি চেয়ার এবং ৩ জন পুরুষ নাপিত। এটি পুরুষ গ্রাহক এবং ছোট শিশুদের দ্বারা ভরা ছিল। আমরা ১০ মিনিট অপেক্ষা করলাম তারপর আমার পালা এলো। আমি গিয়ে আরাম করে বসলাম। আমার বাবা তাকে ন‍্যাড়া করতে বলেছিলেন। তারপর সে আমার গলায় সাদা কাপড় বেঁধে আমার শরীর ঢেকে দিলো। পরে আমার চুল আলগা করে গোড়া পর্যন্ত জলে ভিজিয়ে দিলো। রেজারে ব্লেড রেখেছিল এবং আমি এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি বড় বড় চোখ করে দেখছিলাম।

সে বলে যে সে প্রথমে ঘাড় পর্যন্ত চুল কাটবে এবং তারপর চাঁছবে। তায় শেভ করা এবং সময় বাঁচানো সহজ হবে। আমি রাজি হই। সে কাঁচি নিয়ে আমার চুলের পিছনে গিয়ে কেটে দিলো। চুলের গুচ্ছ মেঝেতে পড়েছিল। আমি এটি আয়নায় দেখেছি এবং এখন সে ক্ষুর নিয়েছিল এবং আমাকে খুব নীচে ঝুঁকিয়েছিল যে আমি নিজেকে আয়নায় দেখতে পারিনি। এবং আমার মাথার মাঝখান থেকে পিছনের দিকে, বাম এবং ডান দিকে ক্ষুর সরাতে শুরু করে। চারিদিকে বৃষ্টির মত চুল পড়তে লাগল। সে আমার মাথার সামনের অংশটিও কামিয়ে দেয় আমার মাথাকে বিভিন্ন দিকে বেঁকিয়ে নিয়ে। আমি আমার মাথা ঘোরানো এবং শেভ করার এই উপায়টি পুরোপুরি উপভোগ করেছি। আমার সমস্ত চুল এখন মেঝে, আমার মুখ এবং আমার কোলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। সে আমার টাক মাথায় জিলেট জেল লাগাল এবং আমার চুলের লাইনের চারপাশে আবার মসৃণভাবে কামালো.. সে আমার গুন্ডু ঘষে এবং মসৃণ অনুভব করে এবং পরে আমার চুলের কণা মুছে ফেলার জন্য আমার ঘাড় এবং মুখ ঝেড়ে দেয়। সে আমার মাথায় কিছু পাউডার লাগালো এবং কাপড় খোলে এবং আমি আমার ঘাড় এবং কান ঢাকা চুল ছাড়া আয়নায় আমার প্রতিফলন দেখলাম। আমায় সুন্দর লাগছিল এবং এটা পছন্দ করেছিলাম। আমার বাবা সাহসী হওয়ার জন্য আমাকে প্রশংসা করেছিলেন। সেখানে সবাই আমার গুন্ডুর দিকে তাকাল এবং বলল আমি গুন্ডুর সাথে স্নিগ্ধ এবং আকর্ষণীয় ছিলাম। বাড়িতে পৌঁছানোর পর আমার মা আমাকে এবং আমার তাজা মসৃণ গুন্ডু দেখে হাসলেন খুব জোরে বললেন যে আমি খুব মজার ছিলাম কিন্তু পরে বলেছিল এটা ভাল। আমি সত্যিই এটা পছন্দ করেছি এবং আমার টাক মাথা অনেক বার মালিশ করি। 

Sunday, August 5, 2012

পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করায় স্বাতীর শাস্তি- গল্প পোস্ট করেছেন প্রভাসূর্য

হাই এই গল্পটা স্বাতীর। একজন বিটেক অন্তিম বর্ষের ছাত্রী। তার নিতম্ব অব্দি লম্বা চুল ছিল। ও তার জ্যেঠার বাসায় থেকে পড়াশোনা করত কারণ ওর বাসা কলেজ থেকে দূরে ছিল। ওর বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলেন বলে তার পক্ষে আয় রোজগার করে সংসার চালানোটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাই ছোট থেকে জ্যেঠাই ওর ও ওর ছোটভাইয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতেন। ওদের জ্যেঠা তাদের দু ভাইবোনের পড়াশোনার ব্যাপারে বেশ মনোযোগী ছিলেন। স্বাতীর ভাই ভালো ছাত্র হলেও স্বাতী ছিল লেখাপড়ায় দূর্বল। ইতিমধ্যে স্বাতী তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হলো কিন্তু তার প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট বেশ খারাপ হয়। তার রেজাল্ট দেখে তার জ্যেঠা তাকে সতর্ক করে দেন যে পরের সেমিস্টার ফাইনালে যদি সে এবার পার্সেন্টেজে ৭০ এর নিচে পায় তবে তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। তার জ্যেঠা বেশ বদরাগী হওয়ায় স্বাতী তাকে বেশ ভয় পেত।


যাই হোক দেখতে দেখতে সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হয়ে রেজাল্টের দিন চলে আসলো। স্বাতী কলেজে গিয়ে রেজাল্ট জেনে আসলো এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সে এবারও A পেতে ব্যর্থ হয়েছে। যাই হোক তার জ্যেঠার রাগ থেকে বাঁচতে ও শাস্তি এড়ানোর জন্য জ্যেঠাকে মিথ্যা বলার সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সে বাসায় ফিরে জ্যেঠাকে পরিকল্পনামাফিক মিথ্যা রেজাল্ট জানিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে সকালের নাস্তা পাতে বেড়ে মুখে তুলতে না তুলতেই তার বান্ধবী সৌম্যা তার বাসায় এলো। সে বাসায় ঢুকতেই জ্যেঠা তাকে তার রেজাল্ট জিজ্ঞেস করলেন। সে তার নিজের রেজাল্ট বললে জ্যেঠা স্বাতীর রেজাল্টটাও তাকে জিজ্ঞেস করলেন নিশ্চিত হওয়ার অভিপ্রায়ে। আগে থেকে জানিয়ে করে না রাখায় সৌম্যা তার বান্ধবীর প্রকৃত ফলাফল জ্যেঠাকে জানিয়ে দিলো সে ৬৯% পেয়েছে এবং স্বাতী রেজাল্টে ৬০% পেয়েছিল । ফলে জ্যেঠা সত্য রেজাল্ট জেনে রাগে ফুঁসতে লাগলেন। তিনি আরো ক্ষিপ্ত হলেন এই ভেবে যে স্বাতী তাকে মিথ্যা কথা বলেছে। তিনি স্বাতী এখন বাইরে যেতে পারবেনা বলে আগে সৌম্যাকে বিদায় করলেন। তারপর স্বাতীকে ডেকে প্রচুর বকাঝকা করলেন। স্বাতী ভয়ে কাঁপতে লাগল। 


অতঃপর তিনি স্বাতীর ক্লাস এইটে পড়ুয়া ছোট ভাইকে ডেকে বললেন যাও গিয়ে পাড়ার মোড়ে রাস্তার ধারে যে নাপিত বসে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে এসো। স্বাতী মনে মনে ভাবলো কেন ভাইকে তিনি নাপিত ডেকে আনতে বলছেন? অল্প কিছুক্ষণ পর স্বাতীর ভাই নাপিত ডেকে নিয়ে এলে জ্যেঠা স্বাতীকে বললেন যাও গিয়ে পিছনের উঠানে বসো, নাপিত তোমার মাথা মুড়িয়ে দিবে। এ কথা শুনে স্বাতী থ হয়ে গেল। স্বাতীর জ্যেঠা আবার একই কথা বললে স্বাতী ছলছল চোখে তার জ্যেঠাকে অনুরোধ করলো তার মাথা ন্যাড়া না করতে। স্বাতীর ভাইও তার বোনের এই দশা দেখে তার জ্যেঠাকে অনুরোধ করল কিন্তু স্বাতীর জ্যেঠা অনড়। তিনি দুইজনকে এক ধমকে চুপ করিয়ে দিলেন। স্বাতীর কিছু করার ছিল না। স্বাতীর জ্যেঠা তাকে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন এই বলে যে, “সে যদি তার কথা না শুনে তবে তিনি তার বাবা-মাকে বলবে স্বাতী তার কথা মেনে চলে না। এছাড়া তিনি স্বাতীর পড়াশোনার জন্য আর কোনো খরচ দেবেন না।” স্বাতীর কোনো বিকল্প জানা ছিল না তাই সে কথা না বাড়িয়ে রাজি হয়ে গেল। 


