বাংলা ভাষাভাষী হেয়ার ফেটিশদের চাহিদা মেটানোর জন্য এই ব্লগ। পোস্ট পড়ে কমেন্টে নতুন গল্পের আইডিয়া দিয়ে সাহায্য করলে আমি আরো ভালো গল্প লিখতে পারব।
Tuesday, May 14, 2019
অপরাধ - অন্তিম পর্ব
Friday, May 10, 2019
অপরাধ-৩
সেমিস্টার শেষে অনিক প্লান করে একটা আউটিং এর। সবাই যেয়ে নাচ গান করবে। হয়ত তখন সেই ফাঁকে শ্রেয়ার চুলগুলো একটু ছুয়ে দিতে পারবে সে। সবাইকে বললে রাজি হল। মিতার কাছ থেকে জানল যে শ্রেয়াও আসবে। মিতা কি ভাবছে কে জানে তাও বলল খোপা করে চুলের কাটা বেধে নীল রঙের টপস আর জিন্স পরিয়ে শ্রেয়াকে নিয়ে আসতে। একদিন শ্রেয়ার সাথে মেলামেশার জন্য বন্ধুমহল তাকে এক প্রকার গার্লফ্রেন্ডই বানিয়ে দিয়েছিল। সে যাই হোক অনিক আর আকাশ মিলে ঠিক করল মজা তো করবেই সাথে ধোঁয়াটোয়া গিলতে হবে, দুবোতল রামও নিল। ওদের প্লান ছিল প্রজেক্টরে সবাই মিলে পর্ণ দেখবে। কিন্তু মেয়েগুলা রাজি হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয়।
পার্টিতে শ্রেয়া অনিকের কথা মতই এসেছে। মিতা তাকে ভালই বুঝাতে পেরেছে তাহলে। সবাই মিলে আড্ডা মজা করে সিগারেটের ধোঁয়া টেনে রাম মুখে ঢেলে নাচতে শুরু করেছে সবাই। নাচতে গিয়ে চুল খুলে গেল শ্রেয়ার। আলো আঁধারির মধ্যে অমন রত্নবৃষ্টি দেখে অনিক যেন বিদ্যুতের শক খেল। চুলগুলো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে নিচে পড়ছে, শ্রেয়া মাথাটা পিছনে হেলিয়ে ঝাঁকিয়ে যেন পড়তে দিল চুলটাকে, পাছার মাঝ অবধি গিয়ে শেষ হল সেটা, এই ছ-সাত মাসে তাহলে আরো বেড়েছে! বুঝতে পারল অনিক ওর পক্ষে এটা না ধরে থাকা সম্ভব না। অবচেতন মনে গিয়ে কপালের চুলধরে কোমর অবধি চুলের নদীতে হাত ভাসিয়ে দিল। মিতা বলল "সামলে অনিক, বেশি খেয়ে ফেললি নাকি"। অনিক বলল "আরে ধুর, কি যা তা বলছিস, শ্রেয়ার চুল সুন্দর তাই একটু ধরলাম। কেন ধরলে কি কেস করে দিবি নাকি?" শ্রেয়া বলল "আমার চুল সুন্দরই আর এটা আমার বরের জন্য তাই অন্য কেউ হাত দিক তা আমি চাই না অনিক"
থতমত খেয়ে অনিক হাত ছেড়ে দিল। এতদিন ধরে চিনে আসা মেয়েটিকে অচেনা লাগছে। বন্ধুত্বের খাতিরে এর আগেও সে হাত ধরেছে, ঠেলা গুতা দিয়েছে, দু চারবার চুলেও হাত দিয়েছে। কিন্তু তাই বলে এভাবে রিজেক্ট! অনিক মেনে নিতে পারে না। দূর থেকে সে শুনল শ্রেয়া মিতাকে বলছে "অনিক ছেলে ভাল, বন্ধু হিসাবে হাত ধরাই যায় কিন্তু আমার চুল আমি কাউকে ধরতে দিব না।"
এত দেমাগ এই মেয়ের! সামান্য চুলের জন্য! এই চুল তাকে কি দিয়েছে! তার বন্ধুত্ব আজকে এভাবে নস্যাত হল সামান্য চুলের জন্য! কি এমন আহামরি হয়ে গেছে যে চুল ধরতে দিবে না! অনিক রাগে আর কিছু বলল না। মনে মনে বলতে লাগল ঐ চুল তার হাতের মুঠোয় চাই। পার্টি থমকে গেল ওখানেই।
