বিল্টু ওই অবস্থাতেই মাটিতে বসে পড়ল। সে বুঝতে পারছে না আজ কি হচ্ছে। হাঁপিয়ে গিয়েছিল সে। কিন্তু ক্লান্তির থেকেও গোটা শরীরে কি যেন উত্তেজনা অনুভব করছিল সে। বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইল মাটির দিকে তাকিয়ে। পরমাও কিছুটা ধাতস্থ হয়েছে ততক্ষণে। কিন্তু সারা শরীরে যন্ত্রণা ছাড়া কিছুই অনুভব করতে পারছিল না। পুরোটাই তার মনে হচ্ছিল একটা দুঃস্বপ্নের মত। উঠে বসল সে বিছানায়। তার শরীরে তার লম্বা চুল ছাড়া আর কোনও আচ্ছাদন নেই। লজ্জাও আর নেই। এবার বিছানা থেকে টলতে টলতে নেমে দাঁড়াল। এইসময় বিল্টু মুখ তুলে তাকাল একবার তার দিকে। দুজনের চোখে চোখ পড়ল। আর পরমার দিকে তাকাতেই বিল্টুর আবার কি যেন হয়ে গেল। পরমার ভিজে উলঙ্গ শরীর জুড়ে প্রায় হাঁটু অব্দি ঝুলে থাকা এলোমেলো ভিজে চুল আর ঘোলাটে দৃষ্টি যে কোন পুরুষ কেই সেই সময় পাগল করে দিতে পারে, বিল্টুর আর কি দোষ। সেও উঠে দাঁড়ায়। কম্পিউটারের সামনে চেয়ারটা টেনে এনে তারপর পরমার ডান হাতের কনুইটা ধরে টেনে বসিয়ে দিলো চেয়ারে। পরমা কোনও প্রতিবাদ করল না। তার আর কিছু বাকিও ছিল না বিশেষ খারাপ লাগার মত। বিল্টু আবার তার চুলে হাত দিলো। এবার আর আগের মত হাত কাঁপছিল না। বরঞ্চ অন্য উত্তেজনা অনুভব করছিল। বেশ যত্ন করে এলোমেলো চুলগুলো মাথার পিছনে জড়ো করে আবার গোছা করল। তারপর হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নেড়ে চেড়ে শুকালো চুলের গোছাখানা। সদ্য শ্যাম্পু করা নরম শুকনো চুলের স্পর্শ লাগছিল তার যৌনাঙ্গে তাতেই সেটা আবার শক্ত হয়ে উঠল। অনেকক্ষণ চুলটা ম্যাসাজ করল। তারপর সেই অবস্থাতেই চুলের গোছাটা বেশ ভালো করে আঁচড়ে রাবার ব্যান্ড দিয়ে একটা পনিটেল করল উঁচু করে। এতক্ষণে তার নজর পড়ল পরমার বাকি শরীরের পানে। কি অদ্ভুত সুন্দর লাগছে। তার মাসাজের কারনেই হোক আর ক্লান্তিতেই হোক পরমার মাথা এলিয়ে পড়েছে পেছন দিকে। আর চেয়ারের পিছনে প্রায় মেঝে অব্দি ঝুলে রয়েছে সেই আশ্চর্য সুন্দর চুলগাছি। লক্ষ্য করল চুলের গোছাটা যেটা এতদিন কালো মনে হত, সেটা ঠিক কালো নয়। বরং গাঢ় তামাটে রংয়ের। পরমার ফর্সা উলঙ্গ শরীরে গোলাপী মুখে আর মাথার পেছনের তামাটে রঙের লম্বা চুলের গোছায় তাকে বিল্টুর পর্ন মডেল ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছিল না। তবু কি যেন একটা খুঁত রয়েছে। ঠিক নিখুঁত মডেলদের মত নয়। বিল্টুর মনে হল চুলগাছির আগা অসমান এবড়ো থেবড়ো। কাঁচি টা তুলে নিয়ে সমান করলো ডগাটা। এই প্রথম পরমার চুলের টুকরো আলাদা হয়ে মেঝেতে পড়ল। যদিও তা সামান্যই। বড়জোর এক ইঞ্চি হবে। হ্যাঁ, এইবার পার্ফেক্ট হয়েছে গোছাটা। তার আরও ইচ্ছে হল পরমার কপালটাও চুলে ঢেকে দিতে। যেমন সে দেখেছে ছবিতে মডেলদের। সে পনিটেলটা খুলল। মাথার সামনের চুল মাথার তালুর মাঝ অব্দি আলাদা করে বাকি পিছনের চুল আঁচড়ে আবার পনিটেল করল। তারপর সামনে এসে পরমার সামনের চুল মুখের সামনে আঁচড়াল। লম্বা চুলে পরমার শরীরের সামনের অংশ ঢাকা পরে গেল তার ফলে। বিল্টু এবার সুন্দর করে ভ্রুর