Friday, June 24, 2016

অর্থাভাবে উন্মুক্ত নাপিতের দোকানে মা-মেয়ের ক্ষৌরকর্ম সম্পাদন (১ম পর্ব)

১৭ বছর বয়সী টিনা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তার চুল পরীক্ষা করছিল। অবশেষে তার চুলগুলি তার স্তনের দৈর্ঘ্যকে স্পর্শ করেছে দেখে সে খুবই উত্তেজিত হয়েছিল। তার চুল কাঁধ পর্যন্ত ছাঁটাই করা তার মায়ের জন্য মাসিক রুটিন ছিল, তবে গত কয়েকমাস ধরে তিনি তা করেননি। টিনা তার মায়ের কাছে গিয়ে মৃদুভাবে জিজ্ঞাসা করলেন, "মা, আমার মনে হয় আমার একটু চুল ছাঁটান দরকার" মা কোনও উত্তর দিলেন না। টিনা না থেমে বলে যায়, “মা, তুমি গত কয়মাসে ট্রিম করতে ভুলে গেছ, এটা খুব খানিকটা বেড়েছে"। তার মা, ৩৭ বৎসর বয়সী মাঝ পিঠ দৈর্ঘ্যের চুলের এক মহিলা তার দিকে ফিরে হেসে বললেন, "আমি ভুলিনি, তুমি এখন চুলের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট বড় হয়েছ। তোমার বাবাও চাচ্ছেন এখন হতে তুমি চুল লম্বাই রাখ। বেশ তবে, তুমি যদি আবার শর্ট করাতে চাও, আমি আজ লাঞ্চের পরে এটা কাটতে পারি। সে জবাব দিল, ওহঃ না, না, আমিও এটি লম্বাই পছন্দ করি।
তার মা হেসে বলেন- তবুও এটার কিছু ট্রিমিংয়ের দরকার আছে। তুমি অবশ্য চাইলে পার্লারেও যেতে পারো।
টিনা আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে বলে, সত্যি বলছ, এখন আমি আমার চুল স্টাইল করাতে পারি?
মা প্রত‍্যুত্তরে বলেন– অবশ্যই তোমার বাবারও সায় আছে তবে মাথায় রাখবে বেশি ট্রেন্ডি যাতে না হয়।
তার মা তাকে জিগ্গেস করলেন, তুমি কি আজই পার্লার যেতে চাও? টিনা মাথা নাড়িয়ে হ‍্যাঁ বলল।
কয়েক মিনিট পরে তারা পার্লারের দিকে যাচ্ছিল। পথে টিনাকে তার মা জিজ্ঞাস করল, তুমি কেমন স্টাইল করাতে চাও? টিনা জবাব দিল আমি শিওর নই আর তুমি? তার মা উত্তর দিলেন, “আমার মনে হয় পিক্সি বা বব দারুণ হবে" টিনা উত্তেজিত হয়ে উঠল, সত্যিই মা? তুমি তোমার চুল অতখানি ছোট করে ফেলবে? মা হতচকিত হয়ে গিয়েছিল, ‘নাহ, আমি পার্লারে কোনও চুল কাটতে যাচ্ছি না, আমি তো তোমায় পরামর্শ দিচ্ছিলাম।’ টিনা বলে:- তবে এখন সময় বদলানোর, তোমার বয়স বাড়ছে, তোমার চুলের আর তেমন জৌলুসও নেই। তার মা সহমত হয়ে বললেন, "হ্যাঁ… আমি জানি। আমি ইতিমধ্যে গত বছর মাঝ পিঠ পর্যন্ত এটি কাটিয়েছি, কি কাটাইনি?” টিনা জোর দিয়েছিল, "হ্যাঁ… বয়কাটের মতো কিছু দরকার" তার মা ফিরে তর্ক করেনি। তিনি তার চুলগুলিকে স্পর্শ করলেন যা বিনুনিতে ছিল এবং মৃদুভাবে বলেন, 'পার্লারে গিয়ে পরে দেখব'। পার্লারে কি পরিমাণ সেবামূল‍্য নিচ্ছে সেটা দেখে হতাশ হতেই যেন তারা পার্লারে গেল। এটি অযৌক্তিকভাবে বেশি ছিল। এছাড়াও অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা ছিল। মন খারাপ আর দুঃখিত হয়ে তারা ঘর অভিমুখে হাঁটা শুরু করে।
টিনা জানত যে সে পার্লারে স্বল্পমূল্যে ভালো কোনও স্টাইল করাতে পারবে না, দর জানার পরে সে আর চায়ওনি। যদিও তার মা তাকে বলেছিল যে তারা আগামী রবিবার তার জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করবে, কিন্তু টিনা তা প্রত্যাখ্যান করল। তারা দুজনে ফিরতি পথে হাঁটছে হঠাৎ টিনা বলল, মা… দেখো ওখানে একজন নাপিত বসা। তার মা অবাক হয়ে বলেন, “নাপিতের দোকান? তুমি কি সিরিয়াস?
(টিনা মুচকি হাসল)
–আমরা কি ওঁকে বাড়িতে ডাকতে পারি? এরা লোক খারাপ নয়। তার মা নাপিতকে বাড়িতে ডাকার প্রস্তাবেতে রাজি হন। বাস্তবে তিনি প্ল্যাকার্ডটি না পড়লে এটিকে নাপিতের দোকান হিসাবে বিশ্বাস করতে পারতেন না। ছাদ ছিল না। গাছের সাথে ঝুলানো একটি আয়না, তার নীচে একটি চেয়ার রাখা হয়েছে, যার উপরে একজন নাপিত বসে সংবাদপত্র পড়ছিলেন। দু'জনকেই তাঁর কাছে আসতে দেখে তিনি উঠে তাঁদের সালাম করলেন। টিনা সরাসরি জিজ্ঞেস করল, “আপনি কি আমাদের বাড়িতে আসতে পারবেন? আমাদের চুল কাটা দরকার।”
নাপিত বিনয়ের সাথে না বললেন, “আমি কেবল আমার দোকানেই সার্ভিস দিই। আমি আপনাদের দুজনের চুলই কাটব তবে এখানে বসেই কাটতে হবে।
টিনা মৃদু হাসল। তার মা বাধা দিয়ে বলেন, "ধন্যবাদ না, আমরা অন্য কোথাও কাটিয়ে নেব" টিনা বলল, “মা… এখানটা ভাল। এখানে এখন আর কেউ নেই। চলো এখানেই কাটিয়ে নিই।" মায়ের মুখ লাল হয়ে গেল। তিনি বললেন:– তুমি এখানে কাটাতে চাও, কাটাতে পারো। আমি এখানে খোলায় বসে চুল কাটাতে যাচ্ছি না টিনা মুখে হাসি নিয়ে আলতো করে ঠেলে তার মাকে চেয়ারে বসালো আর বলল হ্যাঁ তুমিও কাটাবে। তার মা শারীরিকভাবে প্রতিরোধ করেননি বটে তার প্রতি রাগী মুখে তাকালেন। টিনা তাড়াতাড়ি নাপিতকে অর্ডার দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, ‘হুম ... এঁকে একটি সুন্দর বয়িশ কাট দিন' তার মা তার ইচ্ছার কাছে সমর্পণ করলেন কোনো প্রতিবাদ ছাড়াই। নাপিত তার চারপাশে একটি কেপ জড়ানোর সময় তিনি নাপিতটিকে নিজের বেণী তুলে ধরে সাহায্য করেছিলেন। তারপরে নাপিত লোকটি উভয় হাত দিয়ে বিনুনিটি ধরলেন ও এটিকে হালকাভাবে টেনে বললেন, ‘আমি এটি কাটতে যাচ্ছি’ টিনার মা কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি তবে হাসলেন। নাপিত তখন তার বাক্স থেকে সবচেয়ে বড় কাঁচিটি তুলে নেয় এবং এর ফলার মধ্যে বিনুনিটি ঢুকিয়ে নেয়। টিনার মা তার চোখ বন্ধ করে রেখেছিল অপরদিকে টিনা তার মায়ের কাঁচির মাঝে থাকা বিনুনিতে নিজের চোখ নিবদ্ধ করে। 


