Friday, February 12, 2016

সৎ মায়ের জবরদস্তিতে রেশমীর বদল

রবিবার সকাল ১১টা। স্মিতার ১৮ বছর বয়সী সৎ মেয়ে তার ইয়োগা ক্লাস থেকে সবেমাত্র ফিরে এসেছে। যদিও তা সকাল ৮টা নাগাদ শেষ হয়েছে কিন্তু রেশমী গত কয়েক সপ্তাহ নাগাদ ৩ ঘণ্টা দেরি করে ফিরছিল। তার চুলগুলি অগোছালো দেখাচ্ছে এবং ধুলোবালিতে ভরা দেখাচ্ছে। স্মিতা এবং রেশমী কখনই একে অপরকে পছন্দ করত না, একে অপরের কাছাকাছি থাকলে বাতাসে সবসময়ই উত্তেজনা থাকে। রেশমী দরজা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করতেই স্মিতা তার পথরোধ করে জিজ্ঞাসা করল,“তুমি কোথায় ছিলে রেশমী?" রেশমী জবাব দিল, "None of your business." স্মিতা পাল্টা বলে, "Of Course It's of my business” এবং তুমি জান না খোলা চুল ইয়োগা ভঙ্গির জন্য ঠিক নয়। 


রেশমী উত্তর দিল, "আমার চুলের যত্ন কিভাবে নিতে হয় তা আমি জানি সো আপনি নিজের 'সুন্দর চুল’ নিয়ে ভাবুন। স্মিতা বলে: তোমার না গত সপ্তাহে চুল কাটার কথা ছিল, তোমার চুল ছোট করা উচিৎ। রেশমী ব্যঙ্গ করে উত্তর দিল, ওহ! আমি ভুলে গেছিলাম স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ, আমি এটি ১/২ বছর পরে গিয়ে কাটাব। স্মিতা এবার বিরক্ত হল, "দেখ যদি তুমি আমার মতো সুন্দর চুল চাও তবে তোমাকে এখনি এটি ছোট করতে হবে এবং তুমি কলেজের পরে বাড়ানো শুরু করতে পার।" রেশমী প্রত্যুত্তর দেয়নি। সে কোনোক্রমে তার সৎমাকে পছন্দ করে না তবে স্মিতার চুল সত্যই চমৎকার এবং প্রশংসনীয়। সে ধীরে ধীরে উত্তর দিল, "আমি এখন ক্লান্ত স্মিতা আর আমি চুল ছোট করছি না, সম্ভবত আপনার মতো ভাল হবে না তবে তা যাই হোক ভালই হবে" স্মিতা বলে যায়, তুমি তোমার খোলা চুল এবং দেরি হবার ব্যাখ্যা এখনো দাওনি। রেশমী দীর্ঘশ্বাস ফেলে উত্তর না দিয়ে তার ঘরে যেতে লাগল। স্মিতা আরও বলে, "আমি জানি তুমি আবার সেই লোফারটার সঙ্গে ছিলে" রেশমী হঠাৎ থমকে গেল। 


স্মিতা বলে, "রেশমী এসো, আমি তোমার চুল কাটার বন্দোবস্ত করেছি। রেশমী অবাক হয়ে বলল, "আমার চুল কাটানোর বন্দোবস্ত?" স্মিতা ফিরে জবাব দিয়েছিল, 'ফ্রেশ হয়ে কিছু স্ন্যাকস খেয়ে তৈরি হয়ে নাও 'হেয়ারড্রেসার আজ ১২টায় আসছে। আমি তোমাকে এর ১০ মিনিট আগে বাগানে চাই। "রেশমী এবার ভীত হয়, তবে সে তার ভয় আড়াল করে জবাব দেয়, "হাঁ, আপনি ভেবেছিলেন ঘরে হেয়ারড্রেসারকে ডাকলে আমি কাটিয়ে নেব। আমি রেস্ট নেব, বিরক্ত করবেন না" স্মিতা হেসে বলেন, “দেখ রেশমী, তুমি আমার মেয়ে; যদিও আমাদের বয়সের পার্থক্যে আমাদের আদর্শ মা-মেয়ে জুটি বলা চলে না, তবুও তোমার ভালর জন্য যা করা উচিত তা আমি করব, তুমি না চাইলেও। আমি জানি তুমি কখনই হেয়ারড্রেসারের কাছে যাবে না, তাই আমিই তাকে ডাকলাম এবং লাস্ট ওয়ার্নিং! তুমি যদি বাধ্য মেয়ের মত চুল কাটতে না বসো তবে জোর করেই কাটানো হবে" রেশমী এবার ভয় পেল। এই মুহূর্তে তার ভাই বা তার বাবা নেই সেখানে সত্য। 


