সে তার ঘাড়ের চুলগুলোকে পোনির মতো আঁকড়ে ধরে ধীরে ধীরে তার হাত দুটো তার ডগার দিকে দৌড়িয়ে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "তাহলে ম্যাডাম, আমি মনে করি আপনি এই সব কেটে ফেলতে চান"
স্মিতা উত্তর দিল না। রেশমি তাকে ঠাট্টা করে বলল, "মম লজ্জা করো না। তুমি আমাকে বলেছিলে আঊ… তুমি এই দীর্ঘ তালগোল থেকে মুক্তি পেতে চাও” আমি ওকে জোর করে বললাম, "কাম অন মম, ওকে বলো তুমি কত ছোটো চাও"
স্মিতা ধীরে ধীরে মাথা তুলে আমাদের দিকে চোখ নিবন্ধ করে বলল, "এটা কেটে ফেলো, উমম… কাঁধ পর্যন্ত… উমম কিছুটা বব কাটের মতো" আমি বাধা দিলাম, "না মা তুমি এটা ছোট চেয়েছিলে" রেশমি আমার সাথে যোগ দিল, "হ্যাঁ তুমি আমার মত চুল চাও" নাপিত বিরক্ত হচ্ছিল। স্মিতা আমাদের কাছে বশ্যতাস্বীকার করে বলেছিল, "তারা যা বলে তাই করো, আমি শুধু দ্রুত এর থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই" আমি আজ্ঞাভার নিলাম, রেশমিকে ওয়েটিং এরিয়াতে বসতে ইশারা করলাম এবং আমি নাপিতের পাশে দাঁড়িয়ে রইলাম।
আমি বললাম, "আগে তার চুল কাঁধ পর্যন্ত কাটুন, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি" নাপিত তাকে ধীরে ধীরে ঠেলা দিয়ে উঠতে ইশারা করল। তারপর তার দুই আঙ্গুল দিয়ে তার ঘাড়ের চুল ধরে সে কাঁচি নিয়ে তার আঙ্গুলের নিচে রাখল। আমি তাকে বাধা দিয়ে বললাম, "দাঁড়াও, মা তার চুল স্যুভেনির হিসাবে রাখতে চেয়েছিলেন, তাই এটি সংগ্রহ করতে হবে"
সে মাথা নেড়ে আমাকে তার চুল ধরে রাখতে ইশারা করল। আমি তার কোমরের একটু খানিক উপরে এঁটে ধরলাম। নাপিত আলতো করে তার মাথাটি নীচের দিকে ঠেলে দিল এবং কাঁচিটি বাম থেকে ডানে চালাতে লাগল…
কাচ্চ্চ্...চ্চ্...চ্চ্... তার প্রথম গুছিটা আমার খপ্পর থেকে ঝুলে পড়ে। নাপিত তার কব্জা সামঞ্জস্য করে এবং আবার কাচ্চ্ছ্ছ্ করে কেটে ফেলল...তার সমস্ত অলকদাম পড়ে যেতে লাগল। শেষপর্যন্ত চূড়ান্ত অলকগুচ্ছ কেটে গেল। তার পুরো চুলের তাল এখন আমার হাতে ছিল। আমি ওর মুখের চারপাশে এগুলি হাতের মুঠোয় নিয়ে নাড়লাম, “দেখ মম! তোমার চুল, এটা সত্যিই অসাধারন” তার চোখ জলে ভরে উঠল কিন্তু আমি সেদিকে কোন মনোযোগ দেইনি। আমি চুলগুলো রেশমির কাছে দিয়েছিলাম, যে এটি একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রেখেছিল।
স্মিতা আবার চেয়ারে ফিরে গেল। আমি বললাম, "দেখ, আমার মনে হয় মাকে ছোট চুলে ভালো মানাবে" নাপিত হালকা মাথা নাড়ল। আমি চালিয়ে গেলাম, "আপনি আমার বোনের চুলের স্টাইল দেখেছেন?" নাপিত উত্তর দিল, "হ্যাঁ ছেলেসুলভ কাট, তাকে দেখতে সুন্দর লাগবে" আমি বললাম, "আমি চাই আপনি ছোট করে দিন...হয়তো তাকে সেই মানুষটির মতো করে তুলুন যাকে আপনি আগে সেবা দিয়েছিলেন" নাপিত একটু বিভ্রান্ত হল, "বাজ কাট?" আমি হেসে বললাম, "হ্যাঁ" রেশমি যোগ দিলো, "এবং তার গ্রীবার পশ্চাদ্ভাগ এবং পাশ কামান"