তিনি নাপিতকে নির্দেশ দিলেন স্বাতীর মাথার চুল কামিয়ে দিতে; নাপিত কিছুটা ইতস্তত করছিল কিন্তু স্বাতীর জ্যেঠার চোখ রাঙানিতে উনিও বাধ্য ছেলের মতো তার সাজসরঞ্জাম নিয়ে বাড়ির পিছনে এলেন। নাপিত তার সঙ্গে আনা চৌকির উপর বসলেন এবং জ্যেঠা একটা নিচু পিঁড়ি এনে নাপিতের সামনে পেতে দিয়ে তাতে স্বাতীকে বসতে বললেন। স্বাতী কাঁদতে কাঁদতে নাপিতের সামনে গিয়ে বসল এবং তার বেণী করা চুল খুলল। নাপিত জলভরা মগ থেকে তার মাথায় পানি ছেটাতে আরম্ভ করলেন এবং মাথা ঘষতে লাগলেন যাতে তার চুল সম্পূর্ণরূপে ভিজে যায়। তারপর সে ক্ষুরে ব্লেড লাগালেন এবং স্বাতীর মাথা ধরে নোয়ালেন। স্বাতীর বুক ছ্যাঁৎ করে উঠল আর সে মনে মনে বলল এই গেল আমার চুল। সে চুল কামানো শুরু করলেন। স্বাতীর মাথায় ব্লেডের স্ক্র্যাপ স্ক্র‍্যাপ শব্দ হচ্ছিল। স্বাতীর চোখ থেকে এক নাগাড়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু উনি থামলেন না। স্বাতী লক্ষ্য করল তার মাথা থেকে একটা ভিজা চুলের দলা গড়িয়ে পড়ল। স্বাতীর মাথার পেছনটা কামানো হয়ে গেল। তারপর নোয়ানো অবস্থা থেকে মাথা তুলে সোজা করে সামনের দিকটা কামানো শুরু করলেন। সামনের দিকটা শেষ করে পাশটা শুরু করলেন। এভাবে তিনি কামানোর নিমিত্তে মাথা সামনে পিছনে নোয়াতে ও কাত করতে লাগলেন। তিনি ধীরে ধীরে একটা পাশ কামানো শেষ করলেন এবং একটা ভিজা চুলের দলা গড়িয়ে পড়ল। উনি স্বাতীর মাথা উল্টো দিকে কাত করলেন। তিনি অন্য পাশও কামানো শেষ করলেন এবং স্বাতী তার চুলের দলা গড়িয়ে পড়তে দেখল। স্বাতী জানত তার সব চুল চলে গেছে কিন্তু তার কিছু করার ছিল না। জ্যেঠা নাপিতকে টাকা দিলো এবং স্বাতীকে বললেন স্নান করে আসতে। পরের দিন সকালে স্বাতী কলেজ যেতে চাইছিল না কিন্তু ভাবল সে কলেজে না গেলে তার সহপাঠীরা তাকে অসুস্থ ভেবে তার বাসায় চলে আসবে। তাই সে ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে কলেজে গেল। কলেজে তার এক আমুদে বান্ধবী যখন তার মাথা থেকে ওড়না টেনে সরিয়ে নিলো তখন সে খুব লজ্জা পেল এবং সব সহপাঠীরা তার দিকে তাকিয়ে হাসছিল। তারা জিজ্ঞেস করল তুমি মাথা কামিয়েছ কেন? স্বাতী বলে আমার মন্দিরে একটা মানসী ছিল। তাই আমি স্থানীয় মন্দিরে আমার মাথা ন্যাড়া করাই।

Thursday, July 19, 2012

পূজার ভুল বোঝাবুঝি

পূজা অল্পবয়সী মেয়ে, সে সবে ১২শ স্ট‍্যান্ডার্ডে পড়ছে। তার লম্বা চুল আছে। সে বিগত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে এটি ভালভাবে বজায় রেখেছিল। তৎপূর্বে ওর বয় কাট চেহারা ছিল। ৬ষ্ঠ স্ট‍্যান্ডার্ডের পর তার মা কঠোরভাবে বললেন আর কাটতে হবে না। তাই সে তার চুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তার চুল হাঁটু পর্যন্ত লম্বা। কিন্তু সে ছোট চুল পছন্দ করে। সেজন্য যতবারই তার মা তার চুল ছাঁটাই করে সে তার মাকে অনুরোধ করে, "মা প্লিজ আমার চুলের মাঝখানে কেটে দাও, এত লম্বা চুল বজায় রাখা সত্যিই কঠিন", কিন্তু তার মা তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। তাই সময়ের সাথে সাথে সে তার লম্বা চুল নিয়ে বিরক্ত হয়েছিল। তার স্কুলের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাচ্ছিল।

সে তার বন্ধুর সাথে দেখা করে এবং তাকে ওর ইচ্ছা জানায়, যার নাম হচ্ছে দিব্যা। সে বলল, "পূজা প্লিজ তোর মায়ের অনুমতি ছাড়াই তোর চুল কাটা, কারণ এটা গ্রীষ্মের মরসুম, তুইও তোর স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেছিস, তুই একটি কলেজে ভর্তি হবি৷ তাই তুই যদি এখন তোর চুল কাটিস, তুই যদি নতুন চেহারা নিয়ে একটি কলেজে যোগদান করিস তবে এটি তোর পক্ষে ভাল হবে। তখনই হঠাৎ পূজার মাথা খোলে। তার মা যখন মার্কেটে গিয়েছিল তখন তার বাড়িতে কেউ ছিল না। সে তার চুল ছোট করার পরিকল্পনা করছে মানে কেউ তাকে প্রশ্ন করছে না বা বাধা দিচ্ছে না। তাই সে তার মায়ের বাইরে পা রাখার জন্য অপেক্ষা করছিল।

সময় এসেছে। সে কাঁচিটা নিয়ে আয়নার সামনে বসে তার চুলগুলো সামান্য কাটল, বড্ড বেশি কাটল না। তার হাঁটু দৈর্ঘ্য চুল এখন নিতম্বের দৈর্ঘ্য। অনন্তর সে পরীক্ষা করে দেখল তার চুল দুই পাশে সমান কিনা। এরপর পুনরায় সে তার চুলের মাঝামাঝি থেকে কেটে ফেলল এবং আবার সে তার নতুন লুক চেক করল। সে সন্তুষ্ট নয়, সে এটি আরও কাটতে চেয়েছিল, তাই সে আবার তার চুল কাঁধের দৈর্ঘ্যে সমানভাবে কাটল। অতঃপর সে নিজেকে আয়নায় দেখল কিন্তু সে এখনও পরিতুষ্ট হয়নি। তাই আবার সে তার চুল বব স্টাইলে কাটে, অতএব চুল তার কাঁধের উপরে। অবশেষে সে তার নতুন অবয়ব নিয়ে পরিতৃপ্ত। তদ্পর মেঝের দিকে তাকায়, তার লম্বা চুল সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে। কিন্তু সেসব নিয়ে সে চিন্তিত নয়। তারপর সে সবকিছু পরিষ্কার করে ডাস্টবিনে রেখেছিল। 

কিছুকাল পর ওর মা বাড়িতে ফিরে এলেন, পূজার চেহারা দেখে তিনি হতবাক হয়ে গেলেন, এবং তিনি বেজায় চটেছিলেন এবং তিনি তাকে মারধর করলেন এবং যে কোনও কিছুর মতো বকাঝকা করলেন। কিন্তু পূজা তার মাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, "মা এটা শুধু খানিক চুল, আমি আমার আঙুল কাটছি না, এটা একসময় আবার বেড়ে উঠবে, কিন্তু এখন আমি এই চুলের স্টাইল চাই। তাই আমি এটা করেছি। আমাকে চুল আর লম্বা করাতে বাধ্য করবে না। আমি চাইলে আমার চুল বড় করতে পারি। না হলে আমাকে জোর করবে না। এটি আমার সিদ্ধান্ত, এতে কেউ হস্তক্ষেপ করবে না। তদানিং তার মা তার সাথে পরবর্তী ১ মাস কথা বলেনি। তার বাবাও তার মাকে বোঝানোর প্রয়াস করেছিলেন। কিন্তু উনি বলেন আমি ওর সঙ্গে আর কথাই বলতে চাই না। কারণ তারও লম্বা চুল ছিল, উনি তার মেয়েরও একই দৈর্ঘ্যের চুল চেয়েছিলেন। পরন্তু ও তার সিদ্ধান্ত মানেনি। তাই তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু পূজা তার মায়ের লম্বা চুল পছন্দ করে।