নাপিতটি কাঁচির আংটায় জোর লাগাচ্ছিল তবে কাঁচির ফলার জন্য পাকানো বেণী খুব পুরু ছিল। কেবলমাত্র কয়গাছি চুল কাটা পড়ে এবং বিনুনিটিকে একটি অস্পষ্ট চেহারা দেয়।
নাপিত হেসে বললেন:— এত লম্বা চুল কাটাতে আমি অভ্যস্ত নই এবং তারপরে একটি নতুন ব্লেড নিলেন। বাম হাতে বিনুনি আঁকড়ে ধরে তিনি ব্লেডটাকে ছুরির মতো চুলের ওপর চালাতে শুরু করলেন। টিনার মা তার চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন তবে তিনি অনুভব করলেন যে তার চুল কাটা পড়ছিল। কিছুক্ষণ চেষ্টার পরে, বিনুনি পুরোটা কেটে নাপিতের হাতে এলো। সে বেণীটা টিনার হাতে দিল এবং বাকি চুল ছড়িয়ে দিতে শুরু করল।
কাটা বিনুনি দেখে টিনার মার হাসি পেল। তার চুল এখন কাঁধের ওপরে উঠেছিল এবং ববকাটের কাছাকাছি দেখাচ্ছিল। তিনি তার চুল আয়নায় ভাল মত দেখবার আগেই, নাপিত দ্বারা তার মাথা নুইয়ে দিল। তিনি অনুভব করলেন ধাতব কিছু তার চুলের পশ্চাৎ স্পর্শ করেছে, উপরের দিকে যাচ্ছে। যেখান দিয়ে গেছে সেখানে চুলহীন এবং বাতাসের ছোঁয়া অনুভব করেছিলেন। জিজ্ঞাসা করতে তিনি টিনার দিকে তাকান। 