শ্রেয়ার পরে একটু কেমন লাগল যে "এইভাবে বললাম ছেলেটাকে!" তারপরই ভাবল কেন সে এত চুলে হাত দিবে! এমনিতেই গায়ে হাত দেয় আবার চুলে এত হাত দেয়ার কি আছে সে কি তার গার্লফ্রেন্ড নাকি!! সে তার ওয়ারড্রবের আয়নার সামনে তার চুল আচড়াতে আচড়াতে ভাবছিল।
সাধের চুলগুলো সে আয়নায় দেখছিল। মাঝখানে সিঁথি করে চুলগুলো সামনে নিয়ে দেখছিল। কামিজের সামনের বোতাম খুলে দিল সে। এত ঘন মোটা চুল তার বুকের স্তন দুটি ঢাকতে যেন কোন কাপড়ের দরকার হয় না। স্তন পেরিয়ে পেটের সামনে নিয়ে আসল চুলগুলো। সে যে চেয়ারটিতে বসে ছিল সেই চেয়ার ছুঁই ছুঁই চুল। যেন তার সামনের ভগাংকুরকেও ঢেকে দিবে চুলগুলো। নিজের চুলের প্রতি নিজেরই একটা টান অনুভব করল শ্রেয়া। শোবার সময় মিতা তাকে আয়নার সামনে শ্রেয়াকে দেখে বলে উঠল "কিরে কি করছিস?" তড়িঘড়ি করে কাপড় ঠিক করে চুলগুলো পেছনে ঠেলে খোঁপা করে শুয়ে পড়ল।
শ্রেয়া খেয়াল করল অনিক তার সাথে আগের মত কথা বলছে না। সে কয়েকবার গেল অনিকের কাছে কিন্তু সে পাত্তা না দেয়ার ভান করছে। মনে মনে একটু খুশিই হল শ্রেয়া। যাক ভালই হলো। তবুও সে চেষ্টা করল সার্কেলে সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার। পড়াশোনা বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় ভালই কাটছিল তার।
শুধু অনিকের মনে একটা খচখচানি ছিল। যে করে হোক শ্রেয়ার চুলগুলো আমার চাই। যেভাবে হোক ঐ লম্বা চুলের একটা পরিনতি আমার হাতেই হবে।
অনিক সুযোগ খুজতে লাগল কিভাবে কি করা যায়, ভাবতে লাগল...
বন্ধুদের বলবে! না বন্ধুদের বললে ওকেই খারাপ ভাববে; শ্রেয়াকে তো কিছু বলা যাবে না, সে কিছুতেই ওর চুল দিবে না। গোপনে করতে হবে। কিভাবে কাউকে না বুঝতে দিয়ে করা যায় সেটাই বের করতে হবে। মিতাকে বলে শ্রেয়াকে এক জায়গায় নিয়ে যেয়ে জোর করে... না, শ্রেয়া আর মিতা দুজনই জেনে যাবে। আকাশকে বলে শ্রেয়াকে ডেকে আনা যায় কিনা! না, ডেকে আনলেও লাস্ট লোকেশন জেনে যাবে। এমনভাবে কাজটা করতে হবে যাতে কেউ জানতে না পারে। শ্রেয়াও বুঝতে না পারে। একটা প্লান তো বের করতেই হবে।
জীববিদ্যার ছাত্র হওয়ায় সে অজ্ঞানের ওষুধ সম্পর্কে একটু জ্ঞান তার আছে। কোনটা দিলে ওর ক্ষতিও হবে না, সময়ও পাওয়া যাবে, তাড়াতাড়ি অজ্ঞান হবে সেটা ঠিক করে করতে হবে। ওকে খাইয়ে দিলে কেমন হয়? চা এর সাথে! বা কাউকে দিয়ে মেশানো খাবার খাইয়ে! দেয়া যাবে না, অনিক খাইয়েছে; সন্দেহ হবে। কাপড়ে দিয়ে নাকে শুকিয়ে! যদি ধরে ফেলে! শিরায় দিয়ে! এটা তো না ই কারণ এটা কে করবে! অনিক একটা পিস্তল কিনল। একটা সিরিঞ্জ নিয়ে প্লাস্টিকের বডিতে নেগেটিভ প্রেসারে প্রোপোফল নিয়ে ভরল সে। এরকম কয়েকটা অ্যাম্পুল বানাল। সাইজে বড় হয়ে গেছে। আরও ছোট করতে হবে যাতে টের না পায়। ৩ সে.মি দৈর্ঘ্যের একটা প্লাস্টিকের বডিতে ভরল এবার। সূক্ষ্ম সুঁই ভরে দিল। ছোট রিভলবারের মত নিয়ে আসল। কম্পেনসেটর লাগিয়ে নিল যাতে ফায়ার করলে শব্দ না হয়। সামনে একটা পর্দায় রিভলবারে অ্যাম্পুল লোড করে শুট করল। নেগেটিভ প্রেসার থাকায় ভিতরের তরল পর্দাতে ছড়িয়ে পড়ল। ইউরেকা!!! অনিকের স্বপ্ন এখন সত্যি হওয়ার পথে।