স্মিতা এবার প্রমত্তা হলো। গভীর কণ্ঠে বলল সে "আমি কোনভাবেই সেই কাট দিচ্ছি না, শুধু একটা বব বা একটা বয়িশ কাট দাও বা আমি চেয়ার থেকে উঠে যাব।" রেশমি চিৎকার করে বলল, "বসে থাকো"
নাপিত বেদিশা হচ্ছিল। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “আমি আপনার ফরমাশে আপনার মায়ের উপর কোনও জোরপূর্বক কাট দিব না। তিনি আপনার মা, আপনি তাকে হুকুম করতে পারবেন না" আমি পরিস্থিতি সামলালাম, “দেখুন, সে একটু নার্ভাস। তিনি আসলে আমাদের বলেছিলেন যে তিনি তার মাথা বাজ করতে চান, তিনি এমনকি মাথা ন্যাড়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। মাঝপথে যদি সে তার মন পরিবর্তন করে তবে সে আসলে আমাদের তাকে বাধ্য করার আজ্ঞা দিয়েছিল। আপনি তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন" নাপিত তখন বেশি তর্ক করেননি। তিনি আলতো করে কেপটি সামঞ্জস্য করলেন এবং তার মাথা সোজা করলেন। এখন কাঁধের দৈর্ঘ্যে ক্লিপ করা তার চুল বরং কিম্ভূত লাগছিল।
তিনি আঙুল দিয়ে তারপর চিরুনি দিয়ে ছড়াতে লাগলেন। তারপর চিরুনিটা টেবিলে রেখে কাঁচিটা হাতে নিলেন। আঙ্গুল দিয়ে চুলের টুকরো চেপে ধরে তিনি পিঠে ছাঁটাই শুরু করলেন। তার সুন্দর কালো চুলের কুচো মেঝেতে পড়তে লাগল, তাকেও ঢেকে ফেলল। পিছনে করার পরে, তিনি তার সমস্ত চুল দুই দিকে আঁচড়ান, এবং তারপর কাঁচিটি তার উপরের কানের স্তরে রেখে ডানদিকে ছেঁটে ফেললেন। চুলে তার কোল ঢাকা পড়ে গেল। নাপিত এখন কাঁচি দিয়ে সারা হয়েছিল। তিনি এটি টেবিলে রাখলেন, এবং তারপর বৈদ্যুতিক ক্লিপার বের করলেন।
এটা দেখে স্মিতা হতবাক। নাপিত গার্ডকে ২ নম্বরে বদল করে, যখন রেশমি তাকে গার্ড সরিয়ে দিতে বলে মধ্যপথে বাঁধা দেয়। নাপিতের পাশাপাশি স্মিতা দুজনেই অভিঘানিত। স্মিতা প্রতিবাদ করলো, "তুমি এটা করতে পারো না" রেশমি তাকে ইয়ার্কি করে বলল, "মম প্লিজ, তুমি বলেছিলে প্রায় বাজ চাও, এখন পিছিয়ে যেও না, বাবা খুশি হবে না" স্মিতা আর রেশমি চোখে চোখ রাখে। স্মিতা আত্মসমর্পণ করল, “আমার মাথা বাজ করে দাও”
নাপিত তার মাথা পিছনে কাত করে, এবং তার মাথার ঠিক সামনে ক্লিপার স্পর্শ করে, তার মুখে তার চুল বৃষ্টি এবং তারপর তার কোলে জমা করে। নাপিত আবার এটি তার সামনের দিকে চালায়, এইভাবে তার মাথায় টাকের স্তরটি প্রশস্ত করে। নাপিত ক্লিপারের প্লাগ ঠিকভাবে চালু করতে থামল। স্মিতা তার মাথা সোজা করে, এবং তার মাথার দর্শন পেয়েছে। এটা খুব আলাদা ছিল, তার কুমারী মাথার ত্বক সফেদ কালো দেখাচ্ছিল। আমি কখনই তার এত লম্বা চুল দিয়ে তার মাথার খুলি দেখব কল্পনাও করিনি।
নাপিত তার কাজ চালিয়ে গেল, যতক্ষণ না সামনের অংশ সব পরিষ্কার হয়ে যায়। তারপরে সে পাশে সরে গেল, তার সমস্ত ফেঁসো চুল বাজ করে এবং এগুলি মেঝেতে পড়ে দেয়। শেষমেশ পেছনটা বাকি রইল। চেহারায় পূজারীকে অনুকরণ করা হয়েছে যেন তার পিছনে একটি শিখা আছে। নাপিত চুল আঙ্গুল দিয়ে ধরে এবং ক্লিপার চালানোর সাথে সাথে সেগুলিকে টেনে নেয়, এইভাবে তার সমস্ত লম্বা চুল সরিয়ে দেয়। নাপিত ছাঁটটি সুনিশ্চিত করার জন্য আবার ক্লিপারটি পুরো মাথার উপর দিয়ে চালাল এবং এটি বন্ধ করে দিল।
