Tuesday, May 14, 2019

অপরাধ - অন্তিম পর্ব

শ্রেয়াকে পড়ে যেতে দেখল অনিক। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে কাছে নিয়ে গেল; তড়িঘড়ি করে ওকে গাড়িতে তুলল। অনিকের হাতে আছে আধা ঘন্টা। ৩০-৪৫ মিনিট ওষুধ কাজ করবে। নিয়ে আসল বাসায়। শ্রেয়াকে কাঁধে তুলে সন্তর্পণে ঘরে ঢুকল। স্মুথলি কাজ হয়ে যাওয়ায় আনন্দ হলো তার। ওর ঘরে নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসিয়ে দিল। হাত পা বেঁধে দিল চেয়ারের সাথে। বেণীটা ধরে চেয়ারের বাইরে নিয়ে ছেড়ে দিল। গরুর লেজের মত নিচের দিকে ব্যান্ড লাগিয়ে কিছু চুল উন্মুক্ত করেছিল শ্রেয়া। সেটা দেখেই একটা ঢোক গিলল অনিক। সব জিনিসপত্র নিয়ে আসল সে। রাখল টেবিলে। দুষ্ট বুদ্ধি খেলে যেন বিদ্যুৎ নেমে যাচ্ছে তার শরীর দিয়ে বার বার। সে দেখল তার চেয়ারে হেলান দিয়ে শুয়ে আছে শ্রেয়া হাত পা বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায়। পাছা সমান লম্বা বিনুনি চেয়ারের পিঠের বাইরে দিয়ে বেয়ে গেছে। অনিক তার ট্রাউজারের বাঁধন ঢিলা করল। বেণীটাকে ধরে ঢুকিয়ে দিল তার ট্রাউজারে। বেণীর ছোয়ায় যেন শক খেয়ে গেল সে। চোখ বন্ধ করে সে চুল দিয়ে তার দণ্ডের সাথে মাখাচ্ছে। মুহুর্তেই তার কক লাফিয়ে উঠল। বেণীর প্রতিটি খাঁজ যেন তার ধোনে পরম ছোয়া বুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। সে আস্তে আস্তে বেণীটা খুলতে লাগল। সম্পূর্ণ চুল খুলে অনিক তার সারা গায়ে মাখল। মাথাটা চুলে ডুবিয়ে চুলের গোড়ায় চুমু খেতে লাগল। যেন কাল চুলের সমুদ্রে স্নান করছে সে। ট্রাউজারের ভিতরে তখন চুলেধোনে মাখামাখি। যেন অাগ্নেয়গিরিতে কেউ লাভা জ্বাল দিচ্ছে। সমস্ত চুল দিয়ে সে তার নিজের বুক পেট তলপেট আর ধোনটিকে মাখিয়ে নিল। চুল দিয়ে দন্ডটাকে কয়েকবার ম্যাসেজ করল সে। এখনি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হবে। চুলগুলো বের করে আনল সে। একি! আর দশ মিনিট বাকি। সে আবার বেণী করে দিল চুলটা। 