পরদিন নাপিতের দোকানে গিয়ে ক্ষুর কিনল, ব্লেড, ওয়াটার স্প্রেয়ার, ধারালো কাঁচি, দড়ি নিয়ে আসল। এখন শুধু অপেক্ষা সুযোগের। প্রতিদিনকার মত সে ক্লাসে যায়, শ্রেয়াকে দেখে, তার চুলের দিকে তাকিয়ে থাকে, আসন্ন চুল তার হাতে পাওয়া ভাবতে ভাবতে তার পুংদণ্ড খাড়া হয়ে যায়। আর তর সইছে না তার।
জুলাইয়ের শেষের দিকে মি. আর মিসেস রায় অফিসিয়াল কাজে দুজনেই বাড়ির বাইরে চলে গেলেন। আর অনিকদের সেমিস্টারে এখন তেমন পড়া হচ্ছে না। এটা সুযোগ। টিউশনিতে যাওয়ার সময় শ্রেয়াকে ধরতে হবে। গাড়ি নিয়ে লেডিস হোস্টেলের অদূরে পার্ক করল অনিক। সন্ধ্যা ৬টা বাজতে যাচ্ছে। ৬টায় টিউশনি শেষ করে শ্রেয়া হলে ফেরে। হলের কাছের রাস্তাটা জনমানবহীন থাকে। তার উপর ভর সন্ধ্যাবেলায় কাকপক্ষীও ঘরে ফেরে। পাশের এক নির্জনে অনিক হুডি পরে অপেক্ষা করছে। গরমে নেয়ে গেলেও এটুকু তো স্যাক্রিফাইস করতেই হবে।
আসছে! শ্রেয়া আসছে। হেঁটে হেঁটে রাস্তার পাড় ধরে চলছে সে। দুটো রিকশা গেল দুই মেয়েকে নামিয়ে দিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। ওদিকে শ্রেয়া কাছাকাছি চলে আসছে। যায় না কেন এটা!! কি মুশকিল। শ্রেয়া অনিককে ক্রস করবে এমন সময় রিকশাটা গেল। কিছুদূর এগিয়ে গেছে শ্রেয়া; অনিককে লক্ষ্য করে নি। অনিক পিছু নিল। আশ পাশ দেখে নিল; না কেউ নেই। রিভলবার বের করল। শ্রেয়ার পিঠ বরাবর মারতে হবে বুলেটের বদলে রাখা বিশেষ কায়দায় ঢোকানো অ্যাম্পুল। কিন্তু বেণী করেছে শ্রেয়া; এত লম্বা চুল ভেদ করে পিঠের মাঝে যেয়ে সুঁই বিধবে না। একটু পাশ বরাবর মারতে হবে তাহলে যাতে মাংসে যেয়ে বিধে। বেশিক্ষণ পিছু নিল না অনিক একটু কাছে যেতেই শুট করল। শ্রেয়ার পিঠের এক পাশে গিয়ে বিঁধল। ব্যস, কাজ শেষ। আর ২০ সেকেন্ড ওষুধটা কাজ করে যাবে।
মুহুর্তে ব্যথা পেয়ে উঠল শ্রেয়া। ভাবল কিসে কামড়েছে। সে আহত পিঠ থেকে একটা প্লাস্টিকের শিশির মত পেল। চোখে ঘোলা দেখছে সে। মাথা ভার হয়ে আসছে। দুনিয়া উল্টে যাচ্ছে মনে হয়। এখনই পড়ে যাবে। আশপাশে কাউকে দেখতে পেল না তবে কিছু দূরে কালোমত কেউ যেন দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মূর্ছা গেল শ্রেয়া।
(চলবে…)
Wednesday, May 8, 2019
অপরাধ-২
ওরা চারজন মোটামুটি প্রথম দিন থেকেই একটা সার্কেলের মত। তবে সেদিন মিতার ক্লাসমেট শ্রেয়া মেয়েটাকে দেখে অনিকের কেমন যেন অন্যরকম লাগে। মফস্বলের মেয়ে চিকন চাকন ফর্সা চেহারার সাথে সুন্দর লম্বা কোমর অব্ধি চুল। অনিকের আগে থেকেই মেয়েদের চুলের প্রতি বিশেষ এক আকর্ষণ আছে। শ্রেয়াকে দেখেই প্রথম চোখটা চুলের দিকেই গেছিল।
