Friday, September 26, 2014

পরিবর্তন (১৮+) ১ম পর্ব

পরমা চক্রবর্তী একটি কলেজের বাংলার অধ‍্যাপিকা। মার্জিত রুচিসম্পন্ন গম্ভীর ব্যক্তিত্বের আড়ালে সুন্দরী উপমাটি তার ক্ষেত্রে যেন ভয়ে জড়সড় হয়ে থাকে। কারণ সে একজন প্রফেসর। এমনটাই অন্তত সে ভাবত নিজের ব্যাপারে। তাই সে সুন্দরী হলেও কোনো ছাত্র তার সঙ্গে ফাজলামি করার সাহস দেখাত না। হাল্কা রঙের শাড়ি, মানানসই সাজপোশাক, কপালে বড় টিপ, ও ঘাড়ের কাছে বড় খোঁপা বা লম্বা বেণী করে যখন সে ক্লাসে ঢুকত ছাত্র-ছাত্রীদের চরম কোলাহলও নিমেষে থেমে যেত তাকে দেখে। সারাদিন এই পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে যখন সে সন্ধ্যে বা ভোরবেলায় যখন ছাদে একা থাকত তখনও যেন নিজেকে সেই খোলসের মধ্যেই অনুভব করত। এই খোলসের মধ্যে থাকতেই সে অভ্যস্ত। তবে সে যে সুন্দরী সেটা সে ভালোই জানত। তার কাছে সৌন্দর্য মানে স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক; যেমন বুনোফুল। কৃত্রিম সার দেওয়া বাগানের গোলাপেরও যে সৌন্দর্য আছে সেটাকে সে সুন্দর ভাবতে জানে না। তাই নিজেকেও চিরকাল কৃত্রিম সাজ থেকে দূরে রাখত যতটা সম্ভব। তার প্রমাণ তার হাঁটু ছুঁইছুঁই একঢাল ঘন কালো লম্বা অল্প কোঁকড়ানো চুল। পৃথিবীতে ওই একটি জিনিস তার চোখে সবচেয়ে সুন্দর। পরম আদরে লালন করত সে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সে কাটাত আয়নার সামনে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে অনেকক্ষণ ধরে আঁচড়াত, নাড়ত চাড়ত। যেন পরম আনন্দে খেলা করত। কিন্তু কখনো খেয়াল করেনি বিল্টু তাকে লক্ষ্য করত আড়াল থেকে।

পরমা যে সুন্দরী সেটা আগেই বলেছি। ৫’৬” লম্বা ফর্সা সুঠাম সুশ্রী চেহারা। তার চুলের বর্ণনা আগেই দিয়েছি। তবে সেই বর্ণনায় তার সৌন্দর্য কিছুই তুলনা করা যায়না। বিল্টুরও যে সেই চুল এত পছন্দ তাতে আর তার দোষ কি? তার মায়ের এই লম্বা ঘন কালো মখমলের মত চুল তাকে এতটাই আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল যে সে স্বপ্নেও নিজের মাকেই দেখতে পেত আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে, কিম্বা কখনও কখনও নিজেকেও ভাবত মায়ের চুল দুহাতে নিয়ে সাড়া গায়ে মাখছে সেই নরম পশমের কোমলতা। তার সারা শরীর দিয়ে অনুভব করছে। আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলত কল্পনার জগতে যেখানে সে মায়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ত।ইন্টারনেটে খুঁজে বেড়াতো তার কল্পনার জগৎ। আর সেসব আবর্জনা জড়ো করত নিজের কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে। তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাথরুমে কাটিয়ে অবশেষে মোহ কাটলে ভীষণ অপরাধী ভাবত নিজেকে। কিন্তু আবার নিজের মাকে খোলা চুলে দেখলে নিজেকে সামলাতে পারত না, আবার ফিরে যেত নিজের পুরনো জগতে। এই চাপে দিন দিন সে অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলো। কিন্তু কোনোদিন কাউকে জানতে দেয়নি। পরমাও জানার চেষ্টা করেনি এতদিন তার নিজের ছেলের মানসিক সমস্যাগুলো। চিরকাল নিজের খোলসেই ঢুকেছিল সে। নিজের অজান্তেই পরোক্ষে সে নিজেই নিজের সন্তানের সর্বনাশের কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।

পরমার স্বামী বিশ্বম্ভর তার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। সে বিশেষ নজর দিতে পারে না সংসারে। আর ছোট্ট সংসারে যা প্রয়োজন হয় পরমাই সামলে নেয় সব। কাজের লোকও আছে দুজন। সকালে সন্ধ্যে কাজ করে যায়। কলকাতার দামী ফ্লাটে দুজনের আয়ে সচ্ছল ভাবেই চলে যায়।