বেণীটা ধরে ধোনের সঙ্গে পেচিয়ে দিল। আটকে থাকায় চুলে টান পড়ে শ্রেয়ার মাথাটা চেয়ারের পিঠের সাথে উচু হয়ে রইল। শ্রেয়ার মুখটা হা হয়ে আছে। অনিক শ্যাম্পু মেশানো পানি স্প্রে করে দিল চুলের গোড়াতে। বেণীটা আটকে থাকায় বার বার টান পড়ছে। অনিকের যেন সুখ আর ধরে না। পুরো চুলের গোড়া ভিজিয়ে এবার ক্ষুর হাতে নিল অনিক। ভাবল চালিয়ে দিবে নাকি কাচি দিয়ে বেণীটা কেটে নিবে! না তার সমস্ত চুলটাই চাই। তাই মাথার মাঝ বরাবর ক্ষুর বসিয়ে দিল সে। ভেজা চপচপে লম্বা পাছাসমান ধোনে আটকানো বেণীর চুলে সে ক্ষুর  চালাচ্ছে। প্রথমে কপাল থেকে একটা পোচ দিল সে। সাদা চাতাল বের হয়ে গেল শ্রেয়ার। এত গর্বের এত দিনের সেই সম্পদ অজ্ঞাতসারে হারাচ্ছে শ্রেয়া। কপাল থেকে একেবারে মাথার মাঝ বরাবর চুল উঠিয়ে দিল অনিক। গালে হাত দিয়ে অপরপাশের গাল শেভ করে দিল সে। পরে মাঝখান থেকে মাথার পিছনে চলে আসল। আটকে থাকায় কাধটা নিচু হয়ে আছে একটু উচু করতেই নিচের ধোনটা আকাশে উঠে গেল। সেই একটা বজ্র নেমে গেল শরীর বেয়ে। ক্ষুর দিয়ে চ্রাক চ্রাক চ্রাক চ্রাক চ্রাক করে চুলের গোড়াগুলা উঠিয়ে নিচ্ছিল অনিক। কাঁধটা শেভ করে দিতেই অর্ধন্যাড়া হয়ে গেল শ্রেয়া। শ্রেয়ার এত সাধের চুলের অর্ধেক মাথায় অর্ধেক অনিকের ধোনের সাথে ঝুলছে। অপরপাশে ক্ষুরের স্পর্শ দিল অনিক। আস্তে আস্তে উপরে মাথার সাথে চুলের টান কমতে লাগল আর নিচে বাঁধা ধোনের টানে চুল আলাদা হতে থাকল। এবার এপাশের গাল শেভ করে দিল অনিক। গাল বেয়ে মাথার মাঝখান পর্যন্ত একটা টান! চ্রাক চ্রাক চ্রাক.... বাকি শুধু পিছনের বাঁপাশের চুলগুলো। ক্ষৌরকর্ম চলতে থাকল। শেষে বা কাঁধের শেষ চুলটিকে কেটে নিয়ে আসল। পাছা সমান বেণী একটানে মাথা থেকে আলাদা হয়ে আছড়ে মাটিতে পড়ল আর ধোনের সাথে ঝুলতে থাকল। খাড়া টনটন করতে থাকা ধোনের সাথে শ্রেয়ার লম্বা বিনুনি ঝুলছে। আর ওদিকে চেয়ারে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে ন্যাড়া শ্রেয়া।


এবার ট্রাউজারটা খুলেই ফেলল অনিক। ঝুলছে চুল। ঐ অবস্থায় সে সারা মাথায় আবার ক্ষুর চালালো। একসময়ের চকচকে শাইন করা চুলের জায়গায় এখন চকচক করছে শ্রেয়ার ন্যাড়া মাথা। মাথা থেকে আলাদা হওয়া সেই চুলের সাথে নিজের ধোনটিকে আলিঙ্গন করিয়ে নিল অনিক। শ্রেয়ার ন্যাড়া মাথায় হাত বুলিয়ে বুক বুলিয়ে ধোনটাও বুলিয়ে দিল সে। শ্রেয়ার মাথা এখন সম্পূর্ণ সাদা চাতালের এক গোলক। সুন্দর ঢেউ খেলানো লম্বা স্ট্রেইট চুলের শ্রেয়া এখন ন্যাড়া। 


অবশেষে অনিক শ্রেয়াকে ন্যাড়া করে দিল। প্রচন্ড উত্তেজনায় মাতাল হয়ে আছে সে। ন্যাড়া মাথার শ্রেয়ার দিকে তাকিয়ে কাম অনুভব করল। ওর মাথায় হাত বুলাতে লাগল; একেবারে মসৃণ। শ্রেয়ার সামনের দিকে চলে আসল সে। বুকের সামনে ঝুলে থাকা স্তনগুলি জোরে জোরে চাপতে লাগল। পেটে চুমু খেল। এরপর সালোয়ারটা খুলে দিল সে। কাল ঘন বালে ঢেকে আছে সবটুকু। হাত দিয়ে স্পর্শ করল ওটা। নরম মখমলের মত অনুভব করল সে। আঙুল দিয়ে টানতে থাকল বালগুলো। যেন গুদ ভরা বালের জঙ্গলে শিকারী বাঘ দৌড়চ্ছে। বালের ভিতর আঙুল চালিয়ে মুষ্ঠি দিয়ে ধরা যাচ্ছে। সে কাঁচি নিয়ে বালগুলো কাটতে লাগল। আমাজন জঙ্গলের ভিতর দিয় আস্তে আস্তে পানামা খাল উঁকি দিচ্ছে। কালো প্রলেপ সরে গিয়ে সাদা লাল চামড়া দেখা যাচ্ছে। কাচি দিয়ে সাইজ করে শেভিং ক্রিম লাগিয়ে ক্ষুর দিয়ে চাঁছতে লাগল সে। লাল সাদা চামড়া বের হয়ে আসছে প্রতি ক্ষৌরলেহনে। আর কালো বাল খসে খসে পড়ছে। পাছাটা উচু করে ওখানেও চেছে দিল সে। সুন্দর নরম গোলাপী উর্বর উপত্যকার মত, মাঝে সরু খাদ। যেখানে কোন কাল আগাছা নেই। 