যখন ছোট ছিল অনিক তখন থেকেই মেয়েদের লম্বা চুল দেখতে পছন্দ করত। ছেলে বলে লম্বা চুল রাখতে পারে না তাতে যে তার কি আফসোস! স্কুলে ক্লাসে লম্বা চুল রাখার জন্য তো একবার স্যার তাকে পিটিয়েছিল। তখন তার মনে হত মেয়েদের লম্বা চুল রাখার জন্য স্যাররা কেন তাদের পিটায় না!! বাবাও তাকে বকত লম্বা চুল রাখলে। কিন্তু মেয়েদের দেখলে খুব ইচ্ছে করে কানের উপর দিয়ে বেয়ে যাওয়া চুল আঙুল দিয়ে কানের ভাজে গুজে দিতে। লম্বা চুলের সিথি যখন বাঁ পাশ থেকে ডান পাশে নিয়ে আনে কোথায় যেন এক বিদ্যুৎ খেলে যায় তার শরীরে। আর কারোর বাতাসে উড়তে থাকা ঢেউ খেলানো চুল তো পাগল করে দেয় তাকে। তার মা যখন আয়নার সামনে চুল আচড়াত তখন অপলক চেয়ে থাকত তার দিকে। একবার ক্লাস ফাইভে থাকতে তার কাজিন অপলা দিদির পাশে বসিয়ে গাড়িতে করে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অনিককে। অপলার চুলগুলো বাতাসে উড়ে অনিকের মুখে পড়ছিল। খুব উপভোগ করেছিল সে। বাধা দেয় নি। মুখের ভিতরে চুল ঢুকে গেলেও কিছু বলে নি। সেবার হাতের কাছে কাচি পাওয়ায় দিদির একগাছি চুল ধরে গোড়া থেকে কেটে দিয়েছিল সে। চুলগুলো কেটে নাকের কাছে ধরতেই যেন অপার্থিব এক আনন্দ পেয়েছিল। তাতে অবশ্য ক্ষতি বৈ কোন লাভ হয়নি। বরং খাবলা করে কেটে দেয়ায় নাপিত পিঠ পরিমাণ চুলকে বয়কাট করেও কোনভাবে সাইজ না করতে পেরে অপলাদিকে ন্যাড়াই করে দিয়েছিল। তাতে নাপিতের ডবল লাভ হল; কেননা চুল কাটার অপরাধে মি রায় অনিককেও জোর করে ন্যাড়া করে দিয়েছিলেন। সেই থেকে অপলাদি তার কাছে ঘেঁষে নি। তারপরে মাধ্যমিকের সময় কাজের যে মেয়ে ছিল তাকে একবার ঘুমের সময় ব্লেড দিয়ে মাথার মাঝ বরাবর সুন্দর করে চেঁছে দিয়েছিল অনিক। সেবার তাকে আবার ন্যাড়া করা হয়নি যদিও কিন্তু অনেক বকাঝকার পর বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল তার বাবা। পরে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে মিসেস রায় অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়িতে এনেছিল অনিককে। তারপর থেকে লম্বা চুলের মেইড রাখেনি তারা।
অবশ্য অনিক এখন বড় হয়েছে। তারপরও সেই অভ্যাস আজও যায়নি। মেয়েদের চুলে যে কি মাদকতা থাকতে পারে অনিক সেটা বুঝে নিয়েছিল। প্রতিনিয়ত ফেসবুকে হেয়ার ফেটিশের গল্প পড়ে, তিরুমালার মহিলাদের ন্যাড়া হওয়ার ভিডিও দেখে, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে মেয়েদের ন্যাড়া মাথা আর কেটে ফেলা চুল দেখে যেন এক অন্য রকম আনন্দ পেত সে।
নতুন কলেজে অনেক মেয়েরাই পড়তে এসেছে। অনিক মেয়েদের দেখত, তবে চেহারা নয় চুল। প্রথম চোখটা যেত চুলের দিকে। লম্বা চুলের মেয়ে হলে তো কথাই নেই যেন চাঁদ পেয়ে গেছে সে। তবে এখনকার মেয়েরা বেশি ঢঙ করতে গিয়ে চুল কাটে যেটা তার বিরক্ত লাগে। তার সার্কেলের মেয়েরাও এমন ভ্যারাইটির। মিতার চুল পিঠের মাঝ বরাবর; কোঁকড়া, বেধে পনিটেইল করলে উপর থেকে চুল উঠে থাকে। সিমলার চুল ভাল ; স্ট্রেইট তবে ববকাট। তবে শ্রেয়ার চুল অসাধারণ; মনে হয় যেন এক সাগর চুল দিয়ে মাথাটাকে মুড়িয়ে রেখেছে। এত সুন্দর শাইনি, সিল্কি, স্ট্রেইট, জমকালো চুল তাকে যেন এক নতুন মাদকতায় আকর্ষণ করে। সেদিনই সে চুল ধরার লোভ সইতে না পেরে শ্রেয়ার বেণীটা ধরে বলেই ফেলেছিল "কিরে এই দড়িটা কোত্থেকে বয়ে আনলি"।