টিনা হাসল এবং ফিসফিস করে বলল, এটা কেবল ম্যানুয়াল ক্লিপার মা। নাপিত পিছনে ক্লিপিং করতে থাকে। তিনি যখন ক্লিপার চালাচ্ছিলেন, চুল মাটিতে ঝরে পড়ছিল। তার চুল পিছনে খুব ছোট হয়ে উঠছিল। পিছনের কাজটি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, তিনি তার মাথার উভয় পার্শ্বদেশ ক্লিপিং আরম্ভ করলেন ও সেগুলিও ক্লিপ করেন। টিনার মায়ের চুলগুলো এখন শ্রী ছন্দহীন দেখাচ্ছিল, পাশ এবং পিছনে এত ছোট করে ক্লিপ করা হয়েছিল যে তার মাথার ত্বক আংশিকভাবে দৃশ্যমান ছিল। তবে মাথার মাঝখানে এটি এখনো পূর্ববৎ বৃহদাকারই আছে।
নাপিতটি তখন চিরুনি এবং কাঁচি নিলো। নাপিত ক্লিপার সরিয়ে রাখাতে তাঁর মা স্বস্তি পেলেন। তিনি দুই পায়ের মাঝখানে নিচে দেখলেন। তার চুল সব জায়গায় ছিল। এমনকি তার কেপ ও কোল তার বিচ্ছিন্ন চুলে ঢাকা ছিল। নাপিত তার চুলের উপরে প্রচুর পরিমাণে পানি স্প্রে করতে শুরু করে যে এগুলি তার মুখের উপর দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা পড়তে শুরু করে। তারপরে তিনি তার চুলগুলি দুপাশে ভাগ করে সিঁথি করলেন। তিনি সিঁথির বাম পার্শ্ব চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে কাঁচিটি কানের কাছে রাখলেন এবং তার চুলের অংশগুলি কাটতে শুরু করলেন। একটি ঢাল না তৈরি হওয়া পর্যন্ত তিনি কাটতে থাকলেন। তারপরে তিনি অন‍্য পার্শ্বে গেলেন এবং চুলগাছি ডানদিকে আঁচড়ান ও একই রকম ভাবে কাটেন। তারপরে তিনি সামান্য পরিমাণে চুল আঁচড়ান যাতে তার চোখ ঢেকে যায়। কাঁচি কোণাকুণি করে ধরে তিনি তার চোখের সামান্য উপরে কাটা শুরু করে। টিনা ও তার মা তার নিজের নতুন চেহারা দেখে হাসল। তাকে সম্পূর্ণ অন্যরকম দেখাচ্ছে। তারা লক্ষ‍্য করল একটি রেজারে একই ব্লেড দ্বিখণ্ড করে প্রবেশ করালেন যেটি তার বিনুনি কাটতে ব‍্যবহার হয়েছিল। তারপরে পিছনে এবং পাশগুলি ভিজিয়ে নাপিত তার মাথা ঝুঁকিয়ে ও কাত করে সমস্ত পাতলা অস্পষ্ট চুল কামিয়ে ফেললেন। 
নাপিত অতঃপর তার ঘাড় ও মুখ ঝেড়ে ফেলল এবং কেপ সরিয়ে ফেলল। তিনি চেয়ার থেকে উঠতে উঠতেই চুল ছুঁয়ে দেখেন। তিনি তার চারপাশে বারবার দেখছিলেন এবং বিশ্বাস করতেই পারছিলেন না যে তিনি এই সমস্ত চুল কাটিয়ে ফেলেছেন। টিনাও তার চুলের প্রশংসা করল। সে তার মার দিকে তার বিচ্ছিন্ন হওয়া বেণীটা ছুঁড়ে দিল। তিনি তা হাত বাড়িয়ে লুফে নিলেন। এরপর আয়নার সামনে তা তিন আঙ্গুলে ঝুলিয়ে দেখলেন এবং শেষে নিজের ভ‍্যানিটি ব‍্যাগে পুরে নিলেন। 

[চলবে…] 

Translated from HC&S stories

No comments:

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...