শ্রেয়া কেমন যেন নড়ে উঠল। জ্ঞান ফিরে আসছে তার। অনিক দ্রুত তার লন্ড থেকে বেণীর গিঁট খুলে বেণীটা টেবিলে রাখল। শ্রেয়ার মাথা ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে দিল যাতে চুল বা তার আঙুলের ছাপ না থাকে। গ্লাভস পরে টাওয়েল নিয়ে মুছে দিল মাথাটা। শ্রেয়ার ওড়নাটা মাথায় মুড়িয়ে দিল। গুদের জায়গাটা গ্লাভস হাতেই ভাল করে পরিষ্কার করে মুছে দিল। চটপট পোশাক ঠিক করে ওর বাঁধন খুলে কাঁধে চড়িয়ে গাড়িতে নিয়ে বসাল। ৪৫ মিনিটে কাজ শেষ। গাড়ি করে নিয়ে যেখান থেকে নিয়ে এসেছিল সেখানে সাবধানে শুইয়ে রেখে গেল। 


খুব মাথাধরা নিয়ে ঘুমটা ভাঙল শ্রেয়ার। একি সে বিছানায় কি করে এল! সে জাগতেই মিতা দৌড়ে এসে কাঁদতে কাঁদতে শ্রেয়াকে জড়িয়ে ধরল। শ্রেয়া বলল "কি হয়েছে রে, মাথাটা অনেক ধরে আছে, হালকা লাগছে মাথাটা। আসার সময় কিসে কামড় দিল পরে আর কিছু মনে নেই।" মিতা বলে "কে করল তোর এই সর্বনাশ রে শ্রেয়া! কিভাবে কি হল" মাথায় হাত পড়ল শ্রেয়ার। তার চুল!!? কোথায় তার সোনার চুল? এত সাধের এত দিনের তিলে তিলে যত্নে আদরে গড়া চুল কই? এ তো পুরোই বেল। চিৎকার করে কেঁদে উঠল শ্রেয়া! আয়নায় নিজেকে চিনতে পারছিল না। তার কোমর ছাড়ানো লম্বা চুলের জায়গায় মস্ত সাদা ন্যাড়া মাথা! কান্নার বাঁধ ভেঙে একটা কথাও বলতে পারছে না সে। এত বড় অপরাধ কে করল তার সাথে! 


সম্পূর্ণ বেণীকে শ্যাম্পু পানিতে ধুয়ে নিজের কাছে রেখেছে অনিক। ঘটনার পর নিজের চোখে শ্রেয়ার কান্না দেখেছে। ক্লাসের প্রাণবন্ত মেয়ের চুপচাপ হয়ে যাওয়া দেখেছে। টাক মাথা নিয়ে বন্ধুদের ঠাট্টা মশকরা দেখেছে। কিন্তু তাতে তার কি! সে শ্রেয়ার পাশে থেকে সান্ত্বনা দিয়েছে। কেউ জানতে পারে নি সেই বেণীটা অনিকের হাতের পরশ পায় প্রতিদিন। প্রতিদিন সেই বেণীর জায়গা হয় অনিকের ট্রাউজারের মধ্যে। 

(সমাপ্ত)

No comments:

গ্রামীণ নাপিত~আনন্দ (শেষার্ধ)

"আহা…ঠিক আছে…" তিনি বললেন যখন আমি তার বাক্সের দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে তাকালাম তার কাছে কোন ধরনের রেজার আছে তা দেখতে। সৌভাগ্যবশত ...