এরপর তিনি ড্রয়ার থেকে একটি রেজার বের করে তাতে নতুন ব্লেড ঢুকিয়ে দেন। স্মিতা আতঙ্কিত হয়ে বলল, “মাথা কামাবেন না”। আমি কেবল ঘাড়ের পিছন দিক বলার আগেই রেশমি বলল, "মা তুমি এটা করতে পারো" স্মিতা অনুনয় করে বলল, "না রেশমি, আমার মনে হয় না এটি ভালো হবে" নাপিতও তাকে সমর্থন করেছিল, "পুরো টাক মুন্ডু করা ঠিক হবে না" আমি আবার ম্যানেজ করলাম, “না, শেভিং কখনই পরিকল্পিত ছিল না, তবে ঘাড়ের গাঁইট শেভের সাথে সামান্য পরিবর্তন করা যেতে পারে।"
আমি স্মিতার মাথাকে কেন্দ্রে ছুঁয়েছিলাম তারপর তার কানের স্তর পর্যন্ত পিছনের দিকে সরে গিয়ে বললাম, "মায়ের চুল এখানে পিছন পর্যন্ত কামান, এবং পাশ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি কামিয়ে দিন" নাপিত অনুসরণ করল, স্মিতার মাথা সামনের দিকে বাঁকিয়ে, মাথার করোটির একটু নিচে রেজার রেখে তার পিছনের সমস্ত চুল চেঁছে দিল। তার পাণ্ডুর মাথার ত্বক ফুটে উঠল। তিনি বারবার এটি পুনরাবৃত্তি করলেন, যতক্ষণ না পিছনটি পরিষ্কার হয়ে যায়।
তারপর তিনি তার মাথা একদিকে ঝুঁকিয়ে তার পাশে একই কাজ করল। একমাত্র চুল বাকি ছিল কয়েক মিলিমিটার লম্বা তাও তার সামনের দিকে। নাপিত তারপর তাকে ধুলো দূর করে দিয়ে ধীরে ধীরে কেপটি সরিয়ে ফেলল, কেপের মধ্যে জমে থাকা ট্রেসগুলি মেঝেতে ফেলে দিল। পুরো মেঝে তার চুলে ঢাকা ছিল যার উপর সে চেয়ার থেকে নামার সময় পা রেখেছিল। সে আয়নায় তার চুল পরীক্ষা করতে শুরু করল, চুল অনুভব করার জন্য তার পিছনের দিকে পৌঁছে গেলে কিন্তু সেখানে ছিল না। তার চোখ সব সিক্ত ছিল এবং সে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
রেশমি তার ঘোর ভেঙে দেয়, "মম নাপিতকে তার ফি দাও" স্মিতা তাকে টাকা দিল, এরপর আমরা তিনজন দোকান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বাবা ফিরে আসেন কয়েকদিন পর। যে সকালে বাবা এসেছিলেন আমি সেফটি রেজার দিয়ে তার গর্দান এবং সমস্ত কামানো অংশ চেঁছে দিয়েছিলাম। সে বাবাকে ঘটনাটি সম্পর্কে কিছুই বলেনি তবে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলেছিল যে সে একটি বদল চায়। তার পরে সে অনেক সহনীয় হয়ে ওঠে, কিন্তু যাই হোক আমরা ছবিগুলো বাবাকে দেখালাম।
সে নীরবে আমাদের পরিবার ছেড়ে চলে গেছে, কোন নাটক নেই, কোন অভিযোগ নেই। তার থেকে পদমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল, কোথাও যাওয়ার নেই। আমরা তাকে কয়েক দিন পরে দেখেছিলাম, পুরো টাক মাথা এবং একজন নতুন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে। তার মোটা পোনি এখনও আমার নিকট, আমার আলমারিতে। সেই মোটা পোনি আমাদের বাড়িতে তার একমাত্র স্মারকচিহ্ন।
Translated from HC&S stories
No comments:
Post a Comment