তাই সে আপসে চুল কাটাবে, কিন্তু খুব ছোট করে না। সে ১২টার আগেই বাগানে পৌঁছে, একটি ট্যাঙ্ক টপ এবং শর্টস পরে। স্মিতা বাগানের একপ্রান্তে একটা সোফা রেখেছিল। স্মিতা তাকে দেখে খুশি হয়ে বলে এই তো ভাল মেয়ে। রেশমী বাধা দিয়ে বলে "দেখুন আমি কাটাতে রাজি, তবে অতটা ছোট নয়, কাঁধ পর্যন্ত ঠিক আছে, তবে ছেলেদের ধাঁচে কাটা ..." সে কথা শেষ করার আগেই হেয়ারড্রেসার প্রবেশ করল। আরও সঠিকভাবে বলতে একজন ৩০ বছর বয়সী নাপিত প্রবেশ করলেন। রেশমী তাকে সিটি সেন্টারের পাশে নাপিতের দোকানের নাপিত বলে শনাক্ত করতে পারল। রেশমী এবার অস্বীকার করে বলে “আমি চুল কাটাচ্ছি না স্মিতা। আপনি নাপিত ডেকেছেন, আপনিই চুল ছাঁটুন বা কাটুন বা মুড়িয়ে নিন" স্মিতা বলল- রেশমী সিন ক্রিয়েট করো না। 


রেশমী কথা না বলে লম্বা শ্বাস ফেলে তার রুমের দিকে হাঁটতে শুরু করল। তখন স্মিতা তার হাত ধরল। রেশমী এখন রেগে উঠল, কিন্তু স্মিতাকে না বুঝতে দিয়ে বলে, স্মিতা আমাকে একা ছেড়ে দিন। জবাবে স্মিতা বলল- স্টুলে বসো, নাপিত বেশি সময় নিবে না। আমাকে জোর করতে বাধ্য করো না। রেশমী হাত ঝাঁকিয়ে চিৎকার করে বলে, ‘How dare you!' এবং এক দৌড়ে সশব্দে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে গেল। স্মিতা রাগান্বিত হল। সে নাপিতকে তার সরঞ্জাম নিয়ে তার পিছু আসতে বলে। কয়েক মিনিট পরে রেশমীর দরজায় হিংসাত্মক গালিগালাজ হলো, তবে দরজা সহজে খুলে গেল। স্মিতা ঢুকে ঘরটি চেক করল তবে রেশমীকে পেল না। সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে খোঁজা হল। সবশেষে তাকে বিক্ষিপ্ত চুলের সাথে স্মিতা ঘরের আলমারির পিছনে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায়। 



রেশমীর দু'কাঁধ চেপে ধরে তাদের প্রতিবেশী মোনা আন্টি ও স্মিতা। স্মিতা হেসে বলল, ওফ! তুমি বেশ ঝঞ্ঝাটে। তোমাকে বের করতে আমায় মোনাকে ফোন করতে হল শেষ পর্যন্ত" রেশমী উঠতে অস্বীকৃতি জানালেও দু'জনের মিলিত শক্তির কাছে সে অসহায় হয়েছিল। তাকে আলমারির পিছন থেকে তুলে বিছানায় বসিয়ে দুজনে মিলে কোমর পর্যন্ত নুইয়ে দিল এবং তার মাথার উপরে করা খোঁপা খুলে গেল। স্মিতা নাপিতকে অর্ডার করলেন, “ঝুলপি কাটুন” তার চুল সামনে ঝুলতে থাকায়, তার কাঁদোকাঁদো মুখটি ঢেকে গেল। নাপিত একবার চুলে তার আঙুল চালাল এবং কাঁচিটি তার মুখের নীচে রাখল এবং কাচ্চছ্...ক্যাচচছছছচ… তার চুলের গাছি মাটিতে পড়ল। নাপিত বেশ দ্রুত কেটেছিল। রেশমী নিজের চোখের সামনে মেঝে নিজের চুল দিয়ে ভর্তি দেখল। 


সে রিল্যাক্স হলো এবং মাথা তুলে পিঠ সোজা করে বসল। তার চুল এখন কাঁধের উপরে অসমান ও অপরিপাটি করে কাটা ছিল। সে তার চুল স্পর্শ করে কাঁদতে লাগল। সে আরো বেশি করে কেঁদে উঠল। তাকে আবার স্মিতা ও মোনা আন্টি দুহাত চেপে ধরল ও বাগানে এনে স্টুলে বসাল। সে এবার বাঁধা দেয়নি, সে ভেঙে পড়েছে। তার গলায় একটি হলুদ কেপ বাঁধা হল। মোনা এবং স্মিতা দুজনেই তাকে ছেড়ে দিয়েছে। নাপিত তার চুলে প্রচুর পরিমাণে পানি স্প্রে করল যতক্ষণ না তার চুল বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ল। এরপর চুল দুটি অংশে পৃথক করে, একটি অংশ যা ক্লিপদিয়ে এঁটে দিল যা ছিল সামনের অংশ আর অন্য অংশটি তার মাথার দুপাশ এবং পিছনের চুল। 


