নূরবিলা বালিকা বিদ্যালয় নূরবিলা থানার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে মাধ্যমিক শাখার ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হোস্টেল চালু করেছে। সেঁজুতি সেই স্কুলেরই নবম শ্রেণির ছাত্রী। সেঁজুতির মাথার চুল কোঁকড়ানো, বেশ ঘন আর পিঠের প্রায় শেষ অব্দি দীর্ঘ অবশ্য ভিজা অবস্থায় তা কোমর পর্যন্ত যায়। সেঁজুতি এতদিন বাড়িতে থেকে স্কুলে যাওয়া আসা করত। কিন্তু সম্প্রতি তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ দুই বান্ধবী রিদিমা ও শর্মি হোস্টেলে উঠবার প্ল্যান করছে তাই সেও তার বাবা-মায়ের কাছে বায়না করল সেও হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করবে। তার মা প্রথমত রাজি না হলেও পরে তার গোঁ এর কাছে হার মানলেন। সেঁজুতিকে কখনোই তার নিজের চুলের পরিচর্যা করতে হয়নি; তার মা-ই তার চুলের যত্ন নিত। সেঁজুতি তার নিজের চুল খুব ভালোবাসত। সেঁজুতির মা অবশ্য চাইতেন না সেঁজুতি এই ছোট বয়সেই দীর্ঘ চুল রাখুক তাই তিনি প্রায়ই সেঁজুতিকে তার চুলে মিডিয়াম বব কাট দিতে বলতেন। কিন্তু সেঁজুতি রাজি হতো না তাই তার মা তাকে চুলের আগা হাল্কা কেটে নিতে পার্লার নিয়ে যেতেন।
বাবা-মাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সেঁজুতি সদ্যনির্মিত হোস্টেলে উঠল। হোস্টেলের কেবল নিচতলা কম্প্লিট হয়েছে। নবম শ্রেণি মাধ্যমিকের সবচেয়ে জুনিয়র তাই তাদের আগে রুম বরাদ্দ দেয়া হলো। আর সেঁজুতিও তার ৩ বান্ধবী সহ একটি জুৎসই কক্ষ হোস্টেল সুপার ম্যাডামের অনুমতি নিয়ে দখল করে নিলো। এভাবে হোস্টেলে এক মাস গত হলো এর মধ্যে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শেষ হয় এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়। এসময় সেঁজুতির বান্ধবী শর্মি গরমের ছুটিতে তার মাসির বাসায় বেড়াতে যায়। শর্মির মাসি তার চুলের যত্নে গাফিলতি করত ফলস্বরূপ তার মাথায় উকুন বাসা বাঁধে। শর্মি তার সঙ্গে কিছুদিন বেড শেয়ার করায় শর্মির মাথায়ও উকুনের উপদ্রব আরম্ভ হয়। শর্মি তখনও তা আমলে নেয়নি। এদিকে গরমের ছুটি শেষে সবাই হোস্টেলে ফিরে আসে। শর্মিও ফিরে আসে কিন্তু মাথাভর্তি উকুন ও উকুনের ডিম নিয়ে। ক্লাসে সেঁজুতি, শর্মি ও রিদিমা একসঙ্গে এক বেঞ্চে বসত; ডাইনিংয়ে একসঙ্গে খেতো, এছাড়াও তারা একে অপরের বিছানায়ও মাঝেমধ্যে শুতো। ফলে যখ হবার তাই হলো শর্মির মাথার উকুন তার সকল রুমমেটের মাথায় পৌঁছে গেল। সেঁজুতিসহ সবাই মাথা চুলকে চুলকে অস্থির। তেল দিলে খানিকটা আরাম পায় কিন্তু তেল না দিলেই উশখুশ, অশান্তি। প্রতিদিন বিকেলে উপরনিচ করে বসে বসে উকুন বাছা তাদের নিত্যক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। ক্লাসেও তারা উকুনের কামড়ে পড়ায় মনোযোগ দিতে পারছে না। এদিকে সহপাঠীদের সাথে দুষ্টুমির ছলে তারা নিজের মাথা থেকে উকুন নিয়ে ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রীদের মাথায়ও দুয়েকটা উকুন ছেড়ে দিয়েছে। ব্যস আর যায় কোথায়! সারা হলের মেয়েদের মাথায় উকুনের ছড়াছড়ি। মেয়েরা আগে বিকাল হলেই ব্যাডমিন্টন, ভলিবল খেলতে স্কুলের মাঠে নামত। নতুবা কমনরুমে গিয়ে পত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়ত কিংবা দাবা, লুডু বা ক্যারম খেলত। এখন তার বদলে বিকালে তারা হোস্টেলের সিঁড়িতে বসে উকুন বাছতে। হোস্টেল সুপার ম্যাডাম এবং সহকারী আবাসিক শিক্ষিকারা তা লক্ষ্য করলেন। এছাড়াও উকুনের কারণে ছাত্রীরা মাথা পরিষ্কার করতে প্রচুর পরিমাণে জল ব্যয় করছে।
বাবা-মাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সেঁজুতি সদ্যনির্মিত হোস্টেলে উঠল। হোস্টেলের কেবল নিচতলা কম্প্লিট হয়েছে। নবম শ্রেণি মাধ্যমিকের সবচেয়ে জুনিয়র তাই তাদের আগে রুম বরাদ্দ দেয়া হলো। আর সেঁজুতিও তার ৩ বান্ধবী সহ একটি জুৎসই কক্ষ হোস্টেল সুপার ম্যাডামের অনুমতি নিয়ে দখল করে নিলো। এভাবে হোস্টেলে এক মাস গত হলো এর মধ্যে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শেষ হয় এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়। এসময় সেঁজুতির বান্ধবী শর্মি গরমের ছুটিতে তার মাসির বাসায় বেড়াতে যায়। শর্মির মাসি তার চুলের যত্নে গাফিলতি করত ফলস্বরূপ তার মাথায় উকুন বাসা বাঁধে। শর্মি তার সঙ্গে কিছুদিন বেড শেয়ার করায় শর্মির মাথায়ও উকুনের উপদ্রব আরম্ভ হয়। শর্মি তখনও তা আমলে নেয়নি। এদিকে গরমের ছুটি শেষে সবাই হোস্টেলে ফিরে আসে। শর্মিও ফিরে আসে কিন্তু মাথাভর্তি উকুন ও উকুনের ডিম নিয়ে। ক্লাসে সেঁজুতি, শর্মি ও রিদিমা একসঙ্গে এক বেঞ্চে বসত; ডাইনিংয়ে একসঙ্গে খেতো, এছাড়াও তারা একে অপরের বিছানায়ও মাঝেমধ্যে শুতো। ফলে যখ হবার তাই হলো শর্মির মাথার উকুন তার সকল রুমমেটের মাথায় পৌঁছে গেল। সেঁজুতিসহ সবাই মাথা চুলকে চুলকে অস্থির। তেল দিলে খানিকটা আরাম পায় কিন্তু তেল না দিলেই উশখুশ, অশান্তি। প্রতিদিন বিকেলে উপরনিচ করে বসে বসে উকুন বাছা তাদের নিত্যক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। ক্লাসেও তারা উকুনের কামড়ে পড়ায় মনোযোগ দিতে পারছে না। এদিকে সহপাঠীদের সাথে দুষ্টুমির ছলে তারা নিজের মাথা থেকে উকুন নিয়ে ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রীদের মাথায়ও দুয়েকটা উকুন ছেড়ে দিয়েছে। ব্যস আর যায় কোথায়! সারা হলের মেয়েদের মাথায় উকুনের ছড়াছড়ি। মেয়েরা আগে বিকাল হলেই ব্যাডমিন্টন, ভলিবল খেলতে স্কুলের মাঠে নামত। নতুবা কমনরুমে গিয়ে পত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়ত কিংবা দাবা, লুডু বা ক্যারম খেলত। এখন তার বদলে বিকালে তারা হোস্টেলের সিঁড়িতে বসে উকুন বাছতে। হোস্টেল সুপার ম্যাডাম এবং সহকারী আবাসিক শিক্ষিকারা তা লক্ষ্য করলেন। এছাড়াও উকুনের কারণে ছাত্রীরা মাথা পরিষ্কার করতে প্রচুর পরিমাণে জল ব্যয় করছে।
