বর্ণিতা একাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনা করত। তার কোমর পর্যন্ত দীর্ঘ চুল ছিল। তার মা-বাবা গ্রামে নিজ বাড়িতে বসবাস করত আর সেখানে ভালো স্কুল ছিল না তাই ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই বর্ণিতা শহরে তার মেসো-মাসির বাসায় থাকত।
বর্ণিতার চুল বেশ ঘন ছিল তবে বর্ণিতা ঠিকঠাক মত চুলের যত্ন নিতে পারত না। তার মাসিও দিনভর নিজের আপিসের ও গেরস্থালীর কাজে ব্যস্ত থাকায় তার পিছনে খুব একটা সময় দিতে পারত না। অপরিষ্কার থাকায়, গোসল করে চুল ঠিকঠাক না শুকানোয় ও ভিজা তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখায় বর্ণিতা একসময় ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ল। সেরে উঠলেও তার মাথায় শেষ পর্যন্ত দাদ হয়। দাদের কারণে তার মাথার চুল পড়তে শুরু করে। বর্ণিতার মাসি তাকে নিয়ে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার ব্যবস্থাপত্রে লিখেন যে এ থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে মাথা ন্যাড়া করে সেলিসাইলিক এসিড ঘটিত মলম দিনে ২ বার লাগাতে হবে, যত দিন চুল গজিয়ে বড় না হয় এবং কিছু ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য দিয়েছিলেন।
যেহেতু মাথার ত্বকে মলম লাগাতে হলে বর্ণিতার মাথা ন্যাড়া করতে হবে তার মাসি তাকে এজন্য কয়েক বার তাকে পার্লারে চুল কামাতে যেতে বলেছিলেন। তবে সে কখনই এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি কারণ সে প্রতিবেশী ও সহপাঠীদের ঠাট্টা-মস্করা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তার মাসি হাল না ছেড়ে প্রতিদিন তাকে মাথা ন্যাড়া করতে বলতেন। দিনকে দিন তার চুলগুলি আরো বেশি পরিমাণে ঝরে পড়তে শুরু করে। এভাবে কয়েক সপ্তাহ পর শরৎকালে পুজোর ছুটিতে সে বাসায় ছিল। সকাল ১০টা আন্দাজ তার মাসির ফ্ল্যাটের কলিং বেলটি বেজে উঠল। তার মাসি দরজাটি খুলতেই একজন শ্যামবর্ণের মাঝারি উচ্চতার বছর তিরিশের এক ব্যক্তি একটি ছোট ব্যাগ কাঁধে প্রবেশ করলেন। তার মাসি লোকটিকে ফ্ল্যাটের পিছন দিকে ঝুলবারান্দার দিকে যেতে নির্দেশ দিলেন। বর্ণিতার মাসি তাকে এককাপ চা এবং কিছু নাশতা দিতে বললেন এবং সে ঐ আগন্তুকের হাতে তা দিয়ে ভিতরে আসে। বর্ণিতা গোলাপী চুড়িদার পড়া ছিল; তার মাসি তাকে কোন পুরানো পোশাক পরে আসতে বললেন এবং সে জিজ্ঞাসা করল কেন তিনি তাকে এই নির্দেশ করলেন। মাসি নিরুত্তর থাকলেন। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে উত্তর না পেয়ে বর্ণিতা তার মাসির কথামত একটা পুরাতন জামা পরে আসে।