এরপর পিছন থেকে কাঁচি এবং চিরুনির সাহায্যে কাটা শুরু তার মাথা সামনে নুইয়ে দিয়ে। লোকটি চিরুনি দিয়ে চুলের আগা তুলে করে গোঁড়ার দিকে কাঁচি চালালেন। ঝুলপিগুলো ঝরে পড়ছিল, কোনোটি মাটিতে পৌঁছেছিল, বাকিটা কাঁধে এবং কোলের উপর থামে। তারপরে তিনি কাঁচিটা পরিবর্তন করলেন ও পিছনে সোজা হেয়ারলাইন তৈরি করলেন এবং তার পরে একটি ক্ষুর বের করে এতে ব্লেড ঢুকান। তারপর আবার কিছুটা পানি স্প্রে করে হেয়ারলাইনটার নিচে ক্ষুর রেখে টান দিলেন ... মৃদু ঘ্যাঁচ শব্দে ঠান্ডা ব্লেডের স্পর্শে রেশমী কেঁপে উঠল। 


নাপিত এর পুনরাবৃত্তি করল। রেশমীর এক আজব অনুভূতি হলো। তিনি ঘাড় চাঁছা সম্পন্ন করে, কাঁচি নিয়ে রেশমীর ডানপাশে যান। তিনি চুল সোজা করে আঁচড়ান এবং তারপরে চিরুনি দিয়ে চুল খাড়া করে কাচ্চছ কাচ্চছ শব্দে কাঁচি চালিয়ে চুলের গোড়া থেকে খানিকটা উপরে তা মাথার ত্বক হতে বিচ্ছিন্ন করেন। তিনি প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করেছিলেন, যতক্ষণ না স্মিতার সন্তুষ্টি হয়। তিনি বাম পাশে গিয়ে একই কাজ করলেন। তারপরে তিনি ক্লিপটি সরিয়ে তার সামনের চুলগুলি খুললেন। তিনি এটিকে চিরুনি দিয়ে দুদিকে ছড়িয়ে দিলেন, তারপরে আবার পানি স্প্রে করলেন। তারপরে তিনি কাঁচি চিরুনিটি বামপাশে রেখে রেশমীর চুল পাট করলেন। তার সিঁথি মাঝ থেকে ডানপাশে পরিবর্তিত হয়। এরপর তিনি কাঁচি তুললেন এবং কাঁচিটিকে মাটির সমান্তরাল রেখে নতুন সিঁথির ডানপাশের চুল ছাঁটাই শুরু করলেন। তারপরে তার চুলের নতুন সিঁথি দৃশ্যমান করতে তিনি আরো কিছু ছেঁটে আবার ক্ষুর ধরলেন। এরপরে তিনি সামনের সমস্ত চুল সামনে থেকে চিরুনি দিয়ে পিছনে ঠেলে ঠেলে কাটতে শুরু লাগলেন। কাটা চুল তার মুখমণ্ডল বেয়ে কোলের উপর পড়তে লাগল। 


নাপিত তারপরে তার সমস্ত চুল সামনের দিকে আঁচড়ান ও তার কপালের ওপর যেখানে চুল গজানো শুরু হয়েছে তার থেকে ২ ইঞ্চি নিচ থেকে যতটুকু দীর্ঘ চুল ছিল তা সরাসরি কাটলেন। রেশমীর কানের সমান্তরালে হাল্কা বাদামী রঙের লোম ছিল মাত্র তবুও নাপিত সেখানে ক্ষুর প্রয়োগ করলেন। রেশমীর আবারো অস্থির অনুভূতি হয়েছিল। সবশেষে নাপিত তার সামনের চুল মুঠি করে ধরে তার দৈর্ঘ্য পরখ করল এবং কেপ ঢিলা করে দিল। অতঃপর দুই কানের পিছনে গোল করে চেঁছে ঘাড়ের শেষ পর্যন্ত ছোট চুলের বৃদ্ধির অঞ্চল ক্ষুর দিয়ে পরিষ্কার করে। তারপর তিনি রেশমীর মুখ, ঘাড় আর গলার তলা স্মিতার আনা তোয়ালে দিয়ে মুছেন এবং কেপ খুলে কেপের ওপরে পড়া সমস্ত চুল মাটিতে ফেলে দেন। 


এবার স্মিতা একটি আয়না বাড়িয়ে দেয় রেশমীর দিকে নিজের চেহারা যাচাই করার জন্য। সে স্টুল থেকে উঠে আয়নায় মুখ রেখে তার মাথা ছুঁয়ে দেখল ও ভেজা চোখে কাঁপতে কাঁপতে সোজা বাড়ির ভিতরে চলে গেল। সে সারা দিন নিজের রুমের দরজা আটকে বসে ছিল এবং না খেয়ে কাটালো। কেবল রাতে তার ভাই ফিরলে সে আশ্বস্ত হয় ও তার ভাইকে বলে স্মিতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। 


Translated from HC&S stories

1 comment:

R S said...

Chuler description gulo ektu aaro bhalo dite parte... jamon... straight naki wavy naki curly...length koto...!! Emni khub bhalo

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...