অতঃপর সেদিন রাতে রাতের খাবার শেষ করে হোস্টেলে থাকা সকল ছাত্রীদের হোস্টেলের অতিথি কক্ষে হাজির থাকতে নির্দেশ দিলেন হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্ট। তাই সেঁজুতিসহ সব মেয়েরা আগেভাগেই ভোজনপর্ব চুকিয়ে অতিথি কক্ষে প্রবেশ করল। তারপর সেখানে হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্ট ও আবাসিক শিক্ষিকারা এলেন। তারা সব মেয়েদের উদ্দেশ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার গুরুত্ব, ধর্মীয় তাৎপর্য ও না থাকার অপকারিতা নিয়ে ছোটখাটো বক্তব্য দেন। তারপর তাদের এই উকুনের সমস্যা নিয়ে কিছুক্ষণ ভর্ৎসনা করলেন। সব শেষে হোস্টেল সুপার বললেন কালকে ক্লাস বন্ধ থাকবে এবং কাল সকালে হোস্টেলে ২ জন নাপিত আসবে তাদের সবার চুল ছাঁটানোর জন্য। হোস্টেলের সব মেয়েরা যেন তৈরি থাকে। এ কথার পর হোস্টেলের মেয়েরা কিছু সময়ের জন্য বাক্য হারিয়ে ফেলল। কিছুক্ষণ পর হৈ হই রব উঠল, কিছু মেয়ে প্রতিবাদ করল এবং শিক্ষিকাদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিলো ও কিছু মেয়ে চিৎকার করে কেঁদে উঠল। যাই হোক হোস্টেল সুপার ও অন্যান্য শিক্ষিকারা কিছুতেই নমনীয় হলেন না। বাক-বিতন্ডা করা মেয়েরা কিছুতেই তাদের সঙ্গে পেরে উঠল না। উল্টে হোস্টেল সুপার ধমক দিলেন যে বা যারা কালকে তাদের চুল কাটানোর জন্য থাকবে না তারা যেন সকলে হোস্টেল ছেড়ে দেয়; তাদেরকে স্কুল থেকে রাসটিকেট করবেন। মেয়েরা সব দুঃখী মনে গেস্টরুম পরিত্যাগ করল। বাইরে বেরিয়ে তারা কেউ বিদ্রোহ ঘোষণা করল কোনোভাবেই নিজের চুল তো দূরে থাক একটা লোমও বাঁকা করতে দিবে না, কেউ বলল এই স্কুলেই আর পড়বে না, কেউ চুপচাপ হোস্টেল ছেড়ে দিবে ভাবল। তারপর হোস্টেলের সিঁড়ির গোড়ায় কিছুক্ষণ জটলা করে পরে যে যার যার রুমে চলে গেল। এদিকে সেঁজুতিরাও রুমে ফিরল। সেঁজুতির মন ভারাক্রান্ত। সে ভাবছে হোস্টেল সুপার ম্যাডাম কি কাল সত্যিই নাপিত ডেকে আনবেন তাদের চুল কাটানোর জন্য নাকি মজা করছেন। কিন্তু হোস্টেল সুপার ম্যাডাম মোটেও মজা করার পাত্রী নন। তিনি যা বলেন তাই করেন। এদিকে সেঁজুতির অপর দুই রুমমেট বান্ধবী শর্মিকে দুষছে আর শর্মি মাথা নিচু করে চুপচাপ খাটে বসে আছে তার চোখের কোণায় নোনতা জল শুকিয়ে আছে। তারপর সকাল হলো সব মেয়েরা ঘুম থেকে উঠে পরিপাটি হয়ে ব্রেকফাস্ট সারলো। সেঁজুতি দেখল কিছু মেয়ে ব্যাগ গুছিয়ে হোস্টেলের গেট দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সে তাদের একজনকে ডাকল ‘সোনিয়া, কোথায় যাচ্ছিস?’ সোনিয়া বলল: বাড়ি যাই রে। এই ম্যাডামগুলো একদম ডাইনি! এদের বিশ্বাস নেই। সেঁজুতি ভাবল সেও বাড়ি চলে যাবে কিনা কিন্তু পরশু যে পরীক্ষা আর সে হোস্টেলে চলে আসায় বাবার অফিসের সুবিধার্থে পরিবারের সবাই তার অফিসের কাছে নতুন বাসায় শিফট হয়েছে। সেখানকার পথ নেহাত কম নয়। এই বলে সে রিডিং রুমের দিকে যেতে লাগল। এমন সময় হঠাৎ হোস্টেলের ঝাড়ুদার মাসি ঘণ্টায় বাড়ি দিলেন মানে হোস্টেল প্রাঙ্গণে সবাইকে জমায়েত হবার নির্দেশ। সে হোস্টেলের উঠানেই দাঁড়িয়ে থাকল আর সব মেয়েরাও যে যেখানে ছিল বেরিয়ে এলো। তারপর হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্ট ম্যাম সেখানে হাজির হলেন। তারপর তারা কতজন আছে গুণে দেখলেন। ৪৪ জনের মধ্যে ১৩ জন নেই। তারা সকালে উঠেই বাড়ি রওনা দিয়েছে। হোস্টেল সুপার ম্যাম বললেন বেশ তবে এ কজনই থাক। যারা চলে গেছে তাদের বেডে অন্য ছাত্রীরা উঠবে। এরই মধ্যে তিনি একবার হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে পরক্ষণে হোস্টেলের গেটের দিকে তাকালেন। হোস্টেলের গেট দিয়ে একজন ডাইনিং বয়ের পিছু পিছু দুইজন লোক ঢুকল। তাদের কাঁধে ঝোলা আর তাতে চুল কাটবার সরঞ্জাম। তারপর স্কুলের মাঠে যেন কান্নার রোল পড়ে গেল। কিন্তু হোস্টেল সুপার ম্যামের হুঙ্কার ও অন্যান্য শিক্ষিকার ধমকে সব শান্ত নীরব হয়ে গেল। তারপর নাপিত দুইজন তাদের পিঁড়ি, চওড়া কাপড়ের টুকরা, চিরুনি, কাঁচি, ক্ষুর, ব্লেড ইত্যাদি বের করলেন। হোস্টেল সুপার ম্যাডাম আদেশ দিলেন দুজন দুজন করে গিয়ে নাপিতদের সামনে বসতে। ম্যাডামের কথা অমান্য করার সাহস আর কেউ দেখাতে পারল না। প্রথম জুটি গিয়ে নাপিতদ্বয়ের সামনে রাখা পিঁড়িতে বসল। অতঃপর নাপিতরা হোস্টেল সুপারের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল কেমন ধারা কাটব দিদিমণি? দিদিমণি বললেন সবার চুল কাঁধ পর্যন্ত কাটবেন। নাপিতরা বলল সবার মুখের গড়নের সাথে এমন স্টাইল মানাবে না। হোস্টেল সুপার ম্যাডাম তাদের যতটা সম্ভব মুখের গড়নের সঙ্গে মানানসই রেখে চুল কাটতে বললেন। নাপিতরা সম্মতি জানিয়ে তাদের কাজ শুরু করল।
মেয়েদের চুল ভালো করে আঁচড়ে পাট করে প্রথমে পনি বাঁধল, তারপর কাঁচি চলল ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ; মেয়েগুলো ফুঁপিয়ে কাঁদায় তাদের শরীর কাঁপছিল। হোস্টেল সুপার ম্যাম গর্জন করে বললেন "এই কাঁদলে কিন্তু মাথা কামিয়ে দিতে বলব।" ভয়ে সব ঠাণ্ডা। এক এক করে জুটি বসতে লাগল আর নাপিতদের সামনে চুলের পাহাড় উঁচু হতে লাগল। স্নিপ স্নিপ শব্দে কাঁচি চলতে লাগল। আর মেয়েরা চোখ মুছতে মুছতে গোসলখানায় গেল। সেঁজুতিকে ম্যাডামরা বললেন নাপিতদের সামনে জমে ওঠা চুলের গোছাগুলো একটি প্লাস্টিক ব্যাগে