বিল্টুর বয়স ১৮ পরমার একমাত্র সন্তান। ভালো নাম বিশ্বরূপ। একটা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এই বছরই এডমিশন নিয়েছে। বিল্টুর ঘর আলাদা। ওর ঘরে কাজের মেয়ে দিনে দুবার ঝাঁট দেওয়া আর একবার মোছার জন্য ঢোকে। সেটা বিল্টু জানে। তাই কখনও অতিরিক্ত নিরাপত্তার কথা ভাবেনি সে। আর মা-বাবার ল্যাপটপ আছে। তার কম্পিউটারে যে পাসওয়ার্ড দেয়া উচিত সেটাও সে কখনো অনুভব করেনি।

ব্যাপারটা যখন প্রথম পরমার নজরে পরে তখন নিজেকে সামলাতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগেছিল তার। কাউকে কিছু বলেওনি সে। বিল্টু সেদিন কলেজে গিয়েছিল। পরমার ল্যাপটপে কিছু গোলমাল হওয়াতে ভেবেছিল বিল্টুর কম্পিউটারে মেইলটা একবার চেক করবে। তাতেই ব্যাপারটা পরমা প্রথম জানতে পারে। এই ধরনের কোনও বিপদে যে তাকে পরতে হতে পারে সেটা সে আগে ভাবেনি। ব্যাপারটা জানার পর থেকে সে সজাগ হয়ে বিল্টুকে বেশ কিছুদিন ভালো করে লক্ষ্য করে সমস্যাটা কতটা গভীরে পৌঁছেছে বুঝতে পেরেছিল। 

সেদিন ছিল শনিবার। পরমার কলেজ সেদিন ছুটি ছিল। সকাল বেলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছিল। আর আড়চোখে লক্ষ্য করছিলো বিল্টুও তাকে দেখছে খাটের পাশটায় বসে। বয়ঃসন্ধির সময় যে সন্তানের বন্ধু হতে হয় সেটা সে জেনেছে সমস্যাটা জানার পর তার এক মনোবিদ বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে। আর এইসময় যে বেশি বকাঝকা করলে সেটাও সে জেনেছে তার কাছ থেকেই। তাই নিজেকে সামলে রেখেছে অনেক কষ্টে। চুুুল আঁচড়ানোর পর চিরুনিতে লেগে থাকা চুল সমেত চিরুনিটা পরমা রেখে দিল টেবিলের ওপর। আর তার পর বেরিয়ে এল রুমের বাইরে এবং দরজার আড়ালে লুকিয়ে সে যা দেখল তাতে তার মাথায় রক্ত উঠে গেল। পরমা দেখল তার ছেলে সেই চিরুনিটা তুলে তাতে লেগে থাকা চুলগুলো আস্তে করে বার করল আর শুঁকতে লাগল। পরমা অবাক হয়ে ভাবল সে কেন এমন করছে! এর পর বিল্টু নিজের প্যান্ট খুলে তার নুনু বার করল এবং পরমার সেই আঁচড়ে ফেলে দেওয়া চুল সে ওখানে পেঁচিয়ে নিল সঙ্গে সঙ্গে তার লিঙ্গ ফুলে দাঁড়িয়ে গেল । এ বয়সেই তার ধোন বেশ দীর্ঘ ও লম্বা। সে তার নুনুর লাল মুন্ডিতে ওই চুল থুথু দিয়ে পেঁচাতে থাকল । পাছা পেরোনো লম্বা চুল পেঁচানোর পর ওর ধনের লাল অংশটা কালো হয়ে গেল এবং উত্তেজনায় বীর্য বেরিয়ে গেল বিল্টুর। এদিকে আড়াল থেকে পরমা যে সব দেখছে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই বিল্টুর। অতঃপর বিল্টু একটা টিস‍্যু বের করে বীর্য মুছে ফেলল। কিন্তু সেই চুল ওই ভাবেই লাগিয়ে রাখল নুনুতে আর ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ল বিছানায়। পরমার তো রাগে গা জ্বলছে ঐসব দেখে। যার ভয়ে গোটা কলেজের ছেলে মেয়ে কুঁকড়ে থাকে তার নিজের ছেলে কিনা শেষ অবধি তার চুলের কামনায় এত নোংরা কাজ করল ছিঃ। তবে তার বন্ধু যে সমাধান বলেছে সেটা তার কাছে মেনে নেওয়া অসম্ভব মনে হয়েছিল। কিন্তু বন্ধু তাকে বুঝিয়েছে, এ ছাড়া বিল্টুকে শোধরানোর আর কোনও উপায় নেই। কিন্তু কিভাবে কি বলবে কিছুই ভেবে পাচ্ছিল না পরমা। শুধু বিল্টু কে দেখছিল আর যত দেখছিল তত তার মাথা গরম হয়ে উঠছিল।

No comments:

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...