Monday, September 15, 2014

পারম্পরিক অনুশাসন ভাঙায় সাজা

হাই আমি আলিশা। এটি আমার বাস্তব ঘটনা যা কয়েক বছর আগে ঘটেছিল। আমি একটি ব্রাহ্মণ পরিবার থেকে এসেছি, আমাদের পরিবারে আমার মা, আমার বাবা এবং ৩ জন বোন রয়েছি। আমি সবার ছোট। আমি যখন ইন্টার ২য় বর্ষে পড়ি তখন এই ঘটনা ঘটে। আমার পরিবার সম্পর্কে লিখলে এটা খুবই গোঁড়া এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ব্যাপারে খুবই কঠোর। আমাদের তিন বোনকে কখনোই জিন্স বা স্কার্ট পরার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা সবসময় সালোয়ার স্যুট পরতাম। কিন্তু সবাই জানে কলেজ লাইফ নিজের মূল‍্যবোধকে নষ্ট করে দেয়। আমি সবসময় জিন্স এবং শর্ট স্কার্ট পরতে চাইতাম। একদিন আমার বাবা-মা এবং আমার বড় বোনেরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে শহরের বাইরে গিয়েছিলেন। আমি এটিকে আমার খায়েশ পূরণের সুযোগ ভেবেছিলাম। আমি আমার বন্ধু থেকে জামাকাপড় চাইলাম এবং ওর কাছ থেকে একটি ছোট স্কার্ট এবং একটি টপ নিলাম। আমি পোষাক পরেছিলাম এবং অনিচ্ছাসত্ত্বেও এসব পরে কলেজে দেখাতে গিয়েছিলাম। সেদিন আমাকে এমন বেশভূষায় দেখে সবাই অভিভূত হয়েছিল। এটা ছিল আমার এক বন্ধুর জন্মদিন। সে আমাদের সবাইকে একটি পার্টি দিয়েছিল। আমার সব বন্ধু আমাকে আমিষ খেতে বাধ্য করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমার বাবা-মা কোনো কারণে বিয়ে থেকে ফিরে আসেন। আমি বেকারিতে ছিলাম যেখানে আমার বাবা-মা বাস থেকে নেমেছিলেন। তারা দূর হতে আমাকে লক্ষ্য করেন এবং আমার কাছে এলেন, আমাকে তাদের সাথে বাসাতে নিয়ে গেলেন। ১০ মিনিট অন্তর আমরা আমাদের বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। সেখানে পরিস্থিতি বরাবরের মতো শান্ত ছিল। সে ক্ষণে হঠাৎ আমার মা আমাকে রূঢ়ভাবে আমার পরিধেয় বদলানোর নির্দেশ দেন। আমি আমার পরিচ্ছদ পাল্টে নিই। তিনি আমার বোনদেরকে কিছু পুরানো কাপড় পরিধান করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সবাই প্রস্তুত ছিলাম এবং যা ঘটতে চলেছে তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমার বাবা বাইরে গেলেন। প্রায় ২০ মিনিট পর তিনি একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে ৫০ বছরের কাছাকাছি বয়সী একজন লোককে নিয়ে ফিরে আসেন এবং পিছনের করিডোরে নিয়ে যান। আমাদের সবাইকে করিডোরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং খুব কর্কশভাবে আমার বাবা বলেছিলেন যে আমাদের তিনজনেরই মাথা মুড়ানো হবে। আমার বড় দিদি কান্নায় ভেঙে পড়ে। আমি অনুনয় করে বললাম উনি এমন করছেন কেন? তিনি বললেন, কেন এই শাস্তি হচ্ছে তা তুমি ভালোই জানো। তারপর মা আমাকেই প্রথমে নাপিতের কাছে ঠেলে দিলেন মাথা কামানোর জন্য। আমি কাঁদতে লাগলাম এবং সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলাম কিন্তু আমার মা আমাকে নাপিতের দিকে ধাক্কা দিচ্ছেন....চল..... আমি চেঁচিয়ে কাঁদছিলাম। কিন্তু আমার পাশে কেউ ছিল না। আমার বাবা নাপিতকে প্রথমে আমাদের সমস্ত লম্বা বাঁধা চুল কেটে ফেলতে বলেছিলেন যাতে আমরা পালাতে না পারি, নাপিত এক জোড়া কাঁচি নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে এলো এবং এক ঝটকায় সে আমার বেণীটি কেটে ফেলল এবং এটি মেঝেতে পড়ল; অবিলম্বে সে আমার উভয় দিদিরই বিনুনি কেটে দিলো। আমার বাবা আমাকে প্রথমে যেতে বাধ্য করেছিলেন যদিও আমি যেতে চাইনি। আমার মা ও বাবা আমাকে জোর করে নাপিতের সামনে বসিয়ে দিয়েছিলেন। নাপিত তারপর একটি মগ থেকে কিছু জল নিয়ে আমার চুল সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দিলো। আমি উপরে থেকে নিচে প্রায় ভিজে গিয়েছিলাম কারণ আমি শুধু আমার মাথা নাড়াচ্ছিলাম এবং সরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সে অনন্তর সোজা ক্ষুরটি হাতে নিয়েছিল। আমার হৃৎস্পন্দন বাড়তে শুরু করে এবং আমি আমার শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম। অতঃপর সে রেজারে ব্লেড পরিবর্তন করে আমার মাথা নিচু করে, তারপরও আমি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সে আমার মাথার চূড়া থেকে কপালে একটি পাস তৈরি করেছিল। চুলের বিশাল তাল আমার কোলে পড়েছিল এবং মলয়ানিল এক হাওয়া আমার মাথার ছাল স্পর্শ করেছিল। আমি অমনি নড়াচড়া থামিয়ে দিই। কয়েক মিনিটের মধ্যে সে একধার সম্পন্ন করে। চুল ঝরে পড়ছিল যেন বৃষ্টি পড়ছে। তারপর সে আমার মাথা ঘুরিয়ে সম্পূর্ণভাবে মুণ্ডিয়ে দিলো। সে কাজ শেষ করার সাথে সাথে আমার বাবা তাকে শেভিং ক্রিম দিয়ে আমার মাথা ২ বা ৩ বার চাঁছতে বলেছিলেন যাতে এটি মসৃণ হয়। সে এটি করেছিল এবং অনতিপরে আমার বোনদের পালা আরম্ভ হয়। মেজ দিদি জিজ্ঞেস করলেন আলিশা ভুল করলে আমাদের শাস্তি দিচ্ছেন কেন? তদুত্তরে তিনি বলেছিলেন যে এটি তোদের সবার জন্য একটি চোখ খোলার মতো যেন তোরা কেউই এটির পুনরাবৃত্তি না ঘটাস। এরপর নাপিত দ্রুত আমার দুই দিদির মাথা ন‍্যাড়া করে সে চলে গেল। আমার বাবা কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এবার থেকে তোরা সকলে আমাদের কৃষ্টি ও পরম্পরা বজায় রাখবি, নয়তো এর থেকেও কঠিন সাজা হবে।

No comments:

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...