ঠিক সেই মুহূর্তে সে সেই আগন্তুককে দেখল যে মাথা মুড়ানোর জন্য তার সরঞ্জাম প্রস্তুত করছিল। এ দেখে সে আঁতকে উঠল। এই সম্পর্কে সে তার মাসিকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তোমার মাথা দাদে ভরে গেছে; এখনই এর প্রতিকার করতে হবে; দাদ ছোঁয়াচে রোগ কে জানে কখন আমার শরীরেও সংক্রমণ হয়। তাই এই রোগ যাতে আর না ছড়ায় ও তোমার মাথার চুল যাতে আর না ঝরে সেজন্য তোমাকে ন্যাড়া হতে হবে। বর্ণিতা এ কথা শুনে কান্নাকাটি শুরু করে এবং এটি না করার জন্য তার মাসির কাছে মিনতি করে তবে তিনি ইতিমধ্যে ঠিক করে ফেলেছেন। বর্ণিতা কাঁদছিল কিন্তু তিনি তার হাতটি ধরে নাপিতের সামনের টুলে বসিয়ে দিলেন ও তাকে তার কাজ করতে বলে কাঁচাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। নাপিত লোকটি বারবার তাকে তার চুলের কবরী খুলতে বলেন কিন্তু বর্ণিতা তাকে অনুরোধ করল যাতে তার চুলের সঙ্গে কিছু না করা হয়। তিনি বলেন- দিদি আমার কিছুই করার নেই; আমাকে যা করতে বলে গেছে আমি তাই করতে বাধ্য। নাপিত বর্ণিতার চুলের বিনুনি খুলতে লাগল কিন্তু সে কাঁদতেই থাকল। এরপর নাপিত পানিভর্তি মগ থেকে হাতের তালুতে পানি নিয়ে তার চুল ভেজাতে আরম্ভ করল। বর্ণিতার কপাল বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি মেঝেতে পড়তে শুরু করে তখন নাপিত লোকটি তার চুল পাট করে চুলের গোড়া পর্যন্ত ভেজাতে আরও কিছু পানি ছেটায়। এরপর তিনি তার সঙ্গে আনা ক্ষুরে একটি অর্ধেক ব্লেড ঢুকালেন। এবার তিনি বর্ণিতাকে তার মাথা নোয়াতে বললেন তবে বর্ণিতা তা না করে কেঁদেই চলছে তাই তিনি বর্ণিতার মাথাটি জোর করে নোয়ালেন এবং তার চিবুক তার বুক স্পর্শ করল। তখন তিনি বর্ণিতার মাঝের মাথায় ক্ষুর রেখে ঘাড়ের দিকে টানা শুরু করলেন আর বিপুল পরিমাণ চুল তার পিঠে গড়িয়ে পড়তে লাগল। ৫ মিনিটের মধ্যে তার মাথার পেছনটা সম্পূর্ণ চুলশূণ্য হয়ে গেল এবং তিনি বর্ণিতার মাথার সামনের অংশটি কামাতে শুরু করে আর তার চুল বৃষ্টির মতো তার কোলে পড়তে শুরু করে। অতঃপর তিনি বর্ণিতার মাথা ডানদিকে কাত করে তার মাথার বাম পাশ ২ মিনিটের মধ্যে কামিয়ে আবার মাথা বামদিকে কাত করে ডান পাশ কামিয়ে দেন। বর্ণিতার মাথা তখন পুরোপুরি টাক কেবল কিছু খোঁচা খোঁচা চুল ছাড়া। সবশেষে নাপিত তার মাথায় মিনিপ্যাক শ্যাম্পু প্রয়োগ করলেন এবং তার মাথার বিপরীত দিক থেকে ক্ষুর টানলেন যাতে তার মাথার ত্বক এক্সট্রা মসৃণ হয়।
এরই মধ্যে বর্ণিতার মাসি বাজার থেকে ফিরে এসে বর্ণিতার দিকে হাসিমুখে তাকালেন। বর্ণিতা মাথা উঠিয়ে তার দিকে একবার তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে কাঁদতে লাগল। তারপর বর্ণিতার মাসি নাপিতকে তার পারিশ্রমিক দিলেন এবং টানা ৪ মাস প্রতি সপ্তাহ অন্তর এসে বর্ণিতার মাথা মুড়িয়ে যেতে বললেন। এরপর চার মাস ধরে বর্ণিতার মাথায় চুলের অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলে। ৪ মাস পুরোপুরি টাক থাকার পর অবশেষে বর্ণিতার মাথার দাদ দূর হলো। আর বর্ণিতাও কিছু স্বস্তি পেল। তারপর বর্ণিতা দ্বাদশ শ্রেণিতে যখন প্রমোশন পেল তখন তার চুল কাঁধ ছুঁয়েছে।
1 comment:
nice golpo aro dan
Post a Comment