ধরার সাথে সাথে একটা বিদ্যুৎ চট করে শিরদাড়া বেয়ে নেমে গেছিল তার।
হোস্টেল জীবন আর নতুন পড়াশোনা নিয়ে ভালই চলছিল শ্রেয়ার। কলেজের পড়াশোনা তার কাছে ভালই লাগে। পড়ার ফাকে আড্ডা, বন্ধুদের সাথে শপিং, মুভিতে যাওয়া, বিকেলে নদীর পাড়ে ওরা পাঁচটা মিলে আকাশের গানের আসরো মাদকতায় হারানো আর মেয়েরা মিলে অনাগত বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আলোচনা যেন রঙিন করে দিয়েছিল দিনগুলো।
সেমিস্টার পরীক্ষা শেষে বাড়ি যাওয়া, বাবা মা দাদা আর ছোট বোনের সংসারে সেই মেজদিদি হয়ে থাকাটাও সে এখনও উপভোগ করে। দাদা বিকম করে সরকারি চাকরি খুজছে। বাবার বয়স হয়েছে প্রাইভেট ফার্মে ম্যানেজার হয়েও পদোন্নতি বেশিদূর হয়নি। মা গৃহিণী। তাই এতদিনে দুটো টিউশনি করে নিজের হাতখরচ চালিয়ে নিত। তবুও পরীক্ষা বা যে কোন প্রয়োজনে বাবা টাকা দিয়ে দিত অকপটে।
কলেজের মেয়েদের দেখে একটু ফ্যাশন শিখেছে সে। সে এখন জিন্স পরে, টপস পরে। বিকিনি পরে মেয়েরা মিলে নাচানাচি করে। একবার বন্ধুদের পার্টিতে গিয়ে নেচেছে সে। কিন্তু চুল তার আগের মতই আছে। কোমর বেয়ে পশ্চাৎদেশের মাঝ বরাবর হয়ে গেছে ছয় মাসেই। সেবার পার্টিতে সবাই মিলে গান করেছিল আকাশের সাথে। গিয়েছিল শহর থেকে দূরে এক পুরোনো বাঙলোতে। বার বি কিউ, গিটার, সাউন্ডবক্স নিয়ে মেতে উঠছিল উদ্দাম আনন্দে। ছেলেরা একটু নেশাকেতা করছিল সিগারেট আর রাম নিয়ে। সিমলাও যে ধোঁয়া নিতে পারে তা জানা ছিল না কারও। তবে শ্রেয়া এগুলো ছুঁয়ে দেখে নি। তবে নাচতে গিয়ে খোঁপা করে কাঁটা দিয়ে বাঁধা চুলগুলো খুলে গিয়েছিল তার। এত সুন্দর চুল দেখে সবাই থমকে গিয়ে যেন শ্রেয়াকেই দেখছিল।
শ্রেয়া খেয়াল করল অনিক খুব গা ঘেঁষতে চাইছে। এমনিতে ছেলেটা ভাল। খুব মিশুক, পরোপকারী, ব্রিলিয়ান্ট এক ছাত্র কিন্তু প্রথম দিনেই চুলের বেণী খপ করে ধরায় শ্রেয়া কেন যেন দূরে দূরে থাকে। তারপর অবশ্য অনিকের সাথে মিশতে মিশতে ক্লোজ হয়ে গেছে। যদিও অন্য ডিপার্টমেন্টের তবু ভাল বন্ধুত্ব তাদের। অনিক এসে তার চুলে হাত বুলিয়ে দিল। মিতা বলল "সামলে অনিক, বেশি খেয়ে ফেললি নাকি"। অনিক বলল "আরে ধুর, কি যা তা বলছিস, শ্রেয়ার চুল সুন্দর তাই একটু ধরলাম। কেন ধরলে কি কেস করে দিবি নাকি?" শ্রেয়া বলল "আমার চুল সুন্দরই আর এটা আমার বরের জন্য তাই অন্য কেউ হাত দিক তা আমি চাই না অনিক"