নিচ অব্দি সমান করে নিখুঁত করে ছেঁটে ফেলল সেই চুল। লম্বা চুলের টুকরোগুলো পরমার উন্মুক্ত স্তন বেয়ে ঝরে পরছিল কোলে দুই উরুর ফাঁকে। ব্যাং কাটা হলে চুলের গাছিগুলো যত্ন করে সরিয়ে রাখল বিল্টু। কিন্তু তবু, কি যেন চোখে লাগছে। চেয়ারখানা এবার নিজের দিকে ঘুরিয়ে লক্ষ্য করল পরমার শরীরে অবাঞ্ছিত চুল বগলে ও যৌনাঙ্গে। এক মগ জল এনে শেভিং কিটটা খুলে রেজার হাতে নিপুণভাবে শেভ করল সেগুলি। পরমার বোধবুদ্ধি লোপ পেয়েছে, সে কোনো প্রতিবাদ করছে না। এমন কি বিল্টু যখন তার হাতটা তুলে ধরছিল সে যেন নিজের অজান্তেই সহযোগিতা করছিল তাকে। যেন মাদকাসক্ত কোনও সুন্দরী রমণী। প্রায় আধঘণ্টা পর কাজ শেষ হলে এবার বিল্টু পরমার দিকে তাকিয়ে বুঝল আর তার পক্ষ্যে নিজেকে সামলানো অসম্ভব। এই শরীর যেন তাকে ডাকছে। সে আর সামলাতে পারলো না। পনিটেলটা ধরে পরমাকে দাঁড় করিয়ে তার শরীরটা সামনে ঝুকিয়ে আবার সে লিপ্ত হল কামলীলায়। দাঁড়িয়ে, চেয়ারে বসে পরমাকে কোলে বসিয়ে, শেষে বিছানায় শুয়ে আড়াই ঘণ্টা ধরে ভোগ করল সেই শরীর। শেষে যখন বিল্টুর হুঁশ হল ততক্ষণে সে বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে আর পরমা তার যৌনাঙ্গের ওপর বসে নিজেই উন্মাদের মত লাফাচ্ছে। পরমা সমস্ত লাজ-লজ্জা বিসর্জন দিয়ে নিজেকে রূপান্তরিত করে ফেলেছে ওর দেখা সেই মডেলদের একজনে। যার প্রধান উদ্দেশ্য তার যৌনসঙ্গীকে চরম সুখের উপলব্ধি করানো। তারপর যা ঘটল তাতে বিল্টু শুধু অবাক হল না, ভয় পেল যেন। চরম মুহূর্তে পরমা তার যৌনাঙ্গে মুখ দিয়ে চেটেপুটে সব যৌনাঙ্গ নিঃসৃত রস সবটুকু পান করল। তারপর বিল্টু কে হাত ধরে তুলে তার যৌনাঙ্গ ধরে নিয়ে চলল সেই টুলটার দিকে। আর সে বিল্টুর দিকে তাকিয়ে এমন এক কামুক হাসি হাসছিল যে হাসি বিল্টু দেখেছে, কিন্তু পরমার মুখে নয়। পরমাও কোনোদিন হাসেনি সেরকম হাসি। যেন সে এক বারাঙ্গনা আর তার প্রথম খদ্দের বিল্টু।
এবার পরমা টুলটায় বসল আর কাঁচিটা তুলে বিল্টুর হাতে দিয়ে নিজে তার দিকে পিছন ফিরে বসল। যেন বলতে চাইল নাও এবার আসল কাজ শেষ কর। বিল্টুর মনে পড়লো সেই নিউজ এ্যাংকার মেয়েটির কথা। যেমনটা সে দেখতে চেয়েছিল পরমাকে। বিল্টু প্রথমেই পনিটেলটা আলাদা করল পরমার মাথার ত্বক থেকে। তারপর ট্রিমার তুলে নিলো। প্রায় আধঘণ্টা যাবৎ উন্মত্ত খেলা যখন শেষ হল তখন পরমার মাথার চুল বড়জোর দু ইঞ্চি বাকি আছে। ঘাড় আর দু কানের পাশে চুল প্রায় নেই বললেই চলে। ঘাড় থেকে মাথার ওপর অব্দি চুল ক্রমশ বড় হয়ে মাথার ওপর দু ইঞ্চি লম্বা। মাথার সামনের ব্যাং তখনও তেমনি। বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে। এরপর দুজনে জামা কাপড় পরে যখন ঘর থেকে বের হল তাদের নিজেদের সম্পর্ক আগের মত তো নেই-ই বরং যেন বদলে গেছে দুজনেই। দুজনেই যেন খুব খুশি।
পরমা নিজেকে আয়নায় দেখল। বেশ দেখাচ্ছে তাকে। আজকালকার মডার্ন বাংলার ম্যাম।
পরে যেদিন সে কলেজে ঢুকল সবাই তাকে দেখে যথেষ্ট অবাক হল। আরো অবাক হল যখন দেখল পরিবর্তন শুধু পরমার মুখমণ্ডলে হয়নি। এই দুদিনে যেন মানুষটাই বদলে গেছে।