এক সপ্তাহ পর তার মা তিরুমালা যেতে চান। তাই তারা তিনজন তিরুমালায় গিয়ে কুটিরে বিশ্রাম নিল। পূজার একটা সুন্দর ঘুম হয়েছিল, কারণ দর্শন সন্ধ্যায়। ৪ থেকে ৫ ঘন্টা ঘুমানোর পর সে জেগে ওঠে। এবং সে তার মায়ের চেহারা দেখে অবাক হয়ে গেল, কারণ তার মা ওনার মাথা পুরোপুরি কামিয়ে ফেলেছিল। এখন তিনি টাক হয়ে গেছেন, পূজার কোন রা ছিল না, এবং এবং সে তার মাকে জিজ্ঞেস করছে তুমি কেন মাথা ন্যাড়া করলে? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন এটি আমার মানস, কিন্তু পূজা বিশ্বাস করে না। সে বলল, না তুমি আমাকে শাস্তি দিতে চাইছিলে, তাই তুমি তোমার মাথা মুণ্ডন করেছ। কিন্তু তার মা প্রকাশ করলেন, না পুজো আসলে তোমার জন্যই আমি মাথা কামিয়েছি। কারণ ২ বছর আগে আমি তিরুপতির ব্রত করেছিলাম, তুমি একবার স্কুলের পড়া শেষ করলে, আমি তিরুমালায় তোমার মাথা কামিয়ে দিতে চাই। তুমিও সম্পন্ন করেছ, কিন্তু তুমি আমার অনুমতি ছাড়াই তোমার চুল ছোট করে কেটেছ, নইলে তুমি এই সময় মাথা মুণ্ডাতে। অথচ আমি এই প্রার্থনা অস্বীকার করতে চাই না, এজন্য আমি নিজেই টাক হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূজা যে কোন কিছুর মত কাঁদছে। তারপর সে বলল "মা ঠিক আছে, আমি টাক করতে যেতে প্রস্তুত", কিন্তু তার মা উত্তর দিয়েছিলেন, "না পূজা তুমি কলেজে যোগদান করছ তাই আমি তোমাকে জোর করতে চাই না। কারণ এখন মাত্র আমি বুঝতে পেরেছি এটা আমারই ভুল। যাইহোক তুমি আমার মেয়ে, প্রত্যেকেরই নিজস্ব ইচ্ছা আছে, এতে কারও নাক গলানোটা উচিত নয়। সেহেতু আমার মাথা মুড়ানোর এই সিদ্ধান্ত। তাই তোমার ন্যাড়া হতে যাওয়ার দরকার নেই। এখন তুমি যে চুলের স্টাইল চাও তুমি নিজেই করতে পারো। এই ঘটনার পর পূজা আর চুল কাটতে চায় না, কারণ তখনই সে বুঝতে পারে তার মায়ের আত্মত্যাগ। সে কেবল তার মাকে ভুল বুঝেছে।

Tuesday, July 17, 2012

তিশা ও নিশার নতুন মুখাবয়ব

নিশা ও তিশা কেরালার থেকে আগত ভগ্নীদ্বয়। নিশা তিশার চেয়ে মাত্র ২ বছরের বড়। নিশা কোচিতে কাজ করছেন। তার লম্বা কোঁকড়া চুল আছে। তিশারও তাই। গত সপ্তাহে তিশা তার উচ্চশিক্ষার জন্য চেন্নাই এসেছিলেন। সে নিশার সাথেই থাকা আরম্ভ করল। তার রুমমেট দিব্যা। তার পিঠের মাঝামাঝি চুল ছিল। শনিবার প্রাক্কালে নিশা তিশার কাছ থেকে একটি বার্তা পেয়েছিল, সে বলেছিল যে সে আজ তাকে কিছু সারপ্রাইজ দেবে। একবার নিশা তার রুমে এসে দেখে দিব্যা একখানা বই পড়ছে। নিশা তাকে তিশার কথা জিজ্ঞেস করলো। সে বলল সে জানে না। ও ২ ঘণ্টা পূর্বে বেরিয়ে গেছে। তখন সে তিশার জন্য অপেক্ষা করে। 









ঘণ্টাখানেক বাদে নতুন লুকে এলো তিশা। সে তার লম্বা চুল বয় কাট করিয়েছে। নিশা হতবাক হয়ে গেল এবং সে জিজ্ঞাসা করল "কেন তুমি তোমার লম্বা চুল কেটেছ?", ও উত্তর দিলো "এত লম্বা চুল ধরে রাখা কঠিন", নিশা তিশাকে বকাঝকা করছে "আমার অনুমতি ছাড়া তোমার চুল কাটার সাহস হল কি করে!", সে হেসে বলল, "বোন এটা আমার চুল, আমি তোমার চুল কাটিনি, তাই চিন্তা করো না", নিশা বলল "এত্ত লম্বা চুল কাটলে তোমার খারাপ লাগেনি!?", তিশা বলল, "না, তুমি চাইলে তুমিও চেষ্টা করে দেখতে পারো। নিশা তার উত্তরে রেগে যায়, সে বলে "তিশা তোমার বাজে বকা বন্ধ করো", হঠাৎ দিব্যা কথোপকথনে হস্তক্ষেপ করে বলল, "নিশা, সে অল্পবয়সী মেয়ে, সে নির্দ্বিধায় যা কিছু করতে পারে, তাকেও এই নতুন চুল কাটাতে সুন্দর দেখাচ্ছে, আমি আমিও এভাবে আমার চুল কাটতে আগ্রহী, তাই এই ছোট সমস্যার জন্য তাকে বকাবকি করো না"। দিব্যা এবং তিশা উভয়ের সাথে কিছু তর্কবিতর্কের পরে, নিশা তার কথা বন্ধ করে তার নৈশভোজে চলে যায়। 

পরের ২ দিন সে উভয়ের সাথে ভাল করে কথা বলেনি। বোনের প্রতিক্রিয়ায় তিশার খারাপ লাগল। তারপর সে তার চুল কাটার জন্য ক্ষমা চায় এবং সে বলে "এর পর আমি তোমার অনুমতি ছাড়া কিছু করব না নিশা, তাই এবার আমাকে ক্ষমা করে দাও," তার ক্ষমা চাওয়ার পর নিশা তিশার সাথে কথা বলে। ৩ মাস পর নিশার প্রচণ্ড চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যা দেখা দেয়, ঐভাবে আবহাওয়ার কারণে সে তার চুল ঠিক রাখতে পারেনি। সে একজন বিউটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করতে গিয়েছিল। 




সেক্ষণে শুধু তিশা ও দিব্যা রুমে ছিলেন। ৩ ঘন্টা পর নিশা নতুন হেয়ার কাট দিয়ে এলো, তিশার মতই সে তার চুল বয় কাট স্টাইল কেটেছে। নিশার লুকে অবাক হয়ে গেল তিশা ও দিব্যা। এবার তিশার পালা, সে মজার ভঙ্গিতে বকাঝকা করে নিশাকে, "এত লম্বা চুল বয় কাটে কাটতে তোমার সাহস হয় কি করে, তুমি আমার অনুমতিও নাওনি", নিশা বলল, "আরে আমার চুল পড়ছিল এবং খুশকি হয়েছিল তাই আমি পরামর্শের জন্য পার্লারে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিউটিশিয়ান আমাকে চুল ছোট করতে বলে, নইলে আমার চুল পড়া বন্ধ হবে না, সুতরাং অবশেষে আমি তোমার মতো চুল কাটার সিদ্ধান্ত নিলাম।

Saturday, June 30, 2012

শান্তির কেশকর্তন ও মস্তকমুণ্ডন

শান্তি চেন্নাইয়ের স্থানীয় বস্তিতে থাকে তার প্রেমের বিয়ে হয়েছিল তাই তার স্বামীর পরিবার এবং তার পরিবার তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে না। তার বয়স মাত্র ২৬। সে সুন্দর নয়, কুৎসিত নয়, সে গড়পড়তা। তার লম্বা চুল ছিল। তার স্বামী কাছাকাছি এলাকায় স্থানীয় ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা করছেন। সে অন্যকে টাকা দিচ্ছে এবং তার জন্য সুদ পাচ্ছে। তবে তিনি কাউকে ঠকাচ্ছেন না। তাদের কোনো সন্তান নেই। শান্তি জীবনে, সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। ৩ বছর পর তার স্বামীর সাথে অন্য মেয়ের সম্পর্ক হয়। তিনিও তাই শান্তির থেকে আলাদা হতে চান এ কথা জানান। শান্তির কোন কথা নেই।