থতমত খেয়ে অনিক হাত ছেড়ে দিল। কিন্তু শ্রেয়ার মনে হল অনিক ওর চুলের দিকেই বারবার তাকাচ্ছে। সে নাচ বাদ দিয়ে সাইডে গিয়ে চুলে ক্লিপ পরিয়ে দিল। মিতা এসে জোর করল " কিরে আপসেট!! আরে অনিক এমনই তুই তো জানিসই, এতদিন মিশেছিস।"
"হ্যাঁ আমি জানি, অনিক ছেলে ভাল, বন্ধু হিসাবে হাত ধরাই যায় কিন্তু আমার চুল আমি কাউকে ধরতে দিব না।"
শ্রেয়ার অনেক যত্নে গড়া এই চুল। সবার আকর্ষণের মধ্যমণি, ওর রূপের প্রধান উপকরণ, ওর অ্যাটেনশন, ওর ভাললাগা হচ্ছে ঢেউ খেলানো পিঠ বেয়ে বয়ে চলা চুলের এই সমুদ্র। এটা তার সম্পদ।
দিন দিন শ্রেয়ার প্রতি দুর্বল হতে লাগল অনিক। তার এখন চিন্তা ভাবনায় শুধুই শ্রেয়া। কলেজের শুরু থেকে শ্রেয়াকে দেখার পর থেকে ওকে ভাল লাগে, বলা যায় চুলের জন্যই। ওই চুলের জন্যই ভাব জমানোর চেষ্টা করে সে। কল্পনায় শুধু শ্রেয়ার চুলগুলো হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, হাত নিয়ে সারা গায়ে মাখছে, খেলা করছে চুল নিয়ে, গোড়া থেকে ক্ষুর দিয়ে চেঁছে সাদা চাতাল বের করে দিচ্ছে এসবই চিন্তা করে সে। যদি কখনও চুলগুলো হাতে পায় তাহলে সে সেগুলো নিজের করে নিবে। ইউটিউবের চাইনিজ মেয়েগুলোর মত সুন্দর মসৃণ চুল যখন তার সামনে দিয়ে ঘোরে তখন সে কিছুতেই না তাকিয়ে থাকতে পারে না।
(চলবে…)
Sunday, May 5, 2019
অপরাধ-১
কলেজ ক্যাম্পাসে পা রাখতেই কেমন যেন কান্না পেয়ে গেল শ্রেয়ার। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে চরাই উতরাই পার হয়ে কলেজে ভর্তি হওয়াটা ছিল তার জন্য স্বপ্নের মত। যেবার বাবাকে সাথে নিয়ে কলেজ ভর্তির ফর্ম নিতে আসল তখন তার বাবা তাকে বলেছিল "মা, আজ তোর স্বপ্ন পূরণের দিন। ভাল করে মন দিয়ে পড়াশোনা করবি। যাতে তোর গরীব বাপ মার মত জীবনে সব সময় কষ্টে কাটাতে না হয়।"
বাবার কথাগুলো মনে পড়তে থাকল শ্রেয়ার প্রতিটি পদে পদে। উচ্চ মাধ্যমিকে লেটার মার্কস পেয়ে কলেজে ভর্তির সুযোগ যেন সোনার মুকুট ছিল তার কাছে। এত এত ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্টদের মাঝে বসে নামকরা কলেজে পদার্থবিদ্যার সারথী হতে যাচ্ছে সে।
প্রথম দিনেই পরিচয় হল মিতা, অনিক, সিমলা, আকাশের সাথে। তারা এখানকার লোকাল; যদিও বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়া ছেলেমেয়ে।
প্রথমদিনে কোথায় ক্লাস, কেমন স্যার ইত্যাদি নিয়ে ঘোর হতে লাগল তার।
তবে সে একটা জিনিস খেয়াল করল, সবাই অনেক মডার্ণ টাইপের। মেয়েরা জিন্স টপস পরে আসছে, ববকাট লেয়ার কাটের চুল। তাদের তুলনায় শ্রেয়ার নিজেকে গেয়ো মনে হল। সালোয়ার কামিজ পরা কোমর অবধি বেয়ে চলা লম্বা চুলের সুকেশিনী সে। বেণী করে ক্লাসে গিয়ে এমন কোন মানুষ নেই যে তাকে তার চুল নিয়ে কিছু বলে নি। অনিক তো বেণীটা ধরে বলেই ফেলল, "কিরে এই দড়িটা কোত্থেকে বয়ে আনলি" । শ্রেয়া বুঝল এখানে সবাই অনেক ফ্রি।
সে বলে " আমার খুব প্রিয় এটা, দড়ি বলিস আর যাই বলিস এমন র্যাপাঞ্জেল পাবি নাকি"!