পুরতে। সেঁজুতি তা করতে লাগল। ২ জন মেয়ে বাকি থাকতে একজন নাপিত বিদায় নিলেন। অপর জন কাঁচি চালাতে থাকলেন। সবার শেষে এলো সেঁজুতি। সেঁজুতি এমনিতে ভালো ছাত্রী কিন্তু দুষ্টুমিতে তার জুড়ি মেলা ভার। হোস্টেল সুপার ম্যাডাম বললেন সেঁজুতির চুলের ছাঁট যেন একটু অন্য রকম হয়। সেঁজুতির বুক কেঁপে উঠল। তবে সে কোনো শব্দ করল না। শেষ মেয়েটি উঠতেই সে চুপচাপ নাপিতের সামনের পিঁড়িতে বসে পড়ে। গণিত শিক্ষিকা সেঁজুতিকে খুব ভালোবাসতেন; সেঁজুতিরও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছিল গণিত। সেঁজুতি নাপিতের সামনে বসলে যেই না নাপিত বললেন এর চুল কতটুকু খাটো করবো? গণিত শিক্ষিকা অমনি বলে উঠল মেয়েটি খুব ভালো ছাত্রী, আগামী সপ্তাহেই ওর পরীক্ষা আছে। এ ক'দিন উকুনের জ্বালায় পড়াশোনা বিশেষ করেছে বলে মনে হয় না। চুলের পিছনেই সময় দিয়েছে। এইটুকু মেয়ে অতটা চুল কি করে সামলাবে? নাপিত হাসিমুখে বলল তাহলে ববকাটেই চলবে? গণিত ম্যাডাম বললেন ওভাবে না; আমি চাই একদম ছোট আর মিষ্টি দেখতে চুলের ছাঁট। যাতে চিরুনির এক আঁচড়ই ওর চুলের জন্য যথেষ্ট হয়। নাপিত ওনার ইঙ্গিত বুঝতে পারলেন; সে বলল, আপনি বলতে চাচ্ছেন পিক্সিকাট? ম্যাডাম বললেন হ্যাঁ সেটাই। সেঁজুতি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো; তার কান্না পাচ্ছিল এই ভেবে যে গণিত ম্যাম তার সঙ্গে এমনটা করতে পারেন। গণিত ম্যাম বললেন-- সেঁজুতি যাও গিয়ে নিজের চুল কাটিয়ে নাও। সেঁজুতি ডুকরে কেঁদে বলল, ম্যাম প্লিজ অত ছোট না। ম্যাম কিছু শুনলেন বলে মনে হলো না। তিনি বললেন ওর পিছনের চুল যতটা সম্ভব ছোট করে দিবেন আর চিপগুলোও ছোট করে দিবেন। নাপিত চুল কাটা আরম্ভ করলো। প্রথমেই সে সেঁজুতির চুলে টাইট করে পনি করল। আর তারপর তার ধারালো কাঁচি পনির গোড়ায় বসিয়ে দিলো। সেঁজুতি কেবল কাঁচির স্নিক স্নিক শুনতে পেলো। কিছু বল প্রয়োগের পরই সেঁজুতির পনি নাপিতের হাতে চলে এলো। সেঁজুতির চুল এখন তার চিবুক অবধি অগোছালোভাবে কাটা। তারপর নাপিত তাকে ডানে-বাঁয়ে কাত করে সমানে চুল কাটতে লাগল। নাপিত জিজ্ঞেস করল তার চিপ ও ঘাড় কামাবে কি না? চিপ ও ঘাড়ে খুব মিহি চুল ছিল। ম্যাডামরা বললেন কামানোর দরকার নেই সমান করে দাও। নাপিত তাই করল। চুল কাটা শেষ হবার পর সেঁজুতি মুখ ঢেকে কাঁদতে কাঁদতে বাথরুমের দিকে ছুটল। বাথরুম থেকে সদ্য স্নান সেরে বেরিয়ে আসা রিদিমা ও আরো জনাকয়েক মেয়ে তা চেয়ে দেখল। পরদিন ক্লাসে অনাবাসিক মেয়েরা আবাসিক মেয়েদের দিকে কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখতে লাগল। আবাসিক মেয়েরা চুপ; তারা তাদের চুলের ব্যাপারে মুখ খুলল না।
2 comments:
Pls mohilader salon(napit dokan) e haircut korar golpo likhun pls
Ok I'll write one.
Post a Comment