সে বলে, সে তার বাড়িতেও যেতে পারবে না। কিন্তু তিনি কিছুতেই মানছেন না। তিনি শান্তিকে কিছু টাকা দিলেন এবং তার অনুমতি ছাড়াই চলে গেলেন। এক বছর অনেক কষ্ট করে সে একটা ছোট ইডলির দোকান করছে। এবং সে কিছু অর্থ উপার্জন করে। তার প্রতিবেশী বলল আপনার কাছে টাকা থাকলে আপনি স্থানীয় ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা করতে পারেন যা আপনার স্বামী অতীতে করেছে, কিন্তু আপনার ইডলি দোকানটি ছেড়ে যাবেন না। সেও এ নিয়ে ভাবছে। তাই সেও স্বল্প সুদে স্থানীয় কয়েকজনকে টাকা দিতে শুরু করে। প্রথম ২ মাস সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। ৩য় মাস শুরু হলেই তাদের বেশিরভাগই শান্তিকে টাকা বা সুদ দেয়নি। সে তাদের সাথে বকাবাদ‍্য করে এবং মারামারি করে কিন্তু তারা তাকে পাত্তা দেয় না।

তার সঞ্চয় একেবারে চলে গেছে। সে তার বাড়িতে ফিরে এসেছিল এবং সারা রাত সে অনেক কেঁদেছে। কারণ তারাও তাকে গালি দেয়। পরের দিন সে তার প্রতিবেশীদের সাথে এই বিষয়ে কথা বললে তারা বলল শান্তি তোমার স্বামী এই ব্যবসা করছে কারণ সে একজন পুরুষ ও তার চেহারা খুব রুক্ষ এবং শক্ত ও দুর্বিনীত। কিন্তু আপনি একজন মহিলা ও আপনি স্বভাবগতভাবে খুব নরম চরিত্রের মতো দেখতে তাই আপনি টাকা ফেরত চাইলে তারা ফেরত দেবে না। তাই এই ব্যবসা চালিয়ে যাবেন না এটা ছেড়ে দিন। কিন্তু সে এটা মেনে নিচ্ছে না। সে ভাবছে কিভাবে সে টাকা জোগাড় করবে। অবশেষে রাতে সে সিদ্ধান্ত নিলো। 

পরের দিন খুব সকালে সে নাপিতের দোকানে গেল নাপিত অবাক হয়ে গেল শান্তি বিগত ৪ বছরে প্রথমবার তার দোকানে এসেছে। তাই সে জিজ্ঞেস করছে তুমি কি চাও। সে সে বলল চুল কাটাব। তিনি অবাক হয়ে গেলেন এবং ঠিক আছে দয়া করে চেয়ারে বসুন। ততক্ষণে রাস্তায় কেউ নেই, বাইরেও অন্ধকার। সে শান্তভাবে চেয়ারে বসল এবং তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন সে তার চুল ট্রিম করতে চাইছে? সে বললো এটা না আমার সব চুল ছেলের মত কাট। তিনি জিজ্ঞাসা করছেন কেন সে বলেছে দয়া করে এটি করুন কোন প্রশ্ন করবেন না।  তারপর তিনি তার লম্বা চুল ভালো করে আঁচড়ালেন এবং কাঁচি নিয়ে তার লম্বা চুল তার ঘাড় পর্যন্ত কাটলেন। তার লম্বা চুল এক মিনিটের মধ্যে চলে গেছে। তারপর তিনি তার সব দিক সমানভাবে কেটে ফেললেন অবশেষে তিনি তার সামনের দিকেও চুল কেটে দিলেন। এই চুল কাটাতে তাকে দেখতে ছেলের মতো লাগছে। তারপর সে তাকে টাকা দিয়ে তার বাড়িতে ফিরে যায়। তার প্রতিবেশীরা তার নতুন চেহারা দেখে অবাক এবং হতবুদ্ধি হয়ে গেল। তারপর ২ ঘন্টা পরে সে তার টাকা সংগ্রহ করতে শুরু করে। এছাড়াও সে তার মুখে কিছু জর্দা পাতা দিয়েছে এবং সে রাস্তার মাঝখানে কিছু গালিগালাজ করে চিৎকার করছে যে লোকটি গতকাল তার সাথে মারামারি করেছে সে বিষয়টি নিয়ে বেশ লজ্জা পেয়েছে তাই সে ওকে তার টাকা দিয়েছে। এছাড়াও তিনি তার চেহারা দেখে চমকে গিয়েছিলেন। সব দেনাদারদের বাড়িতে একই ঘটনা ঘটছে।

এরপর সে তার বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের কাছে এই টাকা দেখায়। এবং সে বলেছিল যে আমি আমার চুল হারাই তবে আমার টাকা নয়। তার প্রতিবেশীরাও তার ধী এবং তার চেহারার প্রশংসা করে। তাই সে এখন থেকে একই চেহারা বজায় রাখতে চায়। এরই কয়েকদিন পর সে নাপিতের দোকানে গিয়ে চুল কাটে। কিন্তু তার প্রতিবেশী প্রশ্ন করেছিল কেন আপনি মন্দিরের পরিবর্তে নাপিতের দোকানে কাটা পছন্দ করেছেন? তাই এবার সে পাশের মন্দিরে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করল। এই পর থেকে শান্তি, প্রতি বছর সে তার মাথা ন্যাড়া করে এবং এর মধ্যে সে তার চুল কাটার জন্য নাপিতের দোকানে যায়।

নিত্যার চুল কাটা: বিভ্রান্তির সমাপ্তি

বিদ্যা এবং নিত্যা দুজনেই যমজ বোন, উভয়েই দেখতে একই রকম। কখনো কখনো তাদের বাবা-মাও তাদের চেহারা চিনতে ভুল করেন। তাদের দুজনেরই জমকালো লম্বা চুল। দুজনই একই কলেজে ১ম বর্ষে পড়ে। সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হলে তাদের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ আরম্ভ হয়। নিত্যা তার বড় বোন বিদ্যার থেকে তার চেহারা বিসদৃশ দেখাতে চায়। তাই সে ভাবছে সে পৃথক হতে কি করতে পারে? সে নিজের বোন এবং তার বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে, তারা সকলে চুল কাটানোর বুদ্ধি দেয়, অন্যথায় স্থায়ীভাবে চেহারা নিয়ে কিছুই করা যেতে পারে না। কিন্তু নিত্যা তার লম্বা চুল কাটতে চায় না, তবু সে তার বোনের থেকে অসদৃশ দেখাতে চায়, কারণ স্কুল এবং কলেজে তার গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তার প্রভাষক-প্রভাষিকারা নিত্যাকে সময় অসময়ে বকাঝকা করেছে, তারা ভেবেছিল সে বিদ্যা। কারণ নিত্যা পড়াশোনায় খুব ভালো, বিদ্যা গড়পড়তা। 


তাই নিত্যা বিদ্যাকে তার চুল ছোট করানোর জন্য অনুরোধ করেছিল, কিন্তু বিদ্যা তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। এছাড়াও সে বলে তুই যদি নিজেকে আমার থেকে আলাদা দেখাতে চাস তাহলে তোর চুল কাটা, আমাকে আমার চুল কাটার জন্য বলবি না। শেষাবধি নিত্যা তার চুল কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এছাড়াও সে তার বাবা-মাকে প্রথমে জানিয়েছিল যদিওবা তারা এটা মেনে নেয়নি। কিন্তু নিত্যা তার বাবা ও মা দুজনকেই বোঝানোর পর তারা তার চুল কাটার ব্যাপারে আজ্ঞা দেয়। কিন্তু তারা বলেন চুল কাটাবার আগে তিরুপতি বালাজীর নিকট তোমার চুল নিবেদন করো। নিত্যা এতে হতবাক হয়ে গেল; সে বলল আমি মাথা মুড়িয়ে ফেলতে চাই না। তারা বলল শেভ করবে না; তিরুমালায় তোমার চুল কাটবে এবং এখানে ফিরে এসে তুমি যে কোনো চুলের স্টাইল করতে চাও করাও; অন্যথায় আমরা তোমার চুল কাটানোতে অনুমতি দেব না। নিত্যা বলল ঠিক আছে। 

তাই পরিবারের সবাই তিরুমালার উদ্দেশ্যে যাত্রারম্ভ করলেন। আর মাঝরাতে পৌঁছে ওনারা সরাসরি কল্যাণকাট্টায় গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলেন। সকালে ওনারা কল্যাণকাট্টায় টন্সার হলে রওনা দেন। তার বাবা দুটি মুণ্ডনের টোকেন নিয়েছিলেন। নিত্যা সে সম্পর্কে প্রশ্ন করলে, তিনি ওদের মা এবং স্বীয় টন্সারের বিষয়ে বলেছিলেন। বিদ্যা আর নিত্যা উভয়েই অবাক হয়ে গেল তাদের মায়ের মুণ্ডনের কথাতে। অনন্তর তারা সারিতে দাঁড়ায়, সেই ক্ষণে নাপিত হেঁকেছিল যদি কেউ চুল কাটার জন্য দাঁড়ান তবে দয়া করে মস্তক মুণ্ডন শুরু করার আগে আপনার চুল কাটুন; তাই প্রথমে বিদ্যা গিয়ে নাপিতের সামনে বসে সে তার চুল কিছুটা কাটাল। এটা একটা ছাঁটার মত, তারপর নিত্যার পালা; সে নাপিতকে তার কাঁধ পর্যন্ত চুল কাটতে বলল। তাই উনি তার লম্বা চুল তার কাঁধ পর্যন্ত কেটে দিলেন। তার অর্ধেক চুল চলে গেছে। ছোট চুলে সে এখন নতুন লুকে। অতঃপর ওদের মা-বাবা ওনাদের মুণ্ডন করালেন। নিত্যার ছোট চুলের নতুন লুক সকলেরই ভালো লাগে। 


এর পরদিন ওরা ওদের বাড়িতে আসে। এবং সে তার চুল কাটার জন্য পার্লারে গিয়েছিল। ১ ঘন্টা বাদে ও নতুন চিবুক‌ দৈর্ঘ্যের বব কাট করিয়ে আসে। বিদ্যাও তার নতুন লুকের তারিফ করে। তাদের মাও প্রশংসা করে। সেদিন হতে সে তার চুল একই স্তরে বজায় রাখে। তার চুল কাটার পর সবার বিভ্রান্তি কেটে গেছে। প্রত্যেকেই লম্বা কেশবিশিষ্ট বিদ্যা এবং ছোট কেশবিশিষ্ট নিত্যাকে চিনতে পারত।

Tuesday, May 29, 2012

আমার বোনের মাথা মুণ্ডন

হাই বন্ধুরা। আমি নেহা বয়স ২২ ইংরেজি বিভাগে ফাইনাল ইয়ারে পড়ছি। আজ আমার মা আমাদের বাড়িতে একজন নাপিত ডেকেছেন। প্রথমে আমি তাকে দেখে টেনশনে পড়েছিলাম কারণ গত ৩ বছর ধরে আমি আমার মাথা মুণ্ডন করেছি কিন্তু সম্প্রতি আমার মায়ের পরামর্শ অনুযায়ী বব কাট করতে যাচ্ছি। আমার পাশে থাকা আমার বোন (বুজ্জি, ১২ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত, এবং ১৭ বছর বয়সী) আমাকে আবার নুন্নাপু গুন্ডু আক্কা বলে ডাকতে শুরু করেছে। সেই সময় আমার চোখ জলে ভরে গিয়েছিল এবং আমার মাকে বলতে শুরু করেছিলাম যে এটা যথেষ্ট। আমি যথেষ্ট মাথা মুড়িয়েছি এখন আর নয়। তখন আমার মা উত্তর দিলেন যে কে বলেছে মাথা মুণ্ডন তোমার জন্য। আমি এবং আমার বোন তার উত্তর দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম এবং আমি খুব স্বস্তি অনুভব করেছি। এদিকে আমার মা বাড়ির উঠোনে এক মগ জল এবং একটি ছোট স্টুল সাজিয়েছেন। এখন আমার মা আমার বোনকে তার মাথা বেলের জন্য প্রস্তুত হওয়ার উদ্দেশ্যে ডাকলেন। সে সম্পূর্ণরূপে হতবাক হয়েছিলেন কারণ তার ঘন মাঝারি মসৃণ চুল ছিল এবং একবার আমাদের পরিবারের সাথে তার মাথা মুণ্ডন করেছিল। তারপর কোন চুল কাটা এবং মাথা ন্যাড়া হয়নি। সে জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করল এবং আমার মাকে মাথা মুণ্ডন না করার জন্য অনুরোধ করতে লাগল। কিন্তু আমার মা পাত্তা দেননি এবং বলেছিলেন যে ফাইনাল ওপেন পরীক্ষা পর্যন্ত সে টাক হয়ে থাকবে যাতে সে তার পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দিতে পারে। সে কেঁদেছিল, আমার মাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু তার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। তাকে নাপিতের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে স্টুলে বসানো হয়। নাপিত রেজার ব্লেড প্রস্তুত করছে এমন সময় আমার মা তার চুল খুলে ফেলতে শুরু করলেন। আমার মা আমার বোনকে শেষবারের মতো তার চুল দেখতে, স্পর্শ করতে বলেছিলেন কারণ সে পুরো ১ বছরের জন্য টাক হয়ে যাচ্ছে। সে অনেক কাঁদছিল। তখন আমার আম্মু মুন্ডন শুরু করতে বলল। প্রথম দিকে তার চুল মাথার ত্বকের কাছে কাটা হয় এবং চুলের গোছা পড়ে যায়। আমার বোন ওজনহীন বোধ করে এবং তার চুল স্পর্শ করতে শুরু করে যা এত ছোট হয়ে যায় যে সে পনিটেলের জন্য তার চুল ধরে রাখতে পারে না। এখন সে খুব কাঁদতে শুরু করল। আমার মা তাকে থাপ্পড় মারলেন এবং তাকে চুপ থাকতে বললেন। এখন নাপিত তার মাথার ত্বকে পানি ঢেলে তাতে ম্যাসাজ করতে লাগল। তারপর ৫ মিনিট পর সে পেছন থেকে মুন্ডন শুরু করল। প্রথমে পিছনের দিকে একটি বড় হলুদ ছোপ দেখা গেল। এবং নাপিত তার মাথা বাম দিকে, ডান দিকে ঘুরাতে থাকল এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই পিছনের দিকটি সম্পূর্ণ কামানো হলো। এবং তিনি সামনের দিকে শেভ করতে শুরু করেছিলেন এবং আমার বোন আবার কাঁদতে শুরু করেছিল কারণ তার সুন্দর চুল তার কোলের উপর পড়েছিল। 



এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে গেল। আমার মা তার মাথার ত্বক স্পর্শ করলেন এবং তাকে ২ বার প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করতে বলেন - একবার বিপরীত দিক থেকে এবং একবার জেল দিয়ে। এই প্রক্রিয়াটি আরও ৫ মিনিট ধরে চলতে থাকে। এর পরে আমার বোনের মসৃণ চকচকে নরম টাক হয়েছে। আমার মা তাকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন এবং তাকে ঘন ঘন দেখা করতে বলেছিলেন। না হলে আমার বোনকে পুরুষদের সেলুনের দোকানে পাঠানো হবে। এখন আমার মা তার পোষাকের উপর থাকা চুলগুলো সরিয়ে হাসিমুখে একটি আয়নায় তার মুখ দেখালেন। তিনি তাকে তার নতুন চেহারার সাথে মানিয়ে নিতে পরামর্শ দেন। সে তার নতুন চেহারার জন্য কেঁদে উঠল এবং স্নান করতে ভিতরে গেল। এর পরে আমার বাবা এবং আমার ঠাকুরমা আমার বোনের গুন্ডু পছন্দ করতেন এবং সব সময় স্পর্শ করতেন যখন আমার বোন এটিকে ঘৃণা করতেন। আমার বাবা তার টাক চেহারা পছন্দ করেন কারণ সে খুব আকর্ষণীয় এবং সুন্দরী ছিল সেহেতু তিনি আমার মাকে কয়েক বছর ধরে আমার বোনের মাথার চুল কামানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমিও তার নতুন চেহারা পছন্দ করেছি। আমি আমার বোনের ভবিষ্যত মাথা মুণ্ডানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। অনুগ্রহ করে আপনারাও আপনাদের মাথার মুণ্ডনের কিছু ঘটনা বলুন এবং তাকে উৎসাহিত করুন কারণ সে তার নতুন চেহারা সম্পর্কে লাজুক এবং বিব্রত হয়েছিল।

Tuesday, April 24, 2012

লম্বা চুলের যত্নের টিপস

আপনি কি দ্রুত চুল লম্বা করতে চান?
আপনার কি চুল পড়া বা চীর্ণ চুলের মতো চুলের সমস্যা আছে?

আপনার মতো মেয়েদের জন্য চুলের যত্নের কিছু টিপস:

১. চুল ধোয়ার ব্যবধান- 
আমি আপনাকে সপ্তাহে অন্তত দুইবার আপনার চুল ধোয়ার পরামর্শ দিবো। আপনার মাথার ত্বকে ঘামের পলি নিয়মিত অপসারণ করতে হবে। অর্গানিক শ্যাম্পু বা শিকাকাই (একটি প্রাকৃতিক চুল ধোয়ার পেস্ট) ব্যবহার করুন। ভারী ডোজ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। চুলে লাগানোর আগে সবসময় শ্যাম্পু পাতলা করে নিন। সামান্য তোয়ালে দিয়ে পানি ঝরানোর পরে আপনার চুল স্বাভাবিকভাবে বাতাসে শুকিয়ে নিন। 

২. চুলে তেল দেওয়ার ব্যবধান- 
আমি আপনাকে সপ্তাহে দুই বা তিনবার চুলে তেল দেওয়ার পরামর্শ দিবো। তেল আপনার চুলের চাকচিক্য এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি তেল দেওয়া এড়িয়ে যান তবে আপনার চুল শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হবার ঝুঁকিপূর্ণ। আমি আপনাকে চুল ধোয়ার আগে চুলে ভালো করে তেল দেবার পরামর্শ দিচ্ছি। মনে রাখবেন তোয়ালে নিয়ে ঘুমাবেন যাতে তেল দিয়ে আপনার বালিশ নষ্ট না হয়। তবে উন্নতমানের নারকেল তেল ব্যবহার করুন। মাথার ত্বক থেকে শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণ তেল দিয়ে আপনার চুল ম্যাসাজ করুন। 

৩. চুল আঁচড়ানোর টিপস- 
আমি আপনাকে দিনে একবার-অধিকন্তু দুইবার চিরুনি করার পরামর্শ দিবো। খুব বেশি চিরুনি চুলকে টানটান করে এবং এটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। প্রথাগতভাবে ভারতীয় মেয়েরা সকালে এবং একবার সন্ধ্যায় চিরুনি করত। আপনার চুলে জট থাকলে গিঁট দূর করতে চওড়া দাঁতযুক্ত চিরুনি নির্বাচন করুন। চুল ভেজা অবস্থায় কখনই চিরুনি করবেন না কারণ ভেজা চুল খুব পাতলা এবং নাজুক। এটি সহজেই ভেঙ্গে যায়।

৪. সেরা চুলের স্টাইল তৈরি করার জন্য- "সেরা" কোন নির্দিষ্ট স্টাইল নেই। আপনার স্থানের চারপাশের পরিস্থিতি এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী আপনাকে এটি তৈরি করতে হবে। ভারতীয় মেয়েরা চুল বিনুনি করতে পছন্দ করে। লম্বা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য বেণী হলো সেরা স্টাইল। খোলা লম্বা চুলের স্টাইল আপনি রোদে রোদে বেরোলে এর চাকচিক্য এবং স্বাস্থ্য নষ্ট করতে সক্ষম। ঘুমানোর সময় আমি আপনাকে আপনার চুল ঢিলেঢালা করতে বা খোঁপা বাঁধার পরামর্শ দিই।

Tuesday, April 3, 2012

পড়শি মেয়ের মাথা ন‍্যাড়া করানোর মওকা (১ম ভাগ)

হ্যালো আমি গুজরাটের সালমান এবং আমার বয়স ২০ বছর। আমি হেয়ার ফেটিশ। আমার স্বপ্ন ছিল আমার জীবনে যে কোনো নারীর মাথা কামানো। তা বেশ এবার আমার জনৈকা মেয়ের মাথা নেড়ামুণ্ডি করানোর গল্প পড়ুন:— 


আমরা গুজরাটের একটি শহরে বাস করছি। গ্রীষ্মে আমাদের এলাকা খুব গরম থাকে। তাপমাত্রা ৪৫° থেকে ৪৮° এর মধ্যে চলে যায়। এটি একটি সীমান্তবর্তী জেলা এবং আমাদের প্রতিবেশীরা ইউপি থেকে এসেছে এবং তারা গত ১৫ বছর ধরে গুজরাটে অবস্থান করছে। তাই আমরা খুব কাছাকাছি. তাদের তিন সন্তান দুই মেয়ে ও এক ছেলে। সুতরাং উভয় মেয়ের বয়স ১৭ এবং ১৮। বড় মেয়ের নাম শবনম এবং ছোটটির নাম শাবানা। আমরা তাকে (ছোটি) বলে ডাকি। শবনমের চুল কাঁধের দৈর্ঘ্য এবং খুব খুব পাতলা এবং শাবানার চুলগুলি খুব ঘন এবং লম্বা থেকে কোমর পর্যন্ত লম্বা। দুজনেই কলেজে পড়ে, এক সুন্দর সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে আমার বেডরুম থেকে বের হয়েছিলাম এবং আমি আমার বাড়িতে আমাদের প্রতিবেশী আন্টিকে দেখেছিলাম। আমি রান্নাঘরে যাচ্ছি আর রান্নাঘর থেকে শুনছি। তিনি তার মেয়ের কথা বলছিলেন। গত সপ্তাহ থেকে সে অসুস্থ। তাই তার পরিবারের সকল সদস্য তার সুস্থতার জন্য চেষ্টা করছেন। এবং শেষ পর্যন্ত তিনি আমার বাড়িতে এসে তার প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করলেন। আর আমার মাকে বলছি তার মেয়ের শরীরে লাল বিন্দু দেখা দিয়েছে। তো আমার মা এটির দিকে তাকিয়ে বললেন এটি আমাদের ভাষায় ওরি (হাম) এবং… 


আন্টি: তাইলে উপায় কি? 

আমার মা: এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। ফার্মেসি থেকে কেনা ওষুধের কোর্স শেষ করুন। তার অসুস্থতা এক বা দুই দিনের মধ্যে চলে যাবে এবং আপনাকে আরও একটি পদক্ষেপ নিতে হবে। 

আন্টি: কোন পদক্ষেপ? 

আমার মা: তার সেরা ভবিষ্যতের জন্য তার মাথা কামানো। 

আন্টি: কেন? 



আম্মি ব‍্যাখ‍্যা করলেন—

অসুস্থতার কারণে উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যাওয়া বা দীর্ঘক্ষণ বেডরেস্টের কারণে জট বাঁধা হলো অসুস্থতার সময় বা পরে মাথা কামানো এবং নতুন শুরু করার বাস্তব কারণ। এছাড়াও, কখনও কখনও জ্বর সহ অসুস্থতার সময় চুল পাতলা বা ঝাড় হয়ে পড়ে, তাই মাথা ন্যাড়া করা জিনিসগুলিকে সহজ করে তোলে। তারপরে একটি বিশ্বাস আছে যে লম্বা চুল শক্তি শোষণ করতে পারে এবং হৃত স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারকে বাধা দিতে পারে; অসুস্থতা এবং স্বাস্থ্যোদ্ধারের সময় লম্বা চুলের যত্ন নেওয়া অবশ্যই কঠিন। 

আমার মা: নতুবা তার চুল আর বাড়বে না। 


আর আমি আমাদের রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে বললাম হ্যালো আন্টি; হ্যালো ছোটি। 

আন্টি: হ্যালো আমি তুমি কেমন আছ আন্টিঃ আমি ভালো আছি কিন্তু ছোটি ভালো নেই 

আমি: কি হয়েছে? 

আন্টি: ও গত এক সপ্তাহ থেকে অসুস্থ আর তোর মা বললেন এটা ওরি (হাম)। 

আমি: ওহঃ না এটা ছোটির জন্য খুব খারাপ। 

আন্টি: কি হয়েছে? 

আমি: ছোটিকে তার ভবিষ্যতের জন্য মাথা ন্যাড়া করতে হবে নতুবা তার চুল প্রতিদিন চলে যাবে। 

আন্টি: হ্যাঁ আমার বাছা আমি এটার জন্য চিন্তা করছি। 

আমি: কি ভেবেছো? 

আন্টিঃ ভাবছি যে ছোটিকে ন‍্যাড়া করবে কে? 

আমি: নাপিত। 

আন্টি: কিন্তু তোমার আঙ্কেল আমাদের বাসায় বাইরের কোন পুরুষকে ঢুকতে দেন না। 

আমার মা: তুমি এটা নিয়ে এত ভাবছ কেন? 

আন্টি: কে মাথা কামিয়ে দেবে? 

আমার মা: সালমান তোমার কাছে শেভিং করার সরঞ্জাম আছে এমন একটি বাক্স নেই? 

আমি: হ্যাঁ আম্মি। 

মা: আন্টির মেয়ে ছোটির মাথা কামিয়ে দাও। 

আমি: ঠিক আছে আম্মি। 

আন্টি: সালমান আমি তোমার আঙ্কেলকে এই বিষয়ে জানিয়ে তোমাকে উত্তর দেবো। আমরা সম্ভবত আগামী সপ্তাহের ছুটিতে ছোটিকে টাকলি করতে যাচ্ছি। কিন্তু ছোটিকে জানান দিও না।

Tuesday, February 14, 2012

অঞ্জলির বয়কাট করানোর জন্য বিভ্রান্তি ও বিভ্রান্তির শেষ

সবাইকে হাই, আমি এই ফোরামে নতুন। আমার মাথায় উকুন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। আমার মা এবং কাকী আমাকে খুব ছোট করে চুল কাটতে পরামর্শ দিয়েছেন। আমার এখন কাঁধের লম্বা চুল আছে। প্রথম, যখন আমি এটি শুনলাম, আমি একটি নতুন চেহারা নিয়ে খুশি ছিলাম, কিন্তু এখন, আমি বিভ্রান্ত হয়েছি কারণ আমার বন্ধুরা আমাকে বলেছিল যে এটি আমার জন্য বোরিং চেহারা হবে...কিন্তু আমার কাকী আমাকে বয়কাট বা মাথা ন্যাড়া করার জন্য চাপ দিচ্ছেন.. এই প্রথম আমি চুল কাটতে যাচ্ছি। আমার মনে অনেক সন্দেহ আছে, এটা বিউটি পার্লারে করা যায় নাকি নাপিতের দোকানে..? বিউটিশিয়ানরা কি আমাকে সুন্দর করে দেখাতে পারবে..? আমায় কি নাপিতের দোকানে যেতে হবে...? ক্লিপার মেশিনের কি অন্য কোনো খারাপ প্রভাব আছে...? যে কোনো মেয়ে যারা নাপিত দোকান/বিউটি সেলুনে চুল কাটা/মাথা শেভ করেছে প্লিজ আমাকে সাহায্য করুন... 


প্রিয় সকল 
এটা অঞ্জলি আমার চুল কাটার অভিজ্ঞতা পোস্ট করার জন্য আবারও হাজির.. আমি আমার বাড়ির কাছে একটি নাপিতের দোকানে খুব ছোট বয়কাট দিয়েছিলাম। গত রবিবার, আমি আমার বাবার সাথে আমার বাড়ির কাছে নাপিতের দোকানে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধুরা পরামর্শ দিয়েছিল যে বিউটি পার্লারের মহিলারা ছোট করে চুল কাটাতে তেমন পারদর্শী নয়। তাই আমি সেখানে গিয়েছিলাম... আমি দোকানে ঢুকলাম, ভাগ্যক্রমে, সেখানে আর কেউ ছিল না। ,আমি চেয়ারে বসলাম। নাপিত চুল কাটার কথা জিজ্ঞেস করল, তারপর আমার বাবা বললেন সুন্দর একটা ছোট চুলের কাট আর আমার মাথায় যেন কোন উকুন না থাকে..নাপিত বলল ঠিক আছে। তিনি আমাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন, তারপর তিনি আমার চুলে জল ছিটিয়ে দিলেন.. 

তিনি চিরুনি দিয়ে চুলগুলি ভাগ করলেন এবং তারপরে তিনি কাঁচি নিয়ে কাটতে শুরু করলেন। কয়েক মিনিট পর, আমি সব অংশে সমান পরিমাণে চুল নিয়ে ছোট বয়কাটে চলে গেলাম। অতঃপর আমার বাবা তাকে দৈর্ঘ্য কিছুটা কমাতে বললেন।তারপর তিনি কাঁচি নিয়ে আমার পিছনের চুল থেকে কাটতে লাগল। এরপর তিনি কাঁচিটি বাম ও ডান পাশের চুল দিয়ে চালালেন। চুলগুলো কাপড়ে পড়ছিল।তখন উনি সামনের চুল সমান করে দিলেন... তখন উনি ক্ষুরটা নিয়ে আমার কানের উপরে এবং ঘাড়ের উপরে কামান..  এখন আমি স্টাইলিশ বয় কাটের সাথে আছি। আমি আমার নতুন চেহারা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তিনি ব্রাশ দিয়ে আমার মাথার অতিরিক্ত চুল সরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি পাউডার দিয়ে আমার গ্রীবার পশ্চাৎভাগ ব্রাশ করেছিলেন..আমি একটি জিন্স এবং বানিয়ান পরেছিলাম এবং তাই আমাকে এখন ছেলের মতো লাগছিল.. আমার বাবা সুন্দর ভঙ্গিমায় আমার চুল আঁচড়ালেন এবং আমরা টাকা দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে গেলাম...

Friday, January 13, 2012

মাথা মুড়ানো ও নাক ফোঁড়ানো

আমি ১৯ বছর বয়সী এবং ৩ দিন আগে যুক্তরাজ্যে কর্মরত প্রবাসী লোককে বিয়ে করেছি। তার মা একজন দক্ষিণ ভারতীয় এবং তিনি তার বাবাকে অনেক আগেই হারিয়েছেন। তারা সারাজীবন আসামে বসবাস করেছেন। 

আমার প্রথম দিন, সকালে প্রস্তুত হতে বলা হয়েছিল. আমি সব অলংকার দিয়ে সেজে নতুন শাড়ি পরলাম। 


আমাদের সোহাগ রাতের আগে আমি এবং আমার স্বামীর কিছু আচার অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। 

আচার-অনুষ্ঠান কী এবং পুজো কেমন তা আমার জানা ছিল না। 

আমরা নদীর ঘাটে পৌঁছে যাই। আমার শাশুড়ি এবং আরও কয়েকজন মহিলা ঘাটে বসে আছেন। আমার স্বামী আমার সামনে বসে আছে। আর তার পেছনে পরিবারের অন্য পুরুষরা বসে। আমি একটু নার্ভাস বোধ করলাম। পণ্ডিত এসে আমার কাছে বসে। আমি উপরের দিকে তাকাই এবং পরিবারের একটি ১৩ বছর বয়সী বিতৃষ্ণ মেয়েকে আমার কাছে বসতে আনা হয়। আমি ভিড়ের মধ্যে কাউকে বলতে শুনি “সুধিয়ার বয়স কি ১৩ বছর হয়ে গেছে? মুণ্ডন কি আজই হবে?" … আমি বুঝতে পারি কেন অন্য মেয়েটি এত অনিচ্ছুক ছিল - তাকে আজ ক্লিন শেভ করা হবে এবং সে টাক হবে। আচারানুষ্ঠান কেন হবে সে নিশ্চিত ছিল না। পণ্ডিত কথা শুরু করে বললেন, সুধিয়ার বয়ঃপ্রাপ্তি হয়েছে এবং তার মাথা তক্তকে ও মসৃণ ন্যাড়া করতে হবে এই পবিত্র নদীর ঘাটে। আমি অদ্ভুত অনুভব করছিলাম কারণ আমি কোন মেয়েকে প্রকাশ্যে কামানো হতে দেখিনি। 

ছোট্ট মেয়েটি কাঁদতে শুরু করে এবং বেশ কয়েকজন মহিলা তাকে ধরে রেখেছিলেন।  নাপিত তার ক্ষুর-উস্তারা ধারালো করতে লাগল। সুধিয়ার মা নাপিতকে নির্দেশ দিলেন, “পুরো মাথা সাফ মুড়াবেন… আপনি কি প্রথমে কাঁচি দিয়ে কাটবেন নাকি সোজা ক্ষুর চালিয়ে দিবেন?” এই কথা শুনে মেয়েটি আরও জোরে কেঁদে উঠল এবং তার মা তাকে থাপ্পড় মেরে বলল “আর একবার তুমি যদি চিৎকার করলে তো সারা বছর তোমার মাথা বেল রাখব।” … সুধিয়ার মাথায় জল ঢেলে দেওয়া হল.. মেয়েটি অবজ্ঞাত ছিল এবং নাপিত তার মাথা ধরেছিল এবং বললেন "ব‍্যস ৫ মিনিট লাগবে, ওর মধ্যে তুমি টাক হয়ে যাবে… "এবং লোকেরা হেসে উঠল। উস্তারা মেয়েটির মাথায় প্রথম পাস করেছে এবং একটি সাদা কেশমুক্ত ত্বক দেখা দিয়েছে…। তার মাথার কেন্দ্রের একটি বড় কেশদাম তার চোখের সামনে পড়ে গেল। পাসের পর পাসে তার সব চুল পড়ে গেল। মেয়েটির মা কাছে এসে তার মাথার খুলি ছুঁয়ে তা অনুভব করলেন এবং নাপিতকে জিজ্ঞেস করলেন, “এ ধারে এই যে ছুটে গেছে খানিক.. পুরোটা আচ্ছা করে চমকাও আর সাফ ২ চার বার ক্ষুর ঘোরাও… মাথা তাজা মুড়ানো লাগা চাই আর এমন না হয় আমি ২ দিনের মধ্যে দুবার নিয়ে আসি এর মাথা মুড়াতে… চমকাও”… নাপিত নির্দেশ মেনে চলল… “বিবি জি এবার হয়ে গেল… মাস ভর মাথায় একটা চুলও দেখা যাবে না…\” ছোট্ট মেয়েটি এখন সম্পূর্ণ টাক হয়ে গেছে এবং কেঁদে চোখ বের করে ফেলেছে। কতিপয় মহিলারা সুধিয়ার কাছে এসে নদী থেকে কিছু জল নিয়ে তার টাকের উপর ঢেলে দেন এবং তারপর কিছু কুমকুম নিয়ে তার টাক মাথায় স্বস্তিকা আঁকল। তারা তাকে তার টাক মাথায় স্পর্শ করে অনুভব করতে বললেন। সে আবার কাঁদতে শুরু করে। একজন মহিলা বললেন, “এখন “কেন কাঁদছ তুমি.. মাথা মুড়ে গেছে, … অভ্যস্ত হয়ে নাও” অন্য একজন বলল। "আয়না দেখাও এবং মাথায় হাত বোলাও" … মেয়েটি নিজেকে দেখল ও দুঃখ পেল।




আমি এই সব দেখেছিলাম এবং ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু অদ্ভুত অনুভব করছিলাম… আমি জানতাম না এটা কী ছিল…. একটা মেয়ের মাথা ন্যাড়া করতে দেখে আমি কেঁপে উঠেছিলাম... আমি যা জানতাম না তা হল এই… পণ্ডিত এবার আমার দিকে ফিরে বললেন, “বিধি শুরু করি তবে। গিরিজা, তোমার পতির দীর্ঘায়ুর জন্য, তোমাকে মুণ্ডন করতে হবে। তোমার পতি তোমার ঝুঁটি নিজেই কাটবে আর পরে তুমি ওটা নদী তে ভাসিয়ে দিয়ে আসবে। এর পরে, নাপিত এই ক্ষুরটি তোমার পতিকে দেবে যে শিখাকে ছেড়ে  তোমার মাথায় পহেলা ক্ষুর ঘুরাবে। এর পর নাপিত তোমার মুণ্ডন করবে। “এর মানে আমাকে পরিষ্কার ন‍্যাড়া করা হবে। আমার কোন ধারণা ছিল না। আমি একটি ছোট শহরের বাসিন্দা এবং আমার সৎ পরিবার আমাকে এই ব্যক্তির সাথে বিয়ে দিয়েছে কারণ সে যুক্তরাজ্যে থাকে। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম… আমি কাঁপছিলাম… আমি যা দেখেছিলাম তা আমার সাথে ঘটতে চলেছে। আমার হাঁটু পর্যন্ত লম্বা চুল ছিল... আমি আমার স্বামীর দিকে তাকালাম যিনি মুচকি হাসছিলেন... প্রক্রিয়া শুরু হলো...। আমার চুল কাটা হয়েছিল, নদীতে দিয়ে দিলাম... কাঁদতে লাগলাম এবং শাশুড়ি কর্তৃক তিরস্কৃত হলাম... আমি তখন ফিরে এলাম। আমার স্বামী ক্ষুর নিলেন এবং আমার চুলের একটি অংশ কামিয়ে দিলেন... আমি দৈন্যপীড়িত ছিলাম। নাই (নাপিত) আবার এসে আমার চুলে পানি দিয়ে চাঁছা শুরু করলো….. একজন মহিলা বললেন “কান্না বন্ধ করো…. স্বামীর জন্য মুণ্ডন করাচ্ছ”.. পণ্ডিত আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “ছোটবেলায় মুণ্ডন হয়েছিল?” আমি একটা কথাও বললাম না… “আরে হয়েছিল কি না? মাথা মুড়ানো হয়েছিল তোমার?” … শাশুড়ি যখন আমাকে খোঁচা দিয়েছিল তখন আমি বললাম না … পন্ডিত চালিয়ে গেলেন “ঠিক আছে, কোন ব‍্যাপার নেই… এই সারা বছর প্রতিটি তীর্থে তার মাথা ন্যাড়া করে দেবেন সব ঠিক থাকবে”… আমি আরও চুপসে গেলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমি নেড়ামুন্ডি হয়ে গেলাম। আমার শাশুড়ি আমার টাক মাথা অনুভব করলেন এবং নাইকে বললেন… “আর একটু সাফ করো আর আচ্ছা করে চমকিয়ে সাফ করো” … নাই আবার শুরু করল এবং আমি এখন কিউবলের মতো টাক হয়ে গেছি। আমাকে নদীতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আমার শাশুড়ি আমার টাক মাথা ধুয়ে দেয়। এখন আমাকে বসানো হয়েছিল এবং সমস্ত মহিলা কাছে এসে এক এক করে আমার টাক মাথা অনুভব করেছিল এবং তাতে কিছু তেল দিয়েছিল। অবশেষে আমার স্বামীকে ডেকে আমার টাক মাথায় সিন্দুর দিতে বলা হলো। এবার শাশুড়ি বললেন ""পন্ডিত জি এমনকি এর নাকও ছ‍্যাঁদানো হয়নি" (তার নাকও ছিদ্র করা হয়নি) পন্ডিত বললেন "হাঁ এক্ষুনি ছিঁদিয়ে দাও আর নথ পরাও" (হ্যাঁ, ছিদ্র করো না এবং তাকে পারিবারিক নাক-আংটা পরতে বাধ্য করো।)… ছিদ্রকারীকে ডাকা হয়েছিল। শাশুড়ি আমার কেশহীন মাথাটি ধরে রেখেছিলেন এবং একটি মোটা নথ ছিদ্রকারককে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “এর মুণ্ডন এখনি হয়েছে কি? "শাশুড়ি বললেন... হাঁ সবে মাত্র হয়েছে" ইয়া বড় নাকের রিং দিয়ে আমার নাক ছিদ্র করায় আমি চিৎকার করে উঠলাম। 

আমরা বাড়িতে এলাম। আমাকে আমার রুমে পাঠানো হলো। . আমি আমার টাক মাথাটা একটা আঁচল দিয়ে ঢেকে রেখেছিলাম। আমি দুঃখিত এবং বিব্রত এবং হতবাক ছিলাম। আমার স্বামী এসে আমাকে আমার ঘোমটা সরাতে বললেন এবং বললেন সে আমার মাথা দেখতে চায়। আমি না বলেছি। তারপর সে আঁচলটি সরিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করল যে আমি এখনও আমার ন‍্যাড়া মাথা অনুভব করেছি কিনা। আমি কাঁদতে লাগলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন এই আচার। সে বলে, এটা তার মায়ের মানত এবং তার মা তাকে এই শর্তে আমাকে বিয়ে করতে দিতে রাজি হয়েছেন। সে বলে, আমার মাথা কামানো দেখে সে খুব উত্তেজিত। আমার স্বামী আমাকে বাথরুমে নিয়ে গেল এবং সামনে একটি মানব দৈর্ঘ্যের আয়না, আমাকে চোখ তুলে তাকাতে বলল। আমি টাক ছিলাম এবং আমার নথ পরানো ছিল। সে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, কেমন লাগছে... এবং আমার হাত ধরে আমার মাথায় ঘষতে লাগলো...। আমি আমার চুল হারানোর জন্য খুব দুঃখিত... আমি আমার স্বামীর সাথে ৩-৪ দিনের মধ্যে ইউকে চলে যাচ্ছি এবং সে বলেছিল যে, উৎসবগুলিতে, সে তার মায়ের কাছ থেকে আমার মাথা ন্যাড়া করার নির্দেশ পেতে পারে এবং সে এটা নিজেই করতে পারে। ... এসব ছাড়া সে আমাকে ভালোবাসে কিন্তু আমি আমার চুল হারানোয় ভীত ও দুঃখিত...

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...