সঙ্গে সঙ্গে হো হো করে হেসে উঠল বন্ধুরা।
বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে অনিক। একমাত্র ছেলে হওয়ায় পাড়ার বন্ধু ছাড়া তেমন মেলামেশার কেউ ছিল না। বাবা মা দুজনেই চাকরি করেন। সেই সুবাদে নিজের বাড়ি যেন নিজের জগৎ তার। ছোটবেলা থেকে দেখে রাখার জন্য বাবার এক পিসতুতো বোন ছিলেন। যদিও সেই পিসিমা গত হয়েছেন তা সেই মাধ্যমিকের আগেই। ততদিনে ছেলে বড় হওয়ায় নিজের মত থাকতে দেন মি আর মিসেস রায়।
উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই জীববিদ্যার প্রতি আলাদা ঝোক ছিল অনিকের। কলেজে গ্রাজুয়েশন করতে এই বিষয়কেই বেছে নিল সে। পড়াশোনা খুব করত তা নয়; তবে নার্ড টাইপের ছিল সে। মুভি, গেমস, কমিকস নিয়েই বেশি পড়ে থাকত। তাছাড়া বন্ধুরা অনেকেই অন্য দিকে চলে গেছে যেমন কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং, কেউ মেডিকেল, কেউ আর্মিতে। তবে অনিক আগে থেকেই বেসিক সাবজেক্টে পড়তে চাইত।
তাই কলেজে পুরোনো স্কুল কলেজের বন্ধুদের তেমন কেউ ছিল না। তবে ছোটবেলার বান্ধবী মিতা একই কলেজে ভর্তি হয়। মিতা ছিল গার্লস স্কুলে আর অনিক বয়েজে তবু একই পাড়ার আর একই ক্লাসের হওয়ায় চেনাজানা ছিল। তবে নতুন কলেজে একইসাথে হওয়ায় বন্ধুত্বটা যেন নতুন মাত্রা পেল। আর অনিকের নতুন রুমমেট আকাশ। শহুরে ছেলে কম্পিউটার আর গিটার নিয়ে যার দিন কেটে যায়। মিতা পদার্থবিদ্যায় চান্স পাওয়ায় একসাথে তেমন থাকা হয় না অনিকের, যতটা না ক্লাসমেট সিমলা থাকে কাছে। প্রথমদিনেই যেমন পরিচয় তার সাথে; নতুন কলেজে আসা, কি বই পড়তে হবে, কোন স্যার কেমন, ফিউচার প্লান হাবিজাবি।
ওরা চারজন মোটামুটি প্রথম দিন থেকেই একটা সার্কেলের মত। তবে সেদিন মিতার ক্লাসমেট শ্রেয়া মেয়েটাকে দেখে অনিকের কেমন যেন অন্যরকম লাগে। শহুরে মেয়ে চিকন চাকন ফর্সা চেহারার সাথে সুন্দর লম্বা কোমর অব্ধি চুল। অনিকের আগে থেকেই মেয়েদের চুলের প্রতি বিশেষ এক আকর্ষণ আছে। শ্রেয়াকে দেখেই প্রথম চোখটা চুলের দিকেই গেছিল। সে তখন থেকেই চাইত শ্রেয়ার চুলটা কিভাবে সে কাছে পেতে পারে।
প্রথম দিন ক্লাস শেষে হোস্টেলে উঠতে একটু বেগ পেতে হল। বাবা এসে সব কিছু কিনে টিনে দিলেও সব গোছগাছ একারই করতে হল শ্রেয়ার। নতুন রুম সাথে নতুন রুমমেট সাথে আরেক নতুন সংসার। বেড ফেলেছে জানালার কাছে। সাথে পড়ার টেবিল, একটা আলনা আরেকটা ছোট ওয়ারড্রব। পাশেই উঠেছে মিতা। শুরু থেকেই যেন আপন বোন পেয়ে গেছে মিতাকে। আরেক রুমমেট তিশা। তিনজনে ভাল করে গুছিয়ে নিল নতুন রুম। ফার্স্ট ইয়ারেই এমন রুম পাওয়া ভাগ্যের যদি না ফাইনাল ইয়ারের নেত্রী দিদির সাথে মিতার যোগাযোগ না থাকত। অবশ্য সেই আপুর কাছেই প্রাইভেট পড়ে চান্স মিলেছে মিতার।
নতুন রুম গুছিয়ে ধুলো ময়লায় একশা হয়ে টায়ার্ড হয়ে গিয়েছিল শ্রেয়া। ভাবছিল স্নান করা দরকার। হোস্টেলে পাবলিক বাথরুম যেয়ে সিরিয়াল দিয়ে আসল সে। বেণীটা খুলতে খুলতে তেল দিতে গেল রুমে। খোলা চুলে দেখে মিতা তাকে জড়িয়ে বলল "বাহ, শ্রেয়া এত সুন্দর চুল তোর, কিভাবে বানালি বল না।" শ্রেয়া বলে "আর কই সুন্দর, আমার চুল মায়ের মত, ছোটবেলা থেকেই লম্বা চুলে অভ্যস্ত করে দিয়েছে মা। মা-ই কেয়ার নিত বেশি চুলে। নিয়ম করে নারিকেল তেল, মেথির তেল, অ্যালোভেরা, ডিম দিয়ে বসিয়ে রাখত। বলত, এগুলা নিয়মিত করলে চুল সুন্দর হয়।" মিতা বলে "আসলেই তোর চুল অনেক সুন্দর রে। কি সুন্দর সিল্কি, স্ট্রেইট, ঢেউ খেলানো, যত্ন করিস বলেই এত লম্বা হয়েছে।" প্রশ্ন করল "কাটিস নি কখনো?"
"কেটেছি তো, ছোটবেলায় ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত রাখতাম। মা আমাকে দুই বছর অন্তর অন্তর ন্যাড়া করে দিত। ক্লাস সেভেনে যখন পড়ি তখন মা ন্যাড়া করার সময় বলেছিলাম মা বড় হয়ে যাচ্ছি, আর কত এভাবে চুলগুলো কেটে দিবে!! মা বলেছিল এতে তোর চুল বাড়বে। ঠিক আছে এরপর আর করব না আমার মেয়েটা তো বড় হচ্ছে।" "এরপর আর কাটিনি। কাটিনি বলতে ডগা ছেঁটেছিলাম কিন্তু চুল তখন থেকেই বাড়ন্ত।"
মিতা বলল "ভাল করেছিস। এখন তোর চুল কত মোটা, বেণী করলে কত মোটা দেখায়। স্ক্রু গজ দিয়ে তোর চুল কত মোটা মাপব। আর খোঁপা করে রাখলে তো আস্ত একটা ফুটবল।" বলেই হাসতে থাকল তারা। "মাঝে মাঝে একটু খেলতে দিস তোর চুল নিয়ে।”
শ্রেয়া বলে "খেলবিই তো, আমার দাদা তো কিছু হলেই ওরে ছুটকি বলে চুলেই টান দেয়, মায়ের যত্ন আর দাদার টানাটানিতেই লম্বা হয়ে গেছে চুল।"
"তোর চুলও সুন্দর"। মিতা বলে "না রে, দেখ না কেমন চিট্টি হয়ে আছে, যত্ন করি শ্যাম্পু দেই নিয়মিত কিন্তু তাও দেখ কেমন আঁকাবাঁকা হয়ে থাকে। তাই লেংথ বেশি করি না যদি চুল পড়ে যায়।"
শ্রেয়া চুলে নারিকেল তেল দেয়। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এপাশ ওপাশ করে, পিছনের চুলগুলা সামনে এনে হাতের কোমল ছোঁয়াতে চুলগুলোকে বুলিয়ে দিচ্ছে পরম যত্নে। তেলের আভায় চকচক করছে যেন মাথা ভর্তি ব্লাক ডায়মন্ড। খোঁপা করে নিল। যেন ছোটখাট একটা বল বসিয়ে নিল মাথায়। স্নানে গিয়ে শ্যাম্পু দিবে সে।
(চলবে…)
গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)
"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...
-
দাদুর গ্রামে বেড়াতে এসেছি আমার দাদুর প্রায় ১০০ বছরের পুরানো বাংলো দেখার জন্য। সেখানে আমার পরদাদার বড় ভাই (আমারও পরদাদা) এর পার্সোনাল রুমে ঢ...
-
এটা কেবল একটি গল্প নয় এটি আমার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা। আমি যখন ৭ম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার খুড়ো একজন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। তার নাম হচ্ছে চন্...
-
আমার বিসদৃশ যমজ বোনের বিয়ে হয়েছিল মুম্বাইতে এক সরকারি কর্মচারীর সঙ্গে। বিয়ের পর তার স্বামী আমাকেও মুম্বাই নিয়ে গেলেন এই আশায